ব্লগার ভাই ফখরুল ইসলামের কিছু প্রশ্নের উত্তর
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আবদুর রহমান সিরাজী ০৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫৭:০৩ রাত
						 
						 ব্লগার ভাই ফখরুল ইসলাম 'কেহ কি আমার .... দয়া করে দিন না' জবাব দেয়ার চেষ্টা করছি। যদিও লেখাটা প্রশ্ন আকারে লিপিবদ্ধ হয়নি তথাপিও জবাব পাবেন ইনশায়াল্লাহ। প্রথমেই বলি, গান-বাজনা ইসলামে জায়েজ না তবে তার 'সীমা-রেখা' রয়েছে। যেমন নারী সম্ভোগ অবৈধ না যদি সীমারেখা মেনে চলা হয়। আপনি যে ইউটিউবের লিঙ্ক দিয়েছেন সেটি অবশ্যই ইসলামের সীমারেখা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও আপনি 'শিবির ও হিন্দু' ভাইদের নিয়ে যে 'চটি' পোস্ট দিয়েছেন তাও অশ্লীলতার সীমা অতিক্রম করেছে। গান-বাজনার সীমারেখার ব্যাপারে ইমাম গাজ্জালী (র.) এহ্ইয়ায়ে উলুমুদ্দীন ২য় খন্ড পড়লে ভাল হয়। উল্লেখ্য এদেশে জামাত-শিবিরই ইসলামের আলোকে গান-বাজনা, নাটক কেমন হতে পাড়ে তার বাস্তব উদহরণ তৈরী করেছে এবং সারাদেশে শত শত শিল্পী তৈরী  করেছে। এদেশের মধ্যে মতিউর রহমান মল্লিাক, আবুল কাশেম, সাইফুল্লাহ মানসুর অন্যতম।
'পশ্চীমা ইহুদী-খৃষ্টান' জামায়াতের পক্ষে বিবৃতি দেয় কেন এই প্রশ্ন তুলেছেন। আরে ভাই ইহুদী খৃষ্টান তো ইহুদী খৃষ্টানই এর আবার পশ্চীম-পূর্বের কি আছে? এ ধরণের খৃষ্টানদের কাছেই রাসুল (সাঃ) জামাতা ওসমান (রা.) নেতৃত্বে একদল মুসলিম মক্কায় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ইথিওপিয়ার নাজ্জাশীর কাছে আশ্রয় গ্রহণ করেছিলেন, রাসুল (সাঃ) নিজেও খৃষ্টানদের পক্ষ নিয়েছেন যার প্রমান সুরা-রুম। বদর, ওহুদ, খন্দক যুদ্ধে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ইহুদীদের সাহায্য চেয়েছেন, তাদের হাতে রাখার চেষ্টা করেছেন, আহযাবের যুদ্ধে এমন কৌশলেই তাদের ধরাশয়ী করেছেন, বাতিল কে বাতিলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার অন্যতম কৌশলী ছিলেন রাসুল (সাঃ) নিজেই এব্যাপারে তিনি আল্লাহর কাছে দোয়াও করেছেন। আর জামাত নেতাদের ব্যাপারে সামান্য বিবৃতিকেও আপনি 'তারা ক্রুসেড করার জন্য........ জামায়াতকে বেছে নেয়' জঘন্য মিথ্যা অপবাদ দিলেন। জামায়াত নেতাদের বিচার চলছে সম্পূর্ণভাবে 'সিআইএ-মোসাদ-র' এর প্রেসক্রিপশনে, পরবর্তীতে সিআইএ বাদ পড়ে যায় এবং 'মোসাদ-র' এ কার্যপরিচালনা করছে। আপনি তখন কেন কোন পোস্ট দেননি যখন তৎকালীণ আইনমন্ত্রী 'সিআইএ' থেকে ট্রেনিং নিয়ে এসে বিমান বন্দরে বলল, "আমরা যুদ্ধাপরাধের বিচার করব না মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার করব" কারণ সে সময় প্রশ্ন উঠেছিল, 'যে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছে অপরাধী তো তারা' জামায়াত তো ৭১ এ যুদ্ধ করেনি।
'বদর বিন মুগীরা' যে পোস্ট দেখিয়েছেন তার উত্তর আমার ফেসবুকে রয়েছে। জামায়াতের বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে হলে আর হীনমন্যতা দুর করতে হলে সুরা আল-ইমরানের ১২০-১৬০ আয়াত পর্যন্ত পড়লেই যথেষ্ট। একটি আয়াত বলছি, 'তোমাদের প্রতি যদি কোন আঘাত এসে থাকে তাহলে তাদের উপরও এরুপ আঘাত এসেছিল। আমি মানুষের মাঝে এদিনগুলি আবর্তন করি যে দেখতে পারি তোমাদের মধ্যে কে জিহাদ করে আর কিছু লোককে তিনি 'শহীদ' হিসাবে নিতে চান'। জামাত নেতারা শুহাদায়ে কারবালা হোসাইন (রাঃ) এর মত মাথা দিয়েছে তবুও জালেমদের সাথে হাত মিলাননি।
জামায়াত সাধারণত কোন ফতোয়া দেয় বলে জানা নেই। মহরমের শোক দিবস পালন হারাম বলেছে বলেও জানা নেই, তবে জানি প্রতি বছর ১০ মহরম জামায়াত আশুরার আলোচনা করে এবং আশুরা পালন করে। তবে যাদেরকে আপনি ওহাবি, সালাফি বলে বকাবকি করছেন, আপনি নিজেই তাদের লেখা রেফারেন্স হিসাবে আপনার বিভিন্ন পোস্টে দিয়েছেন। 
আপনি বোন সাদিয়ার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আর নিরপরাধ ব্যক্তিদের বিচারিক হ্ত্যার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। আপনি কত জঘন্য মানসিকতা পোষন করেন তার মাধ্যমেই এটা প্রমান হয়। জামাত-শিবিরের সাথে এখন জালিম সম্প্রদায়ের লড়াই চলছে এই লড়াইয়ে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে কিছু ক্ষতির শিকার হতেই পারেন যেমন মক্কা বিজয়ের সময় ও বিভিন্ন যুদ্ধেও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীরা অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেককেই হত্যা করেছে। বদর যুদ্ধও অনিবার্য হয়ে উঠেছিল আমর বিন হাজরামি (রাঃ) এর আক্রমন নিয়ে। যেই আক্রমন নিয়ে আপনার মত ধর্মীয় পন্ডিতরা রাসুল (সাঃ) কে বিব্রত করেছেন।						 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
						 
বিষয়: বিবিধ
১৫৮৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য







































পাঠকের মন্তব্য:
আমার তা মনে হয় না! শীয়াদেরও নিজস্ব কিছু নৈতিক মুল্যবোধ আছে যা ব্যাট ফখরুলেরও নাই!
সহজ সরল ভাবে বলা যায় সে প্রকৃতই একজন মোনাফিক! নেফাকের গুনাবলী ভালো ভাবেই আয়ত্ব করেছে সে!
পাগল না ঘাটানই বুদ্ধিমানের কাজ।
ভালো লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ।
অনুভূতি রেখে গেলাম।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন