মানুষ কে কাঁদানোর চেয়ে হাসানো অনেক সহজ
লিখেছেন লিখেছেন শাহরিয়ার মোস্তাক ইমন ০৫ মার্চ, ২০১৫, ০১:১২:২৭ রাত
রিকসা থেকে নেমেই রিকশাওয়ালা চাচা কে কইলাম যে ১০০ টাকা খুচরা আছে কি না । চাচা কইল বাবা খুচরা
তো হইব না।
আচ্ছা একটু দেখেন না।চাচা আসে পাসের দুই তিন জন রিকসাওয়ালা কে জিজ্ঞেস করল । নাই ।
বাবা টাকা টা দেন।
৫ টাকা খাই ,তাহলে ভাংতি হইব। টাকা টা নিয়া চাচা প্রথমে একটা চা এর দোকানে গেলো কিন্তু
খুচরা হল না। এর পর
গেলো চানাচুর মাখার দোকানে। এখানে চাচা খুচরা পেলো । ৫ টাকার চানাচুরের অর্ডার দিয়া চাচা আমার দিকে আসছে।
আসলে ২০ টাকার ভারা এমনিতেই ২৫ টাকা ঠিক করেছি,তার উপর আরও ৫ টাকা দিতে হোল । মেজাজ টা একটু
গরমই
ছিল। কিন্তু চাচা কাছে এসে কি একটা হাসি মুখে আমাকে বাকি টাকা ফেরত দিল। তার মুখের সেই হাসি দেখেই বুজতে
পারলাম বেচারা অনেক দিন পরেই তার শখের জিনিস এই চানাচুর মাখা খাবেন। তার এই নির্ভেজাল হাসি দেখে মনটা
যারপর
নাই ভাল হয়ে গেলো। রিকসা থেকে নেমে হাঁটতে হাঁটতে ভাবলাম ,এই ইট ছিমেনটের ঢাকা শহরে কত লাখপতি কোটিপতি
আছে যাদের ৫ টাকা কেন ৫ লাখ টাকা দিলেও মুখে হাসি ফুটবে নাহ। কিন্তু এই দরিদ্র লোকের মুখে হাসি ফোটানো
কতো সহজ আর কি প্রশান্তি ময়। শেষ বিচারের দিন আল্লাহ যখন বলবে তোমার তো সক্ষমতা ছিল তাদের সাহায্য করার।
কিন্তু তুমি কেন তাদের সাহায্য কর নাই? তখন কি উত্তর দিবেন বলুন? একবার এই দরিদ্র মানুষদেরকে সাহায্য করেই
দেখুন,আর নিজেকে প্রশ্ন করুন এমন প্রশান্তি আগে কথাও পেয়েছিলেন কি ?
বিষয়: বিবিধ
১১৯৪ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন