পুঠিয়ায় ৯৬ জনের মধ্যে ৭০ জনই 'ভুয়া' মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন লিখেছেন নুর হুসাইন ২১ জুলাই, ২০১৮, ০১:২২:৫৫ রাত

রাজশাহীর পুঠিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শেষে ৯৬ জনের মধ্যে ৭০ জনই বাদ পড়েছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে টিকেছেন মাত্র ২৬ জন। এ তালিকায় বিতর্কিত দু'জন জামায়াত নেতাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, গত শনি, রবি ও সোমবার পুঠিয়া উপজেলা হলরুমে যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ছিলেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফরহাদ আলী মিয়া। সদস্য সচিব ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

(ইউএনও) নাজমা নাহার। সদস্য ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, রাজশাহী জেলা মুক্তিযোদ্ধা সহকারী কমান্ডার মাজদার রহমান, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল প্রতিনিধি রওশন আলী, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের প্রতিনিধি সামাদ কবিরাজ ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি মইনুদ্দিন আহমেদ।

পুঠিয়া উপজেলায় গেজেটেভুক্ত ৫৫ এবং অনলাইনে আবেদন করা ৪১ জন_ এই ৯৬ মুক্তিযোদ্ধার আবেদন যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শেষ হয় গত সোমবার। কমিটি গেজেটের ৫৫ জনের মধ্য থেকে ২৩ জন এবং অনলাইনে আবেদনকারী ৪১ জন থেকে তিনজনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় রাখে। বাদ পড়েন ৭০ জন। মুক্তিযোদ্ধা বাছাই কমিটির সদস্য মইনুদ্দিন আহমেদ বলেন, 'পুঠিয়ার কানাইপাড়া গ্রামের জামায়াত নেতা ইলিয়াস আলী এবং লুৎফর রহমান নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। ভারতীয় তালিকা এবং লাল মুক্তিবার্তায়ও তাদের নাম নেই। ভারতে প্রশিক্ষণেরও কোনো কাগজপত্র ছিল না। তারপরও বাছাই কমিটির সভাপতি ফরহাদ আলী মিয়া এ দুইজনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বাছাইয়ে টিকিয়ে রেখেছেন। এর প্রতিবাদ জানালেও তিনি তাদের বাদ দেননি।'

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের এই প্রতিনিধি আরও বলেন, 'বাছাই কমিটির সভাপতি ফরহাদ আলী মিয়া নিজেই বিতর্কিত মুক্তিযোদ্ধা। তার নামও যাচাই-বাছাইয়ের আওতায়। নিয়ম অনুযায়ী বাছাইয়ের আওতায় থাকা কেউ বাছাই কমিটির সভাপতি হতে পারেন না। তারপরও তিনি কমিটির সভাপতি হয়ে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাখার চেষ্টা করছেন।' জামায়াত নেতা ইলিয়াস আলী ও লুৎফর রহমান কোনো যোগ্যতাতেই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারেন না বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ফরহাদ আলী মিয়া বলেন, 'কমিটির কোনো সদস্যের আপত্তি থাকতেই পারে। সিংহভাগ সদস্য যার পক্ষে ভোট দেবেন তিনিই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে টিকবেন।' তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে বলেন, 'যিনি অভিযোগ করেছেন, তার কাগজ কতটুকু আছে সেটা দেখেন।'

বাছাই কমিটির সদস্য ইউএনও নাজমা নাহার বলেন, 'বাছাই কমিটির সভাপতি এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তারপরও কোনো সদস্যের আপত্তি থাকলে তালিকায় বিভক্তভাবেই মুক্তিযোদ্ধার নাম পাঠানোর অপশন আছে। তাদের নাম দ্বিধা

বিষয়: বিবিধ

৩৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File