জামায়াত-শিবিরের লোকদের আওয়ামী লীগে যোগ দান করার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৪৪:০০ বিকাল
আমরা বাংলাদেশের জনগণ সুখে-শান্তিতে থাকতে চাই
জামায়াতে ইসলামীর লোকদের আওয়ামী লীগে যোগ দান করার জন্য অনুরোদ করছি । বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের ভাইদের বাংলাদেশ ছাত্র লীগে যোগ দান করার অনুরোদ করছি ।
মনে রাখবেন :
১. ইসলাম প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী লোকদের ধর্ম ।
২. ইসলাম ধর্ম প্রতিটা মুসলিমদের প্রচার ও প্রসার করা ফরজ । এই ফরজ কাজ করার জন্য জামায়াত-শিবিরের লোকদের অবশ্যই আওয়ামী লীগ যোগ দান করা আবশ্যক ।
৩. ইসলামের খুব খারাপ অবস্হায় যখন হালাকু খান বাগদাদের ১০ লাখ লোককে হত্যা করলো এবং মুসলিম বিশ্বকে তছনছ করলো । তখন অনেক মুসলিম হালাকু খানের দলে যোগ দিয়ে হালাকু খানের সেনাবাহিনীকে ও তার বংশকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করলো । তার ফল স্বরুপ তার ভাই কুবলাই খান ছাড়া তার বংশের ছেলে-মেয়েরা ইসলামের মহান সেবকে পরিনত হয় । হালাকু খানের বংশধররা চীন হতে জার্মানী পর্যন্ত শাসন করতো । কুবলাই খান ছিল চীনের শাসক । সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি । গ্রহণ করলে চীন দেশের বেশীর ভাগ মুসলিম হয়ে যেতো ।
এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে হলে ইসলামী ফাউন্ডেশন হতে প্রকাশিত মাওলানা মনজুর নোমানী ও মুফতি মুহাম্মদ শফী-র লেখা তাসাউফ কাহাকে বলে বইটা পড়ুন ।
আপনারা আওয়ামী লীগের লোকদের নাস্তিক, ভারতের দালাল ও হিন্দু ইত্যাদি উপাধি দিয়ে দুরে ঠেলে দিবেন না ।
৪. জয় বাংলা স্লোগানে ইসলামবিরোধী উপাদান নেই । জয় শব্দটার মধ্যে হিন্দুত্ব বলে কিছু নেই । যদি জয় শব্দের মধ্যে হিন্দুত্ব আবিস্কার করা হয়, তাহলে পানি, বিশ্ব, পৃথিবী, নর-নারী, মানুষ, .... ইত্যাদি শব্দের মধ্যে হিন্দুত্ব খুজে পাওয়া যাবে । জয় বাংলা স্লোগনটাকে আমাদের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণা এবং বৃহত্তর বাংলাদেশ গঠণের বিপ্লবী স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করা খারাপ কিছু নয় ।
৫. বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির পিতা - এই কথা বলার মধ্যেই খারাপ কিছু নেই । কারণ বঙ্গবন্ধু , বাঙ্গালী জাতির পিতা - এগুলো হলো তার উপাধি ।
পাকিস্তানের মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে কায়েদে আজম বলা হতো । এটা তার উপাধী । এর অর্থও জাতির পিতা । সুতরাং মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ক্ষেত্রে যা সঠিক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান -এর ক্ষেত্রে তা কেন সঠিক হবে না ।
৬. সবার মধ্যেই ভুল-ভ্রান্তি আছে । তাই বলে ভুল-ভ্রান্তিগুলোকে সম্মুখে রেখে কাউকে দুরে ঠেলে দেওয়া ইসলামের নীতি নয় ।
জামায়াতের অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছে এবং সাতকানীয়া আসনে আন্তজার্তিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের রেজিস্টার, জামায়াতের রোকন এবং জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদ সদস্য আবু রেজা নদভী সাহেব আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হয়েছেন ।
এভাবে কম করে হলেও দশ হাজর জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন এবং আওয়ামী লীগের লোকদের সাথে আত্মীয়তা করেছেন । আমি তাদের হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, মতিয়া চৌধুরীর স্হান দখল করার জন্য যোগ্যতা অর্জন করার অনুরোদ করছি এবং তাদেরকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কাছে ইসলামের সঠিক শিক্ষা প্রচার করার আহবান জানাচ্ছি । কারণ আল্লাহ কুরআনে বলেছেন :
ادْعُ إِلِى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ وَالْمَوْعِظَةِ الْحَسَنَةِ وَجَادِلْهُم بِالَّتِي هِيَ أَحْسَنُ إِنَّ رَبَّكَ هُوَ أَعْلَمُ بِمَن ضَلَّ عَن سَبِيلِهِ وَهُوَ أَعْلَمُ بِالْمُهْتَدِينَ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে। - সুরা নহল : ১২৫ ।
উপসংহার :
এটা আমার নিজস্ব অভিমত । উপরন্তু যে বা যারা বাংলাদেশের রাজনীতিকে মিশর, কামাল আতাতুর্কের তুরস্ক ও রাশিয়ার কমিউনিস্টদের রাজনীতির সাথে তুলনা করছেন - তাদের উদ্দেশ্যে বলছি : আপনাদের ধারণা ভুল । এই ব্যাপারে আপনাদের আরো পড়াশোনার প্রয়োজন আছে । উপরন্তু রাজনীতিতে ধর্ম একটা উপাদান , ভাষা একটি উপাদান , অর্থনীতি একটা উপাদান, অঞ্চলিকতা একটা উপাদান । কিন্তু আধুনিক রাজনীতির ধ্যান ধারণাতে শুধুমাত্র ধর্ম কোন উপাদান হতে পারে না । অনেকে এই ব্যাপারে ভারতের বিজেপি এবং জার্মানীর ক্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টিকে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনতে পারেন । কিন্তু বাস্তব অবস্হা হলো এগুলো জাতীয়তাবাদী দল । এগুলোর সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তুলনা হতে পারে । কিন্তু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে জাতীয়তাবাদের চর্চা নেই বল্লেই চলে ।
আপনারা গালি গালাজ মূলক কথা না লিখে সুচিন্তিত ও জ্ঞানগর্ভ মন্তব্য লিখুন ।
ওয়ামা আলাইনা ইল্লাল বালাগুল মুবীন । ...ইত্তাবিউ মাল্লাও ইয়াস্য়ালুকুম আজরাও ওয়াহুম মুহতাদুন ।
( পরিস্কারভাবে আল্লাহর বাণী পৌছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব। .. .. অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত। - সুরা ইয়াসিন : ১৭,২১)
আমার এই রিসালাহ্ যাদের ভাল লাগবে তাদের সুচিন্তিত মন্তব্য করার অনুরোদ রইল । যারা গালি গালাজমূলক মন্তব্য লিখবে - তাদের বিরোদ্ধে পোস্টদাতা সব ধরনের ব্যবস্হা গ্রহণ করার ক্ষমতা রাখেন ।
হালাকু খানের বংশধরদের ইসলামগ্রহণ করার তথ্য :
হালাকু খান মধ্য-এশিয়া, পারস্য, ইরাক ও সিরিয়া শাসন করেন। দুর্ধর্ষ মোঙ্গল নেতা ও সামরিক সংগঠক অসামান্য দক্ষতা ও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়া দখল করে ইলখানী বংশ প্রতিষ্ঠা করেন। ১২৫৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে ইলখানী বংশধররা ১৩৫৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করে। এই বংশের ধ্বংস সাধন হয় তৈমুরলঙ্গের আক্রমণে।
হালাকু খানের রাজ্যের সীমানা পূর্ব-পশ্চিমে উজবেকিস্তানের আমুর দরিয়া হতে সিরিয়ার সীমান্ত পর্যন্ত এবং উত্তর-দক্ষিণে ককেশাস পর্বতমালা হতে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
তুর্কী ইলখানী শব্দের ব্যাখ্যা করলে দাঁড়াবে 'ইল' অর্থ গোত্র এবং 'খান' অর্থ 'প্রভু'; অর্থাৎ গোত্রীয় প্রভু।
হালাকু খানের পর তার সাতজন বংশধর 'ইলখানী' উপাধি ধারণ করেন। ইলখানী নৃপতিগণ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলেন । কিন্তু তৃতীয় নৃপতি তাণ্ডদার (আহমদ) ১২৮১-৮৪ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তার পরবর্তী সময়গুলোতে এক মাত্র চীন ও রাশিয়া ছাড়াএশিয়া মহাদেশের অধিকাংশেই মুসলিমদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় ।
সুতরাং আমাদের ধৈর্য্য ধরে ইসলাম প্রচার ও প্রসারের জন্য কাজ করতে হবে ।
বিষয়: বিবিধ
১৮৪৩ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরে যথেষ্ঠ পরিমান কওমী মাদ্রাসার লোক রয়েছে ।
আবু রেজা নদভী অধ্যাপক গোলাম আজমের একান্ত সচিব ছিলেন । উপরন্তু তিনি অনেক পদ অলংকৃত করেছেন । তিনি দক্ষভাবে আন্তজার্তিক ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছেন ।
রাজনৈতিক মতাদর্শ যে কেহ পরিবর্তন করতে পারে । কারণ রাজনীতি একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় হলেও জনগণের সাথে বৃহত্তর কল্যাণের জন্য পূর্বতন রাজনৈতিক দর্শন হতে সরে আসা খারাপ কিছু নয় । আগে অনেকেই জাসদ করতো । এখন তাদের অনেকেই জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী ।
মাওলানা ফরিদ উদ্দীন মাসুদ-কে জামায়াতের কিছু নেতা দুরে ঠেলে দিয়েছেন । মাওলানা ফরিদ বিদেশ হতে অর্থ সংগ্রহ করে মাদ্রাসা ও এনজিও পরিচালনা করতেন । এই ব্যাপারটি অনেক জামায়াত নেতা ভাল চোখে দেখেননি । মাওলানা ফরিদ এক সময় মওদুদীর তাফহীমুল কুরআন-এর উপর নিয়মিত পাঠক্রম পরিচালনা করতেন । তার নিজেরই নয়, তার সমর্থকরা ইসলামী ব্যাংকে টাকা রাখতেন ।
জামায়াতের শীর্ষ নেতারা তার গঠণমূলক কাজকে সুনজরে দেখেননি ও তার কাছ হতে বিদেশ হতে আনা টাকার অংশ দাবি করেছিলেন - আর একারণেই তার সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় । এজন্য চার দলীয় জোটের সময় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাকে জেলে যেতে হয় ।
শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের অনেক প্রতিষ্ঠাতা শিবির ও ছাত্রদলের নেতা । যেমন : ডা. ইমরান হলো সাবেক শিবির কর্মী ও জামায়াতী পরিবারের লোক । আরিফ জেবতিক ছাত্র দলের সাবেক নেতা । অমি রহমান পিয়াল শিবিরের সাবেক সাথী ও শিশু কিশোর সংগঠণ ফুলকুড়ির পরিচালক ।
এটার সাথে সোয়াব অর্জনের কোন বিষয় জড়িত নেই ।
ভাল মন্দ মিলেই মানুষ । সবাই সব সময় ভাল কাজ করবে - এমন নয় । কারণ শয়তান মানুষকে কুমন্ত্রনা দেয় ।
সুন্দর ও গঠণমূলক মন্তব্য লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
আমি জামায়াতকে যতটুকু বুঝতে পেরেছি আপনার এক ও ছয় নম্ভর পয়েন্টকে তারা যথেষ্ট গুরুত্তু দেয়। তাছাড়া চার পাঁছ পয়েন্টগুলীও তারা বীরুধিতা করে না।
এর আগের পোস্টটা পড়ে আপনার আসল পরিচয় জেনে আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। ওখানে আমার মন্তব্যটা মুছে ফেলা হয়েছে। আমি কাউকে গালি-গালাজ দুরে থাকুক কটুক্তিও করিনা। যাক, দোয়া করি আপনার কলম শক্তি দিয়ে যেন ইসলামকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেন। ছোটকাট মতবেদগুলি রেখেও আমরা ঐ ঐক্যবদ্ধ হতেপারি এক আল্লাহ, এক কোরআন, এক কা'বা, এক কালেমা ও এক রাসুল (সা..) আমাদের ঐক্যর মজবুত বন্ধন।
"সবার মধ্যেই ভুল-ভ্রান্তি আছে । তাই বলে ভুল-ভ্রান্তিগুলোকে সম্মুখে রেখে কাউকে দুরে ঠেলে দেওয়া ইসলামের নীতি নয় " ইসলাম প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী লোকদের ধর্ম "
আশা করি আপনার আগামী পোস্টগুলিতে ওহাবি,সালাফি,আহলেহাদীস,মওদুদী,হেফাজত,জামায়াত-শিবির ও তাবলীগের ভুল-ভ্রান্তিগুলোকে দুরে রেখে প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী ইতিবাচক সমালচনা পড়তে পারব ইনশাআল্লাহ!
জাযাকাল্লাহ খায়ের
"আপনার আগামী পোস্টগুলিতে ওহাবি,সালাফি,আহলেহাদীস,মওদুদী,হেফাজত,জামায়াত-শিবির ও তাবলীগের ভুল-ভ্রান্তিগুলোকে দুরে রেখে প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী ইতিবাচক সমালচনা পড়তে পারব ইনশাআল্লাহ!"
আমাদের ভুল ভ্রান্তিগুলো জানতে হবে । তাহলে আমাদের ভুল ভ্রান্তিগুলো দুরীভুত হবে ।
ওটা না পাঠালেও আপনার সকল লেখা-ই পড়ি
পোস্ট/বিষয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন!!
এসব প্রশ্নের উত্তর হলো : না ।
আপাতত এতটুকু বল্লাম । পরবর্তী কোন লেখায় এব্যাপারে আরো তথ্য দিবো ।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ বলেন, দুনিয়াতে তিন ব্যক্তি অত্যন্ত বিচখন এবং চেহারা দেখে শুভাশুভ নিরূপণ কারি প্রমাণিত হয়েছেন। প্রথম আযিযে মিশর (উপাধি অথাৎ তিনি ফেরাউন বংশের কেউনা )। এই আযিযে –মিশর তার প্রখর জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দারা ইউসুফ (আঃ) এর গুনাবলী অবহিত হয়ে স্ত্রীকে উপরোক্ত নিদেশ (সুরা ইউসুফ আয়াত নং ২১) দিয়ে ছিলেন। দ্বিতিয় জন হযরত সোয়েব(আঃ) ঐ কন্যা ------ ---এবং তৃতিয় জন হল হযরত আবুবকর সিদ্দিক --------- ইবনে কাশীর)
আযিযে- মিশর ইউসুফ (আঃ) জীবন দশায় মুসলিম হয়ে ছেলেন এবং মৃত্যু বরন করে ছিলেন (মাযহারী)। ইনশাল্লাহ কিয়ামতের দিন এই আযিযে- মিশর যিনি ইউসুফ (আঃ) জীবন দশায় মুসলিম হয়ে ছেলেন, এক জন মুমিন হয়ে উঠবে এই আশা রাখি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন