প্রতিবেশিনী

লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ০৭ জুন, ২০১৩, ০৬:২০:৪৪ সন্ধ্যা

প্রতিবেশিনী অপূর্ব সন্দরী এক মহিলা , তিনি সম্পের্কে মুরুব্বি হন। অর্থাৎ চাচি বা জেঠী, খালা টাইপের । আমি যদি কোন কবি সাহিত্যিক হতাম তাহলে তার রূপের নিখুত বর্ণনা দিতে পারতাম, তাই দুঃখিত । তবে এটুকু সহজে বলতে পারি, তিনি পর্শা চামড়া, মায়বী চেহারা ও উপযুক্ত মাংস বিশিষ্ট গতরের অধিকারীনি। তাঁর সাথে পতিবিশিদের সবার সাথে সর্ম্পর্ক ভাল, আবার কারো সাথে বন্ধুত্ব বলা যায়, তেমন কোন সর্ম্পকও নাই। তিনি কাউকে এক চিমটি লবন দিবেনও না নিবেনও না। মনে করেন ডজন খানিক ছেলে পুলে আছে। স্বামী মধ্যবিত্তের লোক, প্রচন্ড ভাগ্যশালী ব্যক্তি।হরকিপটে স্ত্রীর স্বামী তিনি। ঘরে চাকার চাকরানীও আছে। তারা তার উপর পরোপুরি সন্তুষ্ট সে রকম কখনো শুনিনি। সকাল বিকালে তারা একটি টোস দিয়ে চা খায় তবে প্রতিবেশিনী হরলিক্স ইত্যাদি দিয়ে খান।

আমাদের নবী করিম (সঃ) এর চলাচলে পথে জনৈক মহিলা কাঁটা পুঁতে দিতেন, যেন নবীকুলের শিরোমণি হযরত মুহাম্মদ (স) এর যাতায়াতে কষ্ট হয়। রাসুল (সঃ) তার পুঁতিত কাঁটা সরিয়ে আপন গন্তব্যে যেতেন। এক দিন দেখলেন, পথে কোন কাঁটা পুঁতা নাই। রাসুল (সঃ) চিন্তিত হয়ে গেলেন, ব্যপার কি? প্রতিবেশিনী মহিলা আজ কাঁটা পুঁতে নাই। তার কোন অসুখ বিসুখ হয়নি তো? আদর্শের নবী (সঃ) উক্ত মহিলার হালহকিকত ও খোঁজ খবর নিতে তার বাড়ীতে গেলেন।

আমাদের প্রতিবেশীনীও মানুষের চলাচলের রাস্তায় কাঁটা পুঁতেন। অতীতেও পূঁততেন? তার কুলেও কাঁটা পুঁতার রেওয়াজ আছে। বর্তমান আধুনিক যোগতো তাই কাঁটা পুঁতার নিয়মও পাল্টে গেছে। উনি ভিন্ন প্রকারের অনেকটা ডিজিটাল কাঁটা পোঁতে দেন। প্রতিবেশিনী অসুস্থ। আমরা নবীর যুগ থেকে প্রায় চৌদ্দশত বছর পর পৃথিবীতে আসেছিতো তাই নবী করিম (সঃ) এর মত প্রতিবেশিনীর খোঁজ খবর নিতে পারি না।

বিষয়: বিবিধ

১৩৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File