পবিত্র মক্কা মদিনার দিনগুলি : (পর্ব ১০)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ মুজিবুল হক ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:৩১:৩১ রাত

হজ্ব শেষে আমরা অনেকটা রিলাক্স ও অলস সময় পার করছিলাম. পুরুষরা মসজিদুল হারামে নিয়মিত নামাজ আদায় করলেও ভীড়ের কারনে মহিলারা আসতনা. আমাদের কাফেলা প্রধান ঘোষণা দিলেন দুইদিন পর ভীড় একটু কমলেই সবাইকে নিয়ে ওমরাহ হজ্ব করতে যাবেন আর একবার ওমরাহ হজ্বের নিয়ম শিখিয়ে দিলে সবাই নিজে নিজে ওমরাহ হজ্বপালন করতে পারবেন. এর মধ্যে খালাতো বোন পপি এসে আমাকে ও মাকে নিয়ে গেল. মা পপির বাসায় দুদিন থাকলেও আমি একদিন অবস্হান করে চলে আসি এবং পবিত্র মক্কা থেকে যাবার আগে মাকে আবার নিয়ে যাব এই ওয়াদা করে তারপর দিন মাকে হোটেলে নিয়ে আসি, তবে প্রায় প্রতিদিন আমাদের সাথে মসজিদুল হারামে পপি ও তার স্বামীর দেখা হতো. নামাজ শেষে কেএফসি তে নিয়ে যাওয়া তার প্রাত্যহিক রুটিন ছিল.

দ্বিতীয় জুমার দিন নামাজ শেষে মসজিদুল হারাম এলাকায়

আজ ১৭ই জিলহজ্ব ২রা নভেম্বর ২০১২ শুক্রবার. আজও কয়েক লাখ মুসল্লীর সাথে জুমা আদায় করলাম. সকাল ১০টায় মজজিদুল হারামে প্ববেশ করে বায়তুল্লাহর সামনে বসে পড়ি খুতবা শুরু হয় যথারীতি ১২টার কিছু পর. । ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অজিফা ও নফল নামাজ পড়ে সময় অতিবাহিত করি. খুতবা প্রদানের আগে বয়ানে শ্রদ্ধাভাজন ইমাম সাহেবকে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় সিরিয়া ও বার্মার মুসলিমদের করুন দূর্দশা ও জুলুমের কারনে জাতিসংঘের সমালোচনা করতে ছাড়লেননা. সমালোচনায় বাদ গেলনা আমেরিকা, সৌদি আরব ও প্রভাবশালী মুসলিম দেশগুলির নামও. খুতবা শেষে মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া শেষে জুমার নামাজ সম্পন্ন হয়.

দ্বিতীয় জুমার দিন নামাজ শেষে মসজিদুল হারাম এলাকায়

এটি ছিল পবিত্র মসজিদুল হারামে আমাদের ২য় জুমা. দুপুরে খাবারের পর জানিয়ে দেয়া হলো আজ রাত ১১টায় ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য পবিত্র মক্কার নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে মসজিদুল আয়েশার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে নিয়ম অনুযায়ী যারা পবিত্র মক্কায় অবস্হান করেন তারা যদি ওমরাহ পালন করতে চান তাহলে ঐ ওমরাহ পালনকারীকে পবিত্র মক্কার নির্দিষ্ট সীমানা ছেড়ে এহরাম পরিধান করে নির্দিষ্ট মসজিদে নামাজ আদায় করে ওমরাহর নিয়ত করতে হয় এরপর নামাজ শেষে মসজিদুল হারামে প্রবেশ করে ওমরাহ করতে হয়. আর পবিত্র মক্কার নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে নিকটতম এমন মসজিদের নাম "মসজিদুল আয়েশা"



মসজিদে আয়েশা বা তানিম মসজিদ



মসজিদে আয়েশা বা তানিম মসজিদ এলাকা



মসজিদে আয়েশা বা তানিম মসজিদ রাতের দৃশ্য

বিষয়: বিবিধ

১৪১৬ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

343655
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০১:০৯
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : আসসালামুলাইকুম।
ভালো লাগলো । ধন্যবাদ । Praying
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০২:৩৮
285059
মোহাম্মদ মুজিবুল হক লিখেছেন : ওয়ালাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারকাতুহু. আপনার মন্তব্যে খুশী হলাম. ধন্যবাদ..
343690
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : হারাম শরিফে নারি-পুরুষ আলাদা করার নিয়ম নাকি নাই। সেখানেই নামাজ আদায় এর চেস্টা করা উচিত।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৩
285120
মোহাম্মদ মুজিবুল হক লিখেছেন : পবিত্র কাবা শরীফ তাওয়াফ ও পবিত্র সাফা মারওয়া সাই এর সময় নারী পুরুষ এক সাথেই করে থাকেন. আর শুধু মাত্র হজ্বের সময় আল মসজিদ আল হারামে খুব ভীড় থাকে বিধায় নারী পুরুষ এক কাতারে নামাজ আদায় করে থাকেন. হজ্বের ১৫ দিন পর হতে অন্য যে কোনো সময় নারী পুরুষ আলাদা ভাবেই নামাজ আদায় করতে হয়.. আর পবিত্র মদিনার আল মসজিদ আল নববীতে কোন অবস্থাতেই নারী পুরুষ এক সাথে নামাজ আদায় করা তো দুরের কথা নারী ও পুরুষ একত্রে প্রবেশ ও করতে দেয়া হয়না. আপনার প্রশ্ন ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
343713
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৫

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File