১৯৭১: ভেতরে-বাইরে বইয়ের লেখক আওয়ামীলীগের প্রাণ প্রিয় নেতা কিন্তু
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৩:৫০:০২ রাত
সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী একে খন্দকার পরাজিত শক্তির দোসর কোন এজেন্সির টাকা খেয়ে ১৯৭১: ভেতরে-বাইরে বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ করছে আওয়ামিলীগ।
‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ হিসেবে একে খন্দকারের শাস্তি করছে আওয়ামিলীগ। সবাই এখন বলতে পারেন একে খন্দকার তুই রাজাকার। একে খন্দকার কে আমরা রাজাকার বলছি না , আওয়ামিলীগ বলছে ।
সাতই মার্চের ভাষণের শেষ শব্দ ছিল
‘জয় পাকিস্তান’: এ কে খন্দকার
http://shar.es/11dlMW
এ কে খন্দকার লিখেছেন:
মুজিব বাহিনী গঠনের বিষয়টি দীর্ঘদিন পর্যন্ত অনেকেরই অজানা ছিল। কারণ সংগঠনটি অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে গঠন করা হয় এবং এর সদস্যদের গোপন জায়গায় রাখা হয়। গোপনীয়তার জন্যই তখন এই বাহিনী সম্পর্কে বেশি কিছু জানা সম্ভব হয়নি। মুজিব বাহিনী গঠন সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি নজরুল ইসলাম সাহেব বা অন্য কেউ জানতেন কি না জানি না, তবে তাজউদ্দীন সাহেব এ বিষয়ে একেবারে অজ্ঞ ছিলেন। কর্নেল ওসমানীও যে কিছু জানতেন না সে বিষয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত।
‘মুজিব বাহিনী ভারতীয়দের কাছ থেকে সম্মানী পেতো’
‘মুজিব বাহিনী অস্থায়ী সরকার ও মুক্তিবাহিনীকে অবজ্ঞা করত’
বিভিন্ন এলাকা থেকে যেসব ছেলেকে মুজিব বাহিনীতে ভর্তি করা হতো, সে সম্পর্কে কাউকে কোনো কিছু জানতে দেওয়া হতো না। অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে ভারতীয়রা এই কাজটি করত।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব বাহিনী অস্থায়ী সরকার ও মুক্তিবাহিনীকে অবজ্ঞা করত ও ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করত। মুজিব বাহিনী সৃষ্টি হয়েছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-র প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে।”
র’-র সরাসরি তত্ত্বাবধানে মুজিব বাহিনী দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নিত।
গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে নির্দেশ পাননি কেউ
* হাজার হাজার মানুষ বেঁচে যেত যদি যুদ্ধ শুরুর নির্দেশ পেত ।
* রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা ছিল ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় থিয়েটার রোডে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ যে ঘরে থাকতেন তার পাশের ঘরেই আমি যুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে থাকতাম। একদিন আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘স্যার বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে আপনি কি তার কাছ থেকে কোনো নির্দেশ পেয়েছিলেন?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘না, আমি কোনো নির্দেশ পাইনি।’ ওই রাতে বঙ্গবন্ধু সবাইকে আত্মগোপন করার কথা বলেন, অথচ তিনি কোথায় যাবেন, সে কথা কাউকে বলেননি, যদি তিনি গ্রেফতার হন, তাহলে দলের নেতৃত্ব কী হবে, তা-ও তিনি কাউকে বলেননি। এ ছাড়া মঈদুল হাসান, উইং কমান্ডার এস আর মীর্জা এবং আমার মধ্যকার আলোচনাভিত্তিক ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর : কথোপকথন’ গ্রন্থটিতে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় তাজউদ্দীন আহমদ ও শেখ মুজিবের সাক্ষাতের বিষয়ে সাংবাদিক মঈদুল হাসান বলেন :২৫-২৬ মার্চ রাতে শেখ মুজিবুর রহমান যে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দী হবেন, তিনি যে বাড়িতেই থাকবেন- এ সিদ্ধান্তটা তিনি দলের নেতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে আলাপ করেননি। তেমনি বলে যাননি যে তিনি না থাকলে কে বা কারা নেতৃত্ব দেবেন এবং কোন লক্ষ্যে কাজ করবেন।
মঈদুল হাসানের কথাগুলো সামগ্রিকভাবে বাস্তব। তার কথাকে সমর্থন করে বলছি, ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দীন সাহেব বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করেন। তাজউদ্দীন সাহেব তাকে স্বাধীনতার একটি লিখিত বার্তা রেকর্ড করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার কথায় সম্মত হননি। উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমার বার্তা প্রচার হলে এবং পাকিস্তানিরা তা শুনলে তারা আমাকে দেশদ্রোহী বলবে।’ বঙ্গবন্ধুর এই কথা শুনে তাজউদ্দীন সাহেব হতাশ হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
http://www.bd-pratidin.com/2014/09/05/28335
একে খন্দকারের বিচার চাইলেন আ'লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা ....
আমির হোসেন আমু , তোফায়েল আহমেদ ,শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল ,রফিকুল ইসলাম ,জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ এরা একে খন্দকারের বিচার চাইলেন ।
যদি ও আমি একে খদকারের পক্ষে কথা বলার কিছু নাই। তথ্য প্রমান দিয়েই বলছি- শেখ মুজিবুর রহমান জয় পাকিস্তান’ বলেছেন ।
প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমান জয় পাকিস্তান’ বলেছেন প্রমাণ দেয়া হলো --- এখন আওয়ামিলীগ নেতারা আইন করে বলতে পারে শেখ মুজিব পরিবার যা করেছে সেটা নিয়ে কেউ কিছু বললেই রাজাকার হবে। পাকিস্তানের নাগরিক উপাধি দেয়া হবে।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায় একে খন্দকারের লেখা '১৯৭১: ভেতরে বাইরে' বই বাতিল ও তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার মাগরিবের বিরতির পর ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হলে - আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু কখন ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছেন প্রমাণ দিন। কার স্বার্থে আপনি বিকৃত ইতিহাস রচনা করছেন। পাকিস্তান থেকে বুদ্ধি-পরামর্শ নিয়ে আপনি পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। আপনি এই ধরনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবিধান অপমান করেছেন। যা রাষ্ট্রদ্রোহিতার সামিল। সরকারকে বলবো, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। শেখ সেলিম বলেন, এ কে খন্দার যখন তখন তেমন। তিনি আইয়ূব খান, এরশাদসহ সব সরকারের সুবিধা নিয়েছেন। গত সরকারেও মন্ত্রী হয়েছেন। পা চেটে ক্ষমতা ভোগ করার ক্ষেত্রে জুড়ি নেই। তিনি আরও বলেন, কোন সময়টায় তিনি একাজ করলেন? স্বাধীনতা বিরোধী সকল শক্তি যখন ঐক্যবদ্ধ তখন। হয়তো আইএসআই’র টাকায় তিনি এই বই লিখেছেন।
ভারতের ইন্দিরা গান্ধী নিজেই বলেছেন - ২৫ শে মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি , এমন কি পাকিস্তানে যাবার সময় ও কাউকে স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে কিছু জানিয়ে যান নাই। তাহলে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী কি রাজাকার ?
মরহুম তাজ উদ্দিনের মেয়ের বই দেখে আওয়ামীলীগের নেতারা একই কথা বলে তাই না ?
বিষয়: বিবিধ
৩৭২৩ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে জাতিকে জিম্মি করার ফায়দা লুটে যাচ্ছে এরা। বিশ্বের এমন কোন দেশে এত চেতনার বানিজ্য নাই।
☛বইতে উল্লেখিত কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
✔মুজিব ৭ মার্চের ভাষণ শেষ করেছিল, "জয় পাকিস্থান" বলে
✔শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় নাই/দিতে চায় নি/ জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষণা দেন
✔মুজিব স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত ছিল না/ সে চেয়েছিল রাষ্ট্রক্ষমতা
✔মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী আর মুজিব বাহিনী প্রকাশ্য বিরোধ ছিল
✔স্বাধীনতার পরে মুজিবের রক্ষীর গুপ্ত হত্যা/ অত্যাচার/ নির্যাতন নিয়ে বর্ণনা
☛এখন জানা দরকার কে এই এ. কে. খন্দকার ???
✔১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি
✔এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.)
✔হাসিনার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী
✔ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা !!
✔সেক্টর কমান্ডরস নেতা
✔আওয়ামী লীগ নেতা
☛এই বই নিয়ে কেন কুলাঙ্গার বাল নেতাদের চুলকানী ????!
✔কথায় আছে সত্য কথা তিতা/ সত্য বললে গায়ে লাগে
গতকালকে অবৈধ সংসদের বাল নেতা/জাতীয় পার্টির লেঞ্জা বিশিষ্ট চামচিকাগুলা/ নষ্টা বাম নেতারা
ম্যাতকার/চিৎকার/চেচামেচি করল
এ কে খন্দকারকে বেঈমান, অকৃতজ্ঞ, কুলাঙ্গার, মোনাফেক ইত্যাদি ইত্যাদি বলল !!!
কিন্তু কেউ এই তথ্যগুলোর বিপরীতে তথ্য দিয়ে বা যুক্তি বিপরীতে যুক্তি দিল না / একজনও না
আর একজনও কিন্তু এই বই পড়েনি / অর্থাৎ বই না পড়েই এরা ধুতি খুলে ফালাফালি শুরু করেছে
☛কথা হচ্ছে কেন তথ্য/যুক্তির পরিবর্তে তথ্য/যুক্তি না দিয়ে এরা গালাগালি করে ?????
✔কারণ এরা ইতিহাসকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রেখেছে/ এখন সত্য বলাতে এরা দিশেহারা
এদের কারো হেডাম নেই এইসব মিথ্যা প্রমাণিত করা / তাই তারা শুরু গালি দিতেই জানে
☛১৯৭১: ভেতরে-বাহিরে বইটা কোথায় পাবেন ????
✔এই বই হয়ত ২-১ দিনের মধ্যেই অবৈধ কুলাঙ্গার সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে !!
✔এই বই "প্রথমা পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত/ যে কোন "প্রথমা লাইব্রেরি" থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন
✔শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের প্রথমা লাইব্রেরীতে।
✔চট্টোগ্রামে প্রথমা লাইব্রেরী কাজির দেউরি (সম্ভবত)
মুক্তি যোদ্ধারা কোন নিয়তে যুদ্ধ করেছিলেন, যদি তা বাস্তবায়ন না হয়ে থাকে তবে তারা একত্রে সোচ্চার হননা কেন৷
তবে খন্দকার সাহেব মনে হয় এইবার মন্ত্রিত্ব না পাওয়ার দুঃখে এই কথা বলছেন। ভারত-ইসরাইল সম্পর্কের প্রধান উপদেষ্টা ইহুদি লেঃজেঃ জে এফআর জ্যাকব তার বইতে বাংলাদেশি অফিসারদের মধ্যে কেবল খন্দকার সাহেবের অতি প্রসংশা করেছেন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন