দাজ্জাল ও ইয়াজুজ মাজুজ কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত প্রতারণাপূর্ণ বিশ্বব্যবস্হা (গ্লোবাল ভিলেজ), জেরুজালেম(ইজরাইল/ফিলিস্তিন)-বনী ইজরাঈল ও খৃষ্টান এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত মুসলিমদের ভবিষ্যৎ! ৪র্থ পর্ব....
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ২১ জুন, ২০১৬, ০১:৪০:১০ রাত

প্রথম পর্বের লিংক। ২য় পর্বের লিংক। ৩য় পর্বের লিংক।
আমরা পবিত্র কুরআন থেকে বনী ইজরাঈল জাতির প্রতিটি সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ করেছি। তাদের উৎপত্তি, তাদের ক্রমবিকাশ, তাদের যুগ যুগান্তরের সামগ্রিক আচরণ তথা তাদের ইতিহাসের প্রতিটি দিক নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। প্রথমে আমরা দেখেছি আল্লাহর মনোনিত জাতি হবার পরেও তারা বিশ্বাস করে- আল্লাহর নিকট আত্নসমর্পনকারী মুমিনদের তুলনায় আল্লাহকে প্রত্যাখ্যানকারী কাফিরগণ অধিক সঠিক পথে আছে। তারা নিজেদের সন্তানদের যেভাবে চিনে-জানে, আল্লাহকে, আল্লাহর কিতাবকে ও তার নবীগণকেও সেইরূপ সত্যি বলেই জানে, তবুও অহংকার ও জিদের জন্য তাদের মাঝে এসবের প্রত্যেকটি জিনিসকে প্রত্যাখ্যান করার মত অভ্যাস রয়েছে। তাদের মাঝে প্রতিমাপুজার প্রতি প্রবল টান বিদ্যমান, তারা কালো জাদু চর্চা করে, তাগুতে বিশ্বাস করে। তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে বিকৃত করে এবং নিজেদের সেই মনগড়া কথাকে আল্লাহর কালাম বলেই দাবি করে তথা, আল্লাহর নামে মিথ্যা আরোপ করে থাকে। যেমন: আসমানী কিতাবে সুদ গ্রহণ নিষিদ্ধ ছিল তাদের জন্য। এজন্য তারা "সুদ নিষিদ্ধ" এই সংক্রান্ত ঐশী কিতাবের আয়াতকেই পাল্টে দেয় তুচ্ছ মূল্যপ্রাপ্তি তথা সুদের লেনদেন হতে অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য। তাদের সবচেয়ে জঘন্য কাজটি ছিল মুমিন ও আল্লাহর নবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা। আবার তারা নবী হত্যা নিয়ে মোটেও অনুশোচনা বোধ করতোনা বরং, অহংকার ও উল্লাস প্রকাশ করত। অবাধ্যতা ও পাপাচারে তারা ছিল পরস্পরের প্রতিযোগী-সহযোগী। আর এত কিছুর পরেও তাদের দাবি ছিল: তাদের প্রতি আল্লাহ কোন প্রতিশোধই নেবেন না বরং তারাই পৃথিবীতে আল্লাহর একমাত্র মনোনিত জাতি এবং জান্নাত শুধুমাত্র তাদের জন্যই বরাদ্দ। কিন্তু এত অহংকারী হবার পরেও তাদের সবচেয়ে বড় দূর্বল দিকটি ছিল এই:-তারা ছিল প্রচন্ড ভীরু, কাপুরুষ জাতি যাদের প্রত্যেকেই হাজার বছর বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখে। বহিশত্রু তাদের মাতৃভূমি, বসতভিটায় আক্রমণ করলে তাদের সংখ্যা হাজার হাজার হবার পরেও তারা জীবন বাঁচাতে ঘরবাড়ি, স্ত্রী-সন্তান ফেলে অন্যত্র পালিয়ে যেত। তারা নবীদের অনুরোধ করত যুদ্ধের আয়াত নাজিল করার জন্য আবার নবীদের দ্বারা যুদ্ধে নিশ্চিত বিজয়ের প্রত্যাদেশ জেনেও মৃত্যুভয়ে যুদ্ধে যোগদান করা থেকে নিজেদের গুটিয়ে ফেলত। অবশেষে তাদের সীমালংঘন ও পাপাচারের দরুণ মহান আল্লাহ জেরুজালেমকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংশ করে দেন রোমীয় সেনাবাহিনী দিয়ে যারা তাদের বহিষ্কার করে জেরুজালেম থেকেও। তবে মুহাম্মাদ (সাঃ) শেষনবী হিসেবে আগমণের পর তাদের জন্য নতুনভাবে সুযোগ তৈরী হয়েছিল নিজেদের ভবিষ্যৎ পাল্টে ফেলার, আল্লাহর অনুগ্রহভাজন হবার কিন্তু তারা তাকে শেষনবী হিসেবে স্পষ্টভাবে চিনতে পারার পরেও পূর্বের ন্যায় গোত্রীয় অহংকার ও জেদের বশে তাদের হাজার বছর ধরে লালিত-পালিত মন্দ-জঘন্য আচার-আচরণগুলো প্রকাশ করতে লাগল, ফলাফলে তাদের শেষ সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে যায়।
শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ ঘোষণা দেন যে, তারা চূড়ান্তরূপে অভিশপ্ত এবং কিয়ামত পর্যন্ত তারা বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্নভাবে উদভ্রান্তের মত পৃথিবীময় ঘুরে বেড়াবে এবং সবজায়গায় মানুষের হাতে লাঞ্ছিত, অপমানিত হতে থাকবে আর আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত এমন সব কঠোর স্বভাবের শাসকদেরকে তাদের উপর চাপিয়ে দিতে থাকবেন যারা তাদের কঠোর শাস্তি দিতে থাকবে-
কিন্তু আজ সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল:- আমরা যখন আজকের ইজরাইল রাষ্ঠ্রের দিক তাকাই তখন দেখি এই ইজরাঈল পারমানবিক ও তাপ-পারমানবিক আধুনিক মরণাস্ত্র দ্বারা সজ্জিত। যেই জাতি এতটা ভীতু ছিল যে, জেরুজালেমে বহিশত্রুর আক্রমণ হলে তারা জীবন বাচাঁতে পালিয়ে যেত, তারাই জোড় করে ফিলিস্তিন দখল করে নিয়েছে, ১২০০ বছর ধরে এই ভূমিতে বাস করা ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমি থেকে বহিষ্কার করেছে এবং ইজরাঈল রাষ্ঠ্রের ক্রমাগত সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে। এই ইজরাঈল আজ যুদ্ধকে মোটেও ভয় পায়না, বরং তারা বারবার ফিলিস্তিনিদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, নিজেদের দাবি করা ভূমি থেকে একচুল পরিমাণ সরতেও তারা রাজিনা। সাম্প্রতিক কয়েক বছরে সে প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে প্রতিবারই সফলতা দেখিয়েছে, মুসলিম রাষ্ঠ্রগুলোর শাসকরা মূলত তার হাতের ক্রীড়ানক।
হিটলার পরবর্তী যুগে কিভাবেই বা তাদের দূর্বল, ভীতু ভাবা যায় যখন বাস্তবতা এই- আজ ওয়াল্ডওয়াইড ব্যাংকিং সিস্টেম, অর্থনীতি ও মুদ্রাব্যবস্হা, তথ্য-প্রযুক্তি উদ্ভাবণ ও তার প্রসার, বড় বড় মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ, মাল্টিন্যাশনাল কর্পোরেট হাউজ তথা বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বানিজ্য, খেলাধুলা ও বিনোদন জগত পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে?? আমার লেখা ২য় পর্বে ব্লগার মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম ভাইয়া যথার্থই মন্তব্য করেছেন।
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ওরা অভিশপ্ত, ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতি, কিন্তু তারা আবার ধ্বংসস্তুপ থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। পুরো পৃথিবীটাই ওদের নিয়ন্ত্রণে, ওদের ইশারায় চলছে। (কথিত আছে সাগরের নিচে দুটি মাছ অশান্তি তৈরি করলেও এর পেছেনে ইয়াহুদদের হাত আছে) এই সাময়িক সফলতার কারণ কি? পরবর্তী পর্বে আশা করি জানাবেন।
সত্যিই আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখছি প্রতিটি যুদ্ধের পেছনেই তারাই কলকাঠি নাড়ে। কাজেই এখন পর্যন্ত আমাদের আলোচিত কুরানের আয়াত দ্বারা কি সত্যিই বাস্তবতাকে মিলানো যায়?? সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হল: আল্লাহ তাদের লাঞ্ছিত করে এই ভূমি থেকে ২০০০ বছর আগে বহিষ্কার করেছেন এবং গত ২০০০ বছর এরা সারা বিশ্বে এমনকি আরবের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও তাদের মাঝে কখনো জেরুজালেম পুরুদ্ধারের কোন চেষ্টাই দেখা যায়নি। কুরআন বলছে তারা ১২ টি গোত্রে বিভক্ত ছিল এবং তাদের ইতিহাস থেকেও আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যে, এরা এমন জনগোষ্ঠী যারা হাজার হাজার বছর ধরে নিজেদের জাতিগত স্বাতন্ত্র বজায় রেখেছে। তারা নন-ইহুদি বা অন্য জাতির সাথে বিয়ে-শাদির দ্বারা নিজেদের মাঝে অন্য কোন পরাক্রমশালী জাতির ডিএনএ বহণ করেও আনেনি। এমনকি আজও তারা এই স্বাতন্ত্র বজায় রেখে চলে।
তাহলে কিভাবে এমন ভীরু, কাপুরুষ, আল্লাহর লানতপ্রাপ্ত জাতি ২০০০ বছর আগে বহিষ্কৃত হওয়ার পরেও আজ সেই হাতছাড়া হওয়া ভূমি পুনরায় দখল করে বসল? কোন যুক্তিতে পৃথিবীতে রীতিমত অজেয় হয়ে উঠল? কেমন করেই বা গোটা পৃথিবীর নিয়ন্ত্রা সেজে বসল?? এসব তো কোনভাবেই তাদের বৈশিষ্টের মাঝে পরেনা!!!
তাহলে ব্যাপারটি কি এই, কুরআন যে তথ্য দিচ্ছে তা বাস্তবতার সাথে সাংঘর্ষিক? নাকি আমরা বিভ্রান্ত?
আল্লাহ মশা কিংবা তদপেক্ষা ক্ষুদ্র কোন বস্তুর উপমা দিতে সংকোচবোধ করেননা। সুতরাং যারা ঈমান এনেছে তারা জানে যে, নিশ্চয়ই এটি (আল্লাহর কালাম) সত্য যা তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে এসেছে। কিন্তু যারা আল্লাহকে অস্বীকার করে তারা বলে, আল্লাহ কি অভিপ্রায়ে এই উপমা পেশ করেছেন? এর (কুরআনের আয়াত) দ্বারা অনেককেই তিনি বিভ্রান্ত করেন, আবার বহুলোককে সৎপথে পরিচালিত করেন। বস্তুত তিনি ফাসিক (পাপাচারী/ সত্যপথ-পরিত্যাগকারী) ব্যতীত কাউকেই বিভ্রান্ত করেননা। (সূরা বাকারা: ২:২৬)
পাঠক, মনে করে দেখুন, আমরা প্রথম পর্বের ব্লগ পোস্টে মোটা অক্ষরে লিখেছিলাম, মস্তিষ্কে গেথে নিন যে, সাদা চামড়ার ইউরোপিয়ানদের সাথে ইসহাকের বংশধর বনী ইজরাঈল এর কোনরকম বংশগত বা জীনগত সম্পর্ক নেই। বনী ইজরাঈলীদের আদিপিতা ইবরাহীম ও আদিমাতা সারাহ দুজনই ছিলেন ইরাকী তথা এরা সেমেটিক জাতিগোষ্ঠীর অংশ।
আজ আমরা যখন আধুনিক ইজরাঈল রাষ্ঠ্রের দিক গভীরভাবে নজর দেই তখন দেখতে পাই, "তেল আবিবের" রাস্তায় একদল উগ্র মানষিকতার চরম অহংকারী সাদা চামড়ার ইউরোপিয়ানরা জোড় গলায় চিৎকার করে বলছে:- এটা আমাদের ভূমি, আমরাই এর উত্তরাধিকারী, গড নিজেই আমাদের এই ভূমি দান করেছেন। দুহাজার বছর ধরে আমরা পৃথিবীবাসীর অনেক অত্যাচার সহ্য করেছি। আমরা প্রতিক্ষায় ছিলাম প্রতিশ্রুত ভূমিতে ফেরার আশায় আর আমাদের নবীর ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী গডের সেই প্রতুশ্রুত ভূমিতে আমরা আবার ফীরেছি। এই ভূমির মালিক শুধুমাত্র আমরা তাই এই ভূমিতে অবৈধ, দখলদার ইসমাঈলীদের ( আরব ) থাকার কোন অধিকার নেই!
আমরা টিভির পর্দায় তাকিয়ে দেখি তাদের প্রশাসন, সেনা কমান্ড, মিডিয়া সবখানেই নেতৃত্ব সাদা চামড়ার একদল ইউরোপিয়ানদের হাতে!! বিস্ময়ে অভিভূত হয়ে পরি আমরা!! খুব জানতে ইচ্ছে হয় "এরা আসলে কারা??" এরা তো ইসহাকের বংশধর নয়! তারা তো কোনদিনই জেরুজালেমের বাসিন্দাই ছিলনা তাহলে এরা কোন প্রতিশ্রুত নবীর ভবিষ্যৎবাণীর গল্প শুনাচ্ছে? এই মিথ্যা দাবি কেন করছে? ইহুদিদের নেতৃত্ব কেনই বা এরা দিচ্ছে?? মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে যেই বনী ইজরাঈল জাতির কথা আমাদের বিস্তারিত জানিয়েছেন, সেই জাতির সাথে এদের কোন বংশগত বা জীনগত সম্পর্ক নেই। নিঃসন্দেহে এরা বহিরাগত! প্রশ্ন কি জাগেনা, এই জনগোষ্ঠী কারা??
চলবে ইনশাআল্লাহ..........................
বিষয়: বিবিধ
২২১৮ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
'জননীগো, কেউ যদি বলে যে, আমরা রসুল মোহাম্মদের সঃ উম্মত না, কারণ তাঁর সাহাবীদের সাথে আমাদের মিল নেই। তুমি কথখানি অস্বীকার করবে? ঠিক তেমনই ওরাও সেই জাতীরই আরও বিকৃত রূপ অন্য কেউ নয়।'
কিন্তু আমার মনে হয় আপনার যুক্তিটি যথার্থ হয়নি নিচের পয়েন্ট সমূহের জন্যঃ
১। মুসা আঃ হতে শুরু করে ঈসা আঃ পয্যন্ত বনী ইসরাইলের কাছে আসা প্রত্যেক নবী ও রাসুল আঃ - তাওরাত ও ইন্জিলে নিশ্চিত করেছেন যে - তাদের এ বানী বনী ইসরাইল বাদে অন্য কারো কাছে প্রচার না করার জন্য এবং তাওরাতের হুকুম ও আহকাম সমূহ এক্সক্লুসিভলী বনী ইসরাইলের জন্য। স্বভাবতঃই বনী ইসরাইল এক্সক্লুসিভ একটা পক্ষ যা ১২টি স্পেসিপিক ট্রাইবে সীমাবদ্ধ।
অন্যদিকে মোহাম্মদ সঃ ও কোরান এক্সপ্লিসিটলী বলছে ওনার এ বানী শুধু বনী ইসমাইল নয় - বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য ইনক্লুডিং বনী ইসরাইল।
২। ইয়াহুদী ধর্মের প্রচার ও প্রাপাগেশান তাওরাতের মাধ্যমেই - শুধু মাত্র বনী ইসরাইলের ১২ ট্রাইবের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে - সো তারা এ্যাকটিভলী চায় না, অন্য কোন ট্রাইব কিংবা জাতির কেউ ইয়াহুদী হোক। অন্যদিকে ইসলাম ধর্মের প্রচার ও প্রপাগেশানে সমস্ত মানবজাতির কাছে লিটারেলী ফরজ করা হয়েছে।
৩। কোন মুসলমান ক্লেইম করেনা যে সে বনু ইসমাইল। কিংবা বনু ইসমাইল হলে ইসলামে কোন স্পেশাল স্ট্যাটাস ও নেই। কিন্তু ইয়াহুদী ধর্মে বনু ইসরাইল না হলে - তা লিটারেলী সেন্সলেস, অচ্ছুৎ বলে সাভ্যস্ত হবে।
৪। আপনি যদি কোরান এ উল্লেখিত বনী ইসরাইল ও ইয়াহুদী সম্ভোধন ও উল্লেখ সমূহকে বিশ্লেষন করেন তবে দেখবেন সেখানে ইনহেরেন্টলী ডিসটিংশান করেছেন। এ্যানালাইসিস করলে আপনি যা পাবেন তা হলঃ বনী ইসরাইল ক্লেইম কারীরা সবাই ইয়াহুদী (অধুনা কিছু এ্যাথিস্টি কিংবা এ্যাগনস্টিক্স ও আছে) কিন্তু সব ইয়াহুদীরা বনু ইসরাইল নয়। অন্যদিকে মুসলিম এর ক্ষেত্রে এমন কোন সম্ভোধন নেই ইয়া বনী ইসমাইল।
৫। ফাইনালী লিখক যাদের দিকে ইংগিত করছেন এবং আমি আশা করছি তিনি আগামীতে আরো অনেক অনেক প্রমান হাজির করবেন (সায়েন্টিফিক, হিস্টরিক্যাল, ফ্যাক্টস্চুয়াল) - সেই তারা ক্লেইম করছে যে তারা ১২ নয় বরং ১৩ তম ট্রাইব। কিন্তু তাওরাত, যবুর, ইন্জিল ও কোরান ও হাদীস আমাদের কনফার্ম করছে ইসরাইল / ইয়াকুব আঃ এর দুই সংসারে সর্বোচ্চ (১০ + ২) ১২ টি সন্তান ছিল।
ধন্যবাদ।
তোমার মূল্যবান শাণিত লিখনীর জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
শাস্তিস্বরূপ আল্লাহ ঘোষণা দেন যে, তারা চূড়ান্তরূপে অভিশপ্ত এবং কিয়ামত পর্যন্ত তারা বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্নভাবে উদভ্রান্তের মত পৃথিবীময় ঘুরে বেড়াবে এবং সবজায়গায় মানুষের হাতে লাঞ্ছিত, অপমানিত হতে থাকবে আর আল্লাহ কিয়ামত পর্যন্ত এমন সব কঠোর স্বভাবের শাসকদেরকে তাদের উপর চাপিয়ে দিতে থাকবেন যারা তাদের কঠোর শাস্তি দিতে থাকবে-
একদম গেঁথে নিয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য..
ইয়াহুদী মানেই মিথ্যাবাদী, প্রতারক, অভিশপ্ত, যাযাবর জাতি। এরা আল্লাহর রাসুলকে চেনার, জানার পর ঈমান আনেনি, বরং ইসমাইল বংশ থেকে নবী হওয়ায় আল্লাহর উপর বেজায় রাগ! ফলত নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামকে মদীনায় আসার প্রথম দিন থেকেই শত্রুতা ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছিল। মদীনার জিন্দেগীর ১০ বৎসরের একটা দিনও প্রিয়নবীকে শান্তিতে ঘুমাতে দেয়নি। আজও বৃটিশ-আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদে কয়েকশত গুণ বেশি শত্রুতায় লিপ্ত।পারলে মুসলমানদের অস্তিত্বও বিলীন করে দিতে প্রস্তুত। শান্তি কেড়ে নিয়েছে ওই জারজ-কৃত্রিম রাষ্ট্রটি। এখনও অনেক মুসলমান ইয়াহুদীদের ষড়যন্ত্রের স্বরূপ ধরতে পারছেন না। আপনার লেখনি যাদের চোখে পড়বে আশাকরি বুঝতে সহজ হবে।
আমি গত ২ বছরের বেশী এ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে কথা বলছি - সামহাউ কিছু একটা হয় - মেইনস্ট্রীম মুসলিম রা এ বিষয়ে শুনতে চায় না, পড়তে চায় না, আলেমরা স্ট্রেইনজলী এ্যাভয়েড করে - লজ্যিক্যালী এটা হবার কথা না - কিন্তু হচ্ছে।
আমি একবার এক আলেমকে এ বিষয়ে ১৫/২০ সময় দেবার জন্য বললাম - সে আলেম মহোদয় আমাকে বললেন - তিনি একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে স্পেশালাইজড - তিনি নতুন কোন বিষয় জানতে চান না। আমি ফারদার ট্রাই করে বললাম - এ বিষয়টি আপনার এক্সিটিং ফিল্ডের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করবে না বরং পরিপূর্নতা দেবে আপনার শ্রোতারা আপনার বক্তব্যেকে আরো প্রাকটিক্যাল ও জীবনের সাথে সামন্জস্যপূর্ন পাবে - কিন্তু তিনি শুনতে অস্বীকার করলেন।
মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, অনেকটা ছাতক পাখির মত অপেক্ষায় আছি বাকিটা পড়ার জন্য। জাযাকাল্লাহ খাইর
৫ম পর্ব পড়ছে পারছিনা কেন?
না কি
লিখাটা এখানেই অসম্পূর্ণ অবস্থায় শেষ হয়ে গেছে?
http://www.desh-bd.net/blog/blogdetail/detail/3557/warrior2013/78471#.V5j-dtlxVcs
মন্তব্য করতে লগইন করুন