সরকারী ফ্যাক্স বার্তায় ফাঁসঃ যৌথবাহিনীর অভিযানে অংশ নিয়েছিল ইন্ডিয়ান আর্মি ও বি.এস.এফ!
লিখেছেন লিখেছেন শাফিউর রহমান ফারাবী ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:২৪:৩৮ রাত
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বেরিয়ে আসা শুরু করেছে থলের বিড়াল ও শেখ হাসিনার অদম্য দুঃসাহসে লেডি হিটলার খেতাবে ভুষিত হওয়ার খুটির জোর ও নেপথ্যের কাহীনি!! হ্যাঁ, আমাদের সবার আশংকাই ঠিক। কোন বাহিনী তার নিজের দেশের নাগরিকদের উপর এমন বর্বরতা চালাতে পারে না, যদি না তাদের সাথে যুক্ত হয় হুকুমদাতাদের চাপিয়ে দেয়া বিদেশি খুনী বাহিনী।
সাতক্ষীরা হত্যাকান্ডের গোপন ফুটেজের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ইন্ডিয়ায় বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে ফাঁস হওয়া গোপন বার্তায় বেরিয়ে এসেছে- শেখ হাসিনার অনুরোধে সাতক্ষীরা সহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে রাজনৈতিক দমন-পীড়নে ও গণহত্যায় সক্রিয় ভাবে অংশ নিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী ও বিএসএফ।
সরকারী বার্তায় ফাঁসঃ বাংলাদেশে গণহত্যায় সক্রিয় Indian Army, BSF
ইন্টারনেটে একটি ফাইল শেয়ারিং সাইটে পাওয়া গেছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভারত সরকারের কাছে পাঠানো সাতক্ষিরায় সন্ত্রাস দমনে ফোর্স পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে পাঠানো অফিসিয়াল ফ্যাক্স বার্তা।
তবে কে বা কারা এই গোপন ডকুমেন্টগুলো আপলোড করেছে সে ব্যপারে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়েছে। ২ পেইজের ফ্যাক্স বার্তাটি ভারতের হাইকমিশনে পাঠানো হয়। প্রথম ছবি দুইটি মূল ফ্যাক্স বার্তার। ৩য় ছবিটি ফ্যাক্স বার্তা ফরওয়ার্ড কপির স্ক্রিণশট
৬ নভেম্বর ঢাকা থেকে দিল্লীতে পাঠানো ঐ মূল ফ্যাক্স বার্তার সাবজেক্ট হলোঃ ❑ Militery Aid From India and Deployment at Satkhira (সাতক্ষীরায় ভারত হতে সামরিক সাহায্য গ্রহন এবং প্রয়োগ)
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নূর মোঃ নূর ইসলামের, পিএসসি জি(প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, বাংলাদেশ হাই কমিশন দিল্লি) পত্র মোতাবেক তারিখ ৪/১১/২০১৩ দয়া করে মিনিস্ট্রি অফ ফরেইন এফ্যায়ার্স(MOFA) এর মাধ্যমে
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) প্রদত্ত সংযুক্ত তথ্যাবলী খুজে নিন (৪নং পয়েন্টে)।
Fax12মেইন ফ্যাক্স বার্তা টি
[*৪ নং পয়েন্টে যে সমস্ত এলাকায় সামরিক অভিযান হবে সেগুলো বলা হয়েছেঃ (১ম ছবিতে দেখুন)] ১।. শ্যামনগর উপজেলা ২।. দেবহাটা উপজেলা ৩।.আশাশুলী উপজেলা ৪।.কলারোয়া উপজেলা ৫।.সাতক্ষীরা সদর উপজেলা
আপনার কাজ হলো এই ব্যপারটি গুরুত্ব সহকারে নেওয়া । যথাযথ কর্তৃপক্ষের পর্যালোচনা শেষে আমাদের কাছে জবাব পাঠানো ১৫/১১/২০১৩ এর আগেই।
বিনীত তৌফিক ইসলাম শতীল সিনিয়র এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী(ই এ এন্ড পি) মিনিস্ট্রি অফ ফরেইন এফ্যায়ার্স ঢাকা
ফোনঃ ০১৭৫৮-৭২৬৪৬৩ ********** END ***********
fax 11 ❑ ২য় পেইজটিতে দেখা যায় দুইজন সচিব এই ফ্যাক্স বার্তার মেসেজ ফরোয়ার্ড করেছেনঃ
প্রিয় জনাব, দয়া করে পত্রটি নিবেন যেটি ৪/১১/২০১৩ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আদেশে লিখা হয়েছে। যদিও এটি লেখা হয়েছে ফ্যাক্স মেসেজ হিসেবে জনাব সুজিত ঘোষ এর বরাবর(কাউন্সিলর অফ পলিটিক্যাল এন্ড ইনফরমেশন, ঢাকা্র ভারতীয় দূতাবাস),
কিন্তু এটি দিল্লিতে পৌছাবে।এটি হলো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়/ মেজর জেনারেল(অবঃ)তারেক আহমেদ সিদ্দিকীর পক্ষ থেকে প্রদত্ত আদেশ। নিবেদকঃ তৌফিক ইসলাম শতীল সিনিয়র এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী(ই এ এন্ড পি)
মিনিস্ট্রি অফ ফরেইন এফ্যায়ার্স ঢাকা সেগুন বাগিচা ঢাকা ১০০০ বাংলাদেশ। ফোনঃ ০১৭৫৮-৭২৬৪৬৩
ইমেইলঃ
Fax13 মোঃ হাসান আব্দুল্লাহ তৌহিদ সহকারী সেক্রেটারী ইস্ট এশিয়া এন্ড প্যাসিফিক উইং মিনিস্ট্রি অফ ফরেইন এফ্যায়ার্স ঢাকা সেগুন বাগিচা ঢাকা ১০০০ বাংলাদেশ ফোনঃ ০১৭৫৫-৫৯১৬৯৫
ইমেইলঃ
Indian Army requested to suppress Bangladesh violence Three documents deposited anonymously on the internet several days ago and only now receiving attention indicate that the Awami League government had sought Indian Army intervention to quell violence in Satkhira district in late 2013. The authenticity and veracity of the documents require verification and no claim is made about the authenticity or the accuracy of their contents. The person who originally obtained and published the documents presumably did so in the public and national interest.
News Source:
https://www.dropbox.com/s/s42e4sw8xl0bvf7/mofa%201.jpg
https://www.dropbox.com/s/z12ek6q6ri8hdki/mofa%202.jpg
https://www.dropbox.com/s/ux8875u14f75d8f/mofa%203.jpg
বাংলাদেশে গণহত্যার ভিডিও ফুটেজঃ
https://www.facebook.com/photo.php?v=594785283910069
ঊল্লেখ্য,২০১৩ নভেম্বরের ৭ তারিখে ইস্যু করা চিঠি পাঠিয়েছেন তৌফিক ইসলাম শাতিল। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। ইন্টারনেটে বেসিক সার্চ করে দেখা যায় তিনি ২০১২ অগাষ্টে জর্ডানে বাংলাদেশ দুতাবাসের হেড অফ কনসাল ছিলেন। জর্ডানে ২৫ জন বাংলাদেশী নারী শ্রমিক অপহরণ ধর্ষণ ও গুম হত্যা প্রসঙ্গে তিনি পত্রপত্রিকার সাথে কথা বলেছিলেন। এছাড়াও জর্ডানে বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ যখন বাংলাদেশী দুতাবাসে কর্মরত এক জর্ডানী মেয়েকে যৌন হয়রানি করে, তখন শাতিল ছিলেন ফার্ষ্ট সেক্রেটারি এবং তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজের বসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
চিঠির আরেকজন হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম। দিল্লীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামরিক উপদেষ্টা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট অনুযায়ী এই লোক ৬.৯.১১ তারিখে সামরিক বাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত হন। ইন্ডিয়ায় তার অফিসের ফোন নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানাও দেয়া আছে। ঐ অফিসে তার সহকারীর নাম ল্যাফটেনান্ট কর্ণেল ফখরুল আহসান।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নুর মোহাম্মদ নুর ইসলাম জানতে দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনে ক্লিক করুন,
http://www.bdhcdelhi.org/index.php/high-commissionn/officers
আরেক্জন, সুজিত ঘোষ। ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের রাজনৈতিক সচিব। র এর বড় মাপের অপারেটিভ, অনেকে মনে করেন বাংলাদেশ ষ্টেশন চিফ।
সুজিদকে চিনতে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন পেজে দেখুন,
http://www.hcidhaka.gov.in/pages.php?id=14
চিঠির চরিত্রগুলোর মাঝে সবচাইতে বড় হলেন শহীদুল হক। একটা চিঠির প্রাপক। বাংলাদেশের ফরেন সেক্রেটারী। বায়োডাটা অনুযায়ী লন্ডন, ব্যাংকক, জেনেভায় কাজ করেছেন।
আরেক চরিত্র হলেন হাসান আবদুল্লাহ তৌহিদ। সবচেয়ে জুনিয়র এই ঘটনায়, এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারী। এডমিন ক্যাডারে ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে জয়েন করেছিলৈা, পরে পররাষ্ট্রে আসে। সউদী আরবে ছিলো ছয়মাস। রেডিও আমার এর আরজে হিসেবেও কাজ করেছিলো। ঢাবি থেকে ২০১০ এ ফার্মেসিতে পাস করে।
ফাস হওয়া এই গোপন দলিল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে চলছে তুমুল আলোচনা্র ঝড়।-
বিষয়: বিবিধ
৩৫৪০ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইতোমধ্যে ফ্যাক্স বার্তার মাধ্যমে সাতক্ষীরা সহ বেশ কিছু অঞ্চলের দায়িত্ব ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিএসএফ এর হাতে দেয়ার তথ্য দেয়া হয়েছে।
আরো দুইটি (সু)সংবাদ:
১. বাংলাদেশের প্রাপ্য ১৪৪ জিবি ব্যান্ডউইথের মধ্যে ১০০ জিবি ব্যান্ড উইথ ভারতে রপ্তানি করার যে কথা শোনা যাচ্ছিলো তা বাস্তবায়ন হয়েছে অবশেষে। তবে আমরা যেই দেশের প্রদেশ সেই দেশ থেকে টাকা নেয়া সম্ভব নয় বিধায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই এই ব্যান্ডউইথ ভারতকে উপহার দেয়া হয়েছে। ভারতের যে কেউ তার বেডরুমে বসেই সামান্য কিছু ইকুইপমেন্টস এর সাহায্যে বাংলাদেশের সাবমেরিন ল্যান্ডিং এর সমস্ত ট্রাফিক এখন নজরদারি করতে পারবেন। ১৬ কোটি মানুষের জন্য যে নামমাত্র ৪৪ জিবি ব্যান্ডুইথ রাখা হয়েছে সেটা পরিপূর্ন ভারতীয় নজরদারিতে থাকবে।
২. সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের কোরিয়ান বিশেষজ্ঞদের মাসের পর মাস বেতন না দেয়ায় তারা বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এখন সেখানে প্রতিটি স্পেশালিস্ট পদে ভারতীয় নাগরিকরা এসেছেন।
ওহে বাংলাদেশীরা, নিজেদেরকে কি কাপুরুষ জাত মনে হচ্ছে এখন?
আপনাকে জামত বিরোধীতার মুনাফিকী ত্যাগ করার আহবান জানাচ্ছি, নয়ত আপনি ইসলামের (!) পক্ষে যতই খেদমত করেন না কেন পরিশেষে দেখবেন রেজাল্টের খাতা জিরো !
সত্য কি তাহলে প্রকাশের ভয়ে ভিত সরকার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন