মাটি খুঁড়ে বেরুলো সত্যায়নকারী
লিখেছেন লিখেছেন সালমান শামিল ২২ জুলাই, ২০১৬, ১১:১৫:৩৮ রাত
national geography এর ১৯৭৮ সনের ডিসেম্বর সংখ্যায় ১৯৭৩ সনে সিরিয়ায় খননকার্যে আবিষ্কৃত 'মালবা' শহর সম্পর্কে একটি আর্টিকেল আসে। জানা যায়, শহরটি তখনকার সময় থেকে প্রায় ৪৩০০ বছরের পুরনো। তাদের সভ্যতা এতোদূর এগিয়েছিলো যে, তাদের সেই শহরে একটি লাইব্রেরির অস্তিত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। ছাপানো বই তো সে সময়ে কল্পনাতীত। তবে শিলালিপি থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, ব্যবসায়ী জনপদ মালবার সেই লাইব্রেরিতে আশেপাশেে অন্যান্য শহরের একটি তালিকা ছিলো। সেই তালিকায় আরো অন্যান্য শহরের পাশাপাশি 'ইরাম' শহরের নাম পাওয়া যায়
আধুনিক সভ্যতার কাছে এই প্রথম 'ইরাম' শহরের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা গেলো। ভুল বললাম। 'প্রমাণ পাওয়া গেলো' বলা উচিৎ। তবে এর আগেই ইরাম শহর নামে এক শহর ছিলো বলে বিশ্বাস ছিলো। বিশ্বাসটা এসেছে কুরআন থেকে।
আল কুরআনের সূরা ফজরে আল্লাহ তায়ালা বলেন,
"আপনি কি লক্ষ্য করেন নি, আপনার পালনকর্তা কি করেছেন আদদের সাথে, এবং ইরামদের সাথে- যারা ছিলো স্তম্ভের অধিকারী।"
আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এই ইরাম কারা সে ব্যাপারে কুরআনের এই ছোট্ট ইঙ্গিত ছাড়া আর কিছু কেউ জানতো না। কুরআনের ব্যাখ্যাকাররা এতোদিন আদ ইরাম একত্রে উচ্চারিত হওয়ায় ধারণা করেছেন আদ জাতির পূর্বপুরুষ বা প্রাথমিক দিকের কোনো জাতি আদ ইরাম।
কুরআনে এমন আরেকটা জাতির নাম এসেছে, যাদের সম্পর্কে আমরা এখনো জানি না। 'আসহাবুর রস' নামে এই জাতিরও কেবল নাম ছাড়া আর কিছুই কুরআন বা হাদীসে আসেনি। কোনো ঐতিহাসিকও এদের সম্পর্কে এখনো কিছু জানেন না।
জানা না থাক। জানা থাকার দরকার নেই। ইরামেরও দরকার নেই। দরকার নেই অন্য কোনো প্রমাণের। আমি কোনো প্রমাণ খোঁজ না করেই এই কুরআনকে আল্লাহর বাণী হিসেবে বিশ্বাস করি। তবু এ বিশ্বাসকে আরো বহুগুণ সবল করতে আল্লাহ এ ধরণের কিছু ব্যাপার সামনে নিয়ে আসেন।
রবীন্দ্রনাথের ভাষায় মহান প্রভুকে বলতে চাই,
'আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার পরে,
সকল অহংকার হে আমার লুটাও চোখের জলে।'
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন