মানুষ কখনো চাদে যায়নি – ছবি সহ প্রমান
লিখেছেন লিখেছেন এলিট ১২ জুলাই, ২০১৪, ০৬:৫০:২৬ সকাল
পাঠ্যবই আর মিডিয়ার কেরামতিতে সারা বিশ্ব, বিশ্বাস করে বসে আছে যে মানুষ চাদে গিয়েছে। এমনকি সারা বিশ্বের মানুষ ওই তিন জোকার এর নাম মুখস্ত করে রেখেছে। আবার ভাববেন না যে, আমি নতুন কোন থিওরী নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব আমার আবিস্কার নয়। যে আমেরিকা চাদে যাবার ভুয়া খবর প্রচার করেছে। সেই আমেরিকার বিজ্ঞানীরাই এসব আবিস্কার করেছে। চাদে যাওয়ার মিথ্যা ঘটনাটা খুব ঘটা করে প্রচার হয়েছে। এর প্রায় ৩০ বছর পরে আবিস্কার হয়েছে যে চাদে যাওয়ার ঘটনা আসলে ভুয়া। কিন্তু সেটা আর তেমন ভাবে প্রচার হয়নি। তাছাড়া এই ৩০ বছরে সারা বিশ্ব এটাকে অন্ধের মতন বিশ্বাস করে বসে আছে। চাদে যাওয়াটা যে ভুয়া এর অনেক বৈজ্ঞানিক প্রমান রয়েছে। সেগুলো মধ্যে না গিয়ে সহজ কয়েকটি প্রমান তুলে ধরব
চাদে কোন বাতাস নেই। এর পরেও পতাকা বাতাসে নড়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ এটা টেলিভিশনে দেখেছে। সেই ভিডিও এখনো রেকর্ড করে আছে।
মুল রকেট থেকে চাদে নামার জন্য ব্যাবহার করা হয় এই ছোট বাহন। এর নীচে গ্যাস বেশ হয়ে ধাক্কা দিয়ে যানটিকে উপরে উঠায়। কিন্তু যানটির নীচে এমন কিছুই দেখা যায়নি।
চাদে তো তারা লাইট ও ক্যামেরা নিয়ে সুটিং করেনি। চাদে আলো তো একদিক (সুর্য) থেকে আসার কথা। কিন্তু এখানে ছায়া দেখে বোঝা যাচ্ছে যে কয়েকদিক থেকে আলো দেওয়া হয়েছে।
ভ্যান এলিন রেডিয়েশন বেল্ট – যেটা পৃথিবীর চুম্বক ক্ষেত্র থকে তৈরি ও পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। চাদে যেতে হলে এটা অতিক্রম করতে হবে। এর তেজস্ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া আর মাইক্রো ওয়েব ওভেনের মজদ্য দিয়ে যাওয়া একই কথা। মানুষ সিদ্ধ হয়ে যাবে। মহাশুন্যের আধুনিক পোষাকও এই তেজস্ক্রিয়া বাধা দিতে পারে না। ৪৫ বছর আগে, (১৯৬৯ সালে) আরো পারত না।
একজনের হেলমেটে একটি প্রতিচ্ছবি দেখা গেছে। এমন প্রতিচ্ছবি দেখা যায় সিনেমাতে। অনেক বিষেষজ্ঞের ধারনা যে এট সুটিং এ ব্যাবহার করা স্পট লাইটের প্রতিচ্ছবি।
চাদে বাতাস নেই, তাছাড়া মধ্যাকষন ও কম। সেজন্য তারা ভিডিওতে খুব ধীরে চলেছে। এমন একটি ভিডিওকে আড়াই গুন দ্রুত চালালে দেখা যায় যে তারা সঠিক গতিতেই হাটছে। তার মানে – সুটিং করার সময় তার সঠিক গতীতেই হাটছিল । সেই ভিডিওতে পরে গতি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া লাফিয়ে লাফিয়ে চলার জন্য তার বা দড়ি ব্যাবহার করে হয়েছে বলে অনেকে মনে করে।
চাদে বাতাস নেই, পানি নেই। অর্থাৎ, মেঘ নেই। আকাশ একদম পরিস্কার। সেখানে লক্ষ লক্ষ তারা দেখা যাওয়ার কথা। কিন্তু চাদ থেকে তোলা ছবিতে তেমন কোন তারা দেখা যায়নি।
চা্দের পাথরে “C” লেখা থাকে কিভাবে ?
চাদে যে কবার গেছে – যে কয়টা ভিডিও আছে , প্রায় সব কটাতে একই ব্যাকগ্রাউন্ড। অর্থাৎ একই যায়গা। বার বার তারা কি একই যায়গায় ল্যান্ড করেছিল?
উপরে চিত্র সয় প্রমানগুলির পরে এবার আছে সহজ যুক্তির কথা । কোন কোন দেশ চাদে মানুষ পাঠিয়েছে? উত্তর আমেরিকা, একমাত্র আমেরিকা। আর কেউ কোনদিন পারেনি। আমেরিকা চাদে মানুষ পাঠিয়েছে মোট ছয় বার। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত। এর পরে আর তারা চাদে মানুষ পাঠাতে পারেনি। এখন তো প্রযুক্তি আরো উন্নত। এখন তো আরো সহজে পাঠানোর কথা। কিন্তু তারা পারছে না। আর অন্য দেশ তো কখনোই পারেনি। আসলে এখন চাদে মানুষ পাঠাতে পারে না কারন স্যাটালাইট ও কম্পিউটার এখন সব দেশের কাছে আছে। চাদে পাঠানোর নামে ভুয়া দিলে ধরা খেয়ে যাবে। তখন এগুলো শুধু আমেরিকার কাছেই ছিল। কাজেই ভুয়া দিতে পেরেছে।
চাদে যাওয়ার ঘটনাটা সম্পুর্ন সুটিং করে সিনেমার মতন বানানো হয়েছে। সারা দুনিয়ার লোককে সেগুলো দেখিয়ে বোকা বানানো হয়েছে। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়াকে টেক্কা দেওয়া। কারন মহাশুন্য অভিযানে সেই সময় রাশিয়া এগিয়ে ছিল। রাশিয়াকে পরাজিত করতে আমেরিকা এমন কিছু করে দেখালো যেটা এখনো সম্ভব নয়। চাদে যাওয়ার মতন প্রযুক্তি এখোনো আবিস্কার হয়নি। নাসা পরোক্ষভাবে এটা স্বীকারও করেছে। তারা বলেছে যে তাদের পরিকল্পনা আছে ২০৩৫ সালে চাদে মানুষ পাঠানো।
এত কিছুর পরেও চাদে যাবার এই মিথ্যা ঘটনাটা এমনভাবে প্রচার হয়েছে – এমন ভাবে পাঠ্যবইতে এসে গেছে যে – এটা যে ভুয়া সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখালেও কেউ বিশ্বাস করে না।
বিষয়: বিবিধ
৬৯২৫ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আগের ৩ জনের নাম ছাড়া আর কারও নাম শোনা যায় না বা যদি গিয়েও থাকে তাদেরকেও তো আগের জনদের মত সেলিব্রেটি ট্রিট দেবার কথা । তাহলে ৩ জনের পরিবর্তে এখন আমরা ৩০ জনের নাম জানতাম চাঁদের মানুষ হিসেবে।
এখন তো মহাকাশে গিয়ে কি না কি আউল ফাউল গবেষনা করে আর কত আলোকবর্ষ দূরের গ্রহ আবিষ্কার করতে পারলো - তা নিয়ে কি উচ্ছাস !
বোকা বিশ্ববাসীও কল্পনা করে - যে আমরা সেই গ্রহে গিয়ে বাস করবো !
আরে বোকার দল ! সবচেয়ে কাছের যে চাঁদ সেই খানেই ৪৫ বছর আগে গিয়ে আর কখনও যায় নাই আর তারা স্বপ্ন দেখাচ্ছে হাজার হাজার আলোকবর্ষ দূরের গ্রহে যাবে ?! এভাবেই তারা দুনিয়াবাসীকে প্রতি মুহূর্তেই বোকা বানাচ্ছে ।
আমরা সাধারনত দেখি যে , একবার কোন জিনিস ডিসকভারী হয়ে গেলে সেখানে পরবর্তীতে মানুষের যাতায়াত সহজ থেকে সহজতর হয় , যেমন - এভারেস্ট জয় করা ।
চাঁদের বেলায় দেখছি ব্যাপারটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির এত উতকর্ষতার যুগেও !
############################################################
এটা আমি ফুয়াদ পাশা ভাইয়ের পোস্টেও দিয়েছি ।
সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
তা ছাড়া বেশ কিছু দিন পূর্বে আমেরিকার নিষিদ্ধ এলাকা "এরিয়া ৫১"-এর যে স্থানটিতে শূ্টিং করা হয়েছিল তা ফাঁস হয়ে গেছে। ইউটিউবে এসবের বিস্তর বিশ্লেষণমুলক অডিও ভিডিও এবং ডকুমেন্টারী পাওয়া যায়।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে
মন্তব্য করতে লগইন করুন