৬৫ বছরে আওয়ামী লীগের কতটুকু অবদান জাতির জীবনে।
লিখেছেন লিখেছেন মহিউডীন ২৪ জুন, ২০১৪, ০৩:০৫:৪৭ দুপুর
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে সোমবার পায়রা উড়িয়ে আওয়ামি লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি উদ্বোধন করেছেন দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিগত ৬৫ বছরে আওয়ামী লীগের অর্জন অনেক। আওয়ামী লীগ এ অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেয়। এই অর্জনের ওপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ গঠিত হয়েছে।বিকাল সাড়ে ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনের সামনে থেকে গণর্যা লি শুরু হয়ে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনে গিয়ে শেষ হয়। নেতাকর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে এতে নেচে গেয়ে আনন্দ করেন। বাদক দলের বাজনা, ঢুলির ঢোলের বাদ্য আর বড় স্পিকারে বাজছিল আওয়ামী লীগের গণসংগীত। র্যাালিতে নারী ও শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকার প্রায় সবগুলো থানা ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল আনন্দ শোভাযাত্রা এসে মিলিত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। ‘শুভ শুভ শুভ দিন, আওয়ামী লীগের জন্মদিন’, ‘শেখ হাসিনার জন্য বাংলাদেশ ধন্য’, ‘আওয়ামী লীগ পারে আওয়ামী লীগই পারবে’ এরকম অসংখ্য স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে রাজধানী ঢাকার শাহবাগমুখী প্রধান সড়কগুলো। বর্ণিল প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন আর ব্যানার নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দলবেঁধে রাস্তায় নামার ফলে পুরো নগরীতেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। অফিস শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।বড় দু'টি দল যে যখন ক্ষমতায় থাকে তারা এ দিনগুলো যার যার মত পালন করে।এগুলো নিতান্তই তাদের দলের সাংগঠনিক ব্যাপার। তবে কতসংখ্যক জনগন বাস্তবতার নিরিখে এই দলগুলোর কাজের সাথে এখন একমত আমার জানা নেই।জনমত জরিফ করলে এর একটা % আমরা দেখতে পাই।আবার জনমত জরিফকেও অনেক সময় আমরা নির্ভর করতে পারিনা তাদের একচোখা নীতির কারনে।অধিকাংশ জনমতগুলো এমন-ধরুন কোন একজন মানি্ুষের একপা যদি আগুনের মধ্যে ও অন্য পা যদি বরফে থাকে তাহলে এভারেজ জরিফ করে বলা যায় মানুষটির অবস্হা ভালই আছে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্হা আমার কাছে এমনই মনে হয়।
আমরা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামিলীগের ত্যাগি নেতাদেরও ক্ষোভ দেখেছি।দুই নেত্রীর কারাভোগের সময় অনেকে দলে সংস্কার আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তবে তারা পরবর্তীকালে কোনঠাসা হয়ে তাদের রাজনৈতিক ইমেজ হারিয়েছিলেন বলা যায়।আবার অনেকে চাটুকারিতার কারনে পুনর্বাসিতও হয়েছেন।তবে এখনো অনেক নেতা দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও ছাত্রসংগঠনের লাগাতার নৈরাজ্যের ব্যাপারে মিডিয়াতে কথা বলছেন।কিন্তু দলের পক্ষ থেকে এর কার্যকারিতা তেমন লক্ষ করা যাচ্ছে না। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী যাকে “গণতন্ত্রের মানসপুত্র” বলা হয় তার ছেলে রাশেদ সোহরাওয়ার্দী লন্ডনে এখন স্হায়ীভাবে আবাস গড়েছেন,যিনি এখনো আওয়ামিলীগের সমর্থক। গত ১৩ই জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর জন্য আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর বক্তব্যই ছিল সবচেয়ে তীব্র এবং সমালোচনামূলক। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি কমিটির আয়োজিত ওই সভায় তিনি আেক্ষপ করে বলেন যে আওয়ামী লীগে তাঁর বাবার কথা এখন আর কেউ উচ্চারণ করেন না। যে চার মূলনীতি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদের ওপর দলটি প্রতিষ্ঠিত, তাঁর বাবা বেঁচে থাকলে সেই নীতিগুলোর প্রতি তিনি অবিচল থাকতেন। তিনি আরো বলেন, ‘কার্যকর বিরোধী দলহীন নির্বাচন’ গণতন্ত্রের পরিপন্থী এবং বাংলাদেশ এখন সে রকম এক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। তাঁর মতে, দ্রুত বিরোধী দলকে নিয়ে নির্বাচন করা না হলে বাংলাদেশ আবারও ১৯৭৪-এর মতো একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশালের রূপ নেবে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজীবন আওয়ামী লীগ করি, কিন্তু বাকশালকে তখন যেমন সমর্থন করিনি, এখনো তেমনি একদলীয় ব্যবস্থা প্রত্যাশা করি না।’
আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে দলের যে জন্ম-ইতিহাস লেখা আছে, সেই বিবরণীতে বলা হয়েছে, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারীরা ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে সম্মিলিত হয়ে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন, যার নামকরণ করা হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। মওলানা আবদুল হামিদ খানকে দলের সভাপতি ও শামসুল হককে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমান হন দলের যুগ্ম সম্পাদক। ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি অনুসরণের প্রক্রিয়ায় পরে দলের নাম থেকে মুসলিম কথাটি বাদ দেওয়া হয়। যাঁর আদর্শের অনুসারীরা এই দল গঠন করলেন, তিনি কিন্তু তখন দলের নেতৃত্বে ছিলেন না। যদিও পরে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবেই তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। বৈরুতে তাঁর রহস্যজনক মৃত্যু না হলে দলের ওপর তাঁর প্রভাব হয়তো আরও বিস্তৃত হতো।
আওয়ামী লীগের আদর্শিক গুরু সোহরাওয়ার্দীর নির্দেশিত গণতান্ত্রিক চেতনার অবক্ষয়ে তাঁর পুত্রের আক্ষেপের হয়তো তেমন একটা গুরুত্ব নেই। কারণ, তিনি লন্ডন–প্রবাসী এবং দেশে দলীয় কার্যক্রমে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই, যেমনটি আছে নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের। সম্ভবত সে কারণেই জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কণ্ঠে শোনা যায়, ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছে এই ওসমান পরিবারে। এখানে দল গঠন থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি হয়েছে। রাজনীতির নীতি-আদর্শ নিয়ে চলতেন জোহা কাকা। এই পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল সব সময়। যদি তাদের প্রয়োজন হয়, দেখাশোনা করব’ (সমকাল, ৪ জুন, ২০১৪)। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে ওসমান পরিবারের ক্ষমতার মাহাত্ম্য টের পাওয়া যায়। নারায়ণগঞ্জের সাম্প্রতিক সাত খুনের ঘটনায় এই পরিবারকে ঘিরে আবারও বিতর্ক তৈরি হওয়ার পটভূমিতেই জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর এই সাফাই। রাশেদ সোহরাওয়ার্দীর আেক্ষপ আর ওসমান পরিবারের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সমর্থন—এ দুই মন্তব্যের দৃশ্যমান বৈপরিত্য নিঃসন্দেহে একটি ভাবনার বিষয়।
আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা আন্দোলনের দল এবং তার অর্জনও অনেক। কিন্তু শুধু অতীতের অর্জন আর ঐতিহ্যের ওপর
ভর করে একটি দল যে কোনো দেশের শাসনব্যবস্থায় অনন্তকাল ধরে তার নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারে না, তার সাম্প্রতিকতম নজির হচ্ছে ভারত। ভারতের স্বাধীনতা এনেছে যে রাজনৈতিক দল, সেই কংগ্রেসের ভরাডুবির কারণগুলো খতিয়ে দেখলে তা থেকে বাংলাদেশেরও অনেক কিছু শেখার আছে। দেশটিতে এই প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহ্য ও কৃতিত্বের রাজনৈতিক পুঁজি ভোটের বাজারে কোনো কাজে আসেনি। স্বাধীনতার চেতনার সঙ্গে অঙ্গািঙ্গভাবে মিশে থাকা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে কোনো দল যদি কতিপয় ব্যক্তি, পরিবার ও গোষ্ঠীর স্বার্থের নিগড়ে বন্দী থাকে, তাহলে সেই দলের বিকাশ রুদ্ধ হতে বাধ্য। তাই আওয়ামী লীগেরও সম্ভবত এখন প্রয়োজন আত্মবিশ্লেষণ, তাদের ৬৫ বছরের ইতিহাসের নৈর্ব্যক্তিক পর্যালোচনা। সেকাল ও একালের আওয়ামী লীগের ফারাকগুলো, আদর্শ ও মূল্যবোধ এবং নেতৃত্বের গুণগত দিকের ক্ষেত্রে—এই সবকিছুরই বস্তুনিষ্ঠ মূল্যায়ন প্রয়োজন।আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও দলের মূল্যায়নকে অনেকেই দুই ভাগে ভাগ করে থাকেন। একটি হচ্ছে ’৭৫-পূর্ব আওয়ামী লীগ আর অপরটি ’৭৮-উত্তর। স্বাধীনতাযুদ্ধের ভূমিকা দলের ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে ঠিকই, কিন্তু শুধু সেই অর্জনই কি দলের একমাত্র পাথেয় হয়ে থাকতে পারে? ’৭৫-এ বাকশাল গঠনের সময় আওয়ামী লীগের বিলুপ্তিকে অনেকে একটি অধ্যায়ের অবসান হিসেবে গণ্য করার যে দাবি করে থাকেন, তা বিবেচনায় না নিলেও যে সত্যটি অনস্বীকার্য তা হলো, আওয়ামী লীগ বলতে এখন যা বোঝায়, সেই রাজনীতির রূপকার হলেন শেখ হাসিনা। তিনি একটানা প্রায় ৩৩ বছর দলের সভানেত্রী, যেটি বৈশ্বিক পরিসরেও যেকোনো রাজনীতিকের জন্য একটি রেকর্ড বলে গণ্য হবে। সুতরাং দল হিসেবে একালের আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক অথবা অংশগ্রহণমূলক কিংবা নির্দেশনামূলক যাই হোক, তার দায় বা কৃতিত্ব শেখ হাসিনার। দল যদি গুটিকয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থের রক্ষক হয়ে থাকে কিংবা সুবিধাবাদ ও পেশিশক্তির পূজাির হয়ে থাকে, সেই দায়ও শেখ হাসিনারই। দলের অভ্যন্তরে বিকল্প নেতৃত্বের উন্মেষ অথবা গণতন্ত্র চর্চার উদ্যোগ কোনোটিই যে সুখকর হয়নি, তার নজিরও অগণিত। দলের অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক সংস্কারের প্রস্তাব করে নাকাল হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের হয় দল ছাড়তে হয়েছে, নয়তো পরিণতি হয়েছে নেত্রীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ।
দলীয় নেতৃত্বের ৩৩ বছরের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকার পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন ১২ বছরেরও বেশি। সরকার পরিচালনায় তাঁর অনেক অর্জনও হয়তো আছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিদ্রোহের অবসান তার মধ্যে নিঃসন্দেহে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকারও হতে পারত সে রকম আরেকটি অর্জন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে যা রাজনৈতিকীকরণের দূষণে অনেকটাই বিতর্কিত হয়ে পড়েছে। তবে, তাঁর অন্য সব অর্জনই ম্লান হতে চলেছে যে কারণে, তা হলো ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার বেপরোয়া চেষ্টা৷ রাশেদ সোহরাওয়ার্দী বর্ণিত ‘গণতন্ত্রের পরিপন্থী কার্যকর বিরোধী দলহীন নির্বাচন’।৫ই জানুয়ারি ভোটারদের বঞ্চিত করে প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনকে বৈধ বলে যাঁরা আত্মতৃপ্তি পাচ্ছেন, তাঁরা বিস্মৃত হচ্ছেন যে অতীতে একাধিকবার সামরিক শাসনও আদালতের অনুমোদন পেয়েছে। সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা এবং আইনগত বৈধতার পাশাপাশি গণমানুষের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা কোনো অংশেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করার দায় দেশের প্রাচীনতম এই দলটির কাঁধে চাপিয়ে দেওয়ার অপবাদ চিরস্থায়ী হওয়ার বিষয়টি এখন শেখ হাসিনার জন্য প্রায় অবধারিত। প্রশ্ন হচ্ছে, এই ক্ষত কি তিনি আরও বিস্তৃত হতে দেবেন, নাকি তা দ্রুত সারিয়ে তুলতে বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজবেন?১৩ জুনের ওই সভায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ব্রিটিশ এমইপি চার্লস ট্যানক বলেছিলেন, বাংলাদেশ থেকে কোনো খবর যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে না, সেটাই ভালো খবর। রানা প্লাজা ধস এবং রাজনৈতিক সহিংসতার মতো নানা ধরনের বীভৎসতার খবর শুনে অভ্যস্ত চার্লস ট্যানকের মতো রাজনীতিকেরা চান না যে বাংলাদেশ থেকে আবারও কোনো রাজনৈতিক সহিংসতা সংবাদে উঠে আসুক। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিবের বৈঠকেও তাই রাজনৈতিক সংলাপের কথা এসেছে। কিন্তু জাতিসংঘে বাংলাদেশ প্রতিনিধির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাঁকে বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন সবাই মেনে নিয়েছে এবং বর্তমান সরকারের মেয়াদ শেষে পাঁচ বছর পর সংলাপ হবে। রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যে যদি প্রধানমন্ত্রীর মনোভাবের প্রতিফলন ঘটে থাকে, তাহলে তাকে দুর্ভাগ্যজনকই বলতে হবে। এই দুর্ভাগ্য যেমন দেশের, তেমনি তা আওয়ামী লীগেরও।
৫ই জানুয়ারির আগের নির্বাচনে আওয়ামিলীগকে জনগন নিরন্কুশ ভোটে নির্বাচিত করার কারন ছিল বিএনপির অরাজকতা ও রাজনৈতিক ধস।কিন্তু প্রশ্ন হলো গত ৫ বছরে আওয়ামিলীগ আপামর জনগনের আশা আকাংখার কতটুকু বাস্তব প্রতিফলন ঘটিয়েছেন? আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন করার মানুষিকতা কোন দলের তৈরি হয়েছে কি? অতীতে কেউ ভাল না করলে পরবর্তিতে যারা আসবে তাদের কি উচিত নয় সব ধরনের সংস্কার নিয়ে আসা? এদেশের জনগন তা দেখতে পায় নি আজো বরং দেশের সর্বত্র দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে।রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবকাঠামো এত দুর্বল, এত দুর্নীতিগ্রস্ত যে তা থেকে কাটিয়ে উঠা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।ব্যাংকিং খাতের দক্ষতা বৃদ্ধির কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেটে। কিন্তু ব্যাংক খাতে নৈরাজ্য চলছে। দুর্নীতি সর্বত্র ছেয়ে গেছে। ব্যাংক খাত আজ তছনছ হয়ে ভেঙে পড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, যাদের দায়িত্ব ব্যাংক খাত তদারক করা, তারা আজ দুর্নীতিতে ডুবে আছে। একশ্রেণির কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে পড়ার কারণে কারোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সোনালী ব্যাংকে লুটপাট হয়েছে। জনতা ব্যাংকে লুটপাট হয়েছে। বেসিক ব্যাংককে ধ্বংস করা হয়েছে। সোনালী, জনতা, বেসিকে এত লুটপাট হওয়ার পরও দেখার কেউ নেই।সোনালী ব্যাংকে লুটপাট হওয়ার পর অর্থমন্ত্রী সার্টিফিকেট দিলেন যে পরিচালনা পর্ষদ এর সঙ্গে যুক্ত নয়। ব্যাংক খাত থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হলো, কারোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। পুঁজিবাজারে ধস নামল। কারা করল? লুটপাটের জন্য কাউকে আটকানো হলো না। কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না। খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে পুঁজিবাজার ধসের কারণ উদ্ঘাটনে কমিটি যে সুপারিশ করল, সেই রিপোর্টের কী হলো? তা জাতি জানতে পারে নি।
আওয়ামিলীগের বুদ্ধিজীবি ও কলাম লেখক আব্দুল গাফফার চৌধুরি লিখেছেন তাঁর এক কলামে "বোকার ফসল যেমন পোকায় খায়, তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের সব উপার্জনও দলের ভেতর গড়ে ওঠা এক শ্রেণির মন্ত্রী, এমপি ও নেতার মাফিয়াতন্ত্রের হাতে লুট হয়ে যাচ্ছে। পরিবারতন্ত্রের সঙ্গে মাফিয়াতন্ত্রের যোগ হলে যে সর্বনাশ হয়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সেই যোগ ঘটায় দেশটি এত উন্নয়ন সত্ত্বেও আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে এগোতে পারছে না। একটি অসাধু ও অদক্ষ আমলাতন্ত্র দেশটির ঘাড়ে চেপে বসেছে। দেশের সবচেয়ে প্রিভিলেজ্ড্ শ্রেণি সেনাবাহিনী। তাদের আর প্রত্যক্ষভাবে দেশ শাসনের দরকার নেই। কারণ পলিটিক্যাল কালচারের চেয়ে সামরিক কালচারের প্রাধান্যই এখন দেশের প্রশাসনে বেশি দেখা যায়। এই প্রাধান্য রক্ষায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এই দুই দলই সমান তৎপর।"
তবে আমরা অনেকে ভেবেছিলাম আওয়ামী লীগের এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আশা করা হয়েছিল, দলটি আত্মসমালোচক হবে, আত্মবিশ্লেষণ করবে। নিজেদের দোষত্রুটিগুলো খুঁজে বের করবে এবং তা সংশোধনের জন্য বলিষ্ঠ কার্যক্রম গ্রহণ করবে।আমাদের অনেকের এই আশা পূর্ণ হয়নি। বরং প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভাগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকারের বড় বড় সাফল্য ও জননেত্রীর যত বন্দনা গাওয়া হয়েছে, তাতে মনে হয় দলের শীর্ষ নেতারাও তাঁদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে সম্যক অবহিত নন,সচেতন তো ননই।
সবচেয়ে আশংকার ব্যাপার হলো রাজনৈতিক দুর্বিত্ত দিন দিন বেড়েই চলছে।দেশের আর্থিক কাঠামো ভেংগে পড়ছে।দেশ থেকে যেমন মেধাবি তরুনরা চলে যাচ্ছে তেমনি পাছার হচ্ছে অর্থ। সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের গচ্ছিত টাকার পরিমাণ প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। ২০১২ সালে যা ছিল ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা, ২০১৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ২৩৬ কোটি। ওদিকে বাংলাদেশী ধনাঢ্য শ্রেণীর টাকা যে শুধু সুইস ব্যাংকেই পাচার হয়ে যাচ্ছে, তা নয়,ব্রিটেন, হংকং, সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের ব্যাংকেও ক্রমাগত পাচার হচ্ছে টাকা। কানাডার বেগমপাড়া, মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রজেক্টসহ বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় বিলাসী সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন অনেকেই।
এই যে কাঁড়ি কাঁড়ি, রাশি রাশি টাকা- এসব আসে কোত্থেকে, এ এক প্রশ্ন বটে। গার্মেন্ট মালিকদের টাকার রহস্য না হয় বোধগম্য। কার্ল মার্কসের ‘উদ্বৃত্ত মূল্য তত্ত্বে’ এর ব্যাখ্যা রয়েছে। একজন পুঁজিপতি ১০০ টাকায় যে পণ্য বিক্রি করছেন, তা উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে কত? কাঁচামাল ১০ টাকা, মেশিনারিজ খরচ ১০ টাকা আর শ্রমিককে দিয়েছেন ১০ টাকা। অর্থাৎ ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের পণ্যে তিনি লাভ করেছেন ৭০ টাকা। এই অস্বাভাবিক লাভ তার হতো না, যদি তিনি শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি দিতেন। তিনি আসলে শ্রম শোষণ করেই টাকার মালিক হয়েছেন। শ্রমিকের ন্যায্য ৬০ টাকা তাকে বুঝিয়ে দিলে তার লাভ থাকত ২০ টাকা এবং সেটাই হতো ন্যায়সঙ্গত। অনেক গার্মেন্ট মালিক এই ন্যায়সঙ্গত কাজটি না করে তাদের শ্রমিক শ্রেণীকে বস্তিতে ঠেলে দিয়ে কানাডার বেগমপাড়ায় গড়ে তুলছেন প্রাসাদ।
এখন কথা হচ্ছে, টাকা পাচারকারী ব্যবসায়ীদের মধ্যে সবাই তো আর এই শ্রেণীর গার্মেন্ট মালিক নন। তারা কারা এবং তাদের বিপুলাকার টাকার উৎস কী? তারা আসলে একক সত্তার ব্যবসায়ী নন। তাদের সত্তার সঙ্গে লেপ্টে আছে রাজনীতিক ও আমলার সত্তা। ত্রি-চক্রের এই সিন্ডিকেট দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসার কমিশনবাজি করে থাকে। মজুদদারির মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে ফাঁকি ইত্যাদি তো আছেই। আবার রাজনীতিক ও আমলাদের টাকা বানানোর মেশিনটি অপারেট করা সবচেয়ে সহজ। শুধু নিয়োগ বাণিজ্যেই তারা যা বাগাতে পারেন, তা দিয়ে আলাদা একটি ব্যাংকে বিগ সাইজের অ্যাকাউন্ট নির্বাহ করা যায়। বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত টাকার যে খবর আমরা পাই কিংবা বিত্তশালীদের যে চাকচিক্যময় বাহারি জীবন দেখতে পাই-সেগুলোর অন্তত ৯০ শতাংশের পেছনে রয়েছে কোনো না কোনো ফর্মের দুর্নীতি।
২০০২ সাল থেকে অর্থ পাচার রোধে বিশ্বব্যাপী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ব্যাপকভাবে কার্যকর হয়। তখন থেকে সুইস ব্যাংক তাদের কাছে গচ্ছিত পাচার করা অর্থের দায় বহনে অস্বীকৃতি জানিয়ে গ্রাহকদের ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রকাশ করে চলেছে। সুইস ব্যাংক গ্রাহকদের ব্যাংক-হিসাব প্রকাশ করার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা রীতির সংস্কার করেছে। ভবিষ্যতে হয়তো এই ব্যাংকে টাকা রাখার পূর্বশর্ত হিসেবে সেই টাকার বৈধতা নিশ্চিত করার সংস্কারও করবে তারা। কিন্তু এ দেশের দুর্নীতিবাজদের মানসিকতার সংস্কার কবে হবে, তা অনিশ্চিত। তবে এটুকু অন্তত বুঝতে পারি, নিছক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা দ্বারা এ সংস্কার অসম্ভব। অর্থের প্রতি মোহ এক বড় কঠিন অসুখ। একটা বিষয় আমার কাছে এখনও রহস্যময়। বুড়োদের শারীরিক অসুস্থতা হয়, তা হতে পারে অবশ্যই। কিন্তু অর্থলোভের অসুখ কেন হয়? যৌবনে, এমনকি মধ্যবয়সেও অর্থের প্রতি মোহ থাকার একটা যুক্তি থাকতে পারে; উপভোগ করার মতো সময় পড়ে আছে তাদের সামনে। কিন্তু ইংরেজিতে যাকে বলে ‘ওয়ান লেগ ইন দ্য গ্রেভ’- তারা কেন অর্থ-সম্পদের জন্য এত লালায়িত হয়ে থাকে? শেষ বয়সে মির্জা গোলাম হাফিজের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল, তখন এক কলাম লিখক লিখেছিলেন- তিনি চোখে দেখেন না, কানেও শোনেন না, পারেন শুধু টাকা গুনতে। বুড়ো হাবড়া মন্ত্রী-এমপিদের বেশিরভাগেরই যথেষ্ট অর্থ-সম্পদ রয়েছে। কিন্তু তাতে তাদের চলে না। বড়জোর দু’চার-পাঁচ বছর বাঁচবেন জেনেও নতুন টাকার গন্ধ তাদের খুব পছন্দ। সেই টাকা কী কাজে লাগবে, আল্লাহ মালুম। সন্তান-সন্ততিরা ভোগ করবে? মরণকালে সন্তানদের জন্য জীবনাদর্শ না রেখে, রেখে যাবে দুর্নীতির টাকা? তবে যেসব প্রবীণ ব্যবসায়ী দুর্নীতিমুক্ত অবস্থায় নতুন নতুন ভেঞ্চার ও প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে চলেছেন, তাদের ভোগ-বিলাসের ব্যাপারে কোনো কমপ্লেইন নেই এই লেখকের। বরং তারা শ্রদ্ধার পাত্রই।
এ এক ভয়াবহ বৈষম্যমূলক সমাজে বাস করছি আমরা। এখানে একটি শ্রেণী উড়োজাহাজের বিজনেস ক্লাসে লন্ডন-প্যারিস-জেনেভা ঘুরে বেড়াচ্ছে আর জয়পুরহাটের মর্জিনা বিবিরা কিডনি বিক্রি করে আহার জোগাচ্ছেন। এর নাম সিভিলাইজেশন! তবে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডিটা বুঝি এই যে, সাধারণভাবে দেশের দরিদ্র-শোষিত শ্রেণীটি কারও বিরুদ্ধে কোনো কমপ্লেইন করে না। বরং দরিদ্র বেকার যুবক কবিতা আওড়ায়- দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান! আর মর্জিনা বিবিরা বলেন, হাতের পাঁচ আঙুল কি সমান? ধনী-গরিব তো আল্লাহই বানিয়েছে। এই সৎ মানুষগুলোকে পূঁজি করে যারা দেশ শাসন ও শোষন করছেন তাদের শেষ পরিনতি কি তা দেখার অপেক্ষায় আমরা সবাই।কার্ল মার্কস শ্রেণীহীন, বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজের আউটলাইন দিয়েছিলেন। সেই আউটলাইন নিয়ে বিতর্ক আছে প্রচুর। কিন্তু শ্রেণী-বৈষম্য ও শ্রমশোষণের যে কারণগুলো দেখিয়েছেন তিনি, সেগুলোর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কঠিন। মানবেতিহাসের বর্তমান পর্যায়ে এসে আমরা নিশ্চিত হয়ে গেছি যে, শুধুই গণতন্ত্র দিয়ে এই কারণগুলো দূর করা সম্ভব নয়। যদি তা সম্ভব হতো, তাহলে দীর্ঘ ৬৭ বছর গণতন্ত্র চর্চার পর ভারতে শ্রেণী-বৈষম্য এতটা প্রকট থাকত না। এটা একটা প্যারাডক্স বটে, মার্কস নির্দেশিত কমিউনিস্ট সমাজে শ্রেণী-বৈষম্য দূর হলেও সেখানে থাকবে না গণতন্ত্র আর পুঁজিবাদী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণতন্ত্র থাকলেও দূর হবে না বৈষম্য। এমনকি ইউরোপের পুঁজিবাদী দেশগুলো ওয়েলফেয়ার স্টেটের রূপ ধারণ করলেও সেখানে শ্রেণী-বৈষম্যের মূলোৎপাটন করা সম্ভব হয়নি।
আসলে আমাদের মতো একটি অনগ্রসর পুঁজিবাদী সমাজে দারিদ্র্যের মাত্রা ও ধনিক শ্রেণীর লুটপাট কমিয়ে আনতে প্রয়োজন অর্থনীতির ব্যাপক সংস্কার। বস্তুত পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের আইনগুলোই এমনভাবে তৈরি করা হয় যে, সেগুলো এমন এক মাকড়শার জাল সৃষ্টি করে, যেখানে দরিদ্ররা কীট-পতঙ্গের মতো আটকা পড়ে। এই আইনগুলোর পরিবর্তন ছাড়া অর্থনীতির সংস্কার সম্ভব নয়। আমরা নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার প্রশ্নে অস্থির হয়ে আছি, মানুষ ভোটাধিকার ঠিকমতো প্রয়োগ করতে পারল কি-না, তা নিয়ে হুলস্থূল বাধিয়ে ফেলছি। যে নির্বাচন নির্বাচকমণ্ডলীর দারিদ্র্য ঘোচাতে ব্যর্থ হয়, সেই নির্বাচনের মাহাত্ম্য কী? তার চেয়ে অর্থনীতির সংস্কারের এজেন্ডাই কি প্রাইম কনসিডারেশন হতে পারে না? যদি হতে পারে, তাহলে এই সংস্কার এমনভাবে হতে হবে যে, কর্মক্ষমতা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে কেউ বিলিওনিয়ার-ট্রিলিওনিয়ার হতে পারলেও অসুবিধা নেই; কিন্তু দুর্নীতি করে কেউ যেন লাখ টাকারও মালিক হতে না পারে।বিল গেটসের অজস্র টাকার ব্যাপারে আমেরিকানদের কোনো অভিযোগ নেই, ঈর্ষা নেই, এমনকি মাথাব্যথাও নেই। কারণ তার টাকা সৃজনশীলতার টাকা। দ্বিতীয়ত, একজন গড় আমেরিকান তার যাপিত জীবনে কোনো কষ্ট ভোগ করে না। তাই তাদের মেজাজও ঠাণ্ডা। কিন্তু এ দেশের মর্জিনারা তাদের নিয়তি মেনে নিলেও আমরা যারা শিক্ষিত দরিদ্র, দারিদ্র্য তাদের মেজাজ খিটখিটে করে রেখেছে। আমরা খিটখিট করবই। আমাদের সৌন্দর্যচেতনাও নষ্ট হয়ে গেছে। পৃথিবীর সবকিছুই আমরা অসুন্দর দেখি। দুর্নীতিবাজদের রকমারি ফ্যাশনেবল জীবনও আমাদের কুশ্রী লাগে। এটা কি অসুখ? যদি তা-ই হয়, তাহলে সুইস ব্যাংকের টাকাগুলো ফেরত এনে সেই টাকায় চিকিৎসা করান আমাদের।
ভারতের নতুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত ভারতীয়দের টাকা ফেরত আনার অঙ্গীকার করেছেন।আমাদের প্রধানমন্ত্রী সদ্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পায়রা না উড়িয়ে কি সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও বিদেশী ব্যাংক গুলো থেকে আমাদের টাকাগুলো ফেরত আনার অংগিকার করতে পারলেন না?
বিষয়: বিবিধ
১০৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন