একমাত্র গণহত্যা ছাড়া গনতন্ত্রের ভাষায় কিছু বলার নেই
লিখেছেন লিখেছেন প্রবাসী আব্দুল্লাহ শাহীন ০৬ মার্চ, ২০১৩, ১২:৫৭:২৪ দুপুর
একের পর এক খবর আসছে লাশের ।অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমের সবকটি সাইটে একই খবর শুধু লাশ আর লাশ ।বাংলাদেশ যেন লাশের দেশ ।এক একটি করে যখন ৬৮ টি লাশের খবর আর রক্তে লাল বাংলার মাটির ফুটেজ দেখতেছি এবং চোখের পানি ঝরতেছে তখন আমিরাতের ঘড়ির কাটায় ৯:৩০ মিনিট বাঝে ।
আল্লামা দেলায়ার হোসেন সাইদীর রায় ঘোষনার দিন অর্থাৎ ২৮ ফেব্রোযরি সকাল থেকে পুলিশ গুলি করা শুরু করে সাধারণ জনগণ ও জামায়াত শিবির নেতা কর্মীর উপর ।যখন বেলা ২টায় বিশ্ববিখ্যাত মুফাস্সিরে কোরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশ ঘোষিত হলো সাথে সাথেই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের দেশের সমগ্রে প্রতিবাদে গর্জে উঠে দেশের মুয়সলমান শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ নারী পুরুষ ।তখন পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসিদের গুলি করার গতি বেড়ে যায় ।পুলিশ ও আয়ামীলিগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে দেশের জনগণ কে , সেটাকে একমাত্র গণহত্যা ছাড়া গনতন্ত্রের ভাষায় কিছু বলার নেই ।তাদের গুলি চালানো দেখে মনে হয়েছে সরকার পুলিশকে হুকুম দিয়ে রেখেছে বিক্ষোভ ও মিছিল দেখলেই গুলি করার ।ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আরেক জাময়াত নেতা কাদের মোল্লার রায় কে কেন্দ্র করে কিছু নাস্তিক ,বাম ও সরকার দলীয় ছাত্র সংঘঠন শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। তারা দাবি করছে, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে যারা বিচারের মুখোমুখ হয়েছেন তাদের বিচার নয়; যেভাবেই হোক ফাঁসি দিতে হবে। আদালতের ওপর এ অন্যায় হস্তক্ষেপ ও সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল মন্ত্রী এমপির প্রকাশ্যে ঘোষনা আল্লামার ফাসি দেওয়া হবে ।অন্য দিকে বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন । আল্লামা সাঈদী ভক্ত ও জামায়াতে ইসলাম এই রায় কে বিচারের মোড়কে জুডিশিয়াল কিলিংয়েড় আয়োজন ,স্কাইপ কেলেঙ্কারির পদত্যাগী বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম বলেছিলেন, "গভর্নমেন্ট গেছে পাগল হইয়া, তারা একটা রায় চায়"। সেই রায় হতে হবে ফাঁসি, অন্য কিছু নয়। সেই প্রেক্ষিতে নাটক মঞ্ছস্ত হয় শাহবাগে। যে নাটকের মূল কাজ ছিল বিচারের নামে আটক নেত্রিবৃন্দের ফাসি কার্যকর ।পাশাপাশি ছিল প্রতিহিংসা, প্রতিশোধ, ঘৃণা আর বিদ্বেষকে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে দেশে ছড়িয়ে দেয়া ।সেই কাজ সম্পন্ন হতেই আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির ঘোষণা আসে ।দেশের মুসলমানের মন নারা দেয় ,একজন বিশ্বরেন্য আলেম কে দেল্যা রাজাকার নাম দিয়ে ফাসি দেওয়া হছে তাই আর দেশের মুসলমান বসে থাকেনি ।শাহবাগের নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্ধেষীদের কথায় সরকার একজন ইসলামী ব্যক্তিত্বকে ফাসি দিয়ে দিবে সেটা মেনে নিতে পারেনি দেশের মুসলমান তাই তারা বসে থাকেনি ।বিচারের নাটক সাজিয়ে আল্লাহর মনোনিত ধর্ম ইসলামের প্রচারোনা কারীর ফাসি দেওয়ার পায়তারা করারর কৌশল বুঝে দেশের ধর্ম বিশ্বাসী জনগন বসে থাকতে পারেনি ।তাইতো দেশের মুসলমানরা প্রতিবাদ করতে রাস্তায় নেমেছিল ।কিন্তু সরকারের প্রশাসন এ কি করলো ?দেশের জনগনকে দেশের মানব সম্পদকে পাখির মত গুলি করে মেরে দেশের ইতিহাসে গণহত্যার কলংকলেপন করলো সরকার সাবেক বি ডি আর এবং বর্তমান বর্ডার গার্ড বা বি জি বি, র্যাব, পুলিশ, আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সশস্ত্র ক্যাডার এবং সদ্য গজিয়ে ওঠা নাসিত্মক-মুরতাদদের শাহবাগীদের লেলিয়ে দিল ইসলাম প্রিয় মানুষের উপর ,তারা মেতে উঠলো হত্যার উত্সবে ,সরকারের এই বাহিনী জাপিয়ে পরলো নিরস্ত্র জনগনের ওপর , রক্তে লাল করে দিল দেশের মানচিত্র ,জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিলো শত শত বাড়ি-ঘর, ব্যাংক, হাসপাতাল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।এক এক করে প্রায় ৭০ টি লাশ ফেলে দিল বাংলাদেশের জমিনে আর ইতিহাস বানিয়ে দিল গনহত্তার । স্বাধীন বাংলাদেশের ৪১ বছরে এক দিনে এত মানুষ হত্তার ঘটনা ঘটেনি ।আজ সেটা হলো ,কিন্তু কেন এই গনহত্তা ?কেনো এই হিংসাত্তক আচরন ?কেন এই রক্তের বন্যা ?কেন লাশেr মিছিল ?কেন জালাও পুরাও ?দেশের জনগণ প্রতিবাদ করতেই পারে সেটা তার অধিকার ।সেই অধিকার জন্ম সুত্রে কিনা অধিকার ।সেই অধিকার ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে হাসিল করা অধিকার ।
সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে এই দুনিয়ায় কারো রক্ষা হয় নি ।ইতিহাস সাক্ষী হিটলার, মুসোলিনি মার্কোসক ,পিনোচেট ,হোসনি মোবারক, রেজা শাহ পাহলভি, গাদ্দাফি, সাদ্দাম হোসেন কারো রক্ষা হয় নি ।
বিষয়: বিবিধ
১০৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন