সমকামিতা ও তার ইতিকথা
লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ২৭ মে, ২০১৩, ০৬:১২:২৪ সন্ধ্যা
মানুষের নীতি, চরিত্র কত নিচে নামলে ও মানসিক ভারসাম্যহী কত লোপ ফেলে হোমসেক্সে (সমকামিতায়) লিপ্ত হয়। হোমসেক্স সারা পৃথিবীতে আড়ালে আবড়ালে আছে যদিও ব্রিটেন, আমেরিকা ও কানাডায় রাষ্ট্রিয় ভাবে বৈধ। কিন্তু ইসলামী দেশগুলোতে এর কঠোর শান্তির বিধান আছে যদিও প্রয়োগ কম। সমকামিতা আমাদের দেশের গ্রাম গঞ্জে বিশেষ করে নাবী অথবা পুষেষের হোষ্টেলগুলোতে প্রতোপ বেশি। ছেলেদের চাইতে নারীরা এই গর্হিত কাজে নিপ্ত হয় বেশি, কারন অনেক সময় পুরুষের ১ পক্ষের সম্মতি না থাকলেও নারীর ক্ষেত্রে উভয়ের সম্মতি থাকে। আর হোষ্টেলগুলোতে ছেলে মেয়েরা তাদের বিপরীত লিঙ্গের উপস্থিতি নাই তাই তাদের মধ্যে আপেক্ষিক সুন্দরের প্রতি তারা আকৃষ্টি হয়। এক সময় তাদের মাঝে তথাকথিত ভালবাসার সৃষ্টি হয় পরে তারা হোমসেক্সে লিপ্ত হয়। কারন সমলিঙ্গের প্রতি বা বিপরীত লিঙ্গের আকৃষ্ট আসক্তি সেক্সুয়্যাল কাম থেকে সৃষ্টি হয়। এধরণের বন্ধত্ব ভালবাসাতে কোন সততা নেই শুধু কাম আর রিপুর প্রধান্যতা আছে। আমাদের দেশে ছেলেরা সমকামিতায় টিনএজ অবস্থায় ও যৌবনের প্রারম্ভে বেশি লিপ্ত হয়। এক সমিক্ষায় দেখা গেছে, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্ররা পঠদ্দশায় হোষ্টেলে থাকে বিধায় তাই হোমসেক্সের সুযো্গটা একটু বেশি পায়। আর্মি ও প্রশাসনের ব্যক্তিরা একই জায়গা থাকে তাই সমকামিতার প্রতি আগ্রহি হয়। টিনএজ মেয়েরা ও নব যৌবনা মেয়েরা , দীর্ঘদিন স্বামী অবর্তমানে ও প্রবাসে গেলে এবং বিধবা মহিলারা সমকামিতা লিপ্ত হয়। মোট কথা বিপরীত লি্ঙ্গের উপস্থিতি যেখানে কম সেখানে সমকামিতার প্রবনাতা বেশি দেখা যায়। বিজ্ঞানে ও ডাক্তারি ভাষায় হোমসেক্স একটি মানসিক রোগ। আল্লামা আশ্রাফ আলী থানবী (রঃ) তালিম ওয়া তলবা গ্রস্থে সমকামিতার একটি ইতিকথা এভাবে লিখেছেন। সমকামিতা শুরু হয় হযরত নুত (আঃ) এর যুগ থেকে। মুল রচনাকারী শয়তান। শয়তান লুত (আঃ) এর গোত্রকে পথভ্রষ্ট করার জন্য সুন্দর এক যুবকের বেশে একটি আংগুর বাগানে এসে আঙ্গুর খাচ্ছে। বাগনের মালিক তাকে প্রথম দিন রেগে তাড়িয়ে দিল এবং সর্তক করে দিল যে, ভবিষ্যতে যদি বাগানের আঙ্গুর ছিড়িস তো তোর একদিন কি আমার একদিন। তার পরের দিনও যথারীতি শয়তান যুবক বাগান থেকে আঙ্গুর খাচ্ছে। বাগানের মালিক পূর্বেকার ন্যায় আজও তাকে তাড়িয়ে দিল। যুবক ৩য় দিনও যথারীতি আঙ্গর তুলছে দেখে মালিক তো রেগে আগুন। মালিকের রাগ ও ক্রোধ দেখে শয়তান যুবক মালিককে একটি পরামর্শ দিল। বলল, আপনি আমাকে প্রত্যহ আঙ্গুর খেতে দেন তাহলে আমি একটি নতুন কাজ করতে দিব যাতে আপনি খুবই মজা পাবেন। যুবকের কথা মত মালিক যুবকের সাথে সমকাম করে, যাতে মালিক প্রচন্ড মজা পায়। অবশ্য উক্ত মালিক অবিবাহিত ছিল। শয়তান যুবককে বিদায় দেয়ার সময় মালিক বললো কালও আসিও তোমাকে অনেক আঙ্গুর খাওয়াব। তাদের এই গর্হিত এক কাজ দীর্ঘ দিন চলতে লাগল। এক সময় সমকামিতায় মালিক নেসাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। শয়তান যখন বুঝল বাগানের মালিক বর্তমানে হোমসেক্সে নেশাগ্রস্থ ও অব্যস্ত হয়ে গেছে। শয়তান যুবক উধাও হয়ে গেছে। মালিক তার নেশা ও অব্যাস নিবারনের জন্য ব্যতিব্যাস্ত ও উৎগ্রিব হয়ে অন্য যুবকের খোঁজ করতে লাগল। মালিক খুঁজে অন্য যুবককে পেয়েও, তারা পালাকরে হোমসেক্স করলো এবং মজা পেল। পরে এ গর্হিত-কদর্য অনৈতিক কাজটি মহামারির মত পুরো লুত বংশে ছড়িয়ে গেল।ক্রমশ বর্তমান তা অনেক দেশে আইন সিদ্ধ, সমলিঙ্গকে বিবাহও করা জায়েজ। আল্লাহ তায়ালাতা লুত বংশকে সেই কাজ থেকে ফিরে আনার জন্য হযরত লুত (আঃ) কে প্রেরণ করলেন। চোর কি শুনে ধর্মের কাহিনী। তারা সেই কাজ থেকেতো ফিরলোই না, উল্টো হযরত লুত (আঃ) এর কাছে আসা পুরুষবেশি ফেরেস্তাদের সাথে কুকর্ম করার জন্য উঠে পড়ে লাগল। আল্লাহ তাদেরকে চিরদিনের জন্য জমিনকে উল্টে দিয়ে নিঃশেষ করে দিল। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা অনেক আয়াত নাযিল করেন।
যে দেশ-জাতি ধ্বংসের সম্মুখিন হয়, সেই দেশ বা জাতি সমকামিতার মত কুকর্মে লিপ্ত হয় । সম্প্রতি পাকিস্তানের লেজবিয়ান রেহানা কাউসার ও সোবিয়া কামার নামক দুই মেয়ে বিবাহ করার পর বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে।তারা নিউস রেজিষ্ট্রার অফিসে বিবাহ করেছে। কারন বৃটেনে সমকামিদের অধিকার সংরক্ষিত আছে। পাকিস্তানে সমলিঙ্গে বিবাহ অবৈধ তাই তারা বৃটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। রেহানার বয়স ৩৪ ও সোবিয়ার বয়স ২৯। তারা বৃটেনে পড়াশুনার করা জন্য এসেছিল। পরে তারা সাউথ ইয়াকশায়ারে এক সাথে থাকা শুরু করে ফলে তাদের মাঝে প্রেম ভালবাসার সৃষ্টি হয়।
পাকিস্তানের মত একটি মুসলিম দেশের মেয়েরা সমকামিতায় অবস্ত হয়ে বিবাহ করতে পারে তা বিশ্বাস করা কষ্ট। ভয় হয় যেন আমাদের বাংলাদেশের মেয়েরা এ ধরনের অনৈতিক ও নিষিদ্ধ কাজ করে না বসে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক
বিষয়: বিবিধ
৩১৩৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন