কি দেখার কথা কি দেখছি, কি শুনার কথা কি শুনছি, ৪২বছর পরেও আমি স্বাধীনতাকে খুঁজছি!!
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার দামাল সন্তান ২০ মে, ২০১৩, ০৮:২০:৪৯ রাত
বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড একাধারে ৫২ দিনের রিমান্ডে নিয়ে শিবির সভাপতিকে যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে --
* তাঁর মুখে লাঠি ঢুকানো হয়েছে
* চোখে আঙ্গুল ঢুকানো হয়েছে
* বুকে বুট দিয়ে আঘাত করে দলিত করা হয়েছে
* হাঁটুতে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়েছে
আজ তাঁকে কোলে করে আদালতে হাজির করা হয়েছে!
ভাইটি এখন একজন জীবন্ত শহীদ!!
ও আল্লাহ! আমরা বিশ্বাস করি তাঁকে অগ্নিপরীক্ষায় ফেলেছ । দয়া করে আর পরীক্ষা নিওনা । আর সহ্য হচ্ছেনা । মজলুমের জন্য কি তুমিই যথেষ্ট নও??
টানা ৫২ দিনের রিমান্ড-নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ ইসলামী ছাত্রশিবির সভাপতি দেলোয়ার হোসেনকে আরও ১৭ দিনের রিমান্ড চেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সাভার ও ঢাকা রেলওয়ে থানার পৃথক দুই মামলায় রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত শুনানি পিছিয়েছেন।
সোমবার তাকে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হাজির করে ১৭ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট তৈয়বুল হাসান আগামী ২৮ মে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
সোমবার তাকে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে হাজির করলে দেখা যায় মারাত্মক অসুস্থ দেলোয়ার হোসেন। শিবির সভাপতি এসময় নিজ থেকে দাঁড়াতেও পারেননি। তাকে পুলিশ আগলিয়ে আনে। এসময় শিবির সভাপতির চোখে মুখে ছিল অসুস্থতার ছাপ। দু’পায়ে ব্যান্ডেজ ছিল। তবে তাকে ডান্ডা বেড়ি পরিয়েই আনা হয়।
আসামির আইনজীবীরা বলেন, দেলোয়ারকে এর আগে বিভিন্ন মামলায় এক নাগাড়ে ৪৫ দিন রিমান্ডে নেয়া হয় এবং নানা ধরনের অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়। এতে শারীরিকভাবে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার শারিরীক অবস্থা খুবই নাজুক। তিনি নিজে থেক হাটতে-চলতে পারছেন না। এরই মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করে পুনরায় ১৭ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়।
আইনজীবীরা জানান, দেলোয়ার সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত রিমান্ড শুনানি স্থগিত রাখতে আবেদন জানানো হলে আদালত আসামির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে আগামী ২৮ মে শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।
ছাত্রশিবির সভাপতি দেলোয়ারকে গত ৩১ মার্চ রাজধানীর শ্যামলীর একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর বিভিন্ন মামলায় তাকে ৪৫ দিন পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আদালত।
বাংলাদেশের আইন আদালতের উপর আমি আস্থা হারিয়ে ফেলেছি। আইন বলে একজন লোককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে; কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে রিমান্ড শেষে ভিকটিম মিত্যুর কাছাকাছি পোঁছে যাচ্ছে। আবার যে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করছে সেও প্রশ্ন করছেনা এই অবস্থা কেন হল! আদালত কি দেখতে পায় না একজন ভিক্টিমকে কি অবস্থায় রিমান্ডে প্রেরন করছে আর কি অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসছে? যদি দেখতে পায় তবে এ বিষয়ে কোনো কথা বলছেনা কেন?
আর অন্য দিকে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা প্রতিনিয়ত, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানী করছে কিন্তু সরকার তাদেরকে জামাই আদরে লালন-পালন করছে, তবুও তথাকথিত সুশিল সমাজ, মানবাধিকার কর্মিরা নিশ্চুপ, হায়রে মানবতা হায়রে মানবাধিকার।
বিষয়: বিবিধ
২৪০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন