আস্তিক ফরিদ নাস্তিক কর্ম
লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ০৫ আগস্ট, ২০১৩, ১১:২৯:৩৬ রাত
অনেকে মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসুদকে নাস্তিক বলেছেন। আমি এ বক্তব্যের তিব্র বিরোধিতা করি। একজন মুসলমানকে নাস্তিক বলার রাইট ইসলামী শরিয়াহ দেয় নাই। তিনি আল্লাহ মানেন রাসুল মানেন তবে মানেন না সত্যের পক্ষে কথা বলার। তিনি স্বার্থসিদ্ধির জন্য সব কিছু করতে পারেন। পদের জন্য শাহবাগ যেতে পারেন। আশায় তিনি মসজিদ ছেড়ে মেডামের চরনে চুমা দিতে পারেন। অর্থের জন্য তিনি ধর্মের অনার্থ করতে পারেন। ক্ষ্যাতির জন্য শীর্ষ আলেমদেরকে মূর্খ ও ভন্ডও বলতে পারেন। ঐ তাদের ( বলা যাবে না, ঐ কারা) স্বার্থ রক্ষার জন্য কওমী মাদ্রাসায় জাকাত দেয়া যাবে না বলে ফওয়াও দিতে পারেন। দেখা যাবে শোলাকিয়ায় ইমামতির জন্য তিনি কি করতে পারেন। কারণ ইতি মধ্যে কিশোরগঞ্জে এই আল্লামার ইমামতি নিয়ে বির্তক চলছে। ওয়াকফ্ দলিল অনুযায়ী মাঠের ইমাম নিয়োগের ব্যাপারে মোতাওয়াল্লির ভূমিকা স্বীকৃত থাকলেও মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
নিয়োগের পর থেকে এ নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক থাকলেও ফরীদ উদ্দীন মাসঊদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিশোরগঞ্জে। ইতোমধ্যেই ইমামতি থেকে তাকে প্রত্যাহারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র ও মুসল্লিদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, মিছিল ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
এসব কর্মসূচি থেকে তাকে কিশোরগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। এমনকি আগামী ঈদ জামাতে তাকে প্রতিরোধেরও ঘোষণা দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে কিশোরগঞ্জের একাধিক সংগঠন ও সচেতন মুসল্লির সঙ্গে কথা বললে তারা ফরিদ উদ্দিন মাসউদকে নাস্তিক, শাহবাগী ও আওয়ামী মদদপুষ্ট ইমাম হিসেবে উল্লেখ করে জানান- কিশোরগঞ্জসহ দেশবাসী তার পেছনে নামাজ পড়তে নারাজ। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহার করা হোক।
এ ব্যাপারে হয়বতনগর জমিদার বাড়ির বর্তমান উত্তরাধিকারী ও শোলাকিয়া ঈদগাহের মোতাওয়াল্লি দেওয়ান মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ্ দাদ্ খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “আমাদের নিয়োগ করা ইমাম মাওলানা আবুল খায়ের মো. সাইফুল্লাহকে বাদ দিয়ে তথাকথিত শাহবাগী আলেম ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে প্রশাসন কর্তৃক নিয়োগ দেয়ায় এ মাঠের মুসল্লিরা অসন্তুষ্ট। তাকে আর কেউ ইমাম হিসেবে এই মাঠে দেখতে চায় না।”
যদি কিশোরগঞ্জে তৌহিদী জনতার চাপের মুখে জনাব ফরিদ উদ্দীন মাসুদ ইমামতি না করেন বা করতে না দেয়, তাহলে ৫ সিটিতে হারার যে প্রভাব পড়েছে এদেশের মানুষের অন্তরে তার চাইতে বেশি প্রভাব পড়বে। তাই সরকার চাইবে মাসুদের মাধ্যমে ইৃমামতি করাতে আর সরকার বিরোধিরা চাইবে তাকে প্রত্যাক্ষান করতে। এই লড়াই ৫সিটির চাইতে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা, কি হয় দেখার জন্য অপেক্ষায় রইলাম
বিষয়: বিবিধ
১১৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন