প্রথম পুটি
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৯ মে, ২০১৫, ১১:২৬:৫৯ সকাল
রফির মা, তুমি ভালো আছো ?
: জি বাবা ভালো, তা হঠাৎ কি মনে করে ? এদিকে তো তেমন একটা আসো না।
: হ্যা, চাচি একটা দরকার তো ছিল তোমার কাছে।
:কি, শুভ সংবাদ আসছে নাকি ?
: হুমম, সেই জন্যেই তো তোমাকে আগাম তৈরী থাকতে অনুরোধ করতে আসলাম।
: আমি তো তৈরীই থাকি। এই এলাকা এবং আশপাশের এলাকার বহু বাচ্চা তো আমার হাত ধরেই এসেছে।
: সমস্যাটা তো ওইখানেই। দেখা গেল আমার যেদিন দরকার,সেদিন তুমি আরেক দিকে চলে গেছো।
: হাহাহাহা...না না তা হবে না, তোমার বৌয়ের বাচ্চা আমার হাতেই হবে..তুমি চিন্তা করোনা....
: ইনশাআল্লাহ কও...
: আচ্ছা ঠিক অাছে...তা না হয় বললাম, কিন্তু তোমার বৌ এর দিন তারিখ কিছু জানো ?
: না ,জানিনা ...আমার বৌ জানে মনে হয়, কিন্তু অনেক সময় তো একটু আগে পরে হয়..
: হুমম ঠিক, আচ্ছা সময় হলে খবর দিও..
: তা এভাবে বললে হবেনা, আমাকে পাকা কথা দিতে হবে যে আমার পুটির মায়ের পাশে তুমি থাকবেই....অন্য মানুষে আমি তেমন আস্থা পাইনা। অার নিলাম্বড়ী শাড়ী তো তোমার জন্যে রেডী থাকবেই। সেই সাথে ৩ পন পান,সুপারী,হাকিমপুরী জর্দা।
: অাচ্ছা বাবা ঠিক আছে তুমি যাও, আমার মনে থাকবে। ব্যাথা উঠলেই আমার খবর দিও।
-----------------------------------
: মফিজ, আছিস কেমন ?
:জি ভাই ভালো।
: অাচ্ছা ভ্যান চালিয়ে তুই দিনে কত টাকা পাস ?
: ঠিক নাই, যেদিন খ্যাপ ভালো যায়,এই ধরেন....৩০০ টাকাও হয় অাবার কোনো কোনো দিন ১০০ ও হয়না।
: শোন , তোকে তো বলেছি আমার বৌ গর্ভবতী,খুব তাড়াতাড়িই প্রসব হবে মনে হয়, ভ্যানটা ঠিক রাখিস। বলা যায় না, স্থানীয় ধাত্রীর দিয়ে বিশ্বাস নেই। জরুরী সদর হাসপাতালে নিতে হতে পারে। টাকা নিয়ে ভাববি না। একদিনে যা পাস তোকে একবারেই তা দিয়ে দেব।
: ভাই আপনি আমাকে যে কি মনে করেন ! আপনার এত চিন্তা করার দরকার নেই..টাকা নিয়ে আপনি ভাববেন না। আপনি সময় মত শুধু একটা ডাক দিবেন। দিন রাতের যে কোনো সময় অামি হাজির হয়ে যাব।
:ইনশাআল্লাহ বল রে আহাম্মক !
: জি, তা বলা যাবে, কিন্তু আপনি এত চিন্তা কইরেন না। যান বাড়ি যান। মফিজের এক কথা,আপনার জন্যে এক পায়ে খাড়া।
--------------------------------------
পুটির মা , ও পুটির মা !! কোথায় গেলে গো আমার পুটির মা !!
: এই তো আমি রান্নাঘরে...
: কি ? কি বললে ? তুমি রান্না ঘরে !!
: তোমাকে না বলেছি ,শরীরের এই হালে তুমি রান্নাঘরে ঢুকবে না....
: রান্নাঘরে না ঢুকলে তুমি কি খাবা শুনি ? তোমার রান্নার মুরোদ আমি জানি না ?
: সে জানো ভালো কথা, কিন্তু তোমাকে নিষেধ করেছি ব্যস এখানে আসবে না। আমি যা পারি তাই রান্না করব,দুজনে বসে খাবো। তুমি হলে আমার ফলবান বৃক্ষ !
: কি ? আমি কি ??
:কেন ? ফলবান বৃক্ষ !!
: ও, তাইলে আমার জন্যে কোনো দরদ নাই, সবকিছু পুটির জন্যে !! থাকল তোমার রান্না....পারলে ছাইপাশ রান্না করে খাও...
: ওই দ্যাখো !! আবার রাগ করল ! আরে আমি কি বলেছি যে পুটির জন্যেই সব দরদ ? তুমি যে আমার পুটির মা....দুনিয়ায় তোমার মত আমার আপন বলতে আর কেউ আছে ?? আর রাগ যদি করোই তবে রান্নার উপর করো। রাগ করে হলেও রান্নাঘরে ঢুকোনো। দয়া করে আমার এই কথাটা শোনো....তুমি তো অামার কথাই শোনোনা...
: কি?? অামি কথা শুনিনা ??
: ওই দ্যাখো আবারও আমার কথাটা ছাতির লাঠির মত বাকিয়ে ফেলল.....এমনে কি আর কয়, নারী জাতি বাঁকা,,,একেবারে পাজড়ের হাড়ের মতই বাঁকা !!
: কি তুমি ,আমাকে বাঁকা বললে ??? পাজড়ের হাড়, ছাতির লাঠি !!!
: ওরে না রে পাগলী....ছাটির লাঠি তুমি হবে কেন ??
: তবে এইমাত্র যে বললে ...
:তোমাকে বলিনি......মানে বলেছি...এই ছাতির লাঠির শেষের দিকে তো একটু বাকা থাকেই...ওটা নিয়ে কথা বলছ কেন ? বলেছি ছাতিকে...তোমাকে কি আর বলেছি ? অার ছাতির লাঠির শেষের দিকে একটু বাকা থাকলেও বড় অংশটাই তো সোজা...ওটুকুতে কিছু এসে যায় না.....তুমি সোজা....
: কিন্তু তুমি আমাকে বাকা হাড় বলেছো...
: ওরে জ্বালা.....কই যাই !! এই , বাঁকা হাড় তো সে আমারই বুকের হাড়। তুমি তো হাড়ের ভেতরে থাকা আমার পুটির মা। হাড়ের ভেতরের পাশে যে হার্ট থাকে, তুমি থাকো তারও ভেতরে...বাকা হাড়ের ভেতরের তুমি আমার সোজা পুটির মা...
: আচ্ছা হয়েছে হয়েছে...দিন দিন লেকচারবীদ হয়ে যাচ্ছে....যাও এবার মুখ হাত ধুয়ে এসো .....তোমার প্রিয় আলুভর্তা আর আম-ডাল রান্না করেছি।
: ওরে তাই নাকি...ওহ...এ যে সমস্ত দেহকোষে অসহ্য আনন্দ হচ্ছে। আহা এত দারুন জিনিস.....!!! ...না না...পুটির মা, আমার যত ভালই লাগুক, তুমি আর রান্না ঘরে এসো না। তুমি আমাকে বলে দিও কি দিয়ে কি করতে হয়, আমি সেরকম রান্না করব। দুজনে মিলে তৃপ্তীসহকারে খাব। কথা দাও পুটির মা।
:আচ্ছা দেখা যাবে।
:না এটা বললে হবেনা,কথা দাও ,আর এরকম করবে না...
: ঠিক আছে কথা দিলাম,কিন্তু তোমার শরীর টিকবে তো ? সারাদিন পরের ক্ষেত্রে হাড়ভাঙ্গা খাটুনী করো,এরপর নিজের তরকারী ক্ষেতে কাজ করো......তোমার জন্যে এইটুকুও করতে দেবে না ?? আমাকে কি তুমি মানুষ মনে করো না ??
: পুটির মা, আমার পুটির মা ! মাত্র তো কটা দিন...তারপর না হয় আবার পরিশ্রম করো। আমার খাটুনির কথা বলছ...আমি তো আমাদের জন্যে খাটি। আর তুমি কি কম খাটো ? যখন সুস্থ্য ছিলে সমস্ত কাজ তো একহাতে করেছো,তারপর গামছায় খাবার বেধে মাঠে গিয়ে আমাকে খাইয়েছ...নিজের কথাটা কেন ভুলে যাও ??
