স্বপ্ন দেখলাম
লিখেছেন লিখেছেন দ্য স্লেভ ২৪ মে, ২০১৩, ১২:১৫:৫০ দুপুর

গত রাত থেকেই ঝুম ঝুম বৃষ্টি পড়ছে। মনে হচ্ছে আকাশ থেকে কেউ বালতি ভরে ভরে পানি নিক্ষেপ করছে। সকালে শারিরীক কসরত শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। কিন্তু রাস্তাঘাটের যে দশা দেখলাম তাতে আর ভাল লাগল না। ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। স্বপ্নে দেখলাম আমি আর আমার বড় বোন ইউরোপের কোনো একটি দেশে গেছি বিশেষ কাজে। আমরা পাচ তারকা হোটেলে উঠেছি। বিশাল দামী পোষাক আমার।
দুইদিন পর কোনো একটা কাজে আমি বাইরে গেলাম। এবং খানিক পর আবিষ্কার করলাম আমার পরনে প্যান্ট ছাড়া আর কিছু নেই। পায়ে জুতাও নেই। এমতাবস্থায় আমার বোনের সাথে দেখা হল এবং আমি দেখলাম তিনি কিছু বিদেশীর সাথে মিটিং করছেন। তাদের সাথে দেখা হবার পর লজ্জায় মারা গেলাম। আমি দৌড় দিলাম হোটেলের দিকে,কারন হোটেল রুমে আমার সবকিছু রয়েছে।
হোটেলের গেটে গেলেই গার্ড বলল,এ অবস্থায় ভেতরে যাওয়ার নিয়ম নেই। আপনি চলে যান। বললম আমি তোমাদের হোটেলের গেস্ট। আমার জামা কাপড় রুমের মধ্যে। গার্ড বলল,ফাও বকবে না একদম। এখানে এভাবে প্রবেশ নিষেধ। আমি জোর করতে পারলাম না। তারা আমাকে বিশ্বাস করল না।
মনের দু:খে চলে আসলাম বাইরে। দেখলাম একটা পুকুর বাংলাদেশের গ্রামের মত। সেই পুকুরে একটা মেয়ে বাঘের সাথে খেলা করছে। আমি কাছে যেতেই বাঘটা আমার দিকে আসল। মেয়েটা উপদেশ দিল চুপচাপ পড়ে থাক। তাহলে সে কিছুই বলবে না। আমি শুয়ে পড়লাম এবং স্থির থাকলাম। বাঘ আমার নাক,মুখ ,দেহ শুকে ক্ষ্যান্ত হল। মনে হল বাঘটাকে বেশ পোষ মানানো হয়েছে। ভাল লাগল। আমি জামা-কাপড়ের দু:খ ভুলে গেলাম।
মেয়েটা আমাকে বলল,আমার সাথে আমার বাড়িতে চল। সেখানে আমার ভায়েরা-বোনেরা আছে এবং আত্মীয় স্বজনও। আমি গেলাম। সে আমাকে কিছু খেতে দিল। এমন সময় তার কোনো এক আত্মীয় মুসলিম হয়েও আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দপূর্ণ কথা বলছিল। তখন আমি আমার লেকচার শুরু করলাম। আমি যৌক্তিকভাবে এবং রেফারেন্স সহকারে তারসাথে কথা বলছিলাম এবং সে কনভিন্সড হল। আমার সকল রেফারেন্স একে একে মনে পড়ছিল,যদিও বাস্তবে আমি ভুলে যায় সহজে।
আমার বোন সাধারনত আমার দরজার নক করেনা। আমরা একই বাসায় থেকে মোবাইলে কথা বলি। কিন্তু সে আজ ধাক্কা দিল দরজায়। ....কাজের ছেলেটার নানা মারা গেছে,সে চলে গেছে। আজ আমাকে রান্না করতে হবে। ..... .. নাহ বাঘ-কন্যার আতিথেয়তা এদের সহ্য হল না ! এত হিংসে করলে হয় !!
বিষয়: বিবিধ
২২৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন