সহকর্মীর থেকে ভূঁয়সী প্রশংসা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার !!

লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৩ আগস্ট, ২০১৮, ১০:২৮:৪৩ সকাল



===================================

ওয়াল্লাহী আমি ভাগ্যবান ! আমার কাজের পরিবেশ আমার জন্যে শুরুতে কিছুটা ভিন্ন ছিলো এ কারনে যে আমি বাইরের দেশ থেকে এসেছি এবং কালচার বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তবে সহকর্মীরা কোম্পানীর অত্যন্ত উচু স্তরের কালচার মেইনটেইন করার কারনে সবকিছু সহজ হতে শুরু করে। কিন্তু তারপরও কমিউনিকেশন গ্যাপ ছিলো। আমি আস্তে আস্তে পুরো পরিবেশের উপর রাজত্ব করতে শুরু করি আমার সুআচরন দিয়ে।

কিছু লোক ছিলো যারা আমাকে সহ্য করতে পারত না, কিন্তু তাদের সাথে এতটাই সুআচরন করেছি ও বিভিন্ন সময়ে উপকার করেছি,দাওয়াত করেছি বা উপহার দিয়েছি,যে শেষটায় বিগলিত হয়েছে। আর এখনকার অবস্থা হল এই যে, আমার সম্পর্কে সবকটা ডিপার্টমেন্ট অতি উচু প্রশংসামূলক কথা বলে। অনেকবার ভালো ভালো সার্টিফিকেট পেয়েছি, মৌখিক প্রশংসা যে কত পেয়েছি তার হিসেব নেই।

বহুবার সহকর্মীরা তাদের প্রশংসা বানী লিখে খামে ভরে এমপ্লয়ী বোর্ডে গেথে রেখেছে। গত সপ্তাহেও একটা পেয়েছি। আজ পেলাম সহকর্মী মাইকীর থেকে উচ্চতর প্রশংসা। সে লিখেছে,,,আমি তোমাকে পছন্দ করি, তুমি আমার সবচেয়ে ভালো সহকর্মী। তোমার কাছে আমি খুশী, তোমার পাশে থেকে কাজ করলে খুব ভালো লাগে। আমার ইচ্ছা সারাজীবন তোমার সাথে কাজ করি। তুমি অনেক ভালো।.....কথাগুলো খুব ভালো লাগল। বিদেশে অনেক কিছুই পাওয়া যায়না,,তবে কিছু কিছু জিনিস পেয়েছি একেবারে নিখাঁদ। সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছি, কারন এই তুচ্ছ লোকের কোনো কেরামতিই নেই তার রবের তাওফিক ছাড়া। আমি কিছু বিষয়ে চেষ্টা করেছি আর তিনি আমাকে তার অনেক বেশী দান করেছেন।

সুন্দর কাজের পরিবেশ ছাড়া জীবন অসম্ভব রকমের তুচ্ছ হয়ে পড়ে এবং মানুষ অসুস্থ্য হয়ে যায়। অনেককে চিনি যারা কেবল কাজের পরিবেশে মানাতে না পেরে সময়ের আগেই অবসর নিয়েছে। এটা আসলেই বিরাট নিয়ামত। আজ একটা ইন্টারভিউ ছিলো ম্যানেজারের রুমে ভিন্ন একটা ট্রেনিংয়ের জন্যে। আমার ইনটারভিউ বরাবরই সুপার ধরনের হয় আলহামদুলিল্লাহ। ম্যানেজাররা প্রায়ই জিজ্ঞেস করে-আচ্ছা সকলে তোমকে এক ভালোবাসে কেন ?? আমি হেসে বলি,, কারন আমি তাদেরকে ভালোবাসি,সম্মান করি,এপ্রিসিয়েট করি,সাহায্য করি.......মনে মনে বলি- আসলে আল্লাহ আমার উপর রহম করেন, নইলে কবে দূর হয়ে যেতাম !!!

আজ ঈদের দ্বিতীয় দিন, এখনও গোস্ত খাইনি। কুরবানীর গোস্ত খাব বলে গোস্ত কিনছি না, আবার ফ্রিজের গোস্তও রান্না করছি না। আল্লাহই জানে গোস্ত পেলে কি করব !! খলিল ভাই বলেছে কুরবানী কাল দিবে,আর গোস্ত পেতে সন্ধ্যা হবে। তারা সিরিয়ালে কাজ করছে। প্রচুর অর্ডার। যাইহোক ডাল রান্না করছি, মনে শান্তি।

খানিক আগে জিমে গিয়েছিলাম চরম ব্যায়াম করে ঘেমে নেয়ে একাকার। অনেকক্ষন জোরে দৌড়ানো ও অন্যন্য ব্যায়ামের পর কিক ব্যাগে যেই ওজনে কিক করতে থাকলাম,,,,,তা যদি কুরবানী বিরোধী গোফওয়ালা শয়তানটার মাথায় লাগত,,,মাথা উড়ে যেত ! আগামী এক বছর সাতারের কার্ড রিনিউ করব না, জিম এবং সাতার একসাথে করা সম্ভব না। সময় নেই অত,,,অবশ্য অলসতাটাই আসল কারন মনে হচ্ছে। তবে গায়ে গতরে শক্তি এখনও সেই আগের মতই আছে আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ শত বছর এরকম রোগহীন,শক্তিশালী রাখুক এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফল করুন !

বিষয়: বিবিধ

৭৭০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

385801
২৩ আগস্ট ২০১৮ দুপুর ০২:৫২
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশেও কি এরকম চেষ্টা করা যেত না ?
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল ০৮:১০
317935
দ্য স্লেভ লিখেছেন : করেছি,হয়নি
385802
২৩ আগস্ট ২০১৮ সন্ধ্যা ০৬:৪৪
শেখের পোলা লিখেছেন : আমিন সুম্মা আমিন।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সকাল ০৮:১০
317936
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমিন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File