তখন পাল্টা আঘাত ফরজ হয়ে যায়।
লিখেছেন লিখেছেন লোকমান বিন ইউসুপ ০৫ নভেম্বর, ২০১৩, ১২:৪২:১৩ দুপুর
আজ বিচার মানেই হল নিরাপরাধদের ফেসেঁ যাওয়া। কারন ট্রুথ ইজ নো ডিফেন্স। কোপা শামসুরা যেখানে বিচারলীগের সদস্য সেখানে আর কিইবা আশা থাকবে! যেখানে নিরাপরাল মানুষদের মাসের পর মাস জেলখাটানো যায় মিথ্যা মামলা দিয়ে। বিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীর সামনে পুরোদিন ক্লাশ নিয়ে ১৫ কিলোমিটার দুরে দুপুরে সংঘটিত ঘটনায় যখন কাউকে ফেঁসে যেতে দেখি তখন পুলিশ ও বিচার বিভাগের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলি নিশ্চিতভাবেই।অপরাধ না করে ছাত্রাবাস মেস থেকে যখন ১৪/১৫ বছরের কিশোর চলে যায় জেলখানায় তখন অবাক লাগে অথচ ঐশীরা চলে যায় আদুরে কিশোর সংশোধানাগারে। পিতা বিরোধী রাজনীতি করার কারনে নামকরা স্কুলের ১৫ বছরের ক্লাশ টেনে পড়া কিশোরকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে যখন একে-৪৭ দিয়ে অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয় তখন আতঁকে উঠি। রাজনৈতিক কারনে যখন জেলে বন্দীরত এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদেরকে শেষদিন বিনা কারনে বহিষ্কার করা হয় তখন বাকরুদ্ধ হয়ে যাই। যখন জেলে বন্দীরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে জেলখানায় পড়া ও ভাল পরীক্ষা দেয়া বিঘ্ন করতে পরীক্ষার একদিন আগে জেল কর্তৃপক্ষ উপরের নির্দেশে পাঠ্যবই কেড়ে নিয়ে ফেলে তখন আবেগের গোঙ্গানীকে কিভাবে ধরে রাখা যায় বলুন! কোন আইনে না থাকলেও থানার হাজতে যখন পায়ে গুলি করে পঙ্গু করা হয় বা পেনিসে ইলেকট্রিক শক দিয়ে পুরুষত্ব নষ্ট করে দেয়া হয় বা চোখে সুই ঢুকিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে চোখ নষ্ট করে দেয়া হয় তখন পাল্টা আঘাত ফরজ হয়ে যায়। যখন উপর মহল থেকে বলা হয় আজ এতটা কল্লা গ্রেফতার করে নিয়ে আসবা। অপরাধী নিরপরাধী বুঝিনা। তখন মানবতা পিলপিল চোখে ফ্যাকাশে তাকিয়ে থাকে আরশের মালিকের দিকে।
তখন অস্ফুটে মুখ থেকে বের হয় এরা পুলিশ লীগ ও বিচারলীগের মানুষ! আল্লাহ এদের তুমিই জিম্মাদারী নাও। এদের কঠিন আযাব দাও। আমি এদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারিনা। আমাকে মাফ কর প্রভূ। আমার মন এদের জন্যে তোমার আযাবই কামনা করে।
বিষয়: বিবিধ
১২০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন