ভোট কারচুপির মিমাংসা কিভাবে হবে?
লিখেছেন লিখেছেন ওয়েলকামজুয়েল ০৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ০৪:১৫:৩৩ রাত
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। ভোট জোচ্চুরি এবং নির্বাচনে কারচুপি ঠেকাতে গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে ২৩শে অক্টোবর ২০০৮ সালে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা প্রণয়ন করেছিলো নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন বিধিমালা ১০, ১১, ১২ অনুচ্ছদে রিটার্নিং অফিসার এবং বিশেষ বিধিবলে নিযুক্ত অন্যান্য প্রিজাইডিং অফিসার ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যালট পেপার ( ফর্ম নং ৬) সরবরাহ করবেন, কিভাবে পোস্টাল ব্যালট পেপারের হিসাব রাখবেন এবং কিভাবে ভোট দিতে অসমর্থম ব্যক্তিদের সহযোগিতা করবেন তার বিস্তারিত লেখা আছে।
প্রতিটি ব্যালট পেপার ভোটারকে দেওয়ার সময়, সরবরাহকারী কর্মকর্তা
নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর
ভোটার তালিকায় ভোটারের ক্রমিক নং
ভোটার এলাকার নাম
লিপিবদ্ধ করে সরকারি সিল দিবেন।
ভোটার সাক্ষর করে কিংবা টিপসই দিয়ে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ব্যবহৃত ব্যলট পেপার সংখ্যা, অব্যাবহৃত ব্যলট পেপার সংখ্যা , ব্যালট পেপারের মুড়ি সহ ট্রেজারারের কাছে জমা দিবেন।ভোট গননা করে ফলাফল প্রকাশ করবেন। সরবরাহকৃত ব্যলট পেপারের সংখ্যা, নষ্ট হওয়া ব্যলট পেপারের সংখ্যা, নষ্ট হওয়ার ভোট এবং সঠিক ভোটের সংখ্যা সবগুলোর হিসেব মিলিয়ে তাদের বাসায় যেতে হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করেন ভোটে কারচুপি হয়েছে, জাল ভোট পরেছে, তিনি স্থানীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে ব্যবহৃত ব্যলটের মুড়ি চেয়ে নিতে পারেন। সরকারি ট্রেজারিতে থাকা ব্যালট পেপারের মুড়ি তো আর নষ্ট করা সম্ভব না। সেখানে ভোট দিয়ে যাওয়া প্রতিটা ভোটারের ক্রমিক নাম্বার এবং সাক্ষর থাকবে।
যদি জাল ভোট দিতে কেউ একাধিক টিপ সই দেয়- ভোটার ডাটাবেজ থেকে সেই ব্যাক্তির নাম ঠিকানা খুঁজে বের করা যাবে। নির্বাচন কমিশন তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী জাল ভোট দেওয়ার দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির শাস্তির বন্দোবস্ত করবে।
কমিশনে অভিযোগ করে আদালতের অনুমতি নিয়ে এক কিংবা একাধিক আসনের ব্যবহৃত ব্যালটে ভোট দেওয়া ভোটারদের ক্রমিক নাম্বার খুঁজে দেখেন- যদি মনে হয় ৩ লক্ষ নামের তালিকা খুঁজতে পরিশ্রম হবে, একাধিক স্বেচ্ছাসেবীর সহযোগিতা নেন। আনুষ্ঠানিকভাবে জাল ভোট- জোচ্চুরির বিষয়টা মীমাংসা হোক। যদি নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা প্রমাণিত হয়, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে অসমর্থতার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের জেল-জরিমানা হোক, নির্বাচিত আইনপ্রণেতার সংসদ সদস্যপদ বাতিল হোক।
যাই ঘটুক না কেনো স্বচ্ছ একটা আইনী প্রক্রিয়া মেনে সেসবের সমাপ্তি হোক। সরকার যেহেতু নিজেদের নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বিষয়ে নিঃসন্দেহ, আশা করি সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।
বিষয়: বিবিধ
৮৩০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
বি এন পির হাই কমান্ড সবসময়ই সামাজিক মিডিয়াকে অবহেলা করে আসছে। শেষ সময় বুঝে আসছে কিন্তু যা হওয়ার তাতো অনেক আগেই হয়ে গেছে।
ইদানিং কালে আসামের পত্রিকার রিপোর্টটা কে ও গুরত্ব দিচ্ছে না অথচ সেটাকে হাইলাইট করে আন্তর্জাতিক ভাবে তুলে ধরা যেতো কিন্তু উনারা চিন্তায় আছে আন্দোলনে এখন যাবে নাকি ঈদের পরে যাবে?
মন্তব্য করতে লগইন করুন