ঐক্যের বিকল্প জানা নেই
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ১২ মে, ২০১৬, ১০:৫২:২৪ রাত
"নিজেদের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ ত্যাগ করো। অন্যথায় তোমরা সাহস হারা হয়ে যাবে এবং তোমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি নষ্ট হয়ে যাবে।" (আনফাল: ৪৬)
আমরা বর্তমানে ফিক্কহী বিষয় নিয়ে শুধু মতবিরোধে জড়িয়ে আছি তাই নয়,বরং এক দল অপর দলকে বাতিল ঘোষনা করছি এবং নিজেদেরকে সঠিক মনে করছি। অথচ যে বিষয়ে মত দ্বৈততা অথবা বিরোধ রয়েছে,সেটা বা সেটার মতই মতবিরোধ সাহাবী,তাবেঈনদের যুগেও ছিলো কিন্তু তারা একে অপরকে রক্তের সম্পর্কের ভায়ের থেকেও বেশী আপন ভাবতেন। সমালোচনা তারাও করতেন কিন্তু তাদের ভাষা ছিলো উন্নত আর উদ্দেশ্য ছিলো মুসলিম ভাইকে কাছে টানা,দূরে সরিয়ে দেওয়া নয়। অথচ আজ আমা সমালোচনার ভাষাও বুঝতে চাইনা। যেন ধরেই নিয়েছি আল্লাহ আমার কর্মেরই প্রতিদান দেওয়ার জন্যে প্রবল আগ্রহী আর অন্যকে ক্ষমা না করে শাস্তি দিবেন। কোনো কোনো আচরনই প্রমান করে আমার চিন্তার সাথে দ্বিমত পোষনকারী মুসলিম ভাইটি যেন জাহান্নামী হয়(নাউযুবিল্লাহ)
আমরা ইসলাম যেন নিজেদের মত করে না বুঝে সাহাবাদের মত বোঝার চেষ্টা করি,তবেই সুফল আশা করা যায়। নইলে অন্য ভায়ের প্রতি বিদ্ধেষের কারনে আমাদের বহু কষ্টের আমলসমূহ আল্লাহর এক আদেশে বাতিলও হয়ে যেতে পারে। নিজেকে একমাত্র সঠিক ভাবার প্রবনতা যে অহংকারবোধের জন্ম দেয় তা শিরক। এতে ইবাদতের একটি অংশ অসচেতনভাবে গায়রুল্লাহর জন্যে হয়ে থাকে। মুমিন তার কর্মে সদা সচেতন থাকে।
নিম্নোক্ত হাদীসটির ব্যাপারে চিন্তা করার অনুরোধ রইলো:-
"মুসলিম মুসলিমের ভাই। সে তার উপর জুলুম করেনা এবং তাকে অন্যদের কাছে সোপর্দ করে দেয় না বা তাকে ত্যাগ করে না। যে তার ভাইয়ের প্রয়োজনে সাহায্য করে আল্লাহ তার প্রয়োজন পুরণ করেন। আর যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের কোন কষ্ট দূর করতে সাহায্য করে আল্লাহ তা'আলা তার ক্বিয়ামতের দিনের কষ্টগুলোর কোনটা দূর করবেন। আর যে কোন মুসলিমের দোষত্রুটি গোপন রাখবে আল্লাহও ক্বিয়ামতের দিন তার দোষত্রুটি গোপন রাখবেন।" (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮০)
আল্লাহ সুবহানহু ওয়া তায়ালা আল কুরআনে বলেন-"তোমরা সম্মিলিতভাবে আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে আকড়ে ধরো,আর পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা".....
ইসলাম নির্মূলে বাতিলপন্থীরা একতাবদ্ধ। তাই ঈমানদারকে মানুষিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কুরআন আর সুন্নাহকে শক্তভাবে আকড়ে ধরতে হবে,তাহলে আমরা বিচ্ছিন্ন হব না। ব্যাখ্যাগত বা ফিক্কহী বিয়ে পার্থক্য থাকলে জনসম্মুখে তা প্রকাশ করে অন্যের উপর চড়াও হবনা। সুন্দর ভাষায় তা উপস্থাপন করে নিজে সেটা কেন সেটা অনুসরন করি সেটাই কেবল বুঝাবো। কথা দ্বারা অন্যের উপর চড়াও হব না। মতের বিরোধি মুসলিমকে ভাই মনে করব। সুন্নাহ অনুযায়ী আচরণ করব। তাহলেই মুক্তি,বিজয় অনিবার্য....ইনশাআল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৫ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কে কার সাথে ঐক্যবদ্ধ হবে !!!!!!
সবার ই তো ধারনা,
আমি ঠিক, সে বাতিল।
( মুষ্ঠিমিয় কয়েক জন বাদে)
আমরা কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ,,
শ্লোগান আমাদের, কাফের কাফের, শিয়া কাফের৷
বেরলবী বেদাতি ও মুশরিক৷
তাদের চোখে দেওবন্দীরা গুসতাখে রাসূল৷
গাইরে মুকাল্লিদরা ইহুদীদের এজেন্ট৷ আহলে হাদীসরা ইংরেজদের এজেন্ট৷ তারা আবার কিতাব লিখে "আদদেওবন্দিয়া"৷ সেখানে উলামায়ে কেরামকে কাফের বানানোর কসরত করে তথাকথিত মাদানীরা৷
ওদিকে পাশ্চাত্যের লাদিনিয়াত ও সেক্যুলারের আগ্রাসনের কোনো খোঁজ নেই৷ পশ্চিমাদের নয়া ক্রসেডের আঘাত নিয়ে কোনো ভাবনা নেই৷ তানসীর ও ইস্তিমারের আগ্রাসনের কোনো চিন্তা নেই৷
মিডিয়ার বহুমুখী তথ্যসন্ত্রাসের কোনো প্রতিরোধ নেই৷
শরীয়াহ আইনের বিরুদ্ধে ওরিয়ান্টালিস্টদের মিথ্যা অভিযোগের জবাব দেওয়ার কোনো প্রস্তুতি নেই৷
আমরাই হক তাই মসজিদ ভেঙ্গে মসজিদ বানাই৷
মাদরাসা থেকে মাদরাসা৷
ঈদগাহ সাত টুকরো করি৷
ইসলামী রাজনীতির দলগুলো অনু পরমানুতে রুপান্তর করি৷
সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের দেশের মানচিত্র নিয়ে শকুনের আচরন করে৷ আমরা ঝগড়া করি হাত কোথায় রাখতে হবে নামাযে তা নিয়ে৷
জীবনের মিশন মনে হয় মাসলাক ও মাশরাবসনিয়ে ঝগড়া করা৷
আমার ঘরানাই ঠিক৷ ই দিয়ে তাকীদ দর তাকীদ করে বলি আমরাই হক ও হক্কানিয়েতের নিশানবরদার৷
আসলেই কি তা?
তারা জানে কম , তবে বুঝে বেশী
বিচ্ছিন্ন, বিক্ষিপ্তভাবে টুকটাক কাজ করছি। অথছ অন্তত: আমরা যারা বিদেশে আছি, সরকারের কালো হাতের বাহিরে আছি তারা ঐক্য বদ্ধ হলে একটা ইমপ্যাক্ট ফেলা সম্ভব।
কেউ একজন হাল ধরুন। আমি আবু-সামিহা, দ্য-স্লেভ বা অন্য যে কাউকে একটা প্লাটফর্ম দাঁড় করারনোন আহ্বান জানাচ্ছি।
ডেডিকেটেড কর্মী হিসেবে আমাকে গোনায় রাখতে পারেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন