বাংলাদেশের ইতিহাসের কলঙ্কময় ঈদ ছিল আওয়ামীলীগের অবদান, কারো খেয়াল আছে?
লিখেছেন লিখেছেন লালসালু ০৯ আগস্ট, ২০১৩, ০২:০১:১৭ রাত
মনে আছে ১৯৯৯ সালের ঈদ উল ফিতরের কথা? সেবার আমি ঢাকায় ঈদ করতে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম ঢাকার ঈদ অনেক মজার। মিরপুরে বসবাসরত ধনী খালাত ভাইয়ের বাসায় উঠেছিলাম। ওনাদের অভ্যাস হল চাঁদ রাতে ঈদের বাজার করে। জামা কাপড় কেনাকাটাও ঐ একই রাতে। সেহেতু প্রাইভেট কার আছে তাই সুবিধা বেশি। ইফতার শেষে সবাই অধীর আগ্রহে ছিল চাঁদ দেখা যাবে কিনা। কিন্তু কেউ চাঁদ দেখল না। সবার নজর তখন বিটিভি ও রেডিও দিকে। রাত দশটা পর্যন্ত চাঁদের খবর নেই। বাংলাদেশের সকল মসজিদের ঐ বছর চাঁদ রাতে তারাবীর নামাজ পড়া হয়েছিল যেহেতু সরকারের তরফ থেকে কোন নিউজ আসেনি। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ ঘুমিয়ে পড়েছিল যাতে সেহেরিতে সময়মত ঘুম ওঠা যায়। রাত দশটা নাগাদ বিটিভি দেশবাসীকে ঈদের খবর দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। যারা ঘুমিয়ে পড়েছে তাদের অনেকে সেহেরি খেতে ওঠেন। সেহেরির সময় কিছু কিছু এলাকায় মসজিদে মাইকিং করে ঈদের খবর জানানো হয়। মসজিদের লোকদের ঈদের জামাতের আয়োজন করতে অনেক কষ্ট হল। অনেক এলাকায় ফজর নামাজ পড়ে মানুষ ঘুমিয়ে পড়েছিল। সকালে উঠে শুনেছে আজ নাকি ঈদ! ঈদের নামাজের আয়োজন কর। অনেকেই জানেন না আজ যে ঈদ। দুপুরে, বিকালে এমনকি ইফতারের পরে অনেকে জেনেছে আজ ঈদ। আমাদের এলাকায় কী হয়েছে জানেন? তাও চট্টগ্রাম শহরের মত স্থানে। চট্টগ্রাম ডবলমুরিং থানার ঈদগা এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে লাঠি মারামারি হয়। এক পক্ষ বলে ঈদ আজ আরেক পক্ষে বলে ঈদ আগামীকাল। এ নিয়ে ফাটাফাটি অবস্থার সৃষ্টি হয়। ঐ বছর বাংলাদেশের অনেক এলাকায় পরদিন ঈদ উল ফিতর পালিত হয়। যারা চাঁদ রাতে শপিং করেন তাদের ঐ বছর অনেক কষ্ট হয়েছিল। আমার সেই খালাত ভাই রাত একটায় গরুর মাংস কিনতে বেরুলেন। মিরপুর এলাকায় রাত এগারটার পর থেকে মাত্র গরু জবাই করা শুরু হয়েছে। মাংস বিক্রেতারাও বিপাকে। ধানমন্ডীতে গাড়ী নিয়ে গেলাম। সেখানে রাত দুইটার সময় এ মানুষের ভীড় হবে তা বুঝতে পারিনি। সব জায়গাতেই হুলস্থুল কারবার।
বিষয়: বিবিধ
২০৬৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন