রক্ষকই যদি বক্ষক হয় তাহলে সেদেশে মানুষ কিভাবে বসবাস করবে?
লিখেছেন লিখেছেন কুয়েত থেকে ১২ জানুয়ারি, ২০১৪, ০১:০০:৫৬ দুপুর
ইরাকের সাদ্দাম হোসাইন ১৯৯০ সালের ২রা আগষ্ট কুয়েতকে অন্যায় ভাবে দখল করে নিয়েছিল। তখন কুয়েতকে মুক্ত করার জন্য আমেরিকার নেতৃত্বে ফ্রান্স ব্রিটেন জারমান মিশর এবং বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহুদেশ অংশ নিয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে। কুয়েত থেকে ইরাকি বাহিনীকে বিতাড়িত করার জন্য।
আজ বাংলাদেশে বাংলাদেশী যৌথবাহিনীরা কি করছে? এখানে যৌথ বাহিনীর কি প্রয়োজন? কোন বিদেশী বাহিনীকে দমন করার জন্য কি যৌথবাহিনী গঠন করা হয়েছে? নাকি নিরিহ অস্ত্রহীন নাগরীকদেরকে বিতাড়িত করতেই যৌথবাহিনী?
না দেশের রাজনৈতিক নেতাদেরকে পাইকারী ভাবে হত্যা করতেই এই যৌথবাহিনী? গাইবান্দায় জামায়াত কর্মীকে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাবার ভাষা আমাদের জানানেই।
যৌথবাহিনী দেশে গণহত্যা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারের যৌথবাহিনী দেশে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ।
গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গাইবান্দা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নাজমুস সাকিবকে রংপুরের একটি হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যৌথবাহিনী কর্তৃক গুলি করে হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য যে, জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নাজমুস সাকিবকে ৭ জানুয়ারি যৌথবাহিনী পলাশবাড়ী উপজেলা শহরে পায়ে গুলি করে আহত করেছে। তাকে চিকিত্সার জন্য গত বৃহস্পতিবার ৯ জানুয়ারি রংপুর হলি ফ্যামিলি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে যৌথবাহিনী তাকে আটক করে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, নাজমুস সাকিবকে হাসপাতাল থেকে আটক করে নিয়ে যৌথবাহিনী যেভাবে ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে তার নিন্দা জানানোর কোনো ভাষা নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গুলি করে আহত করে এবং হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখান থেকে ধরে নিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে থাকে তাহলে দেশের জনগণ নিরাপত্তার জন্য কোথায় যাবে?
রক্ষকই যদি বক্ষক হয় তাহলে সেদেশে মানুষ কিভাবে বসবাস করবে? কোনো সভ্য মানবসমাজে এভাবে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করার ঘটনার কথা কল্পনাও করা যায় না।
নাজমুস সাকিবকে হত্যা করে সরকার গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবতাকেই হত্যা করেছে। বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের হাতে আজ দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই।
সরকারের ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুলি করে হত্যা করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশি ও বিদেশী সব মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘসহ সব আন্তর্জাতিক ফোরামের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পাশাপাশি গণহত্যা, গুম, নির্যাতন বন্ধ করে অবিলম্বে পদত্যাগ করে জনগণকে নির্যাতন থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিষয়: বিবিধ
১৩৯৩ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন