মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর এ মহা সত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠন করতে হবে । -ইসলামী সমাজ।

লিখেছেন লিখেছেন স্বপন২ ১৫ অক্টোবর, ২০১৬, ০৭:২০:৩৮ সকাল



ইসলামী সমাজের উদ্যোগে ২দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইসলামী সম্মেলনে সকল প্রকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় এক্য গঠনের আহব্বান।

আমীর, ইসলামী সমাজ।

ঐতিহাসিক ১০ মুহাররম পবিত্র আশুরা এবং ১১ ই মুহাররম “ইসলামী সমাজ” এর উদ্যোগে- অনুষ্ঠিত ২ দিন ব্যাপী বার্ষিক ইসলামী মাহ্ফিলে ইসলামী সমাজের আমীর, হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, মানব জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার নিশ্চিত করার এবং আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাত লাভের লক্ষ্যেই সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ প্রদান করেছেন। ইসলামে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর, মানুষের নয়! এটাই মহাসত্য। তিনি বলেন, সুশাসন, ন্যায়বিচার ও সকল মানুষের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ, সকল প্রকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও বোমাবাজিসহ বিভিন্ন রকম অপতৎপরতার মাধ্যমে মানুষ হত্যাসহ সকল প্রকার মানবতা বিরাধী অপরাধের বিরুদ্ধে, মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর এ মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনে সমাজ গঠন আন্দোলনের বিকল্প নেই।

তিনি আরো বলেন, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। মানুষের প্রয়াজন ও কল্যাণেই সমাজ ও রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের মূল বিষয় সার্বভৌমত্ব, যা মূলতঃ সমাজ ও রাষ্ট্রের মালিকানা এবং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আইন প্রনয়ণ ও প্রয়োগের সর্বোচ্চ ক্ষমতা। সার্বভৌমত্বের মালিক হওয়ার জন্য চিরন্তন ও চিরস্থায়ী সত্বা হওয়া অপরিহার্য বিধায় আল্লাহই সার্বভৌমত্বের একমাত্র মালিক অন্য কেহ নয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের প্রিয় জন্মভূমী বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানব রচিত ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের অধিনে জীবন যাপন করে মহান রব্ব- সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহর সাথে কুফরী ও শিরকের মত ক্ষমার অযোগ্য মহা অপরাধে জড়িয়ে দুনিয়ার জীবনে অকল্যাণ অশান্তি ও আখিরাতে জাহান্নামেই তাদের স্থায়ী আবাষ গড়ছে- একথার উল্লখ্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার মূল বিষয় সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের যা সুস্পষ্ট আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, আল্লাহর সাথে কুফর ও র্শিক। আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ এবং কুফর ও শিরকের কারণেই সকল আমল হয় বিনষ্ট, যার পরিণতি দুনিয়ায় অকল্যাণ,অশান্তি এবং আখিরাতে নিশ্চিত জাহান্নাম। এমতাবস্থায় দুনিয়ায় কল্যাণ শান্তি ও আখিরাতে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে চিরসূখের স্থান জান্নাত লাভ করত হলে , সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার (আমীরের) নেতৃত্বে, “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর এ মহা সত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠন করতে হবে ।

কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানাধিন কুশিয়ারা দারুল ইসলাম মাদ্রাসা সংলগ্ন মাঠে জনাব, আব্দুর রব মোল্লার সভাপতিত্বে “ইসলামী সমাজ” এর উদ্যাগে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ইসলামী মাহফিলে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে ‘ইসলামী সমাজ’ সকলতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি মানব রচিত ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গিতৎপরতা ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর” এ মহা সত্যের ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে ‘ইসলাম’ এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে মানুষেরই আইন-বিধানের আনূগত্য স্বীকার করেই গণতন্ত্রের অধীনে জোট,ভোট ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় বিধায়; গণতন্ত্রের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের পদ্ধতি নয়। অপর দিকে মক্কাসহ সারা বিশ্বে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদীনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতায় প্রতিষ্টিত হওয়ার আগে আল্লাহ রাবূল আলামীন সশস্ত্র লড়াই করার নির্দশ দেননি এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সশস্ত্র সংগ্রাম করেননি বিধায়; ইসলাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতা লাভের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামও ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর নির্দশিত ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রদর্শিত পদ্ধতি নয়। এ দু’টা পদ্ধতি আল্লাহ প্রদত্ব ব্যবস্থা ‘ইসলাম’ এর আইন-বিধানের সুস্পষ্ট লংঘন বিধায় এ সবের সাথে “ইসলামী সমাজ” এর নেতা ও কর্মীদের কোন সম্পর্ক নেই। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি গণতন্ত্রসহ সকল মানব রচিত ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান গ্রহন করে সমাজ ও রাষ্ট্র থেকে মানব রচিত ব্যবস্থা মূলৎপাটন করে ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আন্তরিক আহব্বান জানান।

ইসলামী সমাজের অন্যতম নেতা, জনাব মুহাম্মাদ ইয়াছিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহ্ফিলে ‘ইসলামী সমাজ’ এর আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর সমাজ ও রাষ্ট্রে “ইসলাম”এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠায় “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর” এই মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতির মানুষক ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে সম্মেলনে উপস্থিত জনতার উদ্যেশে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ও মৃত সকল ঈমানদার মুসলিম ভাই ও বোনদের রুহের মাগফিরাত এবং সকলের কল্যাণে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে মাহফিলের কার্যক্রম শেষ করা হয় ।





বিষয়: বিবিধ

১০০৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

378721
১৫ অক্টোবর ২০১৬ বিকাল ০৪:৪৪
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : ভালো লাগলো /
378723
১৫ অক্টোবর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:১৪
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam. Jajakallahu khairan.
১৫ অক্টোবর ২০১৬ রাত ০৮:৫০
313698
স্বপন২ লিখেছেন : আপা, আপনি যেহেতু জ্ঞানী তাই আপনি সার্বভৌমত্বের ব্যাপারটা বুঝেছেন। সবাই ব্যাপারটা বুঝে না। ১৯৮২ সাল থেকে চিন্তা করা শুরু হয়।১৯৯৭ সালে সংগঠন কাজ শুরু করে। মাওলানা আব্দুল জব্বার,সৈয়দ হূমায়ুন কবির ভাই। মাওলানা আব্দুল জব্বার,জামাতের প্রথম আমীর ছিলেন(বাংলাদেশের প্রথম দিকে) আর হূমায়ুন
ভাই, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন। তাদের চিন্তার ফসল ইসলামী সমাজ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File