সাইন্টিফিক (গরু) বিজনেস!
লিখেছেন লিখেছেন রিদওয়ান কবির সবুজ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৪৬:৫৬ সন্ধ্যা
বাঙ্গালি জাতির ব্যাবসায়ে অগ্রসরতা নিয়ে প্রায় ৮০ বছর আগে আবুল মনসুর আহমদ লিখেছিলেন "সায়ন্টিফিক বিজনেস" গল্প। সেখানে তিনি লিখেছিলেন উচ্চ শিক্ষিত ও সভ্য(!) বাঙ্গালি কিভাবে বিজ্ঞানমনস্ক ব্যবসায় করে "রুপেয়া কি খাতির গেী-মাতা কি চামড়া" এর ব্যবসায়ি মারওয়ারি কেও ব্যবসায় হারিয়ে রোগি নিয়ে ডাক্তার এবং মানুষের লাশ দাফন নিয়ে ব্যবসা করে ধনি হয়ে উঠল। আজকে গরুর বাজারের অভিজ্ঞতায় মনে হল আমরা সেই বিজ্ঞান মনস্কতায় যেমন বিখ্যাত হয়েছি তেমনি ব্যবসায় ও আমাদের সাফল্য এতই যে শ্রিঘ্রই উচ্চ আয়ের দেশে পরিনত হব!
প্রথমত আগে থেকেই ভারতিয় গরু আসছেনা এই প্রচারনায় মানুষের মধ্যে ঢুকান হয়েছিল বেশি দামে গরু বেচার আশংকা। আর শেষ পর্যন্ত ভারতিয় গরু আসলেও তা অনেক ক্ষেত্রেই ছিল রোগগ্রস্ত। অন্যদিকে দেশিয় খামার গুলিতে উৎপাদিত গরু নিয়ে আগের মতই শুরু হয়েছিল সায়েন্টিফিক মোটাতাজাকরন! অর্থাত কৃত্রিম ষ্টেরয়েড প্রয়োগ করে গরুকে ফুলান। এই বিজ্ঞানমনস্ক জাতি দির্ঘদিন থেকেই এই বিষাক্ত গোস্ত কেই পরমানন্দে উচ্চ মুল্যে খাদ্য বলে গ্রহন করে আসছে।
এই বার জীববিজ্ঞান এর পাশাপাশি হিসাববিজ্ঞানেও বাঙ্গালির উন্নতি দেখে মনে হচ্ছে অর্থনিতিতে আরেকটি নোবেল পুরুস্কার নিশ্চিত আমাদের জন্য। প্রচুর গরুর সরবরাহ দেখা যাচ্ছে কিন্তু উচ্চমুল্য। যে গরুর গোস্ত এর পরিমান হবে ১০০ কেজি তার মুল্য ৭০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাঁকা হচ্ছে! স্বাভাবিক বাজারে তার দাম ৩০০০০ টাকার মত হবে। গরুর সেীন্দর্য ও অন্যান্য বিবেচনায় কুরবানির হাটে এর দাম বড়জোড় ৪৫০০০ টাকা হওয়া উচিত।
কিন্তু হিসাব বিজ্ঞান এ বিশেষ উন্নতিকে কাজে লাগিয়ে এবার গরুর দাম চড়া! ট্রাকে করে যে গরু আসছে গ্রামের ব্যাপারিদের কাছ থেকে দ্রুতই কিনে নিচ্ছেন একদল সাইন্টিফিক বিজ্ঞানমনস্ক ব্যবসায়ি। হাটে ঢুকার বদলে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন খাটাল বা খামারে। উদ্দেশ্য অতি সহজ। এমনিতেই চড়া গরুর গোস্তের বাজারে ঈদের সময় বেচা না গেলেও পরবর্তিতে যে দামে বেচা যাবে তাতে ভালই লাভ। অন্য দিকে অতিরিক্ত দামে বেচা যাচ্ছে বাকি গরু। সারি সারি গরু হাটে কিন্তু বিক্রি হচ্ছেনা একটাও!!
ঈদের বাজারে এই রকম সাইন্টিফিক ব্যবসা করার বুদ্ধি কি বাঙ্গালি ছাড়া আর কোন জাতির আছে?????
বিষয়: বিবিধ
১৫৫৯ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
হয়না কাঙাল!
গরু না পাইলে রশি কিনে আনবেন ভাইজান
যতসব উটকা মানুষকে ভাতে মারার সরি গরুতে মারার বুদ্ধি!!!!
গরু পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
দাম চড়া তাওতো গরু পেয়েছি
তবে শহরে অনেকের ক্ষেত্রেই রাখার সমস্যার জন্য দুএকদিন আগে গরু কিনেন। আর তাছাড়া সরকারিভাবে হাট ও বসান হয় ১ বা ২ জিলহজ্জ থেকে। লালন পালন করতে আগে যেমস গ্রামের মানুষ সবাই অভিজ্ঞ ছিল এখন তেমন নাই।
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন