ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ও তাদের মুসলিম নামধারী পৃষ্ঠপোষকদের বিরোদ্ধে আমাদের হযরত শাহজালাল (রহ) - এর মতো জিহাদী চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ১৮ আগস্ট, ২০১৪, ১২:৫১:০১ রাত



বাংলাদেশে ইদানিং ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ও তাদের মুসলিম নামধারী পৃষ্ঠপোষকরা তাদের অশুভ কার্যক্রম পরিচালনা করার পাশাপাশি ইসলাম ও মুসলিমদের আঘাত দিয়ে যাচ্ছে না, বরং ইসলাম ও মুসলিম শব্দ দুইটির সম্মান ও মর্যাদাকে বিলীন করার চেষ্ঠা করে যাচ্ছে ।

বিবেকের তাড়নায় এবং ইসলাম ও আল্লাহ ও তার রাসুল সা- এর সম্মান ও মর্যাদার স্বার্থে লিখতে বাধ্য হলাম ।

আমি মনে করি, তাসলিমা নাসরিন-সহ যে বা যারা ইসলামবিদ্বেষী তাদের বিরোদ্ধে নিচের পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করলে তা অধিকতর ফলপ্রসু হবে -



বসুন্ধরা গ্রুপের আহমেদ আকবর সোবাহান । তার প্রতিষ্ঠানগুলোর পন্য বর্জন করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব

১ম পদ্ধতি :

তাসলিমা নাসরিন-সহ যে বা যারা ইসলামবিদ্বেষী তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে বর্জন করতে হবে ।

যেমন : বসুন্ধরা ও কালের কন্ঠ গ্রুপের সাথে সম্পৃত্ত সব পন্য বর্জনের ডাক দিতে হবে । এজন্য জনমত গঠণের জন্য জনসচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে ।



নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় , ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১৫ টা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নাস্তিকতার প্রধান প্রষ্ঠপোষক । এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে সুকৌশলে নামাজ পড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।

https://www.facebook.com/1414444932122075/photos/pb.1414444932122075.-2207520000.1408302080./1504621696437731/?type=3&src=https%3A%2F%2Ffbcdn-sphotos-f-a.akamaihd.net%2Fhphotos-ak-prn2%2Ft1.0-9%2F10468082_1504621696437731_6544316283507220492_n.png&size=320%2C415&fbid=1504621696437731

https://www.facebook.com/1414444932122075/photos/pb.1414444932122075.-2207520000.1408302080./1489528284613739/?type=3&src=https%3A%2F%2Fscontent-b-hkg.xx.fbcdn.net%2Fhphotos-xpa1%2Ft1.0-9%2F10345981_1489528284613739_3784788432710389964_n.jpg&size=557%2C800&fbid=1489528284613739





নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় , ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১৫ টা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নাস্তিকতার প্রধান প্রষ্ঠপোষক । এগুলো অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা প্রচার করে যাচ্ছে ।

ছবিতে যাকে দেখা যাচ্ছে তার নাম নায়লা নাইম। তিনি বাংলাদেশের 'সানি লিওন' হিসেবে পরিচিত!! কেন পরিচিত তা জানতে Naila Nayem লিখে গুগলে ইমেজ সার্চ দিন।

তিনি একটি ক্লিনিকের মালিক! বলা হয় ডাক্তারও নাকি!! বর্তমানে একটি মুভিতে অভিনয় করছেন।

এই মেয়েটি মুভির মাধ্যমে পরিচিতি পাবে। আবাল ছেলেরা একে ড্রিম গার্ল হিসেবে মেনে নেবে আর চরিত্রহীনা মেয়েরা এর থেকে ইন্সপায়ার্ড হবে। তারা দেখবে এই পতিতাটি উলঙ্গপনা করে মডেলিংয়ের মাধ্যমে নায়িকা হয়েছে। তাই সেই মেয়েরাও উলঙ্গপনাকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরে নিয়ে নিজেরাও বাংলাদেশের সানি লিওন হিসেবে তৈরি হবে! ফলাফল, সমাজ হবে নায়লার মতো পতিতাদের আখড়া!!






https://www.youtube.com/watch?v=X4F8AZ15Qdc

http://forum.projanmo.com/topic47216.html

https://www.facebook.com/parisa.shakur

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষিকা পারিসা শাকুর । এধরনের শিক্ষিকা হতে ছেলেরা অর্থনীতির কি শিখে । শিখে তো শুধু নোংড়ামি আর বেহায়াপনা ।এধরনের শিক্ষিকা দিয়ে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিপূর্ণ । এরা নাস্তিকতা ও নোংড়ামী বিস্তার করছে উল্লেখ্য নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়ই কন্ডম ও জন্মনিরোধ সামগ্রী দিন ভর ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে বিতরণ করা হয় http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/43807

২য় পদ্ধতি :

তাসলিমা নাসরিন-সহ যে বা যারা ইসলামবিদ্বেষী তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও প্রকাশনার বিরোদ্ধে জনমত গঠণের জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে । যেমন : নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় , ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১৫ টা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নাস্তিকতার প্রধান প্রষ্ঠপোষক । তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য জনমত গঠণ করতে হবে । আর এজন্য সর্ট ফ্লিম ও সাউড শো বানাতে হবে । এসবের মধ্যে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্ররা কীভাবে নাস্তিকতা-নোংড়ামী-বেহায়াপনা প্রচার করে তা তুলে ধরতে হবে ।



রকমারি ওয়েবসাইটের মালিক যিনি একই সাথে উদ্ভাস কোচিং সেন্টারেরও মালিক মাহমুদুল হাসান সোহাগ । উদ্ভাস কোচিং সেন্টারে মাধ্যমে নাস্তিকতা প্রচার করা হয় এবং রকমারি সাইটের মাধ্যমে নাস্তিকদের বই লোকদের বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয় । লোকটা চরম ইসলামবিদ্বেষী । কিন্তু লোকদের ধোকা দেওয়ার জন্য ইদানিং নামাজি হয়েছেন শোনা যাচ্ছে ।

আগামী, চারিদিক, অনুপম, শিখা, অনন্যা, .. সহ ১৫০ টা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান এবং মুক্তমনা, ধর্মকারী, সামহোয়ার ইন ব্লগ, আমার ব্লগ, নাগরিক ব্লগ এবং ক্যাডেট কলেজ ব্লগ সহ প্রায় সব ব্লগ সাইট ইসলাম ও মুসলিমদের বিরোদ্ধে অবস্হান নিয়েছে । তাদের নাস্তিকতা-নোংড়ামী-বেহায়াপনা প্রচার করার ধরন জনগনের কাছে তুলে ধরতে হবে ।

৩য় পদ্ধতি :

ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক ও রাজনীতি দলের কর্মীদের সামাজিকভাবে বয়কট করার জন্য জনমত গঠণ করতে হবে । আর এলক্ষ্যে বিন্দুমাত্র ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থের পক্ষে কাজ করে এমন সংগঠণ ও ব্যক্তিদের একই ছাতার মধ্যে আনার জন্য আমাদের সবার চেষ্টা ও সাধনা করতে হবে ।

৪র্থ পদ্ধতি :

ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক ও সুবিধাভোগীদের সামাজিকভাবে বয়কটের জন্য চেষ্টা চালাতে হবে । যেমন : রকমারি ডট কম ও উদ্ভাস কোচিং সেন্টারের মালিক । এই প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার সহ বেশ কিছু কোচিং সেন্টার সমাজে সুকৌশলে নাস্তিকতা ছড়াচ্ছে ।

৫ম পদ্ধতি :

ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের যারা ভাল লোক মনে করে বা তাদের পক্ষে অভিমত ব্যক্ত করে ও মুসলিম দাবি করে তারা যাতে মসজিদকে ব্যবহার না করতে পারে সেই দিকে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে । কারণ মসজিদ আল্লাহর ঘর । সেখানে নাস্তিকদের বন্ধুরা প্রবেশ করা কুরআনবিরোধী । কারণ সুরা বনী ইসরাইলে এই ব্যাপারে মুসলিমদের চুড়ান্তভাবে কঠোরতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে ।



মাঝের লোকটি বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম । তিনি ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক যেমন : তাসলিমা নাসরিন -দের লেখা নিয়মিত ছাপেন । তাকে ও তার পত্রিকাকে না বলুন ।

http://www.somewhereinblog.net/blog/mrsumon007/29463476

৬ষ্ঠ পদ্ধতি :

ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের যারা ভাল লোক মনে করে তাদের লেখাকে জনগণের কাছে পৌছে দিচ্ছে তাদের ও তাদের আত্মীয় স্বজনকে সনাক্ত করে জনগণের কাছে উপস্হাপন করতে হবে ও জনগণের সামনে তাদের এই কাজ করার কারণ বলতে বাধ্য করতে হবে । এই কাজটা অনেকভাবে করা যায় । যেমন : আলোচিত লোক নইম নিজামের মতো এক লোক জনকন্ঠে শুভ রহমান নাম ব্যবহার করে লিখতেন । তিনি সুরা তীনের পেরোডি লিখেছিলেন । তার পরিবারের বেশ কিছু সদস্য রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করার সময় জনগন বলতো : নাস্তিক বাপের ছেলে রাস্তা দিয়ে যায় । আল্লাহর দুষমন-নবীর দুষমনের স্ত্রী রাস্তা দিয়ে যায় । ..। এই যে এই ধরনের কথা ও কাজ সংশ্লিষ্ট লোকের ক্ষেত্রে সামান্য হলেও প্রভাব বিস্তার করেছিলো । আমার জানা মতে এর পর আর এই লোককে জনকন্ঠে এজাতীয় আর কিছু লিখতে দেখা যায়নি ।

৭ম পদ্ধতি :

১৬ টা টিভি চ্যানেল ও ১২ টা পত্রিকা প্রকাশ্যে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পক্ষ অবলম্বন করে যাচ্ছে । উপযুক্ত সময় ও পরিবেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য আইনগত ও বৈষয়িক কার্যক্রম আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে পরিচালনা করতে হবে । এজন্য ফ্যাক্ট-ফান্ডিং কমিটি তৈরী করতে হবে । এই কমিটি কবে কোথায় ও কখন এসব মিডিয়া ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের পক্ষে অবস্হান নিয়েছিলো তার বিভিন্ন প্রমান সংগ্রহ করবে । তাদের বিরোদ্ধে আমাদের সংগ্রামে আমাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে । অন্যথায় এদের কারণে আমাদের দেশ হতে ইসলাম ও মুসলিম শব্দ দুটি সম্মান ও মর্যাদা হারাতে থাকবে । তাদের বেহায়পনা ও অশ্লীলতা বিস্তারমূলক অনুষ্ঠানগুলোতে কারা আয়োজক ও অংশগ্রহণকারী তাদের প্রতি আমাদের কড়া নজর রাখতে হবে । তাদের অশুভ কার্যক্রম বিভিন্নভাবে সমাজের তৃণমূল পর্যায়ে তুলে ধরতে হবে ।



ইসলামবিদ্বেষী বামপন্হীদের দ্বারা পরিচালিত ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ে সম সময়ই নামাজ নিষিদ্ধ । রোজার মধ্যেও নামাজ নিষিদ্ধ থাকে । যে বা যারা ইসলাম প্রদর্শিত ভাবে জীবন যাপন করতে চায় তাদের পরীক্ষায় ফেল করানো হয় এবং বিভিন্নভাবে অপমান করা হয় । অনেক মেয়ের ওড়না পর্যন্ত ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে । অনেকে এর প্রতিবাদ করায় তাদের বাবা ও ভাইকেও অপমান করা হয়েছে । এর প্রতিশোষ নেওয়া মুসলিমদের ঈমানি দায়িত্ব । এই বিশ্ববিদ্যালয়ে টর্ক নামক বেহায়াপনামূলক কার্যক্রমে ভালভাবে অংশ নেয় না - তাদের শিক্ষা জীবন বাধাগ্রস্হ করা হয় । http://www.bracu.ac.bd/news/class-timing-during-holy-ramadan-2014

ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ও তাদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করার ধরণ :

আমি মনে করি, ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করাটা অত্যন্ত কঠিন ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার । যদিও বিষয়টা ত্যন্ত কঠিন ও সময় সাপেক্ষ তারপরও আমরা ইনশাআল্লাহ উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের বিরোদ্ধে জয়ী হতে পারবো এবং দুনিয়া - আখেরাতের কল্যাণ লাভের পাশাপাশি আমরা মুসলিমরা মানুষ সভ্যতায় প্রভাবশালী জাতি হিসেবে অবদান রাখার পাশাপাশি ইসলামী ভাবদর্শের আলোকেই বিশ্বসভ্যতাকে উন্নায়ন-অগ্রগতি-প্রগতির পথে নিয়ে যেতে পারবো । এজন্য আমাদের ঠান্ডা মাথায় ঐক্যবদ্ধভাবে সব-মত-পথ ভুলে জ্ঞান ও ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়ে নিরোলসভাবে কাজ করে যেতে হবে ।

আর আমাদেরকে হযরত শাহ জালাল রহ- এর মতো জিহাদী চেতনায় উজ্জীবিত হতে হবে । তিনি যেমন ইসলামবিদ্বেষী গৌড় গোবিন্দকে সমূলে বিনাস করেছিলেন আধ্যাত্মিকতা ও জাগতিক জ্ঞানের মাধ্যমে, ঠিক আমাদেরকে তার কবর ছুয়ে তার চেতনা ও কৌশল প্রয়োগ করার ব্যাপারে দৃপ্ত শপথ নিতে হবে আর সবাই জানিয়ে দিতে হবে : বাংলাদেশ ইসলাম ও মুসলিমদের । এখানে যে বা যারা টিকে থাকতে চাইবে তাদের অবশ্যই ইসলাম ও মুসলিমদের স্বার্থ দেখতে হবে আর ইসলাম ও মুসলিম শব্দ দুইটি শ্রদ্ধা ও সম্মানের নজরে দেখতে হবে ।

আমাদের হৃদয়ে এই কথাগুলো বদ্ধমূল করতে হবে :

১। বাংলাদেশই আমাদের ইহজাগতিক ঠিকানা ।

২। মৃত্যুর পর জান্নাত আমাদের ঠিকানা ।

৩। জ্ঞান ও ইসলাম আমাদের গন্তব্য ।



গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত :




তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দীনের এই ভিডিওতে [www.youtube.com/watch?v=kmZqNSfCLVM]

উনারা পবিত্র কোরআন শরীফের উপর তাদের এঁটো চায়ের পেয়ালা রেখেছে। ভিডিও টা দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন ২ টা কোরআন এমনভাবে রাখা হয়েছে যাতে সবার চোখে পরে যে পবিত্র কোরআন শরীফের উপরই আমরা আমাদের চায়ের কাপ রেখেছি। গত ১০ই আগস্ট ২০১৪ তারিখ ওয়ার্ল্ড হিউমেনিস্ট কংগ্রেসের শেষ দিনে লন্ডনের অক্সফোর্ডে মিলিত হন তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দিন (ইন্ডিপেন্ডন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র । এই বিশ্ববিদ্যালয় নাস্তিকতা, ইসলামবিদ্বেষ ও নোংড়ামী প্রচার ও প্রসার করে যাচ্ছে । ) ও ব্লগার আরিফুর রহমান।

আলাপচারিতার সময় অনেকটা সচেতনতার সাথেই যেন তারা পবিত্র কোরআন শরীফের উপর তাদের এঁটো চায়ের পেয়ালা রাখে। এটাই কি একজন মুক্তমনার বৈশিষ্ট্য যে দুনিয়ার এত বই থাকতে মুসলমানদের পবিত্র কোরআন শরীফের উপরেই চায়ের কাপ রাখতে হবে ? যেই সাক্ষাৎকার গনমাধ্যমে প্রচারিত হবে এরকম কোন সাক্ষাতকারে কি রিচার্ড ডকিন্স বাইবেলের উপর উনার কফির পেয়ালে রাখবেন ?

তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন কি রিচার্ড ডকিন্সের চেয়েও বড় মুক্তমনা হয়ে গেল যে যে দুনিয়ার এত বই থাকতে মুসলমানদের পবিত্র কোরআন শরীফের উপরেই তাদের চায়ের কাপ রাখতে হবে ? আসলে এরা কেউই নাস্তিক না এরা হচ্ছে প্রচন্ড রকমের ইসলাম বিদ্বেষী। এরা নাস্তিকতার মুখোশ পরে নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষীতাটা প্রচার করে।

ছবিটায় আপনারা একটু লক্ষ্য করে দেখেন তসলিমা নাসরিন ও আসিফ মহিউদ্দীনের পিছনেই বইয়ের অনেক বড় একটা তাক রয়েছে। সেখানে কিন্তু অনেক বড় বড় মোটা বই রয়েছে। চায়ের কাপ যদি রাখতেই হয় তাইলে উনারা অন্য কোন বইয়ের উপর রাখুক কিন্তু মুসলমানদের কোরআন শরীফের উপর কেন তারা চায়ের কাপ রাখবে ?

আর তারা তো জানত তাদের এই কথোপকথনের ভিডিও টা সংবাদ মাধ্যমে আসবে তাইলে তো বুঝাই যাচ্ছে মুসলমানদের অনুভূতি কে কষ্ট দেবার জন্যই তারা এই কাজটি করেছে। আচ্ছা আজকে যদি তসলিমা নাসরিন হিন্দুদের পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ বেদের উপর উনার চায়ের কাপ রাখত তাইলে এখন ভারতে তসলিমা নাসরিনের বিরুদ্ধে কি পরিমান আন্দোলন শুরু হত তা কি আপনারা ভাবতে পেরেছেন ? তসলিমা নাসরিন কি আর ভারতে যেতে পারত ?

অথবা এই তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন যদি খৃস্টানদের বাইবেলের উপর তাদের এঁটো চায়ের পেয়ালা রাখত তাইলে এখনিতো তাদের কে লাত্থি মেরে লন্ডন থেকে বের করে দেওয়া হত। তবে এটাও ঠিক তসলিমা নাসরিন, আসিফ মহিউদ্দীন কখনোই বাইবেলের উপর তাদের চায়ের কাপ রাখবে না কারন খৃষ্টান মিশনারীদের টাকায় তারা জীবনধারণ করে।



উপসংহার :


আমার লেখার টিপসগুলো আর গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যটা নিয়ে বার বার ভাবুন । আর যদি আপনারা সত্যিকার মুসলিম হোন তাহলে ভাবুন, আপনার ঈমানের বেরোমিটার এখন কোন পর্যায়ে আছে ?



হযরত শাহ জালাল রহ - এর মাজার শরীফ । আমাদের তার মাজার ছুয়ে শপথ নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক সম্প্রদায়ের বিরোদ্ধে সোচ্চার হতে হবে ।



হযরত শাহ জালাল রহ ১৩০৩ সালে ৩২ বত্সর বয়সে ইসলামবিদ্বেষী হিন্দুদের অত্যাচার হতে মুসলিমদের রক্ষার জন্য ও ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য তুরস্ক হতে বাংলাদেশে আসেন ।

সিলেট ও আসামে তাঁর মাধ্যমেই ইসলামের বহুল প্রচার ঘটে । তিনি অত্যাচারী ও অত্যাচারী ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু রাজা গৌড় গোবিন্দকে সমূলে বিনাস করেন ও সিলেট জয় করেন । তিনি ছিলেন সেই সময়ের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সমর নায়ক ।



https://www.youtube.com/watch?v=4ojoIlSlq50

সিলেট বিজয়ের পরে শাহ জালালের(র) সঙ্গী ও অনুসারীরা সিলেট সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে বসবাস করেন ও ইসলাম প্রচার ও প্রসারের কাজ করেন । শাহজালাল(র) ও তাঁর সাথীদের সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ।আসুন আমরা তার ত্যাগকে স্মরণ করি ও তার মতো জিহাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হই ।


বিষয়: বিবিধ

৫৩১৪ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

255390
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:২৩
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এটা-তো ইচ্ছা করে করছে – আর ভালো কেউ এসব করবে না বিধায় ওদের মতো দুই গ্লাস ভোদকার বিনিময়ে উলঙ্গ হইয়া পাছা নাচানো ফোর্থ-ক্লাস পাব্লিক দিয়া করাইছে; এর একমাত্র কারণ - অন্য সব গঠনমূলক বিষয় নিয়ে যাতে সমালোচনা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকে, এ জন্য ওরা ইচ্ছাকৃতভাবেই একের পর এক এধরনের ইস্যু বানাইয়া দেয়ঃ আর আমরাও মাতি!
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
199114
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি লিখেছেন : "অন্য সব গঠনমূলক বিষয় নিয়ে যাতে সমালোচনা বাদ দিয়ে সাধারণ মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকে, এ জন্য ওরা ইচ্ছাকৃতভাবেই একের পর এক এধরনের ইস্যু বানাইয়া দেয়ঃ আর আমরাও মাতি! "

উত্তরে বলছি :

দয়া করে কুরআনের এসব উদৃতি ও হাদিস ভালভাবে পড়ুন ।

আমাদের অবশ্যই গঠণমূলক বিষয় নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হবে এবং অন্যায় - অশ্লীল ও ইসলামবিরোধী কাজের জোড়ালো প্রতিবাদ করতে হবে ।

আল্লাহ বলেছেন, তোমরা হলে সর্বোত্তম জাতি। মানুষের কল্যাণের জন্য যাদের বের করা হয়েছে। তোমরা সৎ কাজের আদেশ দেবে আর মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করবে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১১০).

তোমাদের যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলি তোমাদের কৃতকর্মের ফল (সুরা শূরা ৩০)।

রাসূল (সাঃ) বলেন, তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে-

(১) যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্য অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে, তখন সেখানে প্লেগ মহামারী আকারে রোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি।

(২) যখন কোন জাতি ওযন ও মাপে কারচুপি করে, তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন দারিদ্র্য এবং শাসকদের নিষ্ঠুর নিপীড়ন।

(৩) যখন কোন জাতি তাদের ধন- সম্পদের যাকাত আদায় করে না, তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদি ভু- পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকত, তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হ’ত না।

(৪) যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়- সম্পদ কেড়ে নেয়।

(৫) যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযিলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দেন (ইবনু মাজাহ হা/৪০১৯, ছহীহাহ হা/১০৬-০৭)।



আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা তোমাদের পরীক্ষা নেব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি ও ফল-শস্যাদি বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ হ’ল ধৈর্যশীলদের জন্য’ (বাক্বারাহ ২/১৫৫)।



রাসূল (সা) বলেন, ‘মানুষ যখন কোন অন্যায় হতে দেখে, অতঃপর তারা তা প্রতিরোধ করে না, তখন সত্বর আল্লাহ তাদেরকে ব্যাপক গযবের দ্বারা পাকড়াও করেন’ (তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫১৪২)।




আশা করি, আর কিছু না করতে পারেন অন্তত শেষে উল্লেখিত হাদিসটার উপর আমল করুন ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৮:১৫
199116
বুড়া মিয়া লিখেছেন : এভাবে লিখে এসবের আলচনায় মেতে থাকার নাম প্রতিরোধ?

সত্য কথা বলতে হলে, বলতে হয় - এটা তো বিনোদন!
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
199276
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : বুড়া মিয়া : আলোচনা হলে বা লেখালেখি হলেই বিষয়টা জানতে পারবেন । একটা সময় আপনারাই জনগণকে সাথে নিয়ে এসব বিষয়ে রাজপথ কাপিয়ে তোলবেন এবং জনগণকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশকে ইসলামী সাধারণতন্ত্রে পরিনত করে এসব ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রকাশ্যে ফাসি দিবেন ।
255393
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৫:৪৬
সাদাচোখে লিখেছেন : আপনি যা লিখেছেন - সাধারন সেন্স এ মনে হয় প্রতিকার সমূহ বুঝিবা ভালই। কিন্তু আমি যখন আপনার পরামর্শ অনুযায়ী এ নিয়ে ভাবলাম - মনে হল আপনার পরামর্শ মানলে মূলতঃ ঐ ভদ্রলোক ও ভদ্রমহিলাকে আসলে প্রমোট করা হবে - বিশেষ করে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ও মিডিয়া আউটলেট এর যে স্ট্যাটেস্টিক্স দিয়েছেন। এ পরিসংখ্যান বলছে - আপনার সমাজে ইতোমধ্যে বিরাট এক সংখ্যা তৈরী হয়ে আছে - যারা অমন হিরোদের খুজছে। আপনার স্ট্রাটেজির কারনে - তারা তাদেরকে খুজে পাবে, আরো এট্রাক্ট হবে।

এর সমাধানের জন্য আমি বরং ফতোয়া ও তা কার্যকর করার জন্য আহ্বান জানাতে বলবো।

আপনি কোরান ও হাদীসের যথাযথ রেফারেন্স দিয়ে একটা ফতোয়া দিন যে - এরা (ধর্ম বিদ্বেষীরা) ব্যক্তিগতভাবে আল্লাহ, মোহাম্মদ সঃ, কোরান ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যা করছে - তা ইসলামের অমুক অমুক আয়াত কিংবা অমুক অমুক হাদীস দ্বারা মৃত্যুদন্ডতুল্য। সুতরাং যে ব্যাক্তি তা সে সমাজের যে তলার ই হোক না কেন - ফ্যাক্টস ফিগার ইত্যাদি ছাড়া আল্লাহ, মোহাম্মদ সঃ ও ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু বললে, লিখলে, করলে - আল্লহর পক্ষে তার মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করা - যে কোন মুসলমানের জন্যই ইসলামী শরিয়া অনুযায়ী বৈধ।

রেজাল্ট আপনি তারপর দেখবেন।

১। বাংলাদেশে অনেক মানুষই আছে যারা অমন শহীদী ফাঁসির জন্য প্রস্তুত আছে। দরকার হচ্ছে প্রমান ও ঘোষনা।

২। নাস্তিক ও ধর্মবিদ্বেষীদের জীবন যতটা প্রিয় - ট্রু মুসলিমের কাছে আল্লাহ, নবী ও তাদের সন্মানে মৃত্যু তার চেয়ে প্রিয়।

৩। দেশের নিরাপত্তার যে লেভেল - আমরা দেখি না আমাদের পুলিশি ভাইরা কত হাজার ইসলাম বিদ্বেষীকে ভিআইপি প্রটেকশান দিয়ে রাখতে পারে? আর কে জানে পুলিশ বিভাগে কতজন বেহেস্তের লোভে ফতোয়া কার্যকর করতে প্রস্তুত হয়ে আছে।

সো আপনার অমন ডেমোক্রেটিক অমন পাশ্চাত্য স্টাইলের বাহিরে সরাসরি ইসলামিক সমাধান দিন - তাতে রেজাল্ট পাবেন বলে আমার বেশী মনে হয়। ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ - আপনার দেয়া মেয়েদের ছবি মূলতঃ তসলিমাদের কোরানে কাপ রাখার চেয়ে অনেক বেশী নোংরা ও অভিশপ্ত মনে হয়েছে।
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৫১
199104
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : তাসলিমা নাসরিন-সহ সব নাস্তিক, ইসলামবিরোধী-ইসলামবিদ্বেষীদের জন্যে বদ দুয়া করা মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/45098 - লেখাটা আমি কুরআন-হাদিস-ইসলামী আইনের উপর নির্ভর করে লিখেছি এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইন নিয়েও লিখেছি ।


আপনি বলেছেন : "সমাজে ইতোমধ্যে বিরাট এক সংখ্যা তৈরী হয়ে আছে - যারা অমন হিরোদের খুজছে। আপনার স্ট্রাটেজির কারনে - তারা তাদেরকে খুজে পাবে, আরো এট্রাক্ট হবে।"

উত্তরে বলছি : আমার কৌশল ও পদ্ধতিগুলো সমাজের এসব লোক ও প্রতিষ্ঠানের উপর প্রয়োগ করলেই তাদের প্রতি সমাজের সাধারণ লোকরা আকৃষ্ট হবে না । বরং এসব আগাছাগুলোর পরিমান দিন দিন কমে যাবে ।


যে সব ছবি দিয়েছি - সেগুলোর চেয়ে আরো মারাত্মক ছবি ও ভিডিও রয়েছে । ছবি ও ভিডিও যত বেশি প্রচার হবে সমাজের ইসলামবিদ্বেষী ও নাস্তিকদের জীবনবোধ সম্পর্কে জনগণ জানতে পারবে । আমাদের উচিত আলোচিত লোকদের ব্যাপারে আমার টিপস ও কাজগুলো প্রয়োগ করা ।



255432
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৯:২৫
নূর আল আমিন লিখেছেন : শাহজালালের হাতিয়ার গর্জে উঠোক আরেকবার
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৩
200077
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : হা । শাহজালাল রহ. এর তলোয়ার আবার গর্জে উঠবে । তার আগে জনগণের কাছে ইসলামবিদ্বেষী ও ইসলাম অবমানননাকারীদের কথাগুলো পৌছাতে হবে এবং তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকদের চিহ্নিত করে তাদের সমূলে উচ্ছেদ করার জন্য জনগণকে জাগ্রত করতে হবে ।
255461
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:১৪
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫৪
199277
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।
255462
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:১৪
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনার আবেগময় কষ্টসাধ্য লেখাটি ভালো লাগলো।

তবে আমার জানা মতে মুসলমানেরা শুধু মাত্র আল্লাহর নামেই শপথ নিতে পারেন। অথচ আপনি লিখেছেন-

হযরত শাহ জালাল রহ - এর মাজার শরীফ । আমাদের তার মাজার ছুয়ে শপথ নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক সম্প্রদায়ের বিরোদ্ধে সোচ্চার হতে হবে ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:২৩
199138
বাকপ্রবাস লিখেছেন : মাজার পূজার জালায় বাচিঁনা তাই অন্য কিছু ছুয়া যেতে পারে
শাহজালাল বিমান বন্দর মানিনা, এটা বিতর্কিত নাম, আগর নামটা চুরি করা
আসিফ নামক কীট টা ছেটে না দিলে সামনে আরো ভড়ং আসিফ এর জন্ম হবে, তার মূল উৎপাটন করা দরকার, তার হয়ে তার পরিবারের সদস্যরা জাতীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত না হলে কিছু একটা করা না হলে এটা দিয়ে শুরু তারপর আর জঘন্যভাবে উপস্থাপন করবে ইসলামকে
১৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
199147
হতভাগা লিখেছেন : @ লোকমান ভাই :

উনার লিখা ভাল হলেও শেষে এসে একেবারে শিরকীয় কথাবার্তা বলে ফেলেছেন ।

তসলিমাদের আগে উনাকে আল্লাহ হেদায়েত করুন - আমিন।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৩৫
199264
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : দয়া করে বলুন - শিরক কাকে বলে ? আপনার নাম মোহাম্মদ লোকমান আর চেহারা দেখেও আরব দেশীয় মনে হয় না । খবর নিয়ে দেখেন আপনার পূর্ব পুরুষকে শাহ জালাল রহ - এর তরিকার কোন পীর আপনার পূর্ব পুরুষকে মুসলিম বানিয়েছেন । আর এজন্য আপনি মুসলিম । মাজার ছুয়ে বা কাউকে ছুয়ে শপথ করা ইসলামবিরোধী আমল নয় । আর যদি হয়ে থাকে এটা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে । ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে এমন ঘটনা আছে ।


আমার শুধু আবেগই নয় বেগ বা গতি আছে বলেই লিখতে পেরেছি । আপনার আবেগও নেই আর বেগও নেই । কারণ আপনি নবী-রাসুল সা. , সাহাবী রা. এবং আওলীয়াদের দুষমনদের সহযোগী এবং তাদের দেশে বাস করেন ও তাদের নুন খান । আমি দু:ক্ষিত ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৩৬
199266
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @মোহাম্মদ লোকমান : দয়া করে বলুন - শিরক কাকে বলে ? আপনার নাম মোহাম্মদ লোকমান আর চেহারা দেখেও আরব দেশীয় মনে হয় না । খবর নিয়ে দেখেন আপনার পূর্ব পুরুষকে শাহ জালাল রহ - এর তরিকার কোন পীর আপনার পূর্ব পুরুষকে মুসলিম বানিয়েছেন । আর এজন্য আপনি মুসলিম । মাজার ছুয়ে বা কাউকে ছুয়ে শপথ করা ইসলামবিরোধী আমল নয় । আর যদি হয়ে থাকে এটা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে । ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে এমন ঘটনা আছে ।


আমার শুধু আবেগই নয় বেগ বা গতি আছে বলেই লিখতে পেরেছি । আপনার আবেগও নেই আর বেগও নেই । কারণ আপনি নবী-রাসুল সা. , সাহাবী রা. এবং আওলীয়াদের দুষমনদের সহযোগী এবং তাদের দেশে বাস করেন ও তাদের নুন খান । আমি দু:ক্ষিত ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪১
199270
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @ বাকপ্রবাস : দয়া করে বলুন, মাজার পুজা কাকে বলে ? আপনি ভালবেসে আপনার স্ত্রীকে স্পর্শ বা ছুন কি না ? আপনি আপনার মেয়েকে আদর করার জন্য স্পর্শ বা ছুন কি না ?

যদি উত্তর না হয় আপনি মানুষ না ।

আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালাল রহ. - কে আমি ভালবাসি । এজন্য আমি তার কবর ছুবো ও স্পর্শ করবো । এতে আপনার কোন সমস্যা আছে ? আপনার স্ত্রী ও আপনার মেয়ের চেয়ে হযরত শাহ জালাল রহ. অনেক অনেক গুণ প্রিয় । তার কারণে মুসলিম হয়েছে আপনার পূর্ব পুরুষরা । আর একারণেই ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করে মুসলিম স্ত্রী ও কন্যা পেয়েছেন ।

কথা বলার সময় আদবের সাথে কথা বলবেন ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৩
199271
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : @ হতভাগা :

শিরক কাকে বলে ? আমি হযরত শাহজালাল রহ, এর ত্যাগ ও আদর্শের কথা বলেছি । তার অবদানের কথা বলেছি । এতে শিরকের কি আছে ?

দয়া করে বলুন, মাজার পুজা কাকে বলে ? আপনি ভালবেসে আপনার স্ত্রীকে স্পর্শ বা ছুন কি না ? আপনি আপনার মেয়েকে আদর করার জন্য স্পর্শ বা ছুন কি না ?

যদি উত্তর না হয় আপনি মানুষ না ।

আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালাল রহ. - কে আমি ভালবাসি । এজন্য আমি তার কবর ছুবো ও স্পর্শ করবো । এতে আপনার কোন সমস্যা আছে ? আপনার স্ত্রী ও আপনার মেয়ের চেয়ে হযরত শাহ জালাল রহ. অনেক অনেক গুণ প্রিয় । তার কারণে মুসলিম হয়েছে আপনার পূর্ব পুরুষরা । আর একারণেই ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করে মুসলিম স্ত্রী ও কন্যা পেয়েছেন ।

কথা বলার সময় আদবের সাথে কথা বলবেন ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:২১
199296
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : এখন বুঝতে পারলাম লোকেরা আপনাকে পাগল কেন বলে।
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০১
200076
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : মোহাম্মদ লোকমান : ভাই । আমি পাগল হলে আপনার বা আপনার কোন সমস্যা আছে বলে আমি মনে করি না । তবে আপনারা বাংলাদেশকে ভালবাসেন না অথবা বৌ-ছেলে-মেয়েদের ভালবাসেন না বা তাদের প্রতি পাগল নয় বলেই সৌদি আরবের মতো বাজে দেশে অবস্হান করছেন বৌ-ছেলে-মেয়ে রেখে বাংলাদেশে রেখে । আপনারা যদি বাংলাদেশের জন্য সামান্যও যদি পাগল হতেন , দেশের চেহারা সম্পূর্ণ পাল্টে যেতো । তার উপর জামায়াতের বাজে লোকদের নেতা হিসেবে মানেন । সুতরাং আপনারা আল্লাহর ওলিদের গুরুত্ব বোঝবেন কি করে ? !
২১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ১১:০৯
200250
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : আপনার মতো একজন জ্ঞানী মানুষকে কেউ পাগল বললে অথবা আপনার নিকট থেকে সে রকম কিছু প্রকাশ হলে একজন মানুষ হিসেবে আমার অবশ্য খারাপ লাগার কথা।
কোন ইসলাম চর্চাকারী ব্যক্তি মাজার ছুঁয়ে শপথ করাকে জায়েজ বলতে পারে! তা ভাবতেও অবাক লাগছে। আমি বলব এ ক্ষেত্রে তিনি পাগল অথবা সুকৌশলে ইসলামের ক্ষতি সাধনকারী।
আমি সৌদি আরব থাকি না,আবুধাবী থাকি। স্ত্রী ছেলে মেয়ে এবং দেশের হক্ আদায়ের ব্যপারে আমি যথেষ্ট সচেতন, আলহামদু লিল্লাহ।
আমি শুধুমাত্র জামায়াতের আলেমদেরকে নয়,যারাই কুরআন এবং সুন্নাহ্ থেকে কথা বলবেন তাদের প্রত্যেককে সমর্থন করি। আর সত্য ও মিথ্যা পরখ করার মতো কিঞ্চিত জ্ঞান ও আল্লাহ দান করেছেন। এজন্য মহান মা’বুদের দরবারে অযুত শোকরিয়া।

আপনার প্রতি পরামর্শ হলো- যে জ্ঞান আল্লাহ আপনাকে দান করেছেন তার হক্ব আদায়ের চেষ্টা করুন এবং কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে সঠিক ইসলাম জানার আর মানার চেষ্টা করুন। আপনার মধ্যে ইসলামী দল সমূহের ব্যাপারে যে ঘৃনা রয়েছে তা পরিহার করে তাদের নিজ নিজ কর্মফলের যাজা প্রদানের ভার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন। নিজেকে যথা সম্ভব শুদ্ধ করার চেষ্টা করুন। আপনিতো জানেই- অপরের দিকে একটি আঙ্গুলি নির্দেশ করলে আপনার দিকে তিনটি নির্দেশ করে। সুতরাং যাচাই বাচাই করে সঠিক ইসলাম মানার চেষ্টা না করলে কেয়ামতের ময়দানে জবাবদিহির সময় খুবই সমস্যায় পড়ে যাবেন। আর যদি যেনে বুঝে ইসলামের দুষমনদের সাথে হাত মিলিয়ে ইসলামকে প্রশ্নবোধক করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে এসব কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকেন তা হলে আমার আর কিছুই বলার থাকবেন না। ধন্যবাদ।
255479
১৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:১৫
255480
১৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ১২:২১
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৪
199272
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ । ইসলামবিরোধী নাস্তিকদের কার্যক্রমকে সমূলে বিনাস সাধনের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য ও সংহতি নিয়ে কাজ করে যেতে হবে । কারণ আমরা মনে করি, আল্লাহই সব । বাকি সব মিথ্যা ।
255535
১৮ আগস্ট ২০১৪ দুপুর ০২:৫০
আবু জান্নাত লিখেছেন : হযরত শাহ জালাল রহ - এর মাজার শরীফ । আমাদের তার মাজার ছুয়ে শপথ নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক সম্প্রদায়ের বিরোদ্ধে সোচ্চার হতে হবে । এটা ভুল কথা, সংশোধন হবেন আশা করি। এছাড়া অন্যান্য প্রসঙ্গ ভাল লিখেছেন, এ সমস্ত নষ্টামীর প্রতিকার করা দরকার। ধন্যবাদ
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৫
199273
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : শিরক কাকে বলে ? আমি হযরত শাহজালাল রহ, এর ত্যাগ ও আদর্শের কথা বলেছি । তার অবদানের কথা বলেছি । এতে শিরকের কি আছে ?

দয়া করে বলুন, মাজার পুজা কাকে বলে ? আপনি ভালবেসে আপনার স্ত্রীকে স্পর্শ বা ছুন কি না ? আপনি আপনার মেয়েকে আদর করার জন্য স্পর্শ বা ছুন কি না ?

যদি উত্তর না হয় আপনি মানুষ না ।

আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালাল রহ. - কে আমি ভালবাসি । এজন্য আমি তার কবর ছুবো ও স্পর্শ করবো । এতে আপনার কোন সমস্যা আছে ? আপনার স্ত্রী ও আপনার মেয়ের চেয়ে হযরত শাহ জালাল রহ. অনেক অনেক গুণ প্রিয় । তার কারণে মুসলিম হয়েছে আপনার পূর্ব পুরুষরা । আর একারণেই ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করে মুসলিম স্ত্রী ও কন্যা পেয়েছেন ।

মাজার ছুয়ে বা কাউকে ছুয়ে শপথ করা ইসলামবিরোধী আমল নয় । আর যদি হয়ে থাকে এটা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে । ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে এমন ঘটনা আছে ।

কথা বলার সময় আদবের সাথে কথা বলবেন ।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:০৬
199295
আবু জান্নাত লিখেছেন : এখানে আদব বিরোধী কি পেলেন ? যার কারণে আপনি বললেন আদবের সঙ্গে কথা বলুন। যদি মন্তব্য করা আপনার সাথে আদবের খেলাপ হয় তাহলে ব্লগে আসার দরকার কি? সবাই আপনার মতের সাথে একমত হোক এটাই আপনি আদব মনে করলেন ?
মনে রাখবেন একমাত্র আল্লাহপাকের নামে শপথ করা শরীয়ত সম্মত। এছাড়া অন্য কিছু ছুঁয়ে শপথ করা মুসলিমদের জন্য জায়েঝ নয় ও শিরক সমতুল্য। (যেমন: মায়ের কসম, বাবার কসম, সন্তানের কসম, মসজিদ ছোঁয়ে কসম, মাজার ছুঁয়ে কসম, কৃুরআন হাতে নিয়ে কসম ইত্যাদি) এগুলো কখনো জায়েঝ নয়, আপনার জানা না থাকলে বিজ্ঞ আলেম থেকে জেনে নিন।
১৯ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৩:৫৬
199378
সাদাচোখে লিখেছেন : ধন্যবাদ আবু জান্নাত আপনার পরিমিত ও পরিমার্জিত শব্দ ব্যবহারের জন্য।
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১০:১৩
200087
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আবু জান্নাত : মাজার ছুয়া মানে এই নয় । মাজারে যেয়ে হাত ছুয়ে শপথ করা । কথাটা প্রতিকী অর্থে ব্যবহার করেছি ।

বিজ্ঞ আলেমদের কাছ হতে অনেক কথাই জেনেছি । দিগন্ত টিভির কাজী ইব্রাহিম আর মন্জুরে মাওলা এবং এটিএন-এর হুজুর কামালুদ্দিন জাফরির মতে মাজারগুলোকে ভেঙ্গে এমন করে দিতে হবে যে তার কোন চিহ্নই যেন না থাকে । তারা এই কথার দলীল হিসেবে মুসলিম শরীফের একটা হাদিস উদৃত করেন যাতে আলী রা. মাজার ভাঙ্গার উদ্যোগ নিতে দেখা যায় ।

ওহাবী মতবাদে বিশ্বাসীদের কাছে বাংলা ভাষাটা শিরকী পূর্ণ ভাষা । যেমন : তারা ছোট ছেলে মেয়েদের " ছোট্ট মনি । লক্ষী সোনা । " বলার মধ্যেও শিরক ও কুফরী খুজে পায় ।

আমি আজও বেশ কিছু আলেমের সাথে কথা বলেছি, তারা আমার এই কথার মধ্যে কোন শিরকী ও কুফরী খুজে পাননি । বরং তারা আমার কথার মধ্যে ঈমানী জজবা ও জিহাদী তামান্না এবং বাস্তবতার উপচ্ছায়ার রাহু দেখতে পেয়েছেন যা শুধু মাত্র দেখা যায় কাফেরদের সাথে লড়াইরত মুজাহিদদের চোখে মুখে ।


কবি নজরুল তার বিদ্রোহী কবিতায় লিখেছেন : খোদার আসন আরস ছেদিয়া উঠে যাবো বিশ্ববিধাত্রীর । ..... ভগবানের বুকে একে দেই পদচিহ্ন ।



.... কবি নজরুল যদি এই সময় বেচে থাকতেন এবং এই ব্লগে বেচে থাকতেন তাহলে ওহাবীরা তার এই মুহুর্তে কল্লা কেটে নিতো ।

ওহাবীদের সবচেয়ে বড় সমস্যা । তারা সব কথাকে আক্ষরিক অর্থে বিবেচনা করে ।


আমার কথার মধ্যে কোন শিরক ও কুফরী নেই । এই ব্যাপারে আমি পরবর্তীতে : " মাজার জিয়ারত করা এবং মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে বরকত হাসিল করা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত " শিরোনামে একটা লেখা দিবো, ইনশাআল্লাহ । আশা করি সাথেই থাকবেন ।
255576
১৮ আগস্ট ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৮
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : মাজার ছোয়া, মানে আপনি আরেকটি শিরকের সাথে জড়িত হলেন। এটা যদি ইসলামী দাওয়াত হয়,তাইলে শহীদ মিনার ছুয়ে শপথ নিয়ে এগিয়ে যান। এবার আই,এস
এর মাথা মুন্ড নিয়ে লেখেনি।
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৪৯
199274
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : শিরক কাকে বলে ? আমি হযরত শাহজালাল রহ, এর ত্যাগ ও আদর্শের কথা বলেছি । তার অবদানের কথা বলেছি । এতে শিরকের কি আছে ?

দয়া করে বলুন, মাজার পুজা কাকে বলে ? আপনি ভালবেসে আপনার স্ত্রীকে স্পর্শ বা ছুন কি না ? আপনি আপনার মেয়েকে আদর করার জন্য স্পর্শ বা ছুন কি না ?

যদি উত্তর না হয় আপনি মানুষ না ।

আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালাল রহ. - কে আমি ভালবাসি । এজন্য আমি তার কবর ছুবো ও স্পর্শ করবো । এতে আপনার কোন সমস্যা আছে ? আপনার স্ত্রী ও আপনার মেয়ের চেয়ে হযরত শাহ জালাল রহ. অনেক অনেক গুণ প্রিয় । তার কারণে মুসলিম হয়েছে আপনার পূর্ব পুরুষরা । আর একারণেই ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করে মুসলিম স্ত্রী ও কন্যা পেয়েছেন ।

মাজার ছুয়ে বা কাউকে ছুয়ে শপথ করা ইসলামবিরোধী আমল নয় । আর যদি হয়ে থাকে এটা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে । ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে এমন ঘটনা আছে ।

কথা বলার সময় আদবের সাথে কথা বলবেন ।

আপনি আমেরিকায় থাকেন এবং ইরাকের আই,এস সন্ত্রাসীদের সমর্থক । সুতরাং আপনার কাছ থেকে কখনোই ইসলাম ও মুসলিমদের প্রতি ভাল কিছু আশা করা যায় না ।

বাস করেন মুসলিমদের শত্রু এমন দেশে । অথচ বাংলাদেশ সম্পর্কে মাঝে মধ্যে এমন আবেগময় লেখা ও মন্তব্য লিখেন - তাতে মনে হয়, আপনার মতো দেশপ্রেমিক বাংলাদেশেও নেই । যদি সত্যিকার দেশপ্রেমিক হন এবং ইসলামপ্রিয় লোক হন, তাহলে বাংলাদেশে এসে পড়ুন ।

আপনার সম্পর্কে আমার আর কিছু বলার নেই ।
১০
255642
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:২৫
স্বপন২ লিখেছেন : নগ্ন ছবি দিয়ে আপনি ইসলামের কি খেদমত
করতে চান। ওয়েবে হাজারো নগ্ন ছবি রয়েছে।
এই সমস্ত ছবি দিয়ে ওদের গুরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনি হযরত শাহ জালাল রহ: কবর ছুঁয়ে লেখালেখিতে ঝাপিয়ে পারেন!! এমনি তে বাংলাদেশে কবর পূজায় ভরে গেছে। শেষ পর্যন্ত কবর পূজার জন্য বললেন। মাজার ছুয়ে শপথ নিয়ে ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক সম্প্রদায়ের বিরোদ্ধে সোচ্চার হতে হবে !!
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৮:৫২
199275
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : নগ্ন ছবি দিয়ে বোঝাচ্ছি, দেশে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নোংড়ামি ও অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে । এই ছবিগুলো হলো প্রমাণ । প্রমাণ ছাড়া লোকেরা কেন আপনিও কোন কিছু গ্রহণ করবেন না ।


আদালতে সব কিছু প্রমাণ ও স্বাক্ষ্য দ্বারা গ্রহণ ও বর্জনীয় হয় এবং শাস্তি নির্ধারিত হয় ।

গুরুত্ব মোটেও বাড়ায়নি । বরং আসল শয়তানের মূলগুলোকে লোকেরা চিনতে পারছে । ডাকাতের ছবি পত্রিকায় বের হলে ডাকাতের গুরুত্ব বেড়ে যায় না ।

দয়া করে বলুন, মাজার পুজা কাকে বলে ? আপনি ভালবেসে আপনার স্ত্রীকে স্পর্শ বা ছুন কি না ? আপনি আপনার মেয়েকে আদর করার জন্য স্পর্শ বা ছুন কি না ?

যদি উত্তর না হয় আপনি মানুষ না ।

আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালাল রহ. - কে আমি ভালবাসি । এজন্য আমি তার কবর ছুবো ও স্পর্শ করবো । এতে আপনার কোন সমস্যা আছে ? আপনার স্ত্রী ও আপনার মেয়ের চেয়ে হযরত শাহ জালাল রহ. অনেক অনেক গুণ প্রিয় । তার কারণে মুসলিম হয়েছে আপনার পূর্ব পুরুষরা । আর একারণেই ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করে মুসলিম স্ত্রী ও কন্যা পেয়েছেন ।

মাজার ছুয়ে বা কাউকে ছুয়ে শপথ করা ইসলামবিরোধী আমল নয় । আর যদি হয়ে থাকে এটা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে । ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে এমন ঘটনা আছে ।

কথা বলার সময় আদবের সাথে কথা বলবেন ।
১১
255653
১৮ আগস্ট ২০১৪ রাত ০৯:০৬
এলিট লিখেছেন : ভাই, সারা পথে এত ভালো সাইকেল চালিয়ে, শেষে একেবারে ঘরের সামনের ড্রেনে পড়ে গেলেন। ইসলা্ম বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করুন, ভাল কথা। কিন্তু সেটা শাহজালালের মাজার ছুয়ে শুরু করতে হবে কেন? এটা স্পস্ট শিরক। এটা ইসলাম বিরোধী। ইসলাম বিরোধীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিজেই ইসলাম বিরোধী কাজ করে ফেলছেন।
১৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৪৫
199382
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : আপনি বলছেন :শাহজালালের মাজার ছুয়ে শিরক ।

আপনি নিজে তার নামটা লেখার সময় রহ. শব্দটা ব্যবহার করেননি । দয়া বলবেন কি - এই শব্দটা কেন করেননি ?

আর কেন শিরক - তার যুক্তিসংঘত কারণ উল্লেখ করুন ।

আর ওহাবী কাদের বলা হয় এবং কেন বলা হয় - এসম্পর্কেও আলোচনা করুন ।
১৯ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৪৯
199383
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এলিট সাহেব : আপনি বিয়ে করেছেন তার ভিডিও শেয়ার করেছেন । আপনি বলুন, সেখানে কয়টা শিরক-বিদাত-কুফরি করেছেন ?

আমার হিসেবে আপনি ৩০ টা শিরক-বিদাত-কুফরির মতো গুনাহ করেছেন । ব্যাপারটা অনেকটা নিজের আচরি ধর্ম অন্যকে শেখানোর মতো হয়ে গেলো না ?

দয়া করে বলুন, মাজার পুজা কাকে বলে ? আপনি ভালবেসে আপনার স্ত্রীকে স্পর্শ বা ছুন কি না ? আপনি আপনার মেয়েকে আদর করার জন্য স্পর্শ বা ছুন কি না ?

যদি উত্তর না হয় আপনি মানুষ না ।

আল্লাহর ওলী হযরত শাহজালাল রহ. - কে আমি ভালবাসি । এজন্য আমি তার কবর ছুবো ও স্পর্শ করবো । এতে আপনার কোন সমস্যা আছে ? আপনার স্ত্রী ও আপনার মেয়ের চেয়ে হযরত শাহ জালাল রহ. অনেক অনেক গুণ প্রিয় । তার কারণে মুসলিম হয়েছে আপনার পূর্ব পুরুষরা । আর একারণেই ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে করে মুসলিম স্ত্রী ও কন্যা পেয়েছেন ।

মাজার ছুয়ে বা কাউকে ছুয়ে শপথ করা ইসলামবিরোধী আমল নয় । আর যদি হয়ে থাকে এটা যুগের পর যুগ ধরে হয়ে আসছে । ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনীতে এমন ঘটনা আছে ।

কথা বলার সময় আদবের সাথে কথা বলবেন ।
২০ আগস্ট ২০১৪ রাত ১১:৩৩
200109
এলিট লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপনার কাছ থেকে বেশ আদব কায়দা শিখতে পারলাম।
তবে আপনার লেখা পড়ে মনে হল যে, শিরক বলতে আমি একটা জিনিস বুঝি আর আপনি আরেকটা জিনিস বোঝেন। এ কারনেই বিয়ের ছবি মানুষকে দেখানোর মাঝে শিরক খুজে পান কিন্তু মাজার ছুয়ে কোন কাজ শুরু করার ভেতরে শিরক খুজে পান না। হয় আপনি শিরকের সংগা শিখুন অথবা আপনার সংগাটা আমাকে শিখিয়ে দিন। মাজার ছোয়াটা শিরক হয় কিনা, সেটা তখন জানা যাবে।
আর, শাহজালাল (রহ) [ এবার টাইটেল লাগিয়েছি ], সাহেবকে যদি সত্যই এত ভালোবেসে থাকেন তাহলে আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করুন। আপনার দোয়া তার কাজে লাগবে। ঊনার কোন ক্ষমতা নেই আপনাকে কোন সাহায্য করার। কবরে শোয়া মানুষের এই ক্ষমতা থাকে না। বরং আপনি তাকে সাহায্য করতে পারেন।
২১ আগস্ট ২০১৪ সকাল ০৭:৪০
200204
মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম লিখেছেন : এলিট সাহেব : আপনি আবারও বেয়াদবিমূলক কথা বল্লেন । আপনি লিখেছেন : " শাহজালাল (রহ) [ এবার টাইটেল লাগিয়েছি ], সাহেবকে যদি সত্যই এত ভালোবেসে থাকেন তাহলে আল্লাহর কাছে তার জন্য দোয়া করুন। "

চরম অসভ্য ও বেয়াদব ধরনের লোকরাই এমন লেখা লিখতে পারে । আপনার এই বাক্যের মধ্যেই আল্লাহর ওলীদের প্রতি বিদ্বেষ লুকায়িত আছে ।


হ্যা । কবরে শোয়া মানুষের কিছু করার ক্ষমতা নেই। কারণ তারা কবরের জগতে বা আলমে বারজাখে চলে গেছেন ।

কিন্তু তারা আমাদের উৎসাহ ও অণুপ্রেরণার উৎস । তারা আমাদের চেতনায় জাগরূক আছেন । আমরা তাদের কাছ হতে পাই অতীতের দিকে তাকিয়ে সামনে দিক দৃঢ় কদমে এগিয়ে যাওয়ার অণুপ্রেরণা ও উৎসাহ ।

আমার এই ভাই ডাক্তার ছিলেন । সে কম বয়সেই মারা যায় । এই ২৮ বছর বয়সে । তাকে আমরা গ্রামের বাড়িতে কবর দেই । প্রতি মাসে আমরা তার কবর জিয়ারত করতে যাই । গ্রামবাসীর সাথে ভাব বিনিময় করি । প্রতিটা ঈদে ঈদের নামাজ পড়ে ঢাকা হতে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়ি যাই তার কবর জিয়ারত করার জন্য । তারপর আমরা ঈদের দিনের অন্যান্য কাজ করি । এই যে তার প্রতি আমাদের এই ভালবাসা সমগ্র গ্রামের লোকদের কাছে একটা বড় দৃষ্টান্ত । আমাদের গ্রামে কোন ডাক্তার ছিল না । সেই হতো গ্রামের প্রথম ডাক্তার । আমাদের কার্যক্রম দেখে অনেকেই তাদের ছেলে-মেয়েদের ডাক্তার হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হচ্ছে এবং অনেক ছাত্র-ছাত্রী ডাক্তার হতে চাচ্ছে । এটা কেন হচ্ছে ? কারণ আমাদের ভালবাসা ও কর্ম তৎপড়তা । মানুষ মারা গেলেই তার কাজ শেষ হয়ে যায় না । আমার ভাই বেচে থাকতে মানুষকে সেবা দিতো । আমরাও অন্য জায়গার থেকে ডাক্তার এনে প্রতি বছর বেশ কয়েক বার গ্রামের লোকদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা সেবা দেই ।


এসব কাজই হলো আমাদের কবর জিয়ারত ।

শাহজালাল ( রহ.) এর মাজার যিয়ারত করা বা তার কবর ছুয়ে শপথ করা মানে নতুনভাবে জিহাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ হওয়া ।



দয়া করে বলবেন কি - আপনার বিয়ে ও প্রেম কাহিনীর মধ্যে কোন ধরনের শিক্ষা নিহীত আছে ?

আমার মতে, এই কাজের মধ্যে বেহায়াপনা ও বেলেল্লাপনা এবং বাবা-মার সাথে বেয়াদবি করার শিক্ষা নিহিত আছে । আমার অবাক লাগে আপনার বেশ কিছু বেহায়াপনা ও বেলেল্লাপনামূলক লেখায় অনেক কথিত ইসলামপন্হী প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন ।

আল্লাহ আমাদের অশ্লীলতা ও ব্যভিচার এবং বাবা-মার প্রতি অবজ্ঞা হতে দূরে থাকার তৌফিক দান করুন ।


মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File