বলিষ্ঠ ঈমানহীন চেতনাদারিদের কারনেই আজ প্রিয় বাংলাদেশে সংখ্যা গরিষ্ট ৯০%শ্রেষ্ট জাতি মুসলমানেরা সংখ্যালগু ৬% হিন্দুদের হাতেই নির্যাতিত

লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০৪:১২:৩৬ বিকাল

এটাই বাস্তব সত্যযে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জল দৃষ্টান্তের দেশ এই প্রিয় বাংলাদেশ। এদেশের মধ্যে বসবাসকারী সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানের তুলনায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের সংখ্যা এতটাই কম যে, এদেশের মুসলমানেরা মিয়ানমারের বৌদ্ধদের মতো হিসংসুক হলে এদেশে তাঁদের টিকে থাকা অসম্ভব ছিল।

আলহামদুলিল্লাহ্! এই বাংলাদেশের সব মুসলমান একেবারে পাক্কা ঈমানদার না হলেও ইসলামের সুমহান শিক্ষার যে সব বিষয় তারা পরস্পর দেখাদেখির মাধ্যমে মেনে চলেন, তার মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অন্যতম।

যার ফলে ভারতে বাবরী মসজিদের মতো ঐতিহাসিক মসজিদটি ভেঙ্গে চুরমার করার পরও এদেশের আলেম ওলামা এবং মুসলমানেরা হিন্দুদের উপর কোন আঘাত আসতে দেননি।

মায়ানমারে বৌদ্ধ কতৃক মুসলিম নিধনের পরও এদেশের বৌদ্ধদের উপর কোন আঁচড় পড়েতে দেয়নি,মুসলমানদের সতর্কতা এবং সহনশীলতার কারনেই তা সম্ভব হয়েছে।

এদেশের মধ্যে বসবাসকারী হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টানরা দেশ ও মুসলমানের বিপক্ষে ঐক্য গড়ার পরও মুসলমানেরা তাদের কর্মকান্ড গায়ে মেখে পাল্টা কোন আয়োজন করেননি।

কিন্তু আমাদের বর্তমান সরকারের অতি হিন্দু প্রীতির কারণে দেশের মানুষ অতিষ্ট হয়ে গেছে কোন অঘটন যেন না গঠে সেটাই আমরা কামনা করছি। সরকারী চাকুরীর ক্ষেত্রে বড় বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে যে ভাবে হিন্দুরা নিয়োগ পাচ্ছে তা বৃটিশ আমলকেও হার মানাচ্ছে তা দিবালোকের মতো পরিস্কার।

একসময় এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত নয়,স্বয়ং আওয়ামী লীগের দেশ প্রেমিক মুসলিম অংশটাই ক্ষেপিয়ে উঠতে পারেন বলে অভিজ্ঞ সকল মহলের ধারণা।

তারা সর্বক্ষেত্রে হিন্দুদেরকে প্রাধান্য দিয়ে হক্বপন্থী মুসলমদেরকে করছেন পদদলিত এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে হিন্দু পুলিশ অফিসার দিয়েই এহেন অপকর্মটি করা হচ্ছে।

চট্টগ্রামের বাকলিয়ার কথা বলছি এখানে মাএ ৫০০ বর্গগজ এলাকার মধ্যে ৮/৯টি পূজা মন্ডপ চালানো হয় প্রশাসনের সাহায্য সমর্থন নিয়ে। হিন্দুরা দূর্গা পূজার পর তা বিসর্জনের আয়োজন করতেন।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের আনুদান এবং সার্বিক সহায়তা পেয়ে নূতন করে আরো একটি বিসর্জন অনুষ্টান দেখছি, তাহলো- স্বরস্বতী বিসর্জন। গত শুক্রবার ন্যারো গলিতে ১০ বারোটি বিসর্জনের ট্রাক প্রবেশ করিয়ে যানজট তৈরী করছেই।

তাদেরকে একটু রয়ে সয়ে ট্রাকগুলো চালাতে বলাতে হিন্দু যুবকদের মারমুখী আচরণ যথেষ্ট ভাবনার করাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাই পাওয়ারের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করে পূজার নামে ধুম ধারাক্কার মাধ্যমে জনজীবন তো অতিষ্ট করেই চলেছেন।

তারা স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম পালন করুন এবং সরকারও তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করুন, তাতে আমাদের কারো সমস্যা নেই।

কিন্তু সেই একই সরকার হক্বপন্থী মুসলমি নারী পুরুষদেরকে ধরে ধরে জেলে পুরছেন, যারা তাঁদের দ্বীনের দু’টি অডার তথা কুরআন সুন্নাহ থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য কোথাও একত্রিত হচ্ছেন। এসব অভিযানে হিন্দু অফিসার নেতৃত্ব দেয়ার কারণে তারা কুরআন হাদীসকে জঙ্গি বই এবং নামাজকে জঙ্গি প্রশিক্ষণ হিসেবে রিপোর্ট দিচ্ছেন।

আমরা দেখেছি ইতিপূর্বেকার প্রায় সবগুলো ধরপাকড় হিন্দু পুলিশ অফিসারের নেতৃত্বে হয়েছে(মুসলিম হলে হয়ত পক্ষপাতিত্ব করবেন বলে) এবং তারা মুসলিম নির্যাতনের মহা সুযোগ হিসেবে তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের মতো করে অতি যত্নের সাথে নির্যাতন কর্ম সমাধা করেছে, কারো চক্ষু খুলে নেয়ার মাধ্যমে, কাউকে ক্রস ফায়ারে দিয়ে।

গত ২রা ফেব্রুয়ারী ১৭,পুলিশের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের নেতৃত্বে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাড়ি থেকে কুরআন হাদীসের আলোচনা চলা কালে জামায়াতের ২৮জন মহিলা কর্মীকে আটক করে রিমান্ডে দেয়া হয়, যার মধ্যে ৫ মাসের শিশুও রয়েছে মায়ের সাথে।

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার উক্ত বিপ্লব কুমার সরকার গত ৩রা ফেব্রুয়ারী সকালে মোহাম্মদপুর থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেফতারকৃত ২৮ জন পর্দানশীন ধর্মভীরু মহিলা নাশকতার উদ্দেশ্যে এবং পরিকল্পিতভাবে অবৈধ পন্থায় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে চরম মিথ্যা বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

আমরা জানতে চাই, সংখ্যালঘু হিন্দু কতৃক সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমানেরা আর কত নির্যাতিত হলে আপনাদের আশা পূর্ণ হবে? এবং চেতনা দারিদের চেতনা কবে জাগ্রত হবে..?

বিষয়: বিবিধ

১৭৫০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381892
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ রাত ০৯:৫৩
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশে মুসলমান ১৩ কোটি আর হিন্দু দেড় কোটি হলেও (প্রায়) ভারতে বিজেপি আসার ফলে এবং ভারত বান্ধব আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় ভারতের ৮০-৯০ কোটি হিন্দু এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের সাথে যোগ হবে । সেই হিসেবে বাংলাদেশের মুসলমানেরা সংখ্যা লঘুই । আর প্রশাসনিক ফেভার সেই হিসেবেও হিন্দুরাই পায়। তবে তারা কিন্তু এ দেশের খেয়ে ভারতেই ডিম দেবে ।
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
315730
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভারতের লোকেরা কোন দিনও বাংলাদেশের জন্য বন্ধু হবেনা যতক্ষন তাদের সার্থ থাকবে ততক্ষন তারা দৌড়াবে। কিন্তু দুঃখ হলো কেন আমরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করছি। আপনাকে ধন্যবাদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৫৩
315731
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভারতের লোকেরা কোন দিনও বাংলাদেশের জন্য বন্ধু হবেনা যতক্ষন তাদের সার্থ থাকবে ততক্ষন তারা দৌড়াবে। কিন্তু দুঃখ হলো কেন আমরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করছি। আপনাকে ধন্যবাদ
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ সন্ধ্যা ০৭:৫৪
315732
কুয়েত থেকে লিখেছেন : ভারতের লোকেরা কোন দিনও বাংলাদেশের জন্য বন্ধু হবেনা যতক্ষন তাদের সার্থ থাকবে ততক্ষন তারা দৌড়াবে। কিন্তু দুঃখ হলো কেন আমরা নিজেদের ক্ষতি নিজেরা করছি। আপনাকে ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File