শাহবাগে কেন মানুষের ঢল
লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ০৬ মার্চ, ২০১৩, ০৬:০৩:২৬ সন্ধ্যা
বিগত ৫ ফ্রেরুয়ারী মানবতা বিরুধী ট্রাইবুনাল, জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার যাবতজীবন এর রায় দিলে কিছু ব্লগার বিক্ষুব্ধ হয়ে শাহাবাগ চত্তরে একাট্টা হয়ে কাদের মোল্লাকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দেয়ার দাবি তুলে। তরপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ তাদের সাথে আকাত্বতা ও সংহতি প্রকাশ করে। আওয়ামীলীগও তাতে রস পেয়েছে, সুযোগ পেয়েছে। জামায়াতকে তারা সায়েস্তা করতে পারবে। যেহেত তারা জামায়াতকে বিএনপি থেকে আলাদা করতে চাইছে তাই আওয়ামীলীগ প্রেট্রোল ঢালতে শুরু করে। প্রথমে শাহবাগে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়, যেন সেখানে কেউ নাশকতা করতে না পারে। রাস্তার সকল মোড়ে রেরিকেট দিয়ে সিকিরিউটি স্ক্যানার দিয়ে আন্দোলনকারীদেরকে প্রবেশ করায়। মোট কথা তাদের নিরাপত্তার বেষ্টনিতে নিয়ে আসে। তারপর তাদেরকে বিরিয়ানী, নাস্তা, পানি ইত্যাদি সরবরাহ করতে থাকে এবং মোবাইল টয়লেটেরও ব্যবস্থা করা হয়। যেন শ্বশুর বাড়ীর জামাই বাবুদের আপ্যায়ন আরাদ্ধ করা। কেউ কেউ বলছেন তাদেরকে ভাতাও দেয়া হচ্ছে। আমি কিন্তু শিউর না। আপ্যায়নের বিষয় এক আয়োজক ব্লগার একটি টিভি টু শোতে শিকার করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রথমে তারা নিজেরা ব্যবস্থা করতেছিল পরে অনেক মানুষ তাদের খানা খাদ্য সরবরাহ করে আসছে। মানুষ গুলো কে? পরে দেখলাম শাহবাগ চত্তরের কোন জায়গায় গান হচ্ছে কোন জায়গায় নাটক হচ্ছে, কিছু জায়গায় শ্লোগান হচ্ছে। সেই গান নাটক দেখার জন্য অনেক মানুষের সমাগত হয় আর দেশের সবকটি চ্যানেল লাইভ সম্প্রচার করে। মানুষ নিজেকে টিভিতে দেখানো জন্য সআগ্রহে উপস্থিত হয় শাহবাহের চত্তরে। অন্যদিকে সামার ছুটিতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিনোদনের জায়গাগুলো না গিয়ে তাদের শিক্ষাসফর শাহবাগে গিয়ে আনন্দ উপভোগ করছে। যেহেতু সেখানে নারী পুরুষের মিলন মেলা জমেছে। তাই যুবকেরা এক্সট্রা মজা নিতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো না গিয়ে শাহবাগে গিয়েছে। ফলে তথাকথিত বিশাল গনজোয়ারে সরকার বুঝলো তরুণ প্রজম্নের বিশাল আন্দোলন। বা দেশবাসিকে বোকা জ্ঞান করে বুঝাইতে চেষ্টা করলো তরুণ প্রজম্নে চাওয়া হল, মানবতাবিরোধিদের ফাঁসি দিতে হবে। তাই ফটাফট আইন সংশোধন করে ফেললেন। তরুণ তরুণীদের বিনোদন স্কুল পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের আনন্দের জোয়ারে আমাদের আদালত মহোদয় বটকে গেলেন। সাঈদীকে ফাঁসির আদেশ দিয়ে দিলেন ।
আমরা কোন আইনজ্ঞ নই তবে বার সভাপতি এডভোকেট জয়নাল আবদীন একটি টিভি চ্যানেলে ট-শো বলেছেন, ফাঁসির আদেশের জন্য অভিযুক্ত হত্যার কথা শিকার করতে হবে। আমরা জানি মাওলানা সাঈদী বলেছেন, তার উপর আনিত অভিযোগের সকল বর্ণ মিথ্যা । তাহলে তাঁর ফাঁসি কিভাবে হয়। আমাকে একটু বুঝিয়ে দিন উপকৃত হব। আগে শুনতাম আদালত যে কোন রায় তার উপর কথা বলা নাকি আদালত অবমাননা, কিন্তু কাদের মোল্লার রায়ের পর শাহবাগের তরুণরা মানে নাই, তারা মোল্লার ফাঁসি চায়। অনেক আইনজীবিও আইন দেখালেন রায়ের সমালোচনা করা যায় তাই আমি একটু করলাম। ।
বিষয়: বিবিধ
৮৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন