শতবর্ষে বধিয়াছে এ বিশ্ব লক্ষ-কোটি প্রাণ- অমুসলিম যত বধিয়াছে, ক্ষুদ্রাংশই তার বধিয়াছে মুসলমান!
লিখেছেন লিখেছেন হককথা ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৮:২৩:১২ রাত
সূধী পাঠক, আপনাদের কী মনে আছে কয়েকবসর আগে, ১৯৯০ এর দিকে বসনিয়ায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে খোদ জাতিসংঘসহ বিশ্ব সমাজের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সার্ব অর্থোডক্স খৃষ্টানদের পরিচালিত গণহত্যার কথা? সে ঘটনার বিবরণ বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের বিখ্যাত সাংবাদিক ‘J Simpson’ এর ' A Mad World, My Masters বইটিতে তুলে ধরেছেন।তবে ৪৩৬ পৃষ্ঠার সেই বইটাতে একজন প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকের অভিজ্ঞতা ও তার দেখা ঘটনাপ্রবাহ বর্ণিত হলেও সে সংঘাতের পেছনে সন্ত্রাসী সার্ব খৃষ্টানদের মনস্তাত্বিক ও দার্শনিক দিকটি আলোচিত হয় নি।
সেটা অবশ্য বোধগম্য, কারণ, সিম্পসনের উদ্দেশ্যও ছিলো না সেটা। তবে সে অভাবটি পূরণ করেছেন যুদ্ধকালীন সময়ের বসনীয় মুসলমান প্রেসিডেন্ট Alija Izetbegovic এর 'Inescapable Questions' শিরোনামের আত্বজীবনীমূলক গ্রন্থটি।বইটি ইংরেজিতে অনূবাদ করেছেন 'Saba Rissaluddin এবং Jasmina Izetbegovic' যৌথভাবে।যারা ৫৫০ পৃষ্ঠার বইটি পড়েছেন, তারা জানেন, মরহুম প্রেসিডেন্ট Alija Izetbegovic কী সুগভীর বিশ্লেষণী দৃষ্টিভংগীতে ইতিহাসের এই নৃশংসতম হত্যাকান্ড এবং খৃষ্টবাদী সার্বীয় সন্ত্রাসীদের মনস্তাত্বিক দিকটিকে ব্যাখা করেছেন। বইটি বিশ্বসাহিত্যের এক অনবদ্য দলীল, একজন প্রত্যক্ষদর্শীর তিক্ত অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ বর্ণনায় সমৃদ্ধ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত Wittenberg University এর ফ্যাকাল্টি মেম্বর, বিখ্যাত আমেরিকান গবেষক ও (Keith Doubt) বসনীয় যুদ্ধ ও সেখানে পরিচালিত গণহত্যা নিয়ে ব্যাপক ও বিশদ গবেষণা পরিচালনা করেছেন। এ বিষয়ের উপরে তার বেশ ক'টি গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে এবং সে সবের প্রত্যেকটিই আন্তর্জাতিক মহলের কাছে এক বাক্যে প্রসংশিত হয়েছে। তার কারণ তিনি তার গবেষণায় কোনো রকম পক্ষপাতিত্ব করেন নি, নিরপেক্ষ গবেষক হিসেবে কাজ করার আন্তরিক চেষ্টা করেছেন।
তিনি দেখিয়েছেন যে, সার্বিয়ার অর্থোডক্স চার্চের পাদ্রীরাই খৃষ্টধর্মকে ব্যবহার করে সার্বিয় জনগণকে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। তারা সার্বিয় খৃষ্টান সৈন্যদের নিয়মিত আশীর্বাদ করতে বেরিয়ে যেত এবং পূণ্যলাভের উদ্দেশ্যে মুসলিম জাতির বিরুদ্ধে জাতীগত নির্মূল অভিযান ও গণহত্যা পরিচালনায় উদ্বুদ্ধ করতো। খৃষ্টান পাদ্রীদের কাছ থেকে ধর্মীয় উস্কানী ও ইশ্বরের আশীর্বাদ পেয়ে সার্বীয় খৃষ্টান জনগণ ও সৈন্যবাহিনীর সদস্যরা ইতিহাসের নিকৃষ্ঠতম গণহত্যায় নেমে পড়ে
ওদিকে ১৯৯৪ সালে আফ্রিকান দেশ রুয়ান্ডাতে হুতি ও তুতসি উপজাতিদের মধ্যে সংঘটিত পৈশাচিক জাতিগত দাঙ্গায় ভয়াবহ রক্তপাত ও প্রাণহানী সংঘটিত হয়। উক্ত দাঙ্গায় সাধারণ জনগণকে যারা উস্কে দেয় তারা হলো খৃষ্টধর্মাবলম্বী পাদ্রী। এইসব পাদ্রীরা ধর্মীয় ভাবাবেগকে ভিত্তি করে একটি সম্প্রদায়কে অপর একটি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কে দেয়। কেবল তাই নয়, তারা, তথা এইসব পাদ্রীরা সরাসরি রক্তপাতে অংশও নেয়। হুতু মিলিশিয়া বাহিনীর অগ্রভাবে খৃষ্টের তথাকথিত 'আশির্বাদ'ই কেবল দিয়ে যান নি এই পাদ্রী, তিনি নিজে মিলিশিয়াদের বিভিন্নভাবে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন, পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছেন। নিরাপদ আশ্রয়প্রদানের প্রলোভন দিখেয়ে রুয়ান্ডার রাজধানি Kigali তে হতভাগ্য তুতসি নারী, পুরুষ ও শিশুদের তার নিজের চার্চে এনে জড়ো করেছেন আর শেষে হুতু মিলিশিয়াদের ডেকে এনে ঐ চার্চের ভেতরেই চরম বর্বরতার সাথে তাদের নির্যাতন ও হত্যা করেছেন।
পরে অবশ্য সামরিক আদালতে 'Father Wenceslas Munyeshvaka' নামের এই পাদ্রীর বিচার হয় ধর্ষণ ও গণহত্যার অভিযোগে। ১৯৯৬ সালের ১৬ই নভেম্বর রুয়ান্ডার সামরিক আদালত অভিযুক্ত পাদ্রীর অবর্তমানেই তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে। তবে উক্ত পাদ্রী তার আগেই নিরাপদে ফ্রান্সে পালিয়ে আসেন।
আজ যখন এ লেখা লিখছি, সেই তখনও মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে চলছে মুসলিম নিধন। তাদের বাড়ী থেকে উচ্ছেদ তো করা হয়েছেই, এমনকি শত শত নয়, হাজার হাজার মুসলমানকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে পাশবিক উল্লাসে! যে সব হতভাগ্য মুসলমান বাড়ী ঘর ভিটে মাটি, ব্যবসা বাণিজ্য ফেলে প্রাণটুকু নিয়ে পার্শ্ববর্তি রাষ্ট্র শাদ ও ক্যামেরুন-এ পালিয়ে যেতে পেরেছেন, তারা্ই কেবল বেঁচে গেছেন এই হত্যাযজ্ঞ থেকে। আর যে হতভাগারা পালাতে পারেন নি, তাদেরকে বাড়ী থেকে টেনে টেনে বের করে এনে প্রকাশ্যে কচু কাটা করা হয়েছে, তাদের গা'এ আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এমনকী মুসলমান যুবককে হত্যা করে তার মাংশ পুড়িয়ে শত শত লোকের সামনে বিকৃত উল্লাসে সে মাংশ খাওয়া হয়েছে! সেটা মাত্র গত বসরের; ২০১৪ সালের শেষের দিকের ঘটনা।
গত বসরের ২৯ এ এপ্রিল বার্তা সংস্থা এ্যসোসিয়েটেড প্রেসের বরাত দিয়ে বিশ্ববিখ্যাত পত্রিকা New York Times একটা খবর প্রচার করে। মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র বা সেন্ট্রাল আাফ্রিকান রিপাবলিক নামক এ দেশটিতে ফরাসী ও জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী সৈন্য মোতায়েন থাকা সত্তেও খৃষ্টান সন্ত্রাসীরা মুসলিম যুবক ধরে ধরে তাদের শিরোচ্ছেদ করেছে প্রকাশ্যে। ২০১৪ সালের ২৯শে এপ্রিল পত্রিকাটির ১১তম পৃষ্ঠায় ছোট্ট করে দায়সারাভাবে এ খবরটি ছাপা হয়েছে।
কোনো হেডলাইন হয়নি এ খবর নিয়ে। আর বিশ্বের সব বড় বড় নিউজ পোর্টাল ও মিডিয়াগুলো তো একেবারে বেমালুম তা চেপে গেছে। মুসলিম বিশ্বের গণমাধ্যম? না, তারাও ছাপেনি এ খবর। ২০১৪ সালের ২৯ শে এপ্রিল সব মুসলিম দেশেই টিভি ছিলো, মিডিয়া ছিলো, পত্র পত্রিকাও ছিলো। সে সব পত্রপত্রিকায়, টিভিগুলোতে গরম গরম খবর ছিলো, ইরাকের, লিবিয়ায়, আফগানিস্থানে, সিরিয়ায় 'ইসলামিক টেরোরিষ্ট'রা কতটা সন্ত্রাস করেছে, সেটা। সে সব মিডিয়ায় শাহরুখ কিংবা সালমান খান, হানি শাকের কিংবা লিলি আ'লাউই’দের সচিত্র খবর ছিলো। এতসব খবরের মধ্যে ঠাঁই পায়নি খৃষ্টান টেরোরিষ্টদের হাতে প্রাণ হারানো মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের সেই হতভাগ্য মুসলিম যুবকের করুণ পরিণতির কথা! বিশ্বও জানতে পারেনি তা।
বিশ্বব্যাপী মিডিয়া এ সময়ে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরেছে বিপরিত চিত্র। তারা বরং খৃষ্টানসহ অনান্য ধর্মাবলম্বীদের ভিকটিম হিসেবে দেখিয়েছে আর মুসলমানদের দেখিয়েছে আক্রমণকারী সন্ত্রাসী হিসেবে!
এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত ভিত্তিক একটি গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আমেরিকার এক ইতিহাসবীদ, শিক্ষা, মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক Juan Cole বিস্তারিত গবেষণা করেছেন। তার গবেষণাটা বিভিন্ন দিক বিচারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেখানে তথ্য প্রমাণের বিস্তর উপস্থিতি রয়েছে।
Juan Cole এর গবেষণা থেকে কিছু বিষয় উঠে আসে, যা খুবই চিত্তাকর্ষক ও গুরুত্বপূর্ণ। মুসলিম তরুণ যুবক এবং চিন্তাশীল ব্যক্তিদের এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা দরকার। জানা দরকার এ কারণে যে, আমাদের মুসলিম সমাজেও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, তথাকথিত প্রগতিশীল নামধারী লক্ষ লক্ষ যুবক দেশী-বিদেশী ইসলাম বিদ্বেষী মহলের কুশলী প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে ভাবে, সত্যিই বোধ হয় মুসলমা্নরাই বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আর এর একমাত্র কারণ হলো ইসলাম সন্ত্রাসবাদ উস্কে দেয়, শিক্ষা দেয় ও সন্ত্রাসের পেছনে নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে।
অথচ বিষ্ময়কর বিষয় হলো, Juan Cole তার গবেষণার সারসংক্ষেপ হিসেবে এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন যে, বিশ্বে বিগত বিংশ শতাব্দীতে মুসলমান ধর্মাবলম্বী সন্ত্রাসীদের হাতে দুই মিলিয়ন বা কুড়ি লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশীরভাগই হলো ইরান ইরাক যুদ্ধে।
আর এর বিপরিতে খৃষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বী সন্ত্রাসীদের দ্বারা একশত মিলিয়ন তথা দশ কোটি মানুষ নিহত হয়েছে।
তার মানে হলো; বিগত বিংশ শতাব্দীতে, সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে বিশ্বে মোট দশ কোটি কুড়ি লক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে। এ বিরাট সংখক হতভাগা মানুষদের মধ্যে হিন্দু-খৃষ্টান-ইহুদি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে দশ কোটি। আর মুসলিম সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে কুড়ি লক্ষ প্রাণ।
এর অর্থ হলো বিশ্বে যত সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হয়েছে এবং যত মানুষ নিহত হয়েছে, তার মধ্যে শতকরা মাত্র দুই ভাগ মুসলমানদের বা ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। আর বাঁকি শতকরা ৯৮ ভাগই সংঘটিত হয়েছে অমুসলিম সন্ত্রাসীদের দ্বারা!
এই যখন বাস্তবতা, তখন সেই মুসলমানদেরকেই সন্ত্রাসী, তাদের ধর্মবিশ্বাসকেই সন্ত্রাসী দর্শন, ধর্ম হিসেবে দেখানো হচ্ছে! অপরদিকে যারা মুসলমান নামধারী সন্ত্রাসীদের চেয়ে পঞ্চাশগুণ বেশী সন্ত্রাস করেছে, পঞ্চাশগুণ বেশী মানুষ হত্যা করেছে, সেই তারাই হলো শান্তিকামী!
এই যে তথ্যসন্ত্রাস, এর মোকাবেলায় মুসলমানরা কী করছে? তাদের বুদ্ধিজীবি, তাদের লেখক-সাহিত্যিক-সাংবাদিক, পন্ডিতব্যক্তিরা কী করছেন? কী করছে মুসলমানদের হাতে থাকা গণমাধ্যম ও মিডিয়া গুলো? কী করছে মুসলিম যুবক তরুণরা?
বাস্তবতা হলো, মুসলিম মিডিয়াগুলো ব্যস্ত আছে পশ্চিমা দর্শন ও অপপ্রচার মুসলিম সমাজে ছড়িয়ে আপামর মুসলিম জনগণকে বিভ্রান্ত করতে! আর মুসলিম তরুণ-যুবা সম্প্রদায় ব্যস্ত পশ্চিমা পপ, রকের তালে তালে ভ্যালেন্টাইন উদযাপনে। এদের চেতনা এতটাই বিবশ যে, শত পদাঘাতেও এদের আত্বমর্যাদা জাগ্রত হয় না! শত অপমানও এদের গা'এ লাগে না। অথচ এরা ভুলেই গেছে যে, ইতিহাসের দায় মেটাতে না পারলে সে প্রতিশোধ নেয়।
আর ইতিহাসের প্রতিশোধ বড়ই নির্মম! কেবল নির্মমই না, ইতিহাসের প্রতিশোধ বড় লজ্জারও বটে!
বিষয়: বিবিধ
১৯৬৮ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
২। আপনি অনেক সাধ্য সাধনা করে যে তথ্য ও উপাত্ত ও বিশ্লেষন হাজির করছেন - আমার কাছে তার চেয়ে আরো বেশী কষ্টকর আরো বেশী দমবন্ধ করা আরো বেশী বর্তমান বলে মনে হয় এটা যে ১৪,০০,০০০ (চৌদ্দ লক্ষ)নরস্ত্র ইরাকিকে(মুসলিমকে) আমেরিকা তেল ডাকাতি করার জন্য আর বিভিন্ন রকম যুদ্ধাস্ত্র টেস্ট করার নিমিত্তে হত্যা করেছে ২০০৩ হতে ২০১০ এর মধ্যে। আর ধর্ষনের মহৌষৎসব চালিয়েছে তারা ইরাকের পূর্ব হতে পশ্চিমে। লক্ষলক্ষ মানুষকে করেছে হতাহত।
আল্লাহ অসহায়ভাবে হত্যার শিকার এসব ভাইবোন ও শিশুকে বেহেস্ত নসিব করুক - এটাই প্রার্থনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
গত চোদ্দশত বছরে একটিও প্রমান নাই যেখানে মুসলিমরা কোন গনহত্যা চালিয়েছে। এমনকি ইসলামের সামান্যতম অনুসুরন করতেন না এমন মুসলিম নামধারি শাসকদেরও এই ধরনের কোন অপরাধে যুক্ত হওয়ার অভিযোগ নাই। যেখানে ঈশ্বরে অবিশ্বাসি হিটলার ও ষ্টালিন এর বিরুদ্ধে ৩-৫ মিলিয়ন মানুষ হত্যার নিম্চিত প্রমান আছে।
Click this link
তাহলে আপনি কি মনে করেন যে এসময়ের সুশিক্ষিত মুসলিম তরুণ'রা সবাই আপনার মত কোরাণ-হাদীসে মাথা গুজে বোকোহারাম, আইসিস, আলকায়দায় নাম লিখবে? এই আজও একদিনে- মিশর, নাইজেরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক এ ইসলামের ইতরামীর কারনে ১০৬ জন নিরাপরাধ মানুষের প্রান কেড়ে নিয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন