প্রেম-১৯৮৫
লিখেছেন লিখেছেন অপরিচিত ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:২৩:২২ দুপুর

একসময় প্রেম বলতে বুঝা যেত ”চিঠি” আদান প্রদান। চিঠি আদান প্রদাম মানেই প্রেম হয়ে গেছে। দূর থেকে একটু দেখা, সামনে এলে একটু হাসি এসব কিছুই ছিলো প্রেমের লাভ। সেই পুরোনো দিনের প্রেম আর আজকে প্রেম কতই তফাত।
আমাদের ক্লাসের আকিব আমাদের বাংলা ক্লাসের টিচার এর মেয়েকে একটি চিঠি লিখেছিলো।
চিঠি পাবার পরে স্যারের মেয়ে তার সাথে দেখা করে জিজ্ঞেস করলো;
'এই চিঠিটা আপনার লেখা ?'
সামনে দাঁড়িয়ে বাংলা স্যারের মেয়ে'। ঢোঁক গিলে আকিব বলেছিলো হ্যাঁ।
-আমার নাম তো 'পদ্মা' আপনি পদ্দা লিখলেন কেন ?
-ঘাবড়ে গেল আকিব। বলল; 'ঐ একই তো ?'
মেয়েটা যেন তেড়ে উঠল আর এটা কী 'রাম রম্ভা জিনি উরু' - উরু মানে কী বলতে চাইছেন ?
-ইয়ে মানে জানু মানে
বানানটা ঊরু, উরু নয়। উরু মানে বিশাল।
'আচ্ছা কদলীকুসুম কথাটা লিখলেন কেন ?
-'ওই তো মানে কুসুম মানে ফুল আর কদলী মানে কলা মানে কলার মতো ফুল আর কী?
আপনার মাথা - কদলীকুসুম মানে মোচা। আপনি আমাকে মোচা বলে মনে করেন?
আর কিন্নরী বিশেষন দিয়েছেন কেন? কিন্নরী মানে জানেন?
-আমতা আমতা করে আকিব বলল; ঐ যে জান্নাতের গায়িকা।
স্যারের মেয়ে যেন ঝলসে ওঠে, তাসের ঘোড়ার মতো মুখ আর শরীর। মানুষের আমাকে কি তাই মনে হয়?
আসলে আপনি একটি পলান্ডু !
স্যারের মেয়ে বলে যায়; আকিব শুধু শুনে যায়।
আকিব পাষন্ড মানে জানত কিন্তু পলান্ডু বস্তুটা কী? বাড়ীতে এসে ডিকশনারি খুলে দেখে এর মানে পেঁয়াজ। 
এরপর কোন মেয়েকে পত্র লিখতে গেলে আগে দেখে নেয় যে সে বাংলা স্যারের মেয়ে কিনা।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮১ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
হাসানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো লাগল-অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন