আগুনে পোড়া মানুষকে নিয়ে নাটকের কান্না , অবশেষে ধরা পড়লেন শেখ হাসিনা
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০১:০১:১৩ দুপুর
হাসিনা যে শিশুটিকে দেখে কেঁদেছিলো সে মোমবাতির আগুনে দ্বগ্ধ, পেট্রোল বোমায় নয়।
অবশেষে আবার নাটকে ধরা খেলেন তিনি।
আওয়ামীলীগের মদদ পুষ্ট বাহিনীর পরিকল্পিত নাসকতা , হামলা। সত্য গোপন থাকে না।
আগুনে পোড়া মানুষকে নিয়ে নাটকে অসহায় মানুষ নিয়ে ছবির সুটিং। অন্তরালে নাটকের মঞ্চ তৈরী করে হলুদ মিডিয়া এবং আওয়ামিলিগ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল বার্ন ইউনিটের তালিকায় ঘটনাস্থল হিসেবে লিখা রয়েছে ‘টিএ রোড, বি-বাড়িয়া’ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)। হাসপাতালে ভর্তির তারিখ ০১.০১.১৫ ইং। মূল বিষয় রাজনৈতিক সহিংসতা। সহিংসতার ধরন হিসেবে বলা হচ্ছে দুইটি- পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, ককটেল বিস্ফোরণ। কিন্তু এসব তথ্যের কানাকড়িও মিল নেই বাস্তবে ! এই রোগী- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর গ্রামের আড়াই বছর বয়সী জুঁই আক্তার। ৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে বর্তমানে সে ঢামেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। বুধবার প শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট পরিদর্শনের সময় শিশুটিকে দেখে কেঁদেছিলেন। এ হিসেবে শিশুটি সকলের নজর কাড়ে।
কিন্তু কী ঘটেছিল? কোথায় ঘটেছিল? কবে ঘটেছিল? কেনই বা তাকে হরতাল-অবরোধের দগ্ধ হিসেবে দেখানো হল? বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ কী করেছে? বার্ন ইউনিট কর্তৃপক্ষ প্রণীত ৬২ দগ্ধের তালিকা যাচাই-বাছাইকারী সরকারের বিভিন্ন সংস্থা কী কাজ করেছে?
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আমাদের সময় ডটকমের অনুসন্ধান শুরু হয়। অনুসন্ধানের তথ্য সম্পূর্ণ বিপরীত পাওয়া গেছে হাসপাতালের তথ্যের সঙ্গে।
সরেজমিনে জানা গেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিশুটির অন্তসত্বা মা আয়েশা হরষপুরে নিজ গৃহে মোমবাতি জ্বালিয়ে শিশুটিকে একা রেখে বাথরুমে যান। এসে দেখেন শিশুর গায়ে আগুন, সে চেঁচামেচি করছিল। এরপর প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় তাকে হরষপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। কিন্তু সংকটাপন্ন হওয়া সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল ও পরে ঢামেক বার্ন ইউনিটে আনা হয় ২ ফেব্রুয়ারি ভোরে। ঘটনার সময় তার বাবা জজ মিয়া বাড়িতে ছিলেন না।
এসব তথ্য পাওয়া গেছে জজ মিয়ার প্রতিবেশি শাহিদ সিরাজি, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রব, হরষপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়ার কাছ থেকে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রব বলেন, বিজয়নগরে রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো খবর নেই। প্রথমে আমাদের কাছেও জুঁইয়ের খবর আসে। পরে এটি তদন্ত করে নিশ্চিত হই জুঁই মোমের আগুনে দগ্ধ হয়েছে।
মো. শাহজাহান বলেন, শিশুটি মোমবাতির আগুনে দগ্ধ, তা গ্রামবাসী জানেন। এই ইউনিয়নে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় কোনো কিছু ঘটেনি। একটি মিছিলও হয় না, আর ককটেল বা পেট্রলবোমা বিস্ফোরণ তো দূরের কথা। প্রতিবেশি শাহিদ সিরাজিরও একই ধরনের কথা।
http://www.amadershomoys.com/newsite/2015/02/12/212938.htm
ধরা পড়লেই , দেখা যায় সব আওয়ামিলীগ। বোমাবাজি কাজে সরাসরি আওয়ামিলিগ জড়িত।
বাসে আগুনের চেষ্টা, ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক
মাগুরা প্রতিনিধি | ০১ জানুয়ারি, ২০১৪
http://m.prothom-alo.com/bangladesh/article/113167/%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%86%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%9B%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%80%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A7%A9-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%80-%E0%A6%86%E0%A6%9F%E0%A6%95
মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁরা বাসে আগুন ধরানোর চেষ্টা করছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আজ বুধবার রাত পৌনে আটটার দিকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা (২৪), ছাত্রলীগকর্মী লিমন (২২) ও রানা (১৯)। তাঁদের কাছে পেট্রলভর্তি দুটি বোতল ও দিয়াশলাই পাওয়া গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে আটটার দিকে বাস টার্মিনালের পাশে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়িতে পেট্রল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই তিন যুবক। এ সময় পুলিশ তাঁদের হাতেনাতে আটক করে।
জানতে চাইলে মাগুরা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের কাছে মাম ব্রান্ডের পানির বোতলে ভরা পেট্রল এবং সঙ্গে দিয়াশলাই পাওয়া গেছে। এটিকে পেট্রল বোমা বলা ঠিক হবে না। পেট্রল বোমা কাচের বোতলে তৈরি করা হয়। এর সঙ্গে আগুন ধরানোর সলতে থাকে। তিনি বলেন, আটক নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রাত ১০টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন রায়, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ হাসেমসহ পুলিশ কর্মকর্তারা আটক নেতা-কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন।
মাগুরার সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন রায় বলেন, সাজ্জাদ, লিমন ও রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নাশকতা সৃষ্টিই তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল।
ওই তিন ছাত্রলীগকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা স্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রেজাউল ইসলাম। তিনি বলেন, মোটরসাইকেলে ব্যবহারের জন্য তাঁরা পেট্রল কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি এই প্রতিবেদককে ভালো করে জেনে-শুনে ওই ব্যাপারে প্রতিবেদন করার পরামর্শ দেন।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর মেহেদী হাসান বলেন, ‘পেট্রলবোমাসহ জেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ মোল্লা ও ছাত্রলীগকর্মী লিমন ও রানাকে পুলিশ আটক করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি দুঃখজনক।’
গাড়ি চালক জালাল বললো, ‘আপা এখন রুমাল নামান, সাংবাদিক নেই’
- (বই: আমার ফাঁসি চাই । লেখক: মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু)
"পরদিন সকালে লালবাগে নিহত সাত জনের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে দেখতে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলতে থাকেন, আমার রুমালে একটু গ্লিসারিন মেখে দাও, ঐ যে নায়িকারা অভিনয়ের সময় গ্লিসারিন দিয়ে চোখের পানি বের করে কান্নার অভিনয় করে। আমার রুমালে ঐ রকমের গ্লিসারিন লাগিয়ে দাও। যাতে আমি লাশ দেখে রুমাল ধরতেই চোখে পানি এসে যায়।একজন বলল, গ্লিসারিনের দরকার নাই, শুধু চোখে রুমাল ধরে রাখবেন তাতেই মনে হবে আপনি কাঁদছেন। আর আমরা ফটো সাংবাদিক ভাইদের বলে দিব ছবির নিচে আপনি কাঁদছেন ক্যাপশন লাগিয়ে দিতে।
হাসপাতালের মর্গে নিহত সাত জনের লাশ দেখে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চোখে রুমাল ধরলে সঙ্গে সঙ্গে ফটো সাংবাদিকগণ অসংখ্য ছবি তুললো। ছবি তোলা শেষে বঙ্গবন্ধু কন্যা গাড়িতে উঠলেন। গাড়ী চলতে শুরু করলো। তখনও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার চোখে রুমাল। গাড়ির চালক ড্রাইভার জালাল বলল, আপা এখন রুমাল নামান ফটো সাংবাদিক নেই।গাড়ির সকল আরোহী হেসে উঠলো। জননেত্রী শেখ হাসিনা বললেন, ঠিক মতো দেখেছ তো, কোন ফটো সাংবাদিক নেই তো?
না নেই। তাহলে আমি এবার রুমাল নামাই।"
(শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান রেন্টুর 'আমার ফাঁসি চাই' বই থেকে)
[/b]
- (বই: আমার ফাঁসি চাই । লেখক: মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ুর রহমান রেন্টু, শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারী )
বিষয়: বিবিধ
৩২৯৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পরিচালকের ভুল সাইট সিলেকশনের কারনে!
এখন হাসিনার উচিত পরিচালককে ক্রস-ফায়ারে পাঠানো!
এখন রাজনিতিবিদরা এক বিছানার কান্না কান্দে আরেক বিছানা!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন