বিয়ে নিয়ে এলোমেলো ভাবনাগুলো।
লিখেছেন লিখেছেন ঘুম ভাঙাতে চাই ১৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:৩০:৪৫ দুপুর
আজকালকার বিয়েগুলোকে আমার কাছে রীতিমত ইনভেস্টমেন্ট এনালাইসিস টাইপ মনে হয়। টাকা বিনিয়োগ করার আগে যেমন একজন বিনিয়োগকারী ইনভেস্টমেন্ট এ রিস্ক কেমন হবে? ইন্টারেস্ট বা রিটার্ন কেমন হবে? Maturity period ইত্যাদি তিনি খুব সুক্ষ্ণভাবে যাচাই-বাছাই করেন, ঠিক তেমনি একজন বিয়ের পাত্রীর অভিভাবক বা পাত্রীর কাছে ছেলেটাকে বিয়ে করলে কি পরিমাণ ফিউচার রিস্ক আছে?? তাকে বিয়ে করলে কি পরিমান মানি রিটার্ন পাওয়া যাবে বা লাভ কেমন হবে? it means future financial security কেমন?এসব প্রধান। এক্ষেত্রে বিয়েটা হল ইনভেস্টমেন্ট।
আবার বিয়ের পাত্রের দিক থেকে চিন্তা করলে পাত্রের অভিভাবকরা সম্ভবত বিশ্বাস করেন: ছেলেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকার, ব্যারিষ্টার বানাতে অনেক টাকা বিনিয়োগ করেছেন এখন Maturity period টাও পার হয়েছে কাজেই সময় হয়েছে মানিব্যাক পাবার বা লভ্যাংশ সমেত রিটার্ণ পাবার। এক্ষেত্রে, "কোন পাত্রীর পরিবার সর্বোচ্চ পরিমাণ রিটার্ণ দিতে পারবে?" এটাই যেন প্রধান। সাথে তো আবার পাত্রীর সাদা চামড়ার দরদাম, শারিরিক উচ্চতা আর পরিবারের সামাজিক প্রভাব-প্রতিপত্তি এসব তো আছেই। পাত্রীর সাদা চামড়ার দরদাম, খাট-লম্বা ইত্যাদি বিষয়ে আবার পুরুষদের চেয়ে নারীরা বেশি খুঁতখুঁতে।
পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ জানিয়েছেন, তোমরা বিয়ে কর আমি তোমাদের রিজিক বাড়িয়ে দিব। তবে, পরের আয়াতেও ছেলেদের স্বচ্ছল না হয়ে বিয়ে করতে মানা করা হয়েছে। কিন্তু স্বচ্ছলতার অর্থ এই না যে, একটা ছেলেকে বিয়ের জন্য, নিজের future বউ এর বিলাসিতার জন্য হিউজ ইনকাম এর মালিক হতে হবে। হাইয়ার এডুকেশনাল কোয়ালিফিকেশনের অধিকারী হতে হবে, বেটার জব পজিশন, বাড়ি-গাড়ির অধিকারী হতে হবে। It's totally wrong concept.
তাকে হালাল ইনকাম সোর্স বের করতে বলা হয়েছে, দেনমোহর দেয়ার মত সামর্থ্য থাকলে সে বিয়ের জন্য উপযুক্ত। তারপর মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বিয়ে করা। কারন মানুষের ভবিষ্যত আর্থিক নিরাপত্তা, সুখ-শান্তি ইত্যাদি নির্ভর করে লিখিত ভাগ্যের উপর যা আল্লাহর নিয়ন্ত্রণাধীন। আর রাসূল ﷺ বলেছেন, তোমরা অধিক পরিমাণ দোয়া ও পূণ্যের কাজ কর। কেননা, অধিক দোয়ায় মহান আল্লাহ মানুষের লিখিত ভাগ্যকে পরিবর্তন করে দেন। মন্দকে উত্তমে পরিণত করেন আর অধিক পূণ্যকাজে আল্লাহ বান্দার আয়ুকে দীর্ঘায়িত করে দেন।"
কাজেই টাকা পয়সা, বাড়ি -গাড়ি, উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা, বেটার ইনকাম, বেটার জব পজিশন ইত্যাদি ভবিষ্যতের আর্থিক নিশ্চয়তা দিতে পারেনা। গাড়ি-বাড়ি মনে সুখ শান্তি এনে দিতে পারেনা। অথচ বাবা-মা ও পাত্র-পাত্রীরা বিশ্বাস করে যে এসবই ভবিষ্যতে আর্থিক নিরাপত্তা দেয়, জীবনে সুখ-শান্তি আনে। মহান আল্লাহর কথা, ভাগ্য এখানে গুরুত্বপূর্ন না, বরং এসব হিসাবের বাইরে। এত ক্যালকুলেশনের পর একটা ছেলে বা মেয়ে বিয়ের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। যাদের এসব যোগ্যতা নেই তারা অযোগ্য। অথচ এত Financial calculation আর অন্যান্য হিসাব-নিকাশের পরেও বিয়ে টিকেনা। কারণ সম্পর্ক এখানে জাস্ট শারিরিক ও মানষিক ভোগ বিলাস আর লোক দেখানোর মনোবাসনা ছাড়া আর কিছুই না। সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার আজকাল হাজবেন্ড-ওয়াইফের শারিরিক সম্পর্কও আবার হারাম বিকৃত চিন্তাভাবনা ও কর্ম দ্বারা পরিচালিত যা আজ বৈবাহিক সম্পর্কগুলোও ভেঙ্গে দিচ্ছে। বিকৃত Anal sex, ওরাল কত জঘন্য নামে নোংরা যৌনাচার। এসব মনে এলে আমার নিজেরও বুক কাঁপে বিয়ের কথা ভাবলে। স্মার্ট অসাম লুকিং ছেলে-মেয়েরা আজ পর্ণোগ্রাফীতে মারাত্নক আসক্ত আর পর্ণোগ্রাফীই আজ এসব শিখাচ্ছে ও এসব জঘন্য কাজে তাদের পরিচালিত করছে। আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেছেন, কিয়ামতের আগে আমার উম্মাতের একদল মানুষ নিজের আপন স্ত্রীর সাথেও কওমে লুতের মত এনাল সেক্সে অভ্যস্ত হয়ে পরবে, সমকামীতা ছড়িয়ে পরবে, মানুষ গাধার মত প্রকাশ্যে যৌনাচারে লিপ্ত হবে। জেনে রাখ এরা অভিশপ্ত। আল্লাহ এদের দিকে কখনো তাকাবেননা। কিয়ামতের দিন তাদের সাথে কথা বলবেন না। এরা হল মানুষের মাঝে নিকৃষ্টতম। কিন্তু so called smart handsome gentlemen and ladies এসব তারা না জানে, আর না মানে।
আবার দেখি যেসব ভাই- বোনেরা ইসলাম মেনে চলেন তারা স্বাভাবিকভাবেই প্রেমের মত হারাম সম্পর্ক ও প্রেমের নামে চলা নানান মানষিক ও শারীরিক নোংরামি এড়িয়ে চলেন কিন্তু বিয়ের বয়সে এসে এরা উভয়সংকটে পরেন। তারা চান মুমিন জীবনসঙ্গী কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নিজের চোখে দেখা চারদিকের যুবক-যুবতীদের মাঝে প্রেম ও নানান নামে এত নোংরামি, বিয়ের পর আবার পরকিয়া... এসব দেখতে দেখতে তাদের মাঝে ভবিষ্যত জীবনসঙ্গী নিয়ে ভয় কাজ করে। বলা তো যায়না "তার জীবনসঙ্গী যে এমন ধাচের হবেনা তার নিশ্চয়তা কি?" অধিকাংশ সময় দ্বীনি বোনদের অভিভাবকরা সেই দ্বীনি বোনকে এমন কোন পাত্রের সাথে জোর করে বিয়ে দিতে চান বা দেন যেই পাত্র হয়ত সাধারন চোখে অনেক যোগ্য কিন্তু সেই বোনের দৃষ্টিতে অযোগ্য কারন পাত্রটি শিক্ষিত, পয়সা আলা হলেও ধার্মিক না, সে ইসলামের ব্যাপারগুলো বোঝেনা। কিন্তু এসব বোন বাধ্য হন। দ্বীনি ভাইয়েরাও অনেক সময় পরিবারের চাপে এমন কাউকে বিয়ে করেন যেই পাত্রীর সাথে তার মানষিকতা মিলেনা ফলাফলস্বরূপ বিয়েও টিকেনা। এমন অনেক ভাইয়ের কথা জানি যাদের বউ তাদেরকে ডিভোর্স দিয়েছেন তাদের অতি ধার্মিকতা এর জন্য, যা বউদের মোটেও পছন্দ না। এমন অনেক বোনের কান্না শুনেছি যারা পরিবারের চাপে পরে মুসলিম নামের কোন স্মার্ট অসাম লুকিং মুনাফিককে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছেন এখন হাজবেন্ডের চোখে তার অবস্হান জাস্ট সেক্স স্লেভ।
ছোটকাল থেকেই কম্বাইন্ড এডুকেশনে পড়েছি আর ভার্সিটিতে রীতিমত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইসলামিক মানষিকতার ছেলে-মেয়েদেরকেও দেখেছি কিন্তু মুখেই ইসলাম, বাস্তবে চিন্তায় বস্তুবাদিতায় তারাও আসক্ত। সবচেয়ে পবিত্র শব্দটাই "মা" অথচ গুগলে "মা" লিখে সার্চ দিলে হাজার হাজার incest story এসে হাজির হয়। অনেক সহপাঠীকে দেখেছি লুকিয়ে লুকিয়ে এসব পড়তে। গুগল ট্রেন্ডের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি খোঁজা হয় এসব নোংরা জিনিসগুলোই। অর্থাৎ, আজ এসব অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে, কাল যে এসব অফলাইনে চর্চা হবেনা তার নিশ্চয়তা কোথায়?
তাই এত জটিল সিচুয়েশনে এসব ভাবলে আসলেই আমার ভয় লাগে বিয়ে নামক শব্দটাকে। তারচেয়ে নিজেকে unmarried দেখতেই ভাল লাগে। মিনিমাম নিজের সাথে বোঝাপড়া করে জীবন কাটাতে তো পারি। ওয়াইস আল কুরুনী (রাঃ) যার ব্যাপারে রাসুল ﷺ বলেছিলেন, তোমরা ওয়াইস এর কাছে দোয়া চাইবে কেননা সে যে দোয়াই করে, আল্লাহ তা কবুল করেন, এই ব্যক্তি ছিলেন চিরকাল অবিবাহিত। তাবেয়ী ও তাবে তাবেয়ী দের মাঝে রাবেয়া বসরী (রঃ) ও হাসান বসরী (রঃ) ছিলেন অবিবাহিত। বড় আলেমদের মাঝে ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রঃ), ইমাম নববী (রঃ) ও অবিবাহিত ছিলেন। ইমাম বুখারী (রঃ) এর ব্যাপারটাও ধোয়াশা। এরা প্রত্যেকেই ইসলাম এর ইতিহাসে অনন্য ব্যক্তিত্ব। কাজেই বিয়েটা না করলেও আমি অভিশপ্ত হয়ে যাবোনা। আমি মেডিকেল লাইনে কিছুদিন লেখাপড়া করেছি তাই আমাকে হরমোনাল ব্যাপারগুলো প্লিজ রসিয়ে কষিয়ে বলতে আসবেন না কারণ আমি সেবব জানি। বিয়ের কথা উঠলেই সবাই চিল্লায় ফরজ !ফরজ! না করলে গোনাহ। অথচ নামাজও ফরজ, রোজাও ফরজ অথচ এসব তাদের মোটেও গুনাহ মনে হয়না, কারো মাথাব্যথা নেই। মুসলিমদের রক্ত নিয়ে সারা পৃথিবী হলি খেলছে, আমাদের বোনদের অপমান করা হচ্ছে, এসব মুসলিমদের বাঁচানোর রাস্তা বের করাও ফরজ কিন্তু তা নিয়ে আমরা মুখে কুলুপ আটি। এভাবে কত ফরজ যে স্কিপ করছি তার হিসাব নেই। কিন্তু বিয়ের ফরজের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস!! ভন্ডামি আর কাকে বলে!!
বিষয়: বিবিধ
২৯৩৬ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পক্ষান্তরে মেয়েদের জন্য বিয়ে ব্যাপারটা দারুন প্রফিটেবল একটা মিশন । এখানে তার এক পয়সাও লস হবার সম্ভাবনা নেই । সে পাচ্ছে সারা জীবনের ভরণ পোষন , বিপরীতে তার কিছু প্রতিদান দেওয়া অপশনাল ।
ছেলেরা বিয়ে করার ফলে যেটা পায় সেটা হল বৈধভাবে সেক্স করা । এছাড়া বিয়েতে একটা ছেলের আর কিছুই পাবার নেই । সেই সেক্সও তো ফ্রিকুয়েন্টলি সে পায় না যেমনটা তাকে দিতে হয় তার স্ত্রীকে ভরণপোষন ফ্রিকুয়েন্টলি ।
প্রেম বা বিয়ে - যে কোনটাতেই লাভ মেয়েদের । প্রেম করার সময় কোন রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বিল দেওয়া লাগে প্রেমিকেরই । টো টো কোম্পানীর হেড সেই প্রেমিককে কোথা থেকে টাকা আনতে হয় সেটা প্রেমিকার জানার বিষয় নয় বা এ ব্যাপারে তার প্রেমিকের প্রতি এমপেথাইজড হওয়া জরুরীও নয় । একজন না দিতে পারলে বাকী ২৩ জন আছে তার সেবার জন্য ।
সম্পূর্ন লস খাত হবার কারণে এখন ছেলেরা বিয়ের প্রতি অনিহা দেখাতে শুরু করেছে ।
দুধ আর গোস্ত যদি দোকানে কিনতে পাওয়া যায় তাহলে কষ্ট করে আর গাই পালা কেন - Sad but True
আপনার পুরো বিশ্লেষনটি ভালো লেগেছে। কিন্তু শেষের কথাটি মানতে অনেক কষ্ট হচ্ছে, আপনাকে বুঝানোর জন্যও নিষেধ করে দিয়েছেন, তাই কিছু জ্ঞান দিতেও অক্ষম।
তবে একটি কথা বলতে চাই। যদি আপনার মত সব ধার্মিকরা এমনই ভাবে, তবে পৃথিবীতে ভালো মানুষের বংশ শেষ হয়ে যাবে না তো! এক সময় সমগ্র দুনিয়া কূ-মানুষের বংশধরেরাই ঘীরে ফেলবে না তো!
পৃথিবীতে অনেক ফরজ স্কিপ হচ্ছে তা মানি। যেহেতু ঐ সকল ফরজগুলো আমার আপনার আয়ত্বের বাহিরে। কিন্তু বিয়ের সুন্নাত ও বনী আদমের ধারাবাহিকতা নেযামকে ধরে রাখাও কি আপনার আয়ত্বের বাহিরে?
হয়তো যুক্তি দেওয়ার মত অত জ্ঞান আমার নেই। তবুও দোয়া করি, আমার প্রিয় জ্ঞানী আপুর জন্য আল্লাহ তায়ালা একজন সু পাত্রের ব্যবস্থা করেন দেন।
জাযাকিল্লাহ খাইর।
অনেক কিছু বলার ছিল,
কিন্তু শেষের প্যারায় এসে হোঁচট খেলাম-
বলতে না পারায় দুঃখিত!
অনেক কথায় একমত হতে না পেরেও দুঃখিত!!
তবু স্পষ্টকথার জন্য ধন্যবাদ,
আল্লাহতায়ালা আপনার অন্তরে মহাশূণ্যের প্রশস্ততা দিন!
http://www.bdfirst.net/blog/blogdetail/detail/7762/alsabanow13/70576#.ViUeYmeIOUk
ভাবনাগুলো এলোমেলো হলেও এতো আমাদের বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি। এবার দেশ থেকে ঘুরে এসে আমার অভিজ্ঞতা আরো ভয়াবহ!
আমি যতটুকু বুঝত এপেরেছি তুমি তোমার বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতেই এই পরিসংখ্যান করেছো , সময়ের পরিবর্তনে এই চিন্তায়-ভাবনায় পরিবর্তনের হাওয়া লাগতেও পারে!
সেই সুদিনের প্রতীক্ষায় দোআ সহ অনেক শুভকামনা
আপনার ব্লগ নামটা চেঞ্জ করুন। ঘুম ভাঙাতে চা্ই স্থলে লিখুন আমি ঘুমিয়ে আছি।
জানেন তো যে আসলে ঘুমিয়ে আছে তাকে জাগানো অতি সহজ কিন্তু ঘুমের ভান করে থাকলে জাগানো কঠিন।..
মানুষের ইমান আমল বাঁচিয়ে রাখা আর হাতে জ্বলন্ত অঙ্গার রাখা যেনো একই কথা এখন,আল্লাহ আমাদের হেফাযজ করুন
মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, স্যোশাল সাইট এর বাস্তব উদাহরণ। যে ছেলে/মেয়েটা বাইরে সবার সামনে উত্তম চরিত্রের অধিকারী- রাতে, নিজের ঘরে, দিনে একাকী গোপনে সেই মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, স্যোশাল সাইটে প্রবেশ করে জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। তার ভোর হয়ত শুরু হয়েছিল ফজর নামাজ পড়েই কিন্তু সন্ধা আসার আগেই সে তার ঈমান ধ্বংস করে বসে আছে। সারাদিন হয়ত নামাজ কালাম পড়েছে কিন্তু রাতে একাকী হাতের মোবাইলটাই তার সর্বনাশ করে ছেড়েছে ফলাফলে ফজর নামাজ মিস। কিছুদিন আগে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম নিজের বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের অনলাইন অফলাইন বেসড পাবলিক ও প্রাইভেট ভার্সিটির মেয়েদের সমকামীতা নিয়ে। সেটা নিয়ে উল্টা আমাকে অনেক বাজে কথা শুনতে হয় তাই আমি লেখাটা ডিলিট করে দিয়েছিলাম। আসলে তথ্য-প্রযুক্তি হল দাজ্জালীয় সভ্যতার সবচেয়ে বড় ধোঁকা যদিও আমরা অবুঝের মত একে আশির্বাদ হিসেবে দেখছি। জাঝাক আল্লাহ আপু।
মন্তব্য করতে লগইন করুন