: আচ্ছা ঠিক অাছে.....তুমি খেতে এসো....ডালটা কিন্তু আজ মজা হয়েছে.....
: ওরে তুমি পা দিয়ে ঘুটে দিলেও ওটা মজাই হবে....
:ফাউল কথা বাদ, যাও মুখ হাত ধুয়ে এসো...
:ওরে এরকম দারুন জিনিস খেতে মুখ হাত না ধুলেও চলে...
:আবারও ফাউল কথা....
:আচ্ছা যাচ্ছি যাচ্ছি.....বাজখাই গলা...
: কি বললে....???
: না, বলছি...সাবান টা কোথায় রেখেছো ....
-------------------------------
আহা আবার ঝড় বৃষ্টি শুরু হল। এবার কাল বৈশাখী বোধহয় পাগলা হয়ে গেছে। অবশ্য এর ভালো দিকও আছে...যেমন কাচা অাম পড়বে...আমি কুড়িয়ে অানব,তুমি আম-ডাল রান্না করবে......
পুটির মা, চুলে কি আলকাতরা দিয়েছো নাকি ? ওহ, না নারকেলের তেল.....আচ্ছা, আমাদের পুটি কি নড়াচড়া করে নাকি ?
: হ্যা করে, খুব তাড়াতাড়িই সে দুনিয়াতে আসবে ইনশাআল্লাহ।
: আচ্ছা দোকানদার চাচা বলছিল আলতা স্নো গ্রাম না কি যেন কয়,সেটা করলে নাকি আগেই বোঝা যায় ওটা ছেলে নাকি মেয়ে...
: হাহাহাহাহা....ওটা আল্ট্রাসনোগ্রাম.....ওসবের দরকার নেই, আর সে আসব আসব করছে..এই ধরো সপ্তাহ খানিকের মধ্যেই খবর হবে ইনশাআল্লাহ..
: ওহ তাই নাকি ? আমি তো ভাবছিলাম আরও ১৫/২০ দিন.....আমার আবার এসব হিসাব মনে থাকেনা...সমস্যা নাই রফির মা প্রস্তুত আছে অার সমস্যা হলে মফিজ আছে যে কোনো সময় সদরে নেওয়া ব্যাপার না,ও ভ্যান চালায় একেবারে পঙ্খীরাজের মত।......
: পুটির বাপ ! আমাদের ছেলে হলেই তো ভালো, কি কও,তোমাকে সাহায্য করতে পারবে !
: আল্লাহ যা দেয় সেটাই ভালো। আর মেয়ে হলে তাকে সুন্নাহ অনুযায়ী সুশিক্ষিত করতে পারলে তো জান্নাতের দরজা খোলা......মেয়ে ৩টা না হলে ১টা হলেও একই হিসাব...এটা আমার কথা না। এটা সহি হাদিস।
:পুটির বাপ ! আমরা যে কোনো মূল্যে আমাদের সন্তানদেরকে আলেম বানাবো। তারা হবে প্রখ্যাত আলেম এবং প্রকৃত বীর। উম্মাহকে তারা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবে। মজলুমকে তারা উদ্ধার করবে,জালিমকে করবে উৎখাত.....।
: আমিন ! আমি আমার শেষ সম্বলটুকুও বিক্রী করে দেব সন্তান লালন পালনে..রক্ত পানি করে দেব.....ও কি পুটির মা !!! অমন করছ কেন ??
: অাহ !! কিছু না...তেমন কিছু না...তুমি বলো,আরও বলো আমাদের সন্তানদের ব্যাপারে বলো,,আমি আরও শুনতে চাই...আল্লাহ যেন কবুল করেন...আহ !!!
: পুটির মা তুমি অমন করছ কেন ?? তোমার কি হয়েছে...??? লুকিয়ো না, বলো....দয়া করে বলো....
: পুটির বাপ, আমার ব্যাথা শুরু হয়েছে...খানিক অাগেই ব্যাথাটা বুঝতেছিলাম কিন্তু বলিনি...
: তুমি এ কি করেছো ?? আমাকে কেন বললে না...??কেন ??
এখন রাত বাজে ১টা...গ্রামের সবাই ঘুমিয়েছে রাত ৮টায়...কাকে ডাকব এখন....তুমি এমন কেন ?? তুমি চুপচাপ শুয়ে থাকো আমি বাইরে যাচ্ছি...
.....................................
...........................................
................................................
রফির মা !!! ও রফির মা.....দরজা খোলো রফির মা....ও রফির মা.....আমার পুটির মায়ের সমস্যা....দয়া করে বাইরে এসো......ওই রফি....., রফি..!!! তোর মাকে ডাক...কোথায় সে ???
: মা, তো বড় বোনের বাড়িতে গেছে গতকাল,বোনের বাচ্চা হবে।
:হায় আল্লাহ ! এখন কি হবে !! একাজ অার তো কেউ পারেনা। এখন অামি কি করব !!! কার কাছে যাব !! ইয়া আল্লাহ আপনি উদ্ধার করেন !!!
.........................................
....................................................
মফিজ !! এই মফিজ !!! ওঠ ...আরে তাড়াতাড়ি ওঠ....তোকে খুব দরকার...পুটির মায়ের অবস্থা খারাপ...তাড়াতাড়ি চল.....ও ভাবী...মফিজ কই ?
: মফিজের তো মারাত্মক জ্বর, তার কোনো হুশ নেই। সন্ধ্যা থেকে মাথায় পানি দিচ্ছি...জ্বরে ভুল বকছে.....হাটা দূরে থাক দাড়াতেই পারবে না...
: ইয়া আল্লাহ এখন কি হবে !! আচ্ছা ভ্যানটা কোথায় ?
:ওই যে, ওই পাশে ...
:চাবি দেন,অামিই চালাবো...
................................................
.........................................................
পুটির মা , ওভাবেই শুয়ে থাকো একটুও নড়বে না.....ইয়া আল্লাহ রহম করুন !
ঝড় থেমেছে কিন্তু বৃষ্টি তো থামেনা...আমার পুটির মা তো ভিজে একাকার......ইয়া আল্লাহ রহম করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন ! আমরা পাপী বান্দা। ইয়া আল্লাহ আমার পুটির মাকে আপনি রক্ষা করুন !
: ও পুটির বাপ, আর তো পারিনা ! অার কত দূর ?
: আরেকটু ধৈর্য্য ধরো পুটির মা, এই তো আমরা প্রায় এসে গেছি .....
: তুমি এক ঘন্টা ধরে বলছ...এই তো এসে গেছি...আমি আর সহ্য করতে পারছি না....
: পুটির মা, আর বেশীদূর নেই....এই কাদাপানির রাস্তাটা শেষ হলেই পাকা রাস্তা,তারপর আর বেশী দেরী নেই...আরেকটু অপেক্ষা করো...আল্লাহকে ডাকো....তিনি দেখছেন। তিনি সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না.....
:পুটির বাপ আমার মনে হচ্ছে,আমার সাধ্য শেষ হয়ে গেছে....
: ওভাবে বলো না পুটির মা.....আল্লাহকে ডাকো....আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে ভ্যান চালাচ্ছি তুমি আরেকটু অপেক্ষা করো......
:আমি যে আর পারিনা পুটির বাপ !!............ও পুটির বাপ ! আমার মনে হচ্ছে আমি মারা যাব....আমি মরে গেলে তুমি আমার পুটিকে আমার ইচ্ছানুযায়ী লালন পালণ করবে, তাকে মস্ত আলেম হতেই হবে। আমি ওপারে গিয়ে আমার সন্তানকে দেখব....আমি চাই আল্লাহ আমাকে আখিরাতে সকল মানুষের মধ্যে সম্মানিত করুক ! ....
: পুটির মা, দয়া করে থামো...আমাকে দূর্বল করে দিওনা। অামি তোমাকে আমার জীবনের মত ভালোবাসি। আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাকে উত্তম কিছু দান করবেন ! তিনি বলেছেন নিশ্চয় কষ্টের পরে আছে স্বস্তি...অবশ্যই কষ্টের পর আছে স্বস্তি ....এই কষ্টের অবসান হবেই ইনশাআল্লাহ.....আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখো......
: ওকি !!....কথা বলছ না কেন ???ও পুটির মা তোমার কি হল ?? তুমি কি রাগ করলে ??রাগ করো ,অামাকে গালি দাও কিন্তু কথা বলো...চুপ হয়ে যেওনা পুটির মা.....তুমি চুপ হয়ে গেলে আমি বাচব না......
আমরা পাকা রাস্তায় উঠে গেছি পুটির মা, আর মাত্র কয়েক মিনিট,,,,,কথা বলো পুটির মা....আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে ভ্যান চালাচ্ছি....তুমি আরেকটু অপেক্ষা করো....ওইতো হাসপাতাল দেখা যাচ্ছে....
..................................
...............................................
............................................................
এই যে মশাই ! আপনি পুটির বাপ নাকি ???
: জি স্যার ! আমি পুটির বাপ !!
: এটা আপনার নাম নাকি ??
: জি, স্যার..আমার পুটির মা কেমন অাছে ??
:আপনার পুটির মা ভালো আছে, অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো পরে হুশ ফিরেছে.....শরীর বেশ দূর্বল তবে আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
: আলহামদুলিল্লাহ.....আলহামদুলিল্লাহ !! ইয়া অাল্লাহ আপনার শুকরিয়া আদায় করা সম্ভব না...
:আপনার পুটির খবর শুনলেন না ?
: ওহ অাচ্ছা.....আমার পুটি হয়েছে নাকি....ইয়া আল্লাহ কি আনন্দ !!! কোথায় সে...??
: অাসুন আমার সাথে !!
: ডাক্তার ভাই,,না স্যার,, আমার পুটির মা ভালো অাছে তো ??
: অাছে অাছে...আপনার পুটির মা ভালো আছে..... কোথায় পুটির খবর নিবে, তা না....পুটির মা.....পুটির মা.....
: আলহামদুল্ল্লিাহ......
...................................
...................................................
বাহ বাহ বা বাব বা...এ তো দেখী গাছ,ফল সবই ঠিক অাছে..... লে হালুয়া...
:হালুয়া না, এইডা পুটি, আমাদের পুটি.....গাছ ফল ঠিক অাছে কিন্তু বাগানের মালির এই দশা কেন ? ? তোমার পা ওরকম ফুলে গেছে কেন ?? হাটুর নীচ থেকে কেটে অাছে....রক্ত ঝরছে...এই তুমি বুঝতে পারছ না ??
: ওহ...তাইতো...আচ্ছা পরে দেখা যাবে...আমার পুটির মা, তুমি ভালো অাছো তো ?
: তোমাকে এই ফ্যানের সাথে ঝুলানো দরকার....
:কেন, আমি আবার কি করলাম ??
:কি করলে !! তুমি এক্ষুনি হাসপাতালের জরুরী সেবার স্থান থেকে পায়ে ব্যান্ডেজ করে আনো নইলে পুটির দিকে তাকানো বন্ধ.......এই পুটিকে ঢেকে রাখলাম...
: আচ্ছা খানিক পরে যাব...
:এক্ষুনি যাও...ওঠো....কি হলো, ওঠো বলছি...
: আরে যাচ্ছি যাচ্ছি...একেবারে বাজখাই গলা......জন্মের পর মনে হয় মুখে মধুর বদলে ভুল করে বুম্বাই মরিচ দিয়েছিল.....
: তোমার কথা কিন্তু সব শুনেছি.....বান্ডেজ করে এসো তোমার খবর অাছে...
:আরে নাহ.....আসলে হয়েছে কি...
: তুমি আবার ফেরৎ আসছ !!! যাও ...যাও বলছি....
: আচ্ছা...যাচ্ছি যাচ্ছি......কথায় কোনো রসকষ নেই....একেবারে বাজখাই গলা.......
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৬ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সব পুটি হইলে চলবে না দুএকটা রুই ইলিশ নিদেন পক্ষে কই লাগবে। নাইলে মজা হবেনা!
গলদঘর্ম হয়ে কাঁদিয়ে ছাড়লেন! বাপ রে! চিন্তার বাইরে সিচুয়েশন! ভ্যান চালাচ্ছেন আপনি তার উপর আছে অসুস্থ পুটির মা!যাক ভালোয় ভালোয় শেষ হলো!
ভেবে চিন্তে সুন্দর গল্পটি লিখার জন্য শুকরিয়া!
শুভকামনা জানবেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন