আমি একটা ব্লগ সাইট বানাতে ইচ্ছুক
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২০ জুলাই, ২০১৫, ১২:৫৩:২৩ দুপুর
আজ ব্লগ লেখা নিয়ে কথা হলো । আমার পরিচিত লোকরা বল্লো "এক সময় ব্লগার আর নাস্তিক শব্দ দুইটা পরস্পর পরিপূরক হয়ে যাবে । অর্থাৎ কেহ যদি ব্লগার বলে পরিচয় দেয় তখন লোকেরা ধরে নিবে ব্লগার পরিচয় দানকারী লোকটা নাস্তিক । তাদের শুধু নাস্তিক বলা ভুল হবে, বরং চরম ইসলামবিদ্বষী ও ইসলাম অবমাননাকারীরাই হবে ব্লগার ।"
তাদের যুক্তি হলো :
১. ব্লগার হতে হলে মুক্তি বুদ্ধি ও মুক্ত চিন্তার অধিকারী হতে হয় ।
২.যথেষ্ঠ পড়াশোনা করতে হয় ।
৩.চলমান ঘটনার উপর যথেষ্ঠ বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য ও লেখার ক্ষমতা অর্জন করতে হয় ।
এই তিনটা গুণ বাংলাদেশের প্রায় সব নাস্তিকের বা ইসলামবিরোধী ও ইসলাম অবমানকারীদের আছে । তারা দিনের পর দিন পাঠচক্র আয়োজন করে বিভিন্ন বিষয় পড়াশোনা করে লেখালেখি করে ।
অপর দিকে যারা আস্তিক দাবি করেন :
১. তারা কোন পড়াশোনা না করেই লিখেন । তাদের লেখালেখির প্রধান অস্ত্র হলো : নেতা কি বলেছেন, তাদের পছন্দনীয় আলেম কি বলেছেন, তাদের মত-পথ-দলের মুখপাত্র পত্রিকা-বই-সাহিত্যে কি আছে । তারা এগুলো নিয়েই মেতে থাকে ।
২. তারা প্রতিক্রিয়াশীল । তারা নাস্তিকরা কি করলো তা নিয়েই ভেবে ভেবে রাগে ও ক্ষোভে ফুসে উঠে সময় পার করেন ।
৩. তারা কোন কিছু সৃষ্টি করেন না । অন্যের সৃষ্টি ও আবিষ্কার ব্যবহার করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে ।
আমি এসব কথার সাথে একমত পোষন করি নাই । আমি বলেছি । আমি ব্লগার । আমি আস্তিক ।
আমি বল্লাম :
১. ব্লগার হতে হলে মুক্তি বুদ্ধি ও মুক্ত চিন্তার অধিকারী হতে হয় । আমি এই গুণের অধিকারী । আমি মুক্ত বুদ্ধি ও মুক্ত চিন্তার সাথে সাথে শুভ বুদ্ধি ও শুভ চিন্তার সমান্বয় করি ।
২. আমি যথেষ্ঠ পড়াশোনা করে লেখালেখি করি । আমি ২০০০ সাল হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত একাডেমিক পড়াশোনা ও পাঠ্য পুস্তক বহির্ভুত বই পড়া ছাড়া কোন কাজ করি নাই । তবে কিছু টিউশনী করেছি । দিনের পর দিন লাইব্রেরীগুরোতে বই নিয়ে বসে থাকতাম । নিজের ঢোল নিজে পিটাচ্ছি বলে মনে হতে পারে । অনেকে এই ব্যাপাারটা জানতে চান বলে লেখলাম । লাইব্রেরীগুলোর দর্শনার্থী ও পাঠকদের তালিকা খুজলে সেখানে আমার নাম পাওয়া যাবে ।
এমন কি হিন্দু ধর্ম ভাল ভাবে বোঝার জন্য হিন্দু সেজে হিন্দুদের বিভিন্ন পাঠাগারে পড়াশোনা করেছি (এছাড়া আমার উপায় ছিল না । যেমন : রামকৃষ্ণ মিশন । হিন্দুদের সাথে ঘুরাফেরা করে বুঝলাম বাংলাদেশই না বিশ্বে হিন্দু ধর্ম টিকে আছে বর্ণবাদ ও বিভিন্ন দেশের সরকারদের পৃস্ঠপোষকতায় ।
সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় পৃথিবী হতে অনেক ধর্ম বিলোপ হয়েছে বা হতে যাচ্ছে । যেমন : বৌদ্দ ধর্ম । অনেক বৌদ্দ ধর্মগুরু এই ব্যাপারটা বুঝতে পেরে তারা মৌলবাদি হয়ে সন্ত্রাসী রাস্তা ধরেছেন ।
কোন পৃষ্ঠপোষকতা ও শক্তিশালী সংগঠণ না থাকা সত্বেও রাশিয়া ইসলাম ধর্ম বিলুপ্ত হওয়ার পরও আবার আগের অবস্হায় এসেছে । এজন্য আফ্রিকার ঘানায় ইসলাম ধর্মকে অবদমিত করে রাখার জন্য হিন্দু ধর্মকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হচ্ছে । সেখানে বিভিন্ন কারণে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদরে সংখ্যা কম করে দেখানো হয় । এধরনের অবস্হা অনেক দেশে বিরাজ করছে ।
ইসলামী সংগঠণগুলো বোঝার জন্য ও তাদের সম্পর্কে জানার জন্য তাদের সাথে মিশেছি । তাদের পত্রিকাগুলোতেও কয়েক বছর লেখালেখি করেছি । যেমন : দৈনিক ইনকিলাব, ইসলামী ছাত্র শিবিরের মুখপাত্র ছাত্র সংবাদ ও কিশোর কন্ঠ ।
ইসলামী সংগঠণগুলো সম্পর্কে বাংলাদেশে ইসলামী সংগঠণগুলো টিকে আছে মুসলিমদের বিভিন্ন সম্প্রদায় ও অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা বিদ্বেষ প্রচার করে এবং এক শ্রেনীর উগ্র ধর্মান্ধ কর্মী-সমর্থকের উপর ভিত্তি করে ।
৩.চলমান ঘটনার উপর যথেষ্ঠ বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্য ও লেখার ক্ষমতা অর্জন করতে হয় । হা । এই গুণটাও অর্জন করেছি । এজন্য আমি পড়াশোনা করেছি ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম অংশ নিয়েছি ।
তারা আমার এসব কথা শুনে বল্লো । তাহলে বসে আছো কেন - নতুন একটা ব্লগ সাইট বানাও । তোমার মতো আরো কম করে হলেও ১৫-২০ জনকে যোগাড় করে কাজ শুরু করে দাও ।
আমি বল্লাম : আমার সময় নেই ।
তারা বল্লো : সময় করে নিতে হয় । কাজে নেমে পড়ো । সময় ঠিকই করে নিতে পারবে ।
আমি মনে করি, আস্তিকদের ধর্মের জয়গান, নেতার কথা প্রচার , ধর্মগুরুর অমৃত কথা প্রচারের চেয়ে এই মুহুর্তে নিজেদের আত্মগঠণ ও ক্যারিয়ারে দিকে মনযোগ দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মান্ধতা পরিত্যাগ করে নিচের বিষয়গুলো অবলম্বন করে সমাজে এসবের মাধ্যমে সমাজ সংস্কার ও সমাজ কল্যাণমূলক কাজ করা উচিত :
Social conservatism,
Conservative democracy,
Economic liberalism
( এগুলোর ব্যাখ্যা পরর্তীতে দেওয়া হবে )
বিখ্যাত নাস্তিক অভিজিৎ রায়-এর সাত পুরুষ ধরে ধর্ম সংস্কারক (!), রাজনীতিবিদ, লেখক-সাহিত্যিক-কবি-বুদ্ধিজীবি এবং সমাজসেবক । এমন গুণাবলী সম্পন্ন পরিবার আস্তিকদের মধ্যে পাওয়া যায় না বলেই মনে হয় । এর কারণও অনেক । কারণ হিসেবে বলা যায়, এক বিংশ শতাব্দিতেও এসেও বিবি তালাকের ফতোয়া, রোজা ও ঈদে আকাশে চঁদ থাকতে চাঁদের আবিস্কার ও ধর্মের নামে হানাহানি - রেশারেশি আস্তিকদের সৃষ্টিশীলতা ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা শেষ করে দিয়েছে ।
যারা আমার উদ্যোগের সাথে একমত । তারা আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে পারেন ।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সেটাই ভাল হয়
এসবিতে আপনার ও আপনার সমমনাদের বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজনের কথা শুনেছিলাম , যেমন : সেরা বন্ধু.... এরকম কিছু ।
কোন আপডেট আছে কি বা এতদ সংক্রান্ত কোন লিংক ?
Please do sticky this post...
কারন যা করবেন বা সাইট খোলার পর যা প্রকাশ পাবে তার হিসাব মহান আল্লাহ নিবেন।
আমি আপনার লেখনীর ধৈর্যের প্রশংসা করি! তবে বিদ্ধেষী মনোভাব বাদ দিয়ে ইসলাম প্রচার করার উদ্দেশ্যে হলে আমিও একটি আইডি খোলবো আপনার তৈরী করা ব্লগে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন