কোর আনকে আমাদের দুজাহানের বন্ধু বানাই
লিখেছেন লিখেছেন পারুসত্যলিখন ০৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:৪১:১০ দুপুর
কোরানশরিফ কে আমাদের দুজাহানের বন্ধু বানাই
হযরত মুয়ায বিন জাবাল (রাঃ) থেকে বর্নিত আছে যে,রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি রাতের বেলায় নামাজ পড়ে তাহলে সে যেন সশব্দে পাঠ করে।
কেননা ফেরেশতারা তার সাথে সাথে নামাজ পড়ে এবং তার কিরাত শোনে। যে সমস্ত ঈমানদার জ্বীন শূন্যে বাস করে এবং তার যে সব প্রতিবেশী তার বাসস্থানে বাস করে ,তারাও তার নামাজের সাথে নামাজ পড়ে এবং তার কিরাত শোনে।
সে তার কিরাত দ্বারা নিজের বাড়ী থেকে এবং পার্শ্ববর্তী বাড়ীগুলো থেকে পাপিষ্ঠ জ্বিন ও খোদাদ্রোহী শয়তানদেরকে বিতারিত করে।
নুরের তাবুর নীচে দুনিয়াতে ও নুরের বিছানায় কবরে ঘুমাতে চাইলে একজন কে বন্ধু বানাই।
যে বাড়ীতে কোরআন পড়া হয় সেই বাড়ীর ওপর একটা আলোকময় তাঁবু খাঠানো হয়।
যার আলোতে আকাশবাসী পথ খুজে পায় ।যেমন উজ্জ্বল নক্ষত্রগুলো দেখে গভীর সমুদ্রে ও মরুভুমিতে পথ খুজে পাওয়া যায়।
কোরআনের সাথী যখন মারা যায় তখন সেই তাবু তুলে নেওয়া হয় ।
তখন ফেরেশতারা আকাশ থেকে তাকে খুজতে থাকেন। কিন্তু সেই আলো আর দেখতে পান না।তখন ফেরেশতারা এক আকাশ থেকে আর এক আকাশে গিয়ে তার সাক্ষাত পান। তখন তার রুহের জন্য ফেরেশতারা দোয়া করেন।অতঃপর ফেরেশতারা তার সাথে অবস্থানকারী রক্ষীদেরকে অর্ভ্যথনা জানান।
অতপর ফেরেশতারা কিয়ামত পর্যন্ত তার ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকেন।কোন ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব শিখলে এবং কোন রাতের একটা ঘন্টাও তা দিয়ে নামাজ পড়লে সেই রাত পরবর্তী রাতকে উপদেশ দেয়,সে যেন ঐ ব্যক্তিকে নিদিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেয় এবং তার জন্য রাত যেন হালকা হয়।
অতপর সেই ব্যক্তি যখন মারা যায় এবং তার আত্মীয় স্বজন তার কাফন দাফনের প্রস্তুতি নিতে থাকে তখন অতীব সুন্দর রুপ ধারন করে এসে তার মাথার কাছে দাড়ায় ।যখন তাকে কাফন পরানো হয়,তখন কোরাআন তার বুকের উপর কাফনের নিচে থাকে।
অতঃপর তাকে যখন কবরে রাখা হয়,কবরের মাটি সমান করা হয় এবং তার সাথীর তাকে ছেড়ে চলে যায় ,তখন মুনকার ও নাকীর তার কাছে আসেন এবং তাকে উঠিয়ে বসান।
এ সময় কোরআন এসে তার ও ফেরেশতাদ্বয়ের মাঝে অবস্থান নেয়।
ফেরেশতাদ্বয় কোরআনকে বলেন:তুমি একটু সরো,আমরা ওকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।
কোরআন বলবে, না কাবা শরীফের প্রভুর কসম ,সে আমার সাথী ও বন্ধু।
তাকে কোন অবস্থাতেই অসহায় ছেড়ে দেব না।
তোমাদেরকে যদি কোন কিছুর আদেশ দেয়া হয়ে থাকে,তবে তোমরা সে আদেশ পালন কর।
আমাকে আমার জায়গায় থাকতে দাও।কেননা আমি তাকে বেহেশতে প্রবেশ না করানো পর্যন্ত তাকে ছেড়ে কোথাও যাব না।
অতঃপর কোরআন তার সাথীর দিকে তাকাবে এবং বলবে :আমি সেই কোরআন যাকে তুমি গোপনে ও প্রকাশ্যে পড়তে এবং ভালোবাসতে।আমি তোমার বন্ধু।আর আমি যাকে ভালোবাসি আল্লাহ তাকে ভালোবাসেন । মুনকার ও নাকীরের প্রশ্নের পর তোমার কোন দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থাকবে না।অতঃপর মুনকার ও নাকীর তাকে প্রশ্ন করবেন এবং তারপর তারা ওপরে চলে যাবেন।
এরপর সে ও কোরআন অবশিষ্ঠ থাকবে ।সে বলবে আমি তোমাকে নরম বিছানা বিছিয়ে দেব এবং তোমাকে চমৎকার ও মনোরম চাদর দেব। কেননা তুমি রাত জেগেছ এবং দিনেও কঠিন পরিশ্রম করেছ।
এরপর চোখের পলকের চেয়েও দ্রুতগতিতে কোরআন আকাশে চড়বে এবং আল্লাহর কাছে নরম বিছানা ও সুন্দর চাদর চাইবে।আল্লাহ তায়ালা তৎক্ষণাত দিয়ে দেবেন।
অতঃপর কোরআন ফিরে আসবে ।তার সাথে ৬ষ্ঠ আকাশে হাজার হাজার ফেরেশতা অবর্তীন হবে ।ফিরে আসার পর কোরআন তাকে অভিবাদন জানাবে এবং বলবে:তুমি কি দুঃশ্চিন্তায় পরেছিলে?
আমরা তোমার কাছ থেকে যাওয়ার পর আল্লাহ তায়ালার সাথে কথা বলে তোমার জন্য এই বিছানা ও চাদর আনা ছাড়া আর কোন কাজ করিনি।এখন এগুলো নিয়ে এসেছি ,কাজেই তুমি ওঠ।
ফেরেশতারা তোমার বিছানা বিছিয়ে দেবে।
-(আত তারগীব ওআত
বিষয়: বিবিধ
৬৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন