প্রবাসি

লিখেছেন লিখেছেন কিংবদন্তী আশিক ০৫ মে, ২০১৭, ০১:০৩:৪৫ দুপুর

আফসোসঃ

প্রবাসিদের স্বার্থ্যে একটু দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

বিশ্ব বাজারে আমাদের ফোকাস কত টুকু সেটা আমরা নিজেরাই ভাল জানি।পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে বাংলাদেশের মানুষদের সম্মান দেওয়া হয়না।

দিবেই বা কেন!!!

একটু আজব লাগছে তাইনা,লাগারইই কথা,একজন বাংলাদেশি হয়ে কিভাবে নিজের দেশের মানুষের অপমান করি!!!

আসেন আগে একটা সত্য ঘটনা বলি তার পর না হয় আপনার মতামত শুনলাম।

১ থেকে দেড় বছর আগে আমার পরিচিত একজন এরাবিয়ান আমাদের বাংলাদেশে গেছেন ঘোরতে,উদ্দ্যেশ্য ছিল বিশ্ব এস্তেমা ঢাকা টংগি।

সেখানে ঘোড়াঘুরি অবস্থায় এক ভদ্র লোক এসে তার মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিল তার থেকে!!!

(কি আজব দেশ মাইরি! দিন দাহারে ডাকাতি তার মন্তব্য অনেকটাই এমন ছিল)

পরে সে অনেক চেষ্টা করেও পারলো না কারো কাছ থেকে সাহায্য নিতে,যদি সে আমাদের দেশের কালচার জানেনা। তখন তিনি পুলিশের স্বরনাপন্য হন,তার বক্তব্য ছিল কি পুলিশ তোমাদের দেশের এত করে রিকুয়েস্ট করার পরও সে আসলো না আমাকে সাহায্য করতে,তার গাড়ি দিয়ে শুধু অন্তত রোমে দিয়ে আসললেই হতো! কি অদ্ভুত সে আসলোই না।

পরে একজন রিস্কা ড্রাইভার দেখে তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়ালেন,রিস্কাওয়ালা ভাই উনাকে তার হোটেলে নামিয়ে দিল। যদিও সে টাকা দিতে চাইছে উনি নেয়নি,পরে সে তার ছবি সহ নিয়ে আসলেন দেশে আসার সময়,কখনো সন্ধান পেলে তার পাওনা পরিশোধ করবে বলে।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ২০১৪ সালের গননা মুতাবেকঃ

সৌদি আরবে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৪৩৬,

সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৭২, কুয়েতে ৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬১২,

ওমানে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৫১,

কাতারে ৪ লাখ ৪৯ হাজার ২৫,

বাহরাইনে ৩ লাখ ১৫ হাজার ১২৪,

ইরাকে ৩৬ হাজার ৭৯৫,

লেবাননে ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৪২

ও জর্ডানে ১ লাখ ৩ হাজার ২৭০ জন

বাংলাদেশী শ্রমিক হিসেবে গেছেন।

এছাড়া আফ্রিকার লিবিয়ায় ১ লাখ ২২ হাজার ১২৫, সুদানে ৮ হাজার ৫১২, মিসরে ২১ হাজার ৮৯০

জন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন (আনোমানিক)

মধ্যপ্রাচ্যে আমরা সবাই জানি সবারই একেক জন কপিল থাকে,এগুলার মধ্যে হয়ত ২০০/৩০০ জনের কপিল একি আরোবিয়ান।

উপরে উল্ল্যেখিত ভদ্র লোকটিও কিন্তু কারো না কারো কপিল,এমন করে আমাদের এই লক্ষ কোটি প্রবাসি ভাইদের সকলেরই কেউ একজন কপিল আছেন।

এটা আমাদের লজ্জা,আমাদের পরিচিত কোন কপিল যদি আমাদের দেশে যায় সেটা প্রবাসি ভাইরা জানেন কত আনন্দের।

কিছু দিন আগেও একজন পরিচিত আরবি লোক আমাদের এলাকায় যায়,তিনি বাংলাদেশের মানুষের ব্যবহারে মুগদ হয়ে আমাদের গ্রামে একটি মসজিদ স্থাপন করার কথা জানান।

বর্তমানে মসজিদের কাজ চলতেছে Happy

তাহলে আমরা যদি তাদের সম্মান করতে না পারি,আমরা কি করে তাদের কাছ থেকে সম্মান আশা করি বলেন!

কাউকে সম্মান দিলে সম্মান আশা করা যায়,কিন্তু যেখানে আমরা তাদের মানিব্যাগ চুরি করে রাস্তায় একজন ভিক্ষুক বানিয়ে দেই,সাহায্যের জন্য পুলিশে গেলে দূর দূর শুনা লাগে এমন দেশের মানুষ আমরা কিভাবে সম্মান পাবো অন্যের কাছে।

যদিও ব্যাপারটা দেশে থাকা মানুষের কাছে কোন মাইনে রাখেনা,কিন্তু শত কোটি প্রবাসিদের জন্য এটা অনেক কিছু। সম্ভব হলে একটু সচেতন হোন। আর কিছুই বলার নেই।

বিষয়: বিবিধ

৭৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File