" আমি আছি, থাকবো এবং মুছে যাবো না । " সবাইকে আমার সাথে থাকার জন্য বিনীত আহবান জানাচ্ছি ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম ০৭ আগস্ট, ২০১৪, ০৮:২৬:৩৪ সকাল
ইদানিং আমাকে জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পৃত্ত কিছু ব্লগার এবং ইমরান ভাই নামক ব্লগারের নেতৃত্বে আহলে হাদিস বা ওহাবী সম্প্রদায়ের লোকরা আমাকে বিভিন্নভাবে অপদস্হ করার পাশাপাশি হত্যার হুমকি প্রদর্শন করেছে এবং আমার লেখার ও বলার সাধীনতাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে । এই ব্যাপারে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ।
" আমি আছি, থাকবো এবং মুছে যাবো না । "
ডেনমার্কে অবস্হানরত জামায়াতী ব্লগার আমাকে এই সাইটে ব্লক - ব্যান করার দাবি তুলেছেন । ফেসবুকসহ মোবাইল ও সরাসরি অনেকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন ।
আমি বিনীতভাবে সবাইকে বলছি :
আমি গালি গালাজের নীতিতে বিশ্বাসী নই । কাউকে নিষিদ্ধ করার নীতিতে বিশ্বাসী নই ।
জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠণ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথে আমি নিজেই ১৯৯৩ সাল হতে ২০০৪ পর্যন্ত জড়িত ছিলাম । খুব কাছ থেকে এই দলের অনেক কার্যক্রম দেখেছি ।
জামায়াত-শিবিরের অনেক কিছু নিষিদ্ধের আন্দোলন দেখেছি । আর এই আন্দোলনে থেকে আমি পুলিশের ছোড়্ড়া গুলিও খেয়েছি । বিরোধীদের তাড়াও খেয়েছি । তবে এতটুকু বুঝেছি, জামায়াত-শিবির যা বলে তাতে মনে হয় - যত গর্জে তত বর্ষে না ।
জামায়াত-শিবির ডিস এন্টেনা নিষিদ্ধের দাবি করেছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সারা দেশে । এই আন্দোলন ব্লগার আন্ধারের এক ডাক্তার ভাই মারাও যায় । আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করুন ।
জামায়াত-শিবির ব্লাসফেমি আইন চেয়েছিলো । কিন্তু তার ধারের কাছে যায়নি । অথচ ক্ষমতার অংশীদার হয়েছিলো ।
জামায়াত-শিবির জনকন্ঠ নিষিদ্ধের দাবি করেছিলো ইসলাম অবমাননার জন্য । অপর দিকে এই জামায়াত - শিবিরই একই অপরাধে প্রথম আলোকে ক্ষমা করে দেয় ।
আমাকে সোনার বাংলাদেশ ব্লগে শুধুমাত্র জামায়াত-শিবিরের অন্ধকার দিকগুলো তুলে ধরার জন্য ৬ বার ব্যান করা হয়েছিলো । অথচ এই ব্লগ হাতে গোনা ৪ জন নাস্তিক ব্লগারকে ব্যান করেছিলো সীমিত সময়ের জন্য হলেও তারা বার বার ভিন্ন নামে ফিরে এসেছিলো ।
জামায়াত-শিবির মত প্রকাশের স্বাধীনতা, যুক্তি ও প্রমাণে বিশ্বাসী নয়, আমাকে ব্যান, ব্লক ও গালি গালাজ এবং হত্যার হুমকি প্রদানের মাধ্যমে প্রমান হলো ।
আমাকে যদি এই সাইট ব্লক-ব্যান যাই করুক না কেন এই সাইটের অবস্হাও সোনার বাংলাদেশ ব্লগ সাইটটার মতো ভাগ্যবরণ করবে ।
আমাকে যে কোন ধরনের হুমকি ও ব্যান-ব্লক করা হোক না কেন আমি আমার কলম আর চিন্তা-চেতনা হতে বিন্দুমাত্র দুরে সরে যাবো না । আমি বরং দ্বিগুন উৎসাহ নিয়ে আমার কর্মতৎপড়তা পরিচালনা করে যাবো । ইনশাআল্লাহ ।
বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী ও তার মওদুদী দর্শন বা ওহাবী মতবাদ একটা অশুভ প্রভাব বিস্তার করুক আর আমাদের ধর্মবিশ্বাস ও সংস্কৃতিকে বিলীন করে দিক - তা কোন বিবেকবান মানুষই চাইবে না ।
আর এই ক্ষেত্রে আমি প্রকাশ্যভাবে জিহাদ ঘোষনা করেছি । আমি এই জিহাদ হতে বিন্দুমাত্র বিচ্চুৎ হবো না ।
আমি প্রয়োজনে আমার জীবন বিসর্জন দিয়ে হলেও আমি এই অশুভ শক্তির বিরোদ্ধে লড়াই করে যাবো । আমি জানি জামায়াত -শিবিরের লোকরা নির্মম ও দয়া মায়াহীন । আমার এক ভাইও শিবির করতো । আর সে মারাও গেছে জামায়াত শিবির আর তার কিছু বন্ধুর কারণে । আমি সেই বিষয়টাকেই প্রতি দিন সামনে নিয়ে এসে লিখতে বসি বলে আমি নিজের মধ্যে অফুরন্তু সাহস ও হিম্মত পাই । তার উপর এই বিশ্বাস হৃদয়ে ধারণ করি সর্ব শক্তিমান আল্লাহ আমার সাথে আছেন এবং তার কিছু নেগাবান ফেরেশ্তা আমাকে সাহায্য করছেন । ( সুরা রাদের প্রথম দিকে এই সম্পর্কে তথ্য রয়েছে । )যত দিন আল্লাহ আর তার নেগাবান ফেরেশ্তারা আমাকে পৃথিবীতে রাখতে চাইবেন তত দিন আমি পৃথিবীতে থাকবো । আর তত দিন কোন শক্তিই আমাকে বিলীন করতে পারবে না ।
আমি যা লিখি না কেন বা যা বলি না কেন তা ১. যুক্তি এবং ২. প্রমাণ দিয়ে লিখি বা বলি ।
তার বিপরীতে আমার বিরোদ্ধে যারাই অবস্হান নিচ্ছেন তারা আমার কথা বা লেখার জবাব না দিয়ে যা করছেন :
১. গালাগাল
২. হুমকি-ধমকি
৩. হত্যা করে বৌ-পোলা-মাইয়া-সুন্দর পিথিবী নাই করে দেওয়া (অবশ্য আমার সুন্দর পিথিবী ছাড়া আর বাকিগুলো নেই )
৪. মিথ্যাচার
৫. প্রসঙ্গকে অন্য দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যাওয়া
৬. রিপোর্ট
৭. অজুহাত
৮. কাফের - মুর্তাদ- ফাসিক - মুনাফিক - কাদিয়ানী - শিয়া - পাগল - মস্তিস্ক বিকৃত বলে ফতোয়া দেওয়া ।
অবশ্য কুরআন কোন মুসলিমকে এমন কাজ করতে বলে না । কু্রআন আমাদের বলে এই আয়াত অনুযায়ী কাজ করতে :
ادعُ إِلىٰ سَبيلِ رَبِّكَ بِالحِكمَةِ وَالمَوعِظَةِ الحَسَنَةِ ۖ وَجٰدِلهُم بِالَّتى هِىَ أَحسَنُ ۚ
আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্দ যুক্ত পন্থায়। ( সুরা নহল : ১২৫ )
আমার ব্যান সম্পর্কে বলায় আমি এই মন্তব্য করলাম । আর পোস্টের সাথে সমৃত্ত লোকটার উপর মন্তব্য না করে আমি আলাদা পোস্ট দিবো যদি না এই সাইটের এডমিন ব্লক করেন । ইনশাআল্লাহ ।
আজ আমি বাধ্য হচ্ছি, এত দিন ভেবেছিলাম চুপ করে থাকবো । এখন সময় এসেছে আমরা যারা বিবেকবান লোক এবং যুক্তি ও প্রমানের উপর নির্ভর করে লেখালেখি করি, সব সময় সত্য ও ন্যায়ের উপর নির্ভর করে পথ চলি এবং কোন দল-মত-পথের অন্ধভাবে অনুসরণ করি না , তাদের বলিস্টভাবে সোচ্চার হওয়া এবং একই ছাতার নিচে সমেবেত হওয়া ।
যারা আমার সাথে ছিলেন তাদের সবাইকে আমার পক্ষে অবস্হান নেওয়ার বিনীত অনুরোদ করছি ।
বাংলাদেশে কখনোই চিন্তা ও বুুদ্ধির জগতে চরমপন্হীরা ইতিবাচক অবস্হানে পৌছতে পারেনি এবং পারবেও না । তবে টাকার জোড় আর সিন্ডিকেট ব্লগিং ও দলবাজির কারণে চরমপন্হীরা ফেসবুক ও ব্লগ সাইটগুলোতে প্রভাব বিস্তার করে যাচ্ছে । বাংলাদেশিদের আবহমান কাল হতে চলে আসা ধর্মবিশ্বাস, নৈতিকা ও সংস্কৃতি-লোকচার পক্ষে অবস্হজান নেওয়া আমাদের মতো মুক্ত চিন্তা ও শুভ চিন্তা নির্ভর ব্লগাররা বরাবরই মানষিক ও দৈহিক হামলাই নয়, সামাজিকভাবে তাদের দ্বারা আঘাতের স্বীকার হচ্ছে ।
আমাদের অবশ্যই তাদের প্রতিহত করতে হবে। অন্যথায় আজ আমার উপর আঘাত আসবে । কাল যে আপনার উপর আসবে না তার নিশ্চয়তা কি ?
সবাইকে অশুভ চিন্তার অধিকারীদের আর চরমপন্হীদের বিরোদ্ধে সোচ্চার হওয়ার বিনীত অনুরোদ করছি ।
বিষয়: বিবিধ
৪৮৬৯ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি সত্যের উপরই দৃঢ় আছি । আমি আল্লাহর একনিষ্ঠ গোলাম এবং মুহাম্মদ সা এর অনুসারী হিসেবেই পৃথিবীতে থাকবো এবং এভাবেই পৃথিবী হতে কবরের জগতে যাবো । ইনশাআল্লাহ ।
আমি অশুভ শক্তির বিরোদ্ধে অবস্হান নিয়েছি ।
আমি তাদেরকেই অশুভ শক্তি বলেছি ।
সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে আমাদের অবশ্যই জোড়াল অবস্হান নিতে হবে ।
কিছু ওহাবি বা আহলে হাদিস সন্ত্রাসী আর কিছু জামায়াত - শিবিরের লোক আমার লেখাগুলোতে বাজে মন্তব্য করার পাশাপাশি আমাকে ব্যক্তি আক্রমন করার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছিলো । সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে আমাদের অবশ্যই জোড়াল অবস্হান নিতে হবে ।
আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে সব – চলবে প্রাণবন্ত আলোচনা ...
উপরন্তু ফেসবুক আর ব্লগগুলোতে একটা সুসংঘবদ্ধ ও সন্ত্রাসী চক্র লোকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে । এরা জামায়াতে ইসলামী সহ বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলে অনু্প্রবেশ করে তাদের লক্ষ্য হাসিল করছে । তারা আহলে হাদিস বা ওহাবী বা সালাফি নামক সন্ত্রাসী সম্প্রদায় । তারা সৌদি আরব হতে টাকা এনে আহলে হাদিস মসজিদ নামক উপাসনালয় বানাচ্ছে এবং ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা সমাজের সর্বত্র ছড়াচ্ছে । আর নেটে তো বলাই বাহুল্য । বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই সন্ত্রাসী সম্প্রদায়ের বিরোদ্ধে আমাদের সোচ্ছার হতে হবে । জামায়াতে ইসলামীর অর্ধেক লোকই এই সন্ত্রাসী সম্প্রদায় হতে আগত ।
কাউকে টার্গেট করে লিখতে গেলে আপনাকে তাদের নিক্ষিপ্ত তীর থেকে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে। ফলে আপনি যখন বাঁচতে চাইবেন, তখন তাদের কথার উত্তর দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। এতে করে আপনার গুরুত্বপূর্ণ সময়ের অপচয় হবে। তাই, যথাসম্ভব ক্লেশ মুক্ত দলীল দিন, ধারালো যুক্তি দিন। তাহলে আপনাকে উত্তর দিতে দিতে ব্যস্ত থাকতে হবেনা।
সোনার বাংলাদেশ ব্লগেও আমি আপনার লিখা পড়তাম। মন্তব্য করতাম। এই ব্লগেও আমি আপনার পূর্বের কয়েকটি অংশ পড়তে গিয়ে দেখেছি। আপনি যা লিখেছেন, তার চেয়ে উত্তর দিয়েছেন বেশী। নিজের লিখার ব্যাখা যদি নিজের মূল লেখার চেয়ে বড় হয়, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে, আপনি কিছু অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করছেন, অপ্রয়োজনীয় অথবা বাহুল্য উক্তি ব্যবহার করার জন্য। আপনার মঙ্গল কামনা করছি, অনেক ধন্যবাদ, ভাল থাকুন।
আমি কি করবো তা সময়ই বলে দিবে । জামায়াত-শিবির উদ্দেশ্য করে লেখাটা লিখতাম না । জামায়াত শিবির প্রসঙ্গই বাদ দিতাম । যখন লক্ষ্য করলাম জামায়াত - শিবির মানেই নেটে আর বাস্তব জীবনে ওহাবী - সালাফি- আহলে হাদিস আর অত্যাচারী রাজতান্ত্রিক সৌদি আরবের বাদশাহর দালাল কথাগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও অভিন্ন । তখন জামায়াত-শিবির শব্দগুলো যুক্ত করতে বাধ্য হলাম ।
বাংলাদেশে একজন লোক মুদির দোকান চালু করলে সে মিলাদ মাহফিল করে লোক জড় করে দুয়া করে তাবারত বিতরণ করে । এই ব্যাপারটা যে বা যারা বুঝে না তাদের বাংলাদেশে কখনোই ভাল অবস্হা তৈরী হবে ।
আপনি যাদের ঘরের কথা উল্লেখ করলেন - এই ঘরও বেশি বাড়াবাড়ি করলে সোনার বাংলাদেশ ব্লগের মতো পরিনতি বরণ করবে । আর ব্লগ সাইটগুলোতে ওহাবী মতবাদ আর নাস্তিক্যবাদ জনপ্রিয় করার জন্য সামহোয়ার ইন ব্লগের বিদেশী মালিক ও তার এদেশিয় বান্ধবী জানা-র অবস্হাও ভাল হবে না । তাদের কুকর্ম বাংলাদেশের মানুষ জেনে গিয়েছে ।
আশা করি সাথেই থাকবেন । আমি এই সাইটে নিয়মতি লেখা দিবো । ইনশাআল্লাহ ।
তাইলে ঐ সময় আলবদর ও রাজাকারদের সাথে ছিলেন। তাই না। চালিয়ে যান।
মন্তব্য করতে লগইন করুন