এক একটি মেধাবীর লাশ। হাজার প্রশ্নের জবাব কে দেবে ? শেখ হাসিনা এখন ও কি বলবেন না , সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের রাজনীতি করার অধিকার নেই
লিখেছেন লিখেছেন মাহফুজ মুহন ০১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:১৮:৩৭ দুপুর
মায়া কান্না করে বলেছিলেন - ওই দলের রাজনীতি করার অধিকার নাই। যদিও সেই হত্যাকান্ডের পিছনে কারা জড়িত না জেনে মুখস্ত কাহিনী বললেন।
এখন কি কোনো জবাব আছে শেখ হাসিনার কাছে ?
কার পাপের ফল এই সব ?
কেন নিরীহ মেধাবী ছাত্রকে প্রাণ দিতে হয়ে ?
আবু বকরের কথা কি মনে আছে ?
রাতের আধারে হত্যা করে এই ছাত্রলীগের দলীয় হানা হানিতে। আরো অনেক নাম আছে , লিখে শেষ হবে না।
মেধাবী ছাত্র ফারুক ঔষধ কোম্পানিতে চাকুরী পেয়ে ও
বিসিএস এর স্বপ্নে রাজধানীতে এসে নিজের শিক্ষাঙ্গনে পশুত্বের কোন্দলে একটা সাজানো স্বপ্ন হত্যা করা হলো। আমি ১০০ % নিশ্চিত , ওদের বিচার হবে না।
জানা যায় -
শুক্রবার রাতে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাকিব আল হাসান সুইমের দুই বন্ধু পলাশ ও অজ্ঞাত অপর একজন গ্লোব মার্কেটের সামনে ইয়াবা কিনতে যায়। এ সময় তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হেমায়েত এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক উজ্জল। তারা হল শাখা সভাপতি ফুয়াদ হাসান পল্লবের অনুগত বলে জানা। এ সময় তারা ওই দু’জনকে মারধর করে মোবাইল এবং মোটা অঙ্কের টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে সুইমের কাছে ওই দু’জন অভিযোগ জানালে তিনি বিচারের জন্য দু’জনকে রুমে ডেকে পাঠান।
তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয় এবং সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে নর্থ হল এবং সাউথ হলের মধ্যে। শুরু হয়ে গোলাগুলি। মুহূর্তের মধ্যেই দুই গ্রুপের মধ্যে ঘটে যায় ৩০-৩৫ রাউন্ড গোলাগুলি। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে থাকে বিপুল পরিমাণ ককটেল। এ সময় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র ফারুক গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার রাত ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফারুক রংপুর বিভাগের প্রত্যন্ত পঞ্চগড় জেলা থেকে এসে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। বিসিএস ক্যাডার হওয়ার তার স্বপ্ন ছিল বলে জানা গেছে। কিন্তু নিমিষেই সেই স্বপ্ন ধূলিসাত্ হয়ে যায়।
চাঁদাবাজির এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সংঘর্ষ , মেধাবী ছাত্র প্রাণ হারিয়েছে।
ওপর সূত্র -
অপরাধের স্বর্গরাজ্য ঢাকা কলেজ: ঢাকা শহরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, কলেজের আশপাশের মার্কেট থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলা, মাদক ব্যবসা এবং বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসসহ নানা ঘটনায় ঢাকা কলেজ যেন অপরাধের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। কলেজ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বেই হয় এসব অপকর্ম। টাকার ভাগ যায় কেন্দ্রীয় নেতাদের পকেটেও।এ ছাড়া নিউ মার্কেট এলাকায় অবস্থিত বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সুইম গ্রপের রিঙ্কু, শহিদ, রিমন, শামীম অস্ত্রের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। কলেজের অস্ত্রের গুদাম হিসেবে পরিচিত নর্থ হলের সুইমের কক্ষ ২০২, রিমনের কক্ষ ১০৯, শামীমের কক্ষ ১০৭, মাস্টার্স হলের শরীফের কক্ষ ২০৮, ইলিয়াস হলের রিঙ্কুর কক্ষ ২০৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, বিসিএসসহ পিএসসির অধীনে নিয়োগ পরীক্ষা, বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষা এবং বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে কলেজের একাধিক ছাত্রলীগের নেতার যোগসাজশ রয়েছে বলে জানা যায়
নিহত ফারুকের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় নিয়মিত টিউশনি করে তিনি নিজের পড়ার খরচ চালাতেন বলে জানিয়েছেন তার বন্ধুরা।
http://mzamin.com/details.php?mzamin=MTA3Mw==&s=MTA=
বিষয়: বিবিধ
১২১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন