ধর্মপ্রান বৌদ্ধদের নীচুতা
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ০৯ জুলাই, ২০১৪, ০৪:১৯:৪৮ বিকাল
বিশ্ববিখ্যাত Time Magazine গত বছর জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে তাদের পত্রিকার প্রচ্ছদ কভার টা করে The Face of Buddhist Terror এই শিরোনামে।
Time Magazine এর ঐ সংখ্যায় বলা হয়েছে বার্মার মুসলমানদের উপর বৌদ্ধদের এই অত্যাচার নির্যাতনের নেতৃত্বটা দিচ্ছে U Wirathu এর মত বড় বড় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা। বার্মার রাজধানী নাইপিদোতে U Wirathu নেতৃত্বেই বৌদ্ধরা মুসলমানদের দোকানপাট লুট করে। বার্মার বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মুসলিম নিধনের এই কর্মসূচিটা ৯৬৯ সংখ্যা দ্বারা পরিচিত যেই ৯৬৯ সংখ্যাটা গৌতম বুদ্ধের জীবনের বিভিন্ন দিক নির্দেশ করে। বার্মার মধ্যাঞ্ঝল থেকে শুরু করে রাজধানী সহ সব শহরেই এই বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্ত্বেই মুসলিম নিধন চলছে। বাংলাদেশের পাশেই রাখাইন অঙ্গরাজ্যে রাখাইনরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নির্দেশেই দীর্ঘ দিন ধরে রোহিঙ্গাদের উপর অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। রাখাইনরা রোহিঙ্গা মেয়েদের কে ধরে প্রথমে বৌদ্ধ আশ্রমে নিয়ে যায়। তারপর বৌদ্ধ ভিক্ষুরাই প্রথমে আমাদের রোহিঙ্গা বোনদের কে ধর্ষন করে। ৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে যেরকম নারী নির্যাতন চলত ঠিক তেমনি এখন বার্মার বৌদ্ধ মঠ গুলিতে এখন আমাদের রোহিঙ্গা বোনদের কে ধর্ষন করা হচ্ছে। গৌতম বুদ্ধের অনুসারী বলে কথা ! গৌতম বুদ্ধ নিজেই উনার আশ্রমে মেয়ে রাখতেন। নির্বান লাভ করার কথা বলে এই গৌতম বুদ্ধ নিজেই ভিক্ষু মেয়েদের সাথে উপর্যোপরী Sex করতেন। তাই গৌতম বুদ্ধের অনুসারী এই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের মঠে আমাদের রোহিঙ্গা বোনদের কে ধর্ষন করবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন গুরু তেমন শিষ্য। বাংলাদেশে ২ লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু হিসাবে আছে তা আমরা সবাই জানি। আচ্ছা আপনারা কখনো কি দেখেছেন বাংলাদেশের কোন বৌদ্ধ ভিক্ষু এই রোহিঙ্গাদের পক্ষে কোন বিবৃতি দিয়েছে। কিন্তু রামুর ঘটনার পর বাংলাদেশের আস্তিক নাস্তিক সবাই বৌদ্ধদের পাশে দাড়িয়েছিল। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী রামুতে ছুটে গিয়েছিলেন। রামুর প্রত্যেকটা বৌদ্ধ মন্দির পুননির্মান করে দেওয়া হয়েছিল। আর রোহিঙ্গারা বার্মায় একটু থাকার জায়গা পায় না। এইসব চাকমা মারমা রাখাইনরাও তো আজ থেকে ২/৩ শ বছর আগে যুদ্ধে হেরে বার্মা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসছিল। কই আমরাও তো বলতে পারি এইসব সাপ খোক কেচুখোর চাকমা রাখাইনদের যে তোমরা তোমাদের আদিভূমি বার্মায় চলে যাও। কিন্তু আমরা মুসলমান বলেই এই গুইসাপ খাওয়া চাকমা রাখাইনরা বাংলাদেশে শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। সেই ৮৪ সাল থেকে উপজাতিরা সরকারী চাকুরীতে শতকরা ৫ ভাগ কোটা পাচ্ছে। কোটার জোরে এই উপজাতি চাকমা রাখাইনরা বিসিএস দিয়ে বহু বড় বড় পদে চলে যাচ্ছে। আর রোহিঙ্গারা বার্মায় একটু থাকার জায়গাই পায় না। তো বুঝতেই পারছেন এই বৌদ্ধরা হচ্ছে জানোয়ারের চেয়েও অধম।
বৌদ্ধ ভিক্ষুদের এই বর্বরতা নতুন কিছু না। অনেক আগে থেকেই বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এরকম বর্বর ছিল। রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য ও স্বামী বিবেকানন্দের সহযোগী স্বামী অভেদানন্দ উনার তিব্বত ভ্রমণের সময়ে বৌদ্ধ মঠের যে অস্ত্রসজ্জিত অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছিল, তা উনি তুলে ধরেছিলেন উনার ভ্রমণকাহিনীতে। “মঠস্থ লামাদের অনেকেই চিত্রাঙ্কনে বিশেষ পটু। ইহার পার্শ্বের ঘরটি অতি ক্ষুদ্র ও প্রবেশদ্বার খুবই ছোট, মাথা হেঁট করিয়া ঢুকিতে হইল। ঢুকিয়া যা দেখিলাম-তাহাতে মাথা ঘুরিয়া গেল। প্রায় দেড়শত খাপযুক্ত তলোয়ার, ২০/২৫ খানি ঢাল, ৮/৯ টি তিব্বতী বন্দুক, কতকগুলি ছোরা ও মধ্যস্থলে একটি সোনার সিংহাসনে সোনার বুদ্ধমূর্তি। ঘরের দুই কোণে দুইটি কালো পাথরের কলসী রহিয়াছে। অনুমানে বোধ হইল উহাতে গুপ্তধন সঞ্চিত আছে। ... কোনো সাধু সন্ন্যাসীদের আশ্রমের মধ্যে যে এতগুলি অস্ত্র ও এত অধিক ধনরত্ন থাকিতে পারে তা আমি স্বপ্নেও ভাবি নাই।” (সূত্র: ‘কাশ্মীর ও তিব্বতে, স্বামী অভেদানন্দ, পৃষ্ঠা ১২৬)
যেখানে হিন্দু ধর্ম গুরু স্বামী অভেদানন্দ বৌদ্ধ ভিক্ষুদের রণসজ্জার কথা তুলে ধরেছেন সেখানে আমার আর নতুন কিছু বলার নাই।
উল্লেখ্য, এই তিব্বতী বৌদ্ধদের প্রধান ধর্মীয় নেতা দালাই লামাকেই শান্তির প্রতীক (!) হিসেবে নোবেল প্রাইজ দিয়েছে বর্তমানের কথিত বিশ্বনেতারা। বৌদ্ধদের দ্বারা মুসলিম নির্যাতনের বিষয়টি আড়াল করতেই ইউরোপ-আমেরিকার বিধর্মী চালিত মিডিয়ায় বৌদ্ধধর্মকে শান্তির ধর্ম বলে প্রোপাগাণ্ডা চালানো হচ্ছে। যে শান্তিবাহিনী কয়েক দশক ধরে পাহাড়ে গণহত্যা এবং সন্ত্রাস চালিয়েছিল, লামাদের মতোই তাদের অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ মঠগুলো। মিয়ানমারের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই, রাখাইন বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা বৌদ্ধ ভিক্ষুদের নেতৃত্ত্বেই রোহিঙ্গা মুসলমানদের শহীদ করে, আমাদের মা বোনদের কে ধর্ষন করে। বাংলার ইতিহাসে ‘মগের মুল্লুকে’র জনক খ্যাত মগ নৌ-দস্যুরা ছিল বৌদ্ধ, আর সেইসব মগ নৌ-দস্যুদের বংশধররাই হলো আজকের মিয়ানমারের রোহিঙ্গা হত্যাকারী রাখাইন বৌদ্ধ ভিক্ষু সম্প্রদায়। বাংলাদেশের বৌদ্ধরা কখনোই বার্মার বৌদ্ধদের কাজ কারবারের কোন প্রতিবাদ করে নি তাই আমরা ধরে নিতে পারি যে আদর্শগত দিক দিয়ে বাংলাদেশের বৌদ্ধ আর বার্মার বৌদ্ধদের মাঝে কোন পার্থক্য নাই। আরে গৌতম বুদ্ধ নিজেই তো ছিল একটা জানোয়ার। এই গৌতম বুদ্ধ সারাজীবন নিজ স্ত্রী পুত্রের কোন খোঁজখবর নেয় নি। যেই ব্যক্তি নিজ স্ত্রী পুত্রের কোন খোঁজখবর নেয় না সে জানোয়ার ছাড়া আর কি। যেইখানে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ নিজেই একটা জানোয়ার ছিল সেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা আমাদের রোহিঙ্গা মা বোনদের কে ধর্ষন করবে এতে অবাক হবার আর কি আছে ?
বিষয়: বিবিধ
১৭৩৩ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সে হিসেবে এই সব বিপদাপদ সব আমাদের নিজেদেরই কিনে নেওয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন