"ক্লাব নেটওয়ার্ক মুভমেন্ট" এনে দিতে পারে শক্তিশালী নৈতিক সমাজ ব্যবস্থা...
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:৫৯:৫৭ দুপুর
"ক্লাব নেটওয়ার্ক মুভমেন্ট" এনে দিতে পারে শক্তিশালী নৈতিক সমাজ ব্যবস্থা...
---------------------
নিজের চারিত্রিক মান উন্নয়নের চেষ্টার পাশাপাশি ছাত্রজীবনে সমাজের নৈতিকতা ডেভেলাপ করার চেষ্টা করতাম।এই চেষ্টা করতে গিয়ে বিচিত্র রকমের অনুভূতি ও আইডিয়া তৈরী হয়। প্রতিদিনের কর্মঘন্টার প্রত্যেকটি সময় দাওয়াতের ময়দানে কাজে লাগুক এইরকম অনুভূতি সব সময় বিরাজ করত আমার কিশোর তরুন মনে। এই বাংলাদেশকে ভালবাসি এই দেশের মানুষকে ভালবাসি। আপাতত স্বপ্ন আমার সুজলা সুফলা বাংলাদেশকে নিয়েই।
যারা আমাকে কাছ থেকে জানেন তারা জানে যে আমি সবসময় সাংগঠনিক কাজের যেমন হক আদায়ের (সাংগঠনিক শাখা রিপোর্ট ভাল হওয়া) চেষ্টা করতাম ঠিক তেমনি নিজের ব্যক্তিগত রিপোর্টটিও ভাল থাকুক তার জন্যেও চেষ্টা করতাম। পাশাপাশি ক্লাব, সমিতি, ট্রাস্ট, থানা ছাত্রফোরাম ইত্যাদি কাজেও ব্যস্ত থাকতাম। আমার স্বপ্ন থাকত মানুষের কাছাকাছি কিভাবে থাকতে পারি তা নিয়ে।
তাই আজ সাহস করে ক্লাব নেটওর্য়াক মুভমেন্ট নিয়ে লিখতে বসেছি।
ক্লাব গঠন ও ক্লাবের মাধ্যমে সামাজিক কাজ করতে গিয়ে ক্লাবের সদস্য ও ক্লাব একটিভিটিসের মাধ্যমে যাদের সাথে পরিচয় ও রিলেশান তৈরী হয় তার গাঁথুনি হয় অত্যন্ত মজবুত। জানাশুনা হয় উঞ্চ ও বিশ্বাস করার মত। বড়দের কাছে কাজ নিয়ে গেলে স্নেহাসিক্ত না হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনা কম। ছোটরা ডেডিকেশানকে সম্মান করে সহযোগিতার জন্যে এগিয়ে আসে। পুরো ছাত্র জীবন যেমন সংগঠনে একটিভ ছিলাম ঠিক তেমনি এলাকায় ক্লাব ভিত্তিক কার্যক্রমে জড়িত ছিলাম। ক্যাম্পাসে ছিলাম দেয়ালপত্রিকা এবং ছাত্রসংসদ নিয়ে। অসংখ্য শুভানুধ্যায়ীদের ভালবাসা প্রেম পেয়েছি। স্নেহে আপ্লুত হয়েছি। ***রাজনৈতিক পদ একটি ভঙ্গুর ক্ষনস্থায়ী পদ। *** সামাজিক পদ শক্তিমান আমৃত্যু স্থায়ী একটি পদ। মানুষের জন্যে মানুষ এই স্বাদটি আমি ক্লাবে পেয়েছি। কিছু অম্নমধুর স্মৃতি যে নেই তা নয়। আমার সাথে কেউ শত্রুতা করলে আমি সব সময় চেষ্টা করেছি ধৈর্য্য ধরতে। বছরের বছর অপেক্ষা করতাম শত্রুর ভালবাসা পাওয়ার জন্যে। এখনো দুই একজন আছেন যারা শত্রুতা করে... নিতান্তই তারা এক্সিস অব ইভিল।
তাই আজ আমিও তরুনদের বলে যাই ক্লাব গঠন কর।
কি নাম হতে পারে ক্লাবের?
১. এসো ভাল হই।
২. সমাজ উন্নয়ন ক্লাব
৩. তাফসীরুল কুরআন মাহফিল ট্রাস্ট।
৪.থানা ছাত্রফোরাম।
৫.রেনেসা ট্রাস্ট ইত্যাদি ...
ক্লাবের নামকরনের ক্ষেত্রে আমি লিবারেল নাম পছন্দ করি। সাম্প্রদায়িক নাম নয়... ভাল নামই ভাল।
কাদের নিয়ে ক্লাব?
সমমনাদের নিয়ে ক্লাব হতে পারে। তবে সমমনা ক্লাবে সুবিধা অসুবিধা আছে। মতদ্বৈধতা তৈরী হলে ১০/১৫ বছর সময় লেগে যেতে পারে বিরোধ কমতে। উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সবার ভিতরে চাঙ্গা থাকলে সমস্যা হবেনা। পরকালমুখীতা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ভাল হলে সমস্যা হবেনা। কিন্তু প্রতিকুলতা না থাকলে গ্রুপিং কোন্দল শুরু হতে দেখেছি। এখানে হিউম্যান রিসোর্চ ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে সমস্যা আছে। অনুকুল পরিবেশ মানেই যদি কোন্দল হয় তবে সেখানে আইনী ফাকঁফোকর সহজ বলতে হবে। অন্যায়ের বিরোধিতাকে কোন্দল মনে করিনা। "আমি মুখস্থ কথায বিশ্বাসী না" এটাকে আপনি আমার দোষ গুন যা ইচ্ছা বলতে পারেন। আমি খুজে দেখার চেষ্টা করতাম যেখানে প্রতিকুল ময়দান সেখানে সংগঠনের অভ্যন্তরীন পরিবেশ কেমন? যেখানে ওপেন সিক্রেট সেখানে কেমন? যেখানে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে বিজয়ী হয় সেখানে কেমন? একবার নির্বাচনে জিতে পরেরবার বিপুল ভোটে হেরে যায় কেন? ইসলামী আন্দোলনের লোকদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলো কেমন চলছে? ইসলামী আন্দোলনের লোকদের প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর এমপ্লয়ীদের ইসলামী আন্দোলন নিযে মূল্যয়ন কি? ইসলামী সংগঠন নিয়ে ইসলামী ছাত্রআন্দোলনের এক্স লোকজনের মূল্যয়ন কি? কেন এক্স ছাত্রকর্মীরা একটিভ হচ্ছেনা? কেন আবু বকর রাঃ উমর রাঃ উসমান রাঃ এর মত সমাজের প্রতিষ্ঠিত ভিআইপিরা আন্দোলনে আসছেনা। অনেক রকম কথায় মাথায় ঘুরপাক করত। সতর্ক দৃষ্টি রাখতাম। প্রোএকটিভ বা রিয়েকটিভ না হয়ে একটিভ থাকার চেষ্টা করেছি। সমাধানের পথ খুজেছি চিন্তা করেছি। অঘোষিত ইসলামী আমলাতন্ত্র নিয়ে ভেবেছি। দাওয়াতী কাজের আউটপুট কি কাজে লাগছে বা কিছুদিন পরে কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে ভেবেছি। সমর্থক কর্মী থেকে যারা ঝরে যায় সমাজে তাদের অবস্থান ছোট পরিসরে সার্ভে করার ট্রাই করতাম মানে খোজ খবর নিতাম। যখন দেখতাম তারা দল লীগের সাথে চলে গেছে কষ্ট পেয়ে অবাক হতাম। কারন ভাবতাম। আমরা সবাই ভাল। লক্ষ্য উদ্দেশ্য ভাল। স্রষ্টার আদর্শের কথা বলি তাইলে? সহজ উত্তর হচ্ছে সেবার জন্যে নেতৃত্ব হতে হবে। আর স্রষ্টার জন্যে যে কাজ করা হয় তা ডিসক্লোজ করে তা দিয়ে দুনিয়ার সেবার পদকে ঠিক করতে চাওয়ার কম ইফশিয়েন্ট সিস্টেম বা দৃষ্টিভঙ্গী। যার যেভাবে সেবা করার ক্ষমতা আছে করুকনা....
যাক সে কথা। .............................সামাজিক ক্লাব হওয়া ..প্রতি ইউনিয়নে নৈতিকমানে উন্নীত দুইজন নেতৃত্বের যোগ্যতা সম্পন্ন অন্যরা থাকবে আঠার জন। চারিত্রিক উৎকর্ষতায় এই ১৮ জনের সাথে দশ বছর সময় কাটান। একটি প্রভাব পড়বে ইনশাআল্লাহ। (The Number of Union Parishads in Bangladesh is 4,486 till 12th September 2009.) বাংলাদেশে চারহাজার ইউনিয়ন পরিষদে আটহাজার ভাই দায়িত্ব নিলে নীরবে সমাজ বিপ্লব ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা লুকায়িত আছে। তবে কর্মীয় বৈসাদৃশ্য, স্বার্থপরতা, পদের প্রতি লোভ, ইন্টারনাল পলিটিকস, স্বজনপ্রীতি বা যে অনিয়ম সাধারন মানুষকে খেপিয়ে তোলে তা বিদ্যামান থাকলে স্বপ্নকে তিমিরে তিরোহিত করে দেবে।
ক্লাব গুলো শক্তিশালী অবজারভার বডির আওতাধীনে হলে ভাল হয়। ক্লাবের কাজগুলো ব্যাপক গবেষনার মাধ্যমে ডিফাইন করে নেয়া যেতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১২৫০ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সহমত আপনার সাথে।
আমার বিশ্বাস ক্লাব বা সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিকে স্বাধিনভাবে কাজ করতে দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত কেন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রনই সমস্যার সৃস্টি করে।
আপনার প্রচেষ্টা কে স্বাগত জানাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
গঠনমূলক পোস্টে জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন