:: বর্তমানের ইহুদিদের [৯৩%] আসল পরিচয়, ও তাদের চেপে রাখা ইতিহাস :: পর্ব ১ ==========================================
লিখেছেন লিখেছেন আলোর পথে আলোকিত ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:০৩:০৮ দুপুর

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং পুরো বিষয়টির খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ আমাদের সময়ের দাবি। এটি এমন এক সঙ্কট যাকে খোলা চোখে দেখলে মনে হবে সমস্যাটি শুধুমাত্র ইসরাইল- ফিলিস্তিনের ১৪-১৫ মিলিয়ন মানুষের মধ্যেই সীমাবধ্য। কিন্তু বৃহৎ পরিসরে যদি এই সংঘাত কে আমরা ইতিহাসের দৃষ্টিকোন থেকে বোঝার চেষ্টা করি তবে আমরা বুঝতে পারব এটি সারা বিশ্বের ১৫০ কোটির বেশী মুসলমানের জীবন-মরণ সমস্যা। সাময়িকভাবে এটা না বুঝতে পারলেও সেদিন খুব বেশী দূরে নয় যখন মুসলমানদের ইহুদী-খৃষ্টান সম্মিলিত শক্তির মোকাবেলায় অস্ত্র হাতে জিহাদের ময়দানে নামতে হবে। নিজেদের চেয়ে শতশত গুন সামরিক- অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক শক্তির অধিকারী এই ইহুদী- খৃষ্টানদের মোকাবেলায় মুসলমানেরা টিকে থাকতে পারবে কি না সেটা ইন-শা-আল্লাহ সময়ই বলে দেবে।
ভবিষ্যতের অনাগত সব সঙ্কট মোকাবেলায় সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা মহান আল্লাহ্ তা’আলা তার রাসুলের (সঃ) মাধ্যমে আমাদেরকে জানিয়ে দিয়েছেন। আমাদের প্রিয় নবী (স) তার সমগ্র জীবনে কতটা দক্ষতার সাথে ইসলামের শত্রুদের মোকাবেলা করেছেন এবং ইসলামের চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করেছিলেন তা মুসলমানদের জন্য সবসময়ই অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
শত্রুদের যদি আমরা চিনতে না পারি তবে আমাদের পরাজয় অনিবার্য। বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় শত্রু হল ইসরাইল যাকে চিনতে আজো মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত ভুল করে চলেছে। স্বয়ং মধ্যপ্রাচ্যের অনেকগুলি মুসলিম- অধ্যুষিত দেশের সাথে ইসরাইলের তলে তলে গভীর সম্পর্ক। যাই হোক আমি আজকের এই লেখাটি লিখতে বসলাম জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এবং অবশ্যই তার বিষয়বস্তু ইসরাইল ।
আমরা একটা বিষয় স্বীকার করি যে দাউদ (আঃ), মুসা (আঃ), সুলাইমান (আঃ) প্রভৃতি নবী-রসুলদের আমলে ইহুদীরা ছিল মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ‘আলামিনের পছন্দনীয় জাতি। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁদেরকে সমগ্র মানবজাতির উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছিলেন এবং তাদের এই শ্রেষ্ঠত্বের সাথে একটি শর্তও ছিল যে তাঁদেরকে মহান রাব্বুল ‘আলামিনের নির্দেশনা অনুসারে চলতে হবে। কিন্তু তারা একসময় সঠিক-সত্যের পথ থেকে পুরোপুরি বিচ্যুত হয়ে যায় যার ফলে তাঁদেরকে যে শ্রেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছিল তা বাতিল হয়ে যায়। তারা আল্লাহ্র প্রেরিত নবী- রসুলদের শুধু অমান্যই করেনি, বরং বিভিন্ন ভাবে তাঁদেরকে নির্যাতন করেছে, মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে এবং অনেককে হত্যা পর্যন্ত করেছে। পরিনামে ইহুদীদের শোচনীয় অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং তারা আল্লাহ্র অভিশপ্ত জাতিতে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর কোথাও তারা কোনদিনও স্থায়ী ভাবে বাস করতে পারেনি। মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই শুধু ইউরোপেই তারা ৪৭ বার বহিষ্কৃত হয়েছে! যাই হোক সময়ের পরিক্রমায় তারা সারা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের একটি উল্লেখ যোগ্য অংশ ১৯৪৭ সালে ইসরাইলের প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত অটোমান/উসমানীয় সাম্রাজ্য ও পরবর্তীতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন আরব দেশসমুহে খুব ভালোভাবেই বসবাস করত।
একবিংশ শতকের প্রথম দশক পার করে দ্বিতীয় দশক পার করছি। আজ থেকে মোটামুটিভাবে একশ বছর আগে ইউরোপের আশকেনাজি ইহুদীরা যে আগুন ফিলিস্তিনে তথা মধ্যপ্রাচ্যে জ্বালিয়েছিল তার উত্তাপ আজো ফিলিস্তিনে তথা মধ্যপ্রাচ্যে অনুভূত হচ্ছে এবং দিন দিন তার মাত্রা বেড়েই চলেছে। একদিন যে এই উত্তাপ সারা মুসলিম বিশ্বকেই যে জালিয়ে দেবে তা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।
এবার আসি আসল কথায়।
১. আজকে আমরা ইসরাইলে যে ইহুদী নামধারী মানুষরূপী জানোয়ার ও সন্ত্রাসীদের দেখতে পাই তারা আসলে কারা? আপনি একটু ভাবুন তো তারা আসলে কারা?
২. তারা কোথা থেকে ফিলিস্তিনে এসেছে?
৩. কোন অধিকারে তারা ফিলিস্তিনে এসেছে?
৪. কারা ওদের ফিলিস্তিনে এনে বসিয়েছে?
৫. কারা ওদের সামরিক-আর্থিক-রাজনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে?
৬. যুগ যুগ মানব ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য অন্যায়-অপকর্ম করার পরেও কেন তাদের লেজ কেউ মাড়াতে পারেনা?
৭. সারা পৃথিবীর ১৯৪ টি দেশের মধ্যে ১৬০ টির বেশী দেশ জাতিসংঘে তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েও কেন তাদের নিন্দা পর্যন্ত করতে পারেনা?
এবার দেখা যাক প্রথম তিন থেকে ৪ টি প্রশ্নের উত্তরে আমাদের কি অবস্থান। বাংলাদেশের হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া বাদ বাকিদের উত্তর খুবই সোজা-সাপ্টা। আর তা হল — বর্তমান ইসরাইলের ইহুদীরা দাউদ (আঃ), মুসা (আঃ), সুলাইমান (আঃ) প্রভৃতি নবী-রসুলদের আমলের ইহুদী বা তাদেরই বংশধর, যাদেরকে পবিত্র কুর’আনুল কারীমে বনি ইসরাইল বলে অভিহিত করা হয়েছে।
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
৬২৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন