হুজুগে বাঙ্গালী

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ০৯ মার্চ, ২০১৩, ০৮:৩৮:৩৫ রাত

একটি মিথ্যাকে বারবার উচ্চারণ করেলে তা এক সময় প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। সচরাচর বাঙ্গালীরা হুজুগে। মানুষের মুখে যা শুনে তাই বিশ্বাস করে।ইউনিপে টু ইউ বাংলাদেশ ব্যবসা শুরু করল, বাঙ্গালীকে আশ্বাস দিয়েছে, তারা গোল্ডের ব্যবসা করছে, তাই ১ লক্ষ টাকায় এক বছরে লাভ দিবে ষাট হাজার টাকা। ভাঙ্গালী বিশ্বাস করছে লোভে পড়ে, লাভের আশায়, হুজুগে পড়ে, কারণ তারা হুজেগে। তারা চিন্তা করেনি বিশ্বে এক লক্ষ টাকার স্বর্ণের দাম এক বছরে কোম্পানীর খরচ, তাদের এজেন্টেদের কমিশন, ইত্যাদি খরচ বাদে অন্তত এক লক্ষ ষাট হাজার হয় না। তার পরও হুজুগে পড়ে বাঙ্গালী কোটি কোটি ইনভেষ্ট করেছে। ফলে সর্বস্ব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছ। আমাদের সরকার আমরা বাঙ্গালীদেরকে হুজুগে ফেলে স্বার্থ হাসিল করতেছে।আওয়ামীলীগকে আবার ক্ষমতায় আসা লাগবে।জামায়াতকে বিএনপি থেকে পৃথক করলে কাজটা সহজ হয়। তাই জামায়াতকে বিএনপি থেকে পৃথক করা লাগবে। জাতির সামনে আনলো যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধি অপরাধের বিচার। যেটি খুব সেনসেটিভ-স্পর্শকাতর বিষয়। যেমন নারী, ধর্ষন , ধর্ম, মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দির, সংখ্যালগু ইত্যাদি স্পর্শকাতর বিষয়। এ বিষয়গুলোর বিরোদ্ধে কথা বললে মানুষের ইগু হট হয়, মানুষ আক্রোশাত্বক হয়, ক্ষেপে যায়, দেশে আন্দোলন, অশান্তি সৃষ্টি হয়। ৪২ বছর আগর বিষয়, বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতা বিরোধি কর্মকান্ড, হত্যা, ধর্ষন, লুন্ঠনও ঠিক স্পর্শকাতর বিষয়, তার বিরোদ্ধে কোন কথা বললে সচারাচর বাঙ্গালী ক্ষেপে যাবে। সতারাং সেই মানবতা বিরুধি অপরাধের বিচার করছে সরকার যার বিরোদ্ধে কথা বলা অসম্ভব। সুতারাং কোন ব্যক্তিকে যদি আপনি জিঞ্জাসা করেন, আপনি যুদ্ধাপরাধের বিচার চান কি না? সে ব্যাক্তি বিচার না চাইলেও মুখে বলবেন, অবশ্যই চাই। না হলেতো তাকে রাজাকার বলবে। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি হিসেবে চিহ্নত করবে।

মনের ইচ্ছা বাইরেও বলতে হয় যুদ্ধাপরাধিদের বিচার চাই। অন্যদিকে বিএনপিও তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলছে, হ্যা আমরাও বিচার এবং সূকৌশলে বলছে, সুষ্ঠ ও নিরাপেক্ষয় বিচার চাই। ফলে বাঙ্গালী হুজুগে পড়েছে, যে শিশু যুদ্ধের অর্থ বুঝেনা, রাজাকার কাকে বলে রাজাকারের অপরাধ কি, ফাঁসি কাকে বলে, তা জানে না ,সেও বলছে রাজাকারের ফাঁসি চাই । শাহবাগের মেলায় শিশুদেরকে মা বাবা, স্কুলের শিক্ষকরা নিয়ে গিয়ে বর্ণমালা শিখাচ্ছেন সাথে হিংসা, ক তে কাদের মোল্লা, তুই রাজাকার তুই রাজাকার, গ তে গোলাম আজাম তুই রাজাকার তুই রাজাকার ইত্যাদি। তরুণ- তরুণীদের উদ্দেশ্য সবাই জানে। পৌড় ও বুড়োর লোক লজ্জার কারনে ঘরের বাহির সে সুযোগটা না পেলেও শাহবাগ মেলায় মনের তৃপ্তি ও চিত্তের রৃপু ভালই পুরা করতেছেন। তাই সবার উদ্দেশ্য ও স্বার্থ হাসিলে সহজ জায়গায় পরিনত হয়েছে শাহবাগ মেলা। বাম সংগঠনগুলো ও নাস্তিকের দলের সরর্ণ সুযোগ এদেশে ইসলামকে আক্রমণ করার। সরকারের জামায়াতকে বিএনপি থেকে আলাদা করার হাতিয়ার পেয়ে গেল। তাই সরকার প্রেট্রোল ঢালা শুরু করলো। তাদেরকে ৩ স্তরে নিরাপত্তা দিয়ে, খানা খাদ্য, পানি, মদ...... সরবরাহ করে। অন্যদিকে ইসলামপন্থিদের দেখা মাত্র গুলি, আটক করে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়। আমিও এই হুজুগে পড়ে যাই, পরে যখন দেখলাম সরকারের কোন নেতা যে বক্তব্য দিচ্ছে তার পরদিন দেখছি শাহবাগিরা সেই বক্তব্যটাই দিচ্ছে এবং তাদের মূল্য দাবি থেকে ক্রমশ উসকানী মূলক দাবি আনছে এবং জাতির মৌলিক দাবি না তলে এটা কর ওটা কর করতে হবে বলছে, তখন বুঝতে পারি ডাল মে কুছ কালা হায়। সতারাং ইউনিফে টু ইউ মত হুজুগে না পড়ার জন্য আমি সবাইকে বিনীত ভাবে অনরোধ করছি।

বিষয়: বিবিধ

১৬৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File