মধ্যপ্রাচ্যে ও বিশ্বের সাথে মার্কিনীর শত্রুতা নিয়ে যার লিখা পড়লে জানা যায় অনেক কিছু। নিজ দেশে বসে এমন তীব্র প্রতিবাদের উজ্জল উদাহরণ নোয়াম চমস্কি ।
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ১০ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৬:০৫:৪৮ সকাল
ইরাক , আফগানিস্তান যোদ্ধ নিয়ে একবার একটি লিখায় - আমেরিকার খ্যাতনামা রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞ নোয়াম চমস্কি মার্কিন সরকার ও ইসরাইলের কঠোর সমালোচনা করে বলে ছিলেন - গণহত্যার জন্যে একদিন আন্তর্জাতিক ভাবে ধিকৃত দেশ হবে আমেরিকা।
ফিলিস্তিনের গণহত্যার বিরোদ্ধে এবং মার্কিন আগ্রাসনের বিরোদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করে যাচ্ছেন প্রায় ৪ যুগের ও বেশি সময় ধরে। কিন্তু মার্কিন সরকার তাকে গ্রেফতার করে না। কিন্তু বাংলাদেশে সরকারের অন্যায়ের, দেশ বিরোধী কাজের একটু সমালোচনা করলেই রিমান্ড নামক বে-আইনি নির্যাতন শুরু হয়। 
ইরাক , আফগানিস্তান ও বিশ্বের বহু দেশে জঙ্গি নাটক তৈরী করে হামলা করার ফন্দি করে বেশিরভাগ এই ২ দেশ।
আর তারা হলো আমেরিকা ও ইসরাইল।
ইরাক , আফগানিস্তান যোদ্ধের বিরোধিতা করে লিখেছিলেন - এই যুদ্ধ প্রকৃত অর্থে আগ্রাসন। যোদ্ধের পর দেখা যাবে মার্কিন গোয়েন্দাদের সাজানো নাটকের কথা। কিন্তু এর মধ্যে হতাহত হবে কয়েক লাখ নিরীহ জনগণ।
সম্প্রতি লেখা এক প্রবন্ধে আবার একই কথা বললেন -
মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী আমেরিকা ও ইসরাইল: নোয়াম চমস্কি
তিনি লিখেছেন, 'মার্কিন সরকারের ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হুমকি দিয়ে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি বিষয়েও জোর দেয়া উচিত যে তার (মার্কিন সরকারের) মক্কেল ইসরাইলকেও এই আন্তর্জাতিক আইন তথা এনপিটি লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে হবে-এ ছাড়াও তাকে আরো অনেক আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন থেকে বিরত থাকতে হবে'।
তিনি প্রবন্ধে আরো লিখেছেন, -সম্প্রতি ইরান ও ৬ জাতি পরমাণু বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ৬ মাস মেয়াদের ওই চুক্তি অনুযায়ী ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা ৫ শতাংশে কমিয়ে আনবে এবং এর বিনিময়ে ইসলামী এই দেশটির ওপর পাশ্চাত্যের কোনো কোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। ৬ জাতির মধ্যে রয়েছে আমেরিকাসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ৫ স্থায়ী সদস্য এবং জার্মানি।
অবশ্য মার্কিন সরকার ইরানের বিপরীতে দাবি করছে যে এই চুক্তিতে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অধিকার মেনে নেয়া হয়নি।
ওবামার একটি চিঠি ফাঁস প্রসংঙ্গ-
হাতে নাতে ধরা খেলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
চমস্কি আরো লিখেছেন,'২০১০ সালে তুরস্ক ও ব্রাজিল এক প্রস্তাবে বলেছিল,ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম জাহাজে করে বিদেশে পাঠাবে জমা রাখার জন্য;আর এর বিনিময়ে পাশ্চাত্য স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণার কাজে ব্যবহৃত ইরানি পরমাণু চুল্লিতে জ্বালানীর যোগান দেবে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওই প্রস্তাব দেয়ার জন্য ব্রাজিল ও তুরস্কের বিরুদ্ধে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন এবং ইরানের ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এ অবস্থায় বিব্রত ব্রাজিল ওবামার একটি চিঠি ফাঁস করে দেয় যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা এ ধরনের একটি উদ্যোগ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এটাও অনুমান করেছিলেন যে ইরান এই প্রস্তাব নাকচ করে দেবে। কিন্তু এ ঘটনা খুব দ্রুত দৃশ্যপট থেকে মুছে ফেলা হয়।'
বিষয়: বিবিধ
১৭৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন