শেয়ারবাজার, রেলওয়ে, কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্, ডেসটিনি, হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো সংঘবদ্ধ লুটপাটের কথা আলোচনা থেকে উধাও
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০৫ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৫:৪৪:৫৩ সকাল
শেয়ারবাজার, রেলওয়ে, কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্, ডেসটিনি, হলমার্ক কেলেঙ্কারির মতো সংঘবদ্ধ লুটপাটের তালিকা ক্রমেই লম্বা হয়ে উঠছে। 

২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধসের কারণে শেয়ার বাজারের ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীরা আজ পথে । শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির মাধ্যমে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে গেছে। বাকি কত হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে সেটা আজ পর্যন্ত জাতি জানতে পারেনি।
তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ -
২০০৯ ও ১০ সালের শেয়ারবাজারে সংঘটিত কারসাজি বিষয়ে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে কৃষি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল সরকার। ওই কমিটি ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল অর্থমন্ত্রীর কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
শীর্ষ কারসাজিচক্র হিসেবে যাদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের কারও বিরুদ্ধেই কোনো অনিয়ম খুঁজে না পাওয়ায় ইব্রাহিম খালেদের তদন্ত প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।১৯৯৬ সালে যারা শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারির ঘটনা জন্ম দিয়েছিল তাদের বিচার না হওয়ায় ২০১০ সালে তারাই আবার কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এ দুটি ঘটনাই আওয়ামী লীগের আমলে সংগঠিত হওয়ায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের লোকজনই এ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। আর এ কারণে তদন্ত কমিটি করা হলেও প্রকৃত কারসাজি চক্রের হোতাদের আড়ালেই রাখা হয়েছে।
১৯৯৬ সালের অপরাধের বিচার করে দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিলে আজকে শেয়ারবাজারে আবারও বিপর্যয় ঘটতে পারত না।
সম্প্রতি বহুলালোচিত ডেসটিনি মাল্টিপারপাস লিমিটেড ও ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশনে দুর্নীতির ভয়াবহ তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে। দেখা গেছে, এ দুই প্রকল্পে গ্রাহকদের মোট ৩ হাজার ২৮৫ কোটিরও বেশি টাকা আত্মসাত্ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু চারাগাছ বিক্রির নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ২ হাজার ১০৬ কোটি টাকা।
অন্য সব কায়দায় আরো কয়েক হাজার কোটি টাকা গায়েব হয়েই গেল ।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মোট ৩৮টি মামলা করে দুদক। এর মধ্যে প্রায় ৩৭২ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে ২৭টি মামলায় করা হয়। এছাড়া ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা হোটেল শাখা থেকে তিন হাজার ৬০৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি এখনো তদন্তাধীন রয়েছে। যার মধ্যে গত ৭ অক্টোবর ফান্ডেড এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৩৪ হাজার ৮৭৭ টাকা আত্মসাতের দায়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে ১১টি মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। কিন্তু লুটপাটের সাথে জড়িতরা দিব্বি আরামে আছে। অনেকে এম পি নমিনেশন ও পেয়েছেন।
হলমার্কের লুটপাটের কথার কারণে এই কি সেই ভিডিও ?
http://www.youtube.com/watch?v=JhiryFSh3Wk


বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কথা সবার ভালো করে জানা আছে।
রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুত্, ...
প্রতিদিন কয়েক কোটি টাকা , বছরের হিসাব করলে মথা ঘুরে -


আর রেলের কাহিনী ? সেই কালো বিড়াল

বিষয়: বিবিধ
৩৯৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন