বায়ুভর্তি বেলুন
লিখেছেন লিখেছেন শুভ্র পারাবত ৩১ আগস্ট, ২০১৩, ০১:২৭:৪৮ রাত
প্রকৃতপক্ষে পশ্চিমা থেকে আমদানিকৃত প্রতিটি স্লোগাইনই হচ্ছে এক একটি বায়ুভর্তি বেলুন | যখন পৃথিবীর কোটি কোটি লোক অনাহারে -অর্ধাহারে দিনাতিপাত করে তখন তারা সেই মানুষদের আহার-বাসস্থানের কথা না ভেবে কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে ব্ল্যালহোলে কী হচ্ছে,সে নিয়ে বিলিয়ন ডলারের শ্রাদ্ধ করতে তাদের বুকে এতটুকু বাধে না | যদি বুকে এতটুকু বাধে না তাহলে কী দরকার ছিলো এসব মনোহরী শব্দ চয়ন করে সারাবিশ্বময় ফেরি করার ? যেমন তারা এবং তাদের খুঁদ ও কুঁড়ো খাওয়া দালালরা ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত বিশ্ব করার কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে কিন্তু প্রায়শই যে ঘটনা ঘটে- শখ,আধিপত্য বিস্তার আর বিলাসিতার কাছে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো ধুঁকে ধুঁকে কেঁদে মরে | তাই একদিকে আফ্রিকার অসংখ্য শিশু খাদ্যাভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে অন্যদিকে লাসভেগাস ও আটলান্টিক সিটির পৃষ্টপোষকরা জোয়ার আসরের নিরাপত্তা দিচ্ছে | বিদ্রুপ আর কাকে বলে আমি জানি না | এর চেয়ে বড় বিদ্রুপ আর কী হতে পারে ? এক মালালার কথা বলে বিশ্বে তোলপাড় সৃষ্টি করে | কিন্তু লক্ষ লক্ষ শিশু -কিশোরকে ড্রোন হামলায় ক্ষত বিক্ষত করতে তাদের বিবেক বধির হয়ে যায় | হায়রে ভ্রষ্ট ও নষ্ট তোদের এ মানবতা !
আবার হয়তো তেমনি একটি পরিস্থিতির অশনিসংকেতের কালোমেঘ যাচ্ছে দেখা মধ্যপ্রাচ্যের আকাশে |
যখন হিরোসিমায় আণবিক বোমার আঘাতে তাৎক্ষণিক লক্ষ লক্ষ মানুষদের অপমৃত্যু হলো তখন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উক্তি ছিলো "মানব ইতিহাসের সর্বোৎকৃষ্ট ঘটনাটি আজ সংঘটিত হলো | "হায়রে মানবাধিকারের ধ্বজাধারী!
আসলে তাদের একটি বড় গুণ হলো তারা কটূ গরলকে যেমন স্বাদু অমৃত বলে চালিয়ে যেতে পারে তেমনি তা তাদের পা চাটা দালালদের দিয়ে সমস্বরে কোরাস করাতে পারে |
সমস্যা হলো আমাদের কারো প্রতি মোহ তৈরি হলে তা রীতিমত নিজেরদের হীনমন্যতা পর্যন্ত নিয়ে যায় , তখন তার বড় বড় অন্যায় গুলো চোখে পড়েও পড়েনা|
ওরাই আসলে সভ্যতার মুখোশ পরা হিংস্র শকুনির দল | ওরা নিকষ কালো রাত্রি হয়েও ভোরের মুখোশ পরে বারবার আমাদের প্রতারিত করছে | ফাঁপা ফানুসের বাহ্যিক চাকচিক্য দেখে আমরাও নিজেদের সঁপে দিয়েছি ফানুস পানে | আজ আত্মপরিচয়ের শিকড়ে ধরা ছাড়া আর উপায় নাই |
বিষয়: বিবিধ
১২২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন