ছাগু ও শাহবাগীদের মধ্যে পার্থক্য
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৪৮:১৯ সকাল
আগেই বলে নিচ্ছি, আমি লেখাটা দীর্ঘ করবো না । শুধুমাত্র মূল বিষয়গুলো তুলে ধরবো ।
ছাগু প্রধানত দুই প্রকার ।
প্রকৃত ছাগু :
ইহারা ছাগুদের প্রকৃত ধারক ও বাহক। জামায়াত-শিবিরের পালের গোদাদের (গো.আ-নিজামী-মুজাহিদ-মীর কাশেম) সমর্থক ও তাদের প্রদেয় অর্থের বিনিময়ে ( ইসলামী ব্যাংক-সহ জামায়াতী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী অথবা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা অথবা ছাত্রী সংস্হার নিকাবী স্ত্রী ) ইহারা বাংলা ব্লগের আদিকাল হইতে ব্লগ জগতে বিচরন করিতেছে। ইহারা প্রচুর সহ্য শক্তির অধিকারী হইয়া থাকে।
হিডেন ছাগু:
ইহারা সাধারনত আম-ব্লগারদের সহিত মিশিয়া ব্লগিং করিয়া থাকে । কিন্তু ইহাদের প্রতিকূল আবহাওয়ায় ইহাদের লেঞ্জা বাহির হইয়া যায়। লেঞ্জা বাহির হইবার পর তাহা ঢাকিবার জন্য ইহারা যত্র তত্র ল্যাদানো আরম্ভ করিয়া পরিবেশ দুষিত করিয়া থাকে। ইহারাও বেশ সহ্য শক্তির অধিকারী হইয়া থাকে। এরাও মূলত জামায়াত-শিবিরের সমর্থক ।
শাহবাগী :
ইহারা নাস্তিক রুপে নিজেকে প্রকাশ করিয়া থাকে কিন্তু তাহার স্বপক্ষে যুক্তি দেখাইতে বলিলে ইহারা ক্ষেপিয়া উঠে ও গালি গালাজ আরম্ভ করিয়া দেয়। এই প্রজাতির ছাগুদের কে নাস্তিকতার স্বপক্ষে যুক্তি দেখানো হইতে ধর্ম কে নিয়া কটূক্তি করিতে বেশী দেখা যায়। এদের একটা নাম আছে শাহবাগী । এদের কারণে হেফাজতে ইসলামীর নেতৃত্ব বড় ধরনের আন্দোলন গড়ে ওঠে । এই দলের বর্তমান নেতা আসিফ মহিউদ্দীন (বিদেশ) এবং ডা. ইমরান এইচ সরকার (বাংলাদেশ) ।
ডা. ইমরান এইচ সরকার-এর ফেসবুক স্যাটাসে মন্তব্য করেছিলাম : “মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মুক্তচিন্তার নামে ইসলামবিদ্বেষ, ইসলাম অবমাননা, নাস্তিকতা, নগ্নতা ও বেহায়াপনা প্রতিরোধ করার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে । দেশের পাড়া-মহল্লা,স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এর কমিটি থাকবে ইনশাআল্লাহ । বিদেশের প্রতিটা শহরে এর কমিটি থাকবে । এই সংগঠণের জন্য একটা যুতসই নাম আহবান করছি ।
এই স্ক্রীনশটে দেওয়া একটা মন্তব্য রয়েছে । মন্তব্যকারীর বিরোদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্হা নিতে চাচ্ছি । এব্যাপারে সব পরামর্শ ও সহযোগিতা চাচ্ছি ।
”
শাহবাগী কাকে বলে ? :
এক কথায়, যে বা যারা ১৯৭১ সালে জামায়াত-শিবিরের স্বাধীনতাবিরোধীকে ও জামায়াত-শিবিরের তান্ডবকে ব্যবহার করে ইসলাম অবমাননা করে ও মুসলিমদের প্রতিপক্ষ জ্ঞানে খাটো করে দেখে এবং নাস্তিকতা ও ইসলামবিরোধীতা যে কোন উপায় ও পদ্ধতিতে প্রদর্শণ করে তাকে শাহবাগী বলা হয় ।
(শাহবাগী অনেক ধরনের আছে । তাদের ধরণ উল্লেখ করলাম না ।)
ছাগু ও শাহবাগীদের মধ্যে পার্থক্য :
১. ছাগুরা নিজেদের ইসলাম ধর্মের একমাত্র রক্ষক ও বৈধ কর্তৃপক্ষ দাবি করে ।
শাহবাগীরা নিজেদের বাংলাদেশের ত্রানকর্তা মনে করে । তাদের মতে, বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা ছাগু সম্প্রদায় ।
২. ছাগুরা কথায় কথায় নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য কুরআন-হাদিসের বাণী উপস্হাপন করে ।
শাহবাগীরা কথায় কথায় বিখ্যাত নাস্তিক ও বুদ্ধিজীবিদের উক্তি উপস্হাপন করে ।
৩. ছাগুদের পৃষ্ঠপোষক রাজতান্ত্রিক সৌদি আরব ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র । জেনে রাখা ভাল, ছাগু সর্দার মৌদুধী ইন্তেকাল ফরমান আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে । সৌদি আরবে না ।
শাহবাগীদের পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগ বা বর্তমান শাসক দল এবং ইসলামবিরোধী দেশি-বিদেশী বিভিন্ন শক্তি ।
৪.মেয়ে ছাগুদের প্রিয় পোষাক নিকাব বা মুখ ঢাকার কাপড় । এই পোষাক বা কাপড় সমাজে ব্যবহার বেশী হলে সমাজের অনাচার ব্যবিচার কমে যাবে বলে মনে করে ছাগু সম্প্রদায় । কারণ ছাগুদের মতে, মেয়েদের চেহারা দেখা মাত্র পুরুষ জাতি কামকাতর হয়ে যায় বা ছেলেদের যৌনতা জেগে উঠে ।
সবাই বলুন , ক - তে কাদের মোল্লা
মেয়ে শাহবাগীদের প্রিয় পোষাক :
১) ওড়নাহীন শেলোয়ার কামিজ
২) গলায় রশির মতো ঝুলানো ওড়নাসহ থ্রি পিস অথবা জিন্স ও ফতুয়া
এবং
৩) অজন্তা স্টাইলে নাভী দেখানোর উপযোগী করে শাড়ি পরা
বা হিন্দুদের মন্দিরের সেবাদাসীদের মতো নিভি স্টাইলে শাড়ি পরা ।
৫. আয় নাই রোজগার নাই, তারপর ছাগুরা কম বয়সে বিয়ে করার জন্য আর্লি মেরেজ কেম্পেনিং নামক গ্রুপ বানিয়েছে ।অবশ্য ঘর-সংসার করার জন্য টাকা দেওয়ার লোকের তো অভাব তাদের নাই ।
শাহবাগীরা বিয়ে বহির্ভুত যৌন জীবনকে যথাযথ মনে করে বলে পরোকিয়া করা খারাপ মনে করে না । উল্লেখ্য কিছু দিন আগে ইহলোক ত্যাগকারী হিন্দু শাহবাগীর দুই রক্ষিতা পাওয়া যায় । অবশ্য এদের এক জন নিজেকে শাহবাগীটার স্বামী বলে দাবি করেন ।
৬. ছাগুরা রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবকে আর পাকিস্তানকে তাদের প্রিয় দেশ মনে করে ।
শাহবাগীরা ভারতকে তাদের প্রিয় দেশ মনে করে । উল্লেখ্য শাহবাগীদের বেজন্ম চত্তরে ভারত হতে আসা লোকরা পর্যন্ত অবস্হান নিয়েছিলো বা সংহতি জ্ঞাপন করেছিলো । মানে রতনে রতন চিনে ।
৭. ছাগুরা নারীকে অপবিত্র মনে করলেও নারীদের ভোগের সামগ্রী মনে করে ।তবে তারা নারীদের বিয়ের মাধ্যমে ভোগ করে । (ইসলামে ভোগ শব্দটা এই ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে বলে না । কারণ কুরআনে নারী-পুরুষকে পরস্পর বন্ধু বলা হয়েছে ।কিন্তু তারা প্রকাশ্যে কিছু জয়িফ হাদিস ব্যবহার করে নারীরা ভোগের সামগ্রী বলে থাকে । )
শাহবাগীরা নারী পুরুষের অবাদ মেলামেশা বিশ্বাস করে বলে নারী পুরুষের অবাদ যৌনতা সহজাত বিষয় মনে করে ।
ছাগু ও শাহবাগীদের মধ্যে মিল :
ছাগু ও শাহবাগীদের ক্ষেত্রে একটা মিল আছে । তাহলো : তারা সব বিষয়ে জ্ঞান রাখে বলে দাবি করে । যেমন : সেলফি মানে ঈদ । সেলফি মানে আনন্দ ।
অর্থাৎ আমরা তাদের কাছে নতুন করে শব্দার্থ বা Word meaning শিখবো । আগে বাল্য শিক্ষা শিখেছি । যেমন : ক-তে কাদের মোল্লা ।
অপর দিকে ছাগুরা বলে, সৌদি আরব হলো ইসলাম । ইসলামই সৌদি আরব ।
ছাগু ও শাহবাগীদের যেভাবে প্রতিরোধ করা যায় :
১।জনগণকে সচেতন করা
২।জনমত গঠণ করা
৩।ইসলামবিরোধী দল ও মতকে ভোটের মাধ্যমে পরাজিত করা ।
৪।নাস্তিক ও ইসলামবিরোধী বইয়ের বিপরীতে পাল্টা বই লেখা ।
৫। ছাগুদের অপতৎপড়তা ও ওহাবী - মওদুদী মতবাদ এবং সৌদি রাজতন্ত্রের খারাপ দিক জনগণের কাছে তুলে ধরা ।
৬। শাহবাগীরা বেয়াদব ও নাস্তিক তা তাদের অভিভাবক ও পাড়া-প্রতিবেশিদের কাছে তুলে ধরা ।
৭। সমাজের সর্বস্তরে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ।
র্যাব দিয়েও মেয়ে শাহবাগীদের টাইট দেওয়া যেতে পারে ।
উপসংহার :
ছাগু ও শাহবাগী সম্প্রদায়দ্বয় বাংলাদেশের ধার্মিক লোকদের শত্রু । তারা দেশ-জাতি-ধর্ম-সংস্কৃতির দুষমণ । তবে তাদের পৃষ্ঠপোষকরা শক্তিশালী হলেও পৃষ্ঠপোষকদের শক্তি বিলীন হলে তাদের নাম-নিশানা বিলীন হয়ে যাবে ।
তাদের আমরা দুরে ঠেলে না দিয়ে তাদের স্নেহ-মায়া-মহব্বত-প্রেম-প্রীতি-ভালবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিবো । আশা করা যায়, এর ফলে সামান্য হলে কিছু ছাগু ও শাহবাগী সাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে ।
বিষয়: বিবিধ
৩০৮৮ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১৩ বছর জিনি ছাগল ছিলেন। তাকে একটা গুড
ছাগল উপহার দিলাম।
আমি বিবেকবান সম্পন্ন মানুষ । যারা জামায়াত-শিবির করে বা জামায়াত শিবির করে তাদের মধ্যে বিবেক ও মানবিক মূল্যবোধ সামান্য হলেও লোপ পায় ।
কারণ সেখানে মিথ্যা আর দুর্নীতি প্রবল । তার উপর ধর্মের নাম ব্যবহার করে শ্রম শোষণ করা হয় । এখানে চাকুরী করা অনেকের মুখ শুনেছি , সোনালী ব্যাংক ও উত্তরা ব্যাংকের মতো ব্যাংকে চাকুরী করা অনেক ভাল । তাদের কথা সেখানে ইসলামের নাম ব্যবহার করে বড় ধরনের দুর্নীতি হয় আর শ্রম ও যোগ্যতা অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাওয়া যায় না । এদের মধ্যে অনেককে দেখেছি, ইসলামী ব্যাংকের চাকুরী ছেড়ে দিয়ে কলেজ ও স্কুলে শিক্ষকতা করতে ।
জামায়াতী প্রতিষ্ঠানের কোন সেবা আমি গ্রহণ করি না । কারণ তাদের সেবা গ্রহণ করলেই আমি তাদের যে অর্থ দিবো , সেই অর্থ ব্যবহার করে গোলাম আজম-নিজামী - সাইদী-মুজাহিদ আমাদের ওহাবী বানানোর পাশাপাশি আমাদের দেশের লোকদের জান-মালের ক্ষতি করার চেষ্টা ও সাধনা করে যাবে ছাত্র শিবিরকে দিয়ে ।
ছাত্র শিবির কি জিনিস আমি তা বোঝেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে । আমি গান পর্যন্ত শুনতে পারতাম না । আমার আম্মা হলে কীভাবে থাকি তা দেখার জন্য এসেছিলো । ছাত্র শিবির আমার আম্মাকে হলে প্রবেশ করতে দেয়নি । বরং তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে ।
এর কারণও আছে হয়ত । কারণ তিনি হলে আমার রুমে প্রবেশ করে দেখতেন যে আমার টেবিলে মৌদুধী আর গো.আ.-র বই রয়েছে - তাহলে তিনি আমাকে আর শিবিরের ছেলেদের এক হাত দেখাতেন । তিনি আমাদের বলতেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমাদের কি তোমাদের বাবা-মা মৌদুধী আর গো. আ.-র বই পড়ার জন্য পাঠায় , না মেধা - যোগ্যতা - দক্ষতা অর্জনের জন্য পাঠায় ?
আমার আম্মা এক বার ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনে গিয়েছিলো । তার কাছে মোবাইলে এই প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা শুনে আমি আমার সব কাজ রেখে তাকে মেডিনোভাতে নিয়ে গিয়েছিলাম । তারপর থেকে আমার আম্মা মেডিনোভা আর পপুলারে যায় ।
গাড়ল দিতে পারেন । কারণ আমি গাড়লের খামার দিতে আগ্রহী । প্রতি গাড়লের জন্য আপনাকে ১০ হাজার টাকা দিবো ।
আমি বিবেকবান সম্পন্ন মানুষ । যারা জামায়াত-শিবির করে বা জামায়াত শিবির করে তাদের মধ্যে বিবেক ও মানবিক মূল্যবোধ সামান্য হলেও লোপ পায় ।
আমরা Bower Goat farm দেই।
এই ছাগল গুলো উন্নত জাতের, আমেরিকাতে ১৯৯৫-৯৬ তে University of Texas, প্রথম আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসে।
আমি জনি না, বাংলাদেশে আছে কিন?
ভাইজান ,
আপনার কোন লিখাতেই আমি বাজে মন্তব্য করি নাই,
বেশির ভাগ সময়ই পক্ষে বলেছি
আজ নিরপেক্ষ ভাবে বলছি,
ভারতের হিন্দুদের পা চাটা শাহাবাগিদের সাথে জামায়াতের তুলনা করে আপনি নিজেই নির্বোধ-ছাগুর পরিচয় দিলেন,
কারন , আপনি শুধু ভারতের হিন্দুদের পা চাটা শাহাবাগিদের কথা,
কিংবা , শুধু জামায়াতের কথা বললে ছাগুর পরিচয় পেতাম না,
অনেক ধন্যবাদ
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। সুরা হুজরাত : ১২ ।
এই আয়াতটাকে আমি ভালভাবে প্রতি সপ্তাহে এক বার হলেও পড়ি ।
দয়া করে আপনি অন্তত আজ এক বার পড়ুন ও ভাবুন ।
আপনার লিখাটা আতি চালাকের গলায় দড়ির মতন হয়েছে
অথবা,
দুই নৌকায় পা দেয়া হয়েছে,
তবে ভারতের হিন্দুদের পা চাটা শাহাবাগিদের কথা চমৎকার লিখেছেন,
চালিয়ে যান,
মাঝে মাঝে আপনাকে সাপোর্ট করার চেষ্টা করব , ইনশাআল্লাহ
ভালো লাগলো
আমি নিরোপেক্ষভাবে বিষয়টা তুলে ধরেছি । জামায়াত-শিবির ও শাহবাগী - এই উভয় সম্প্রদায় বাংলাদেশের মুসলিমদের শত্রু । আমার লেখাটা সংক্ষিপ্ত । অদুর ভবিষ্যতে জামায়াত-শিবির বাংলাদেশের মুসলিমদের কীভাবে ক্ষতি করছে এবং ইসলামের ভাব-মুর্তি ধ্বংস করছে - তা তুলে ধরবো ।
আমি কারো মন জুগিয়ে লেখালেখি করি না । যা সত্য তাই তুলে ধরি ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন