একই দিনে দন্ডিত দুই সম্পাদক>> মামলা এক রায় ভিন্ন!
লিখেছেন লিখেছেন ব্লগার শঙ্খচিল ১৩ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:৩৪:০১ রাত

এ যেন বিচার হিনতার সংস্কৃতিরই আরেক নগ্ন রুপ । দেশের আইন-আদালত থেকে মুখ ফিরিয়ে যখন মানুষ আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে । বিকৃত মানুষিকতার জন্ম নিচ্ছে দিন দিন । পৈশাচিক ভাবে হত্যা করে যেখানে লাশের উপর নৃত্য করে, পায়ু পথে বায়ু দিয়ে ইনটেস্টাইন, স্টোমাক, হার্টকে ব্লাস্ট করেও অনুশোচনা হয়না । ৯ বছরের শিশুকে নির্মম-নির্দয় ভাবে মেরে সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে আনন্দ পায় খুনিরা! সেখানে উদাহরণ হতে পরতো দেশের সর্বোচ্চ আদালত । যাতে মানুষ আস্থা পায়, শেষ ভর্সার একটা জায়গা পায় কিন্তু সামপ্রতি কিছু রায়ে মনে হল……….. । (কোন কথা আবার আদালদেতর বিরুদ্ধে যায়, শেষে বাটি চালান দিয়ে শঙ্খচিলকে খুঁজে বের কর)
বলছিলম মাহমুদুর রহমান এবং আতিকুল্লাহ মাসুদ খার কথা ।
একই দিনে সাজা পেলেন পরস্পরবিরোধী সম্পাদকীয় নীতির দু’টি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক এবং এক নির্বাহী সম্পাদক। বৃহস্পতিবার সকালে দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও একই পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় দণ্ডিত হন। এর কিছুসময় পরে দণ্ডিত হন দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
আদালত অবমাননার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকার সম্পাদক আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালতে অবস্থানের শাস্তি ভোগ করেন। একই সঙ্গে তাদের দুজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আপিল বিভাগ। এ অর্থ না দিলে ৭ দিনের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।
আদালত অবমাননার বিষয়টিই আাসি । আতিকুল্লাহ আদালত অবমাননার জন্য শাস্তি পেলেন আপিল বিভাগের কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালতে অবস্থান করতে হবে । অন্য দিকে মাহমুদুর রহমানের আদালত অবমাননার শাস্তি হল ৬ মাসের জেল! । আমাদের মহামান্য এটর্নিজেনারেল সাব বললেন “একদিনের শাস্তিও যা ৬ মাসের শাস্তিও তা”! কথা বলার সময় মুখের লাগাম ঠিক থাকে না । সব কিছুরএকটা শেষ আছে ।
আজকের বিচারহীনতার সংস্কৃতির জন্য আমি মনে করি এ পরিবেশ দায়ী । মানুষ কোথাও ন্যাবিচার না পেয়ে আইন তার নিজের হতে তুলে নেয় ।
আমরা সুন্দর একটি বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি যে স্বপ্ন আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছে , শেরই বাংলা, শরিয়াতুল্লাহ, তিতুমীর শেখ মুজিব,জিয়া এবং আমাদের সংবিধান ।
বেশি কিছু লিখবো না ।খুব ভয় হয় । কখন কার টার্গেটে পড়ে যাই । কি জঙ্গি কি রক্ষক! সবই এক মনে হয় । সাধারণ মানুষের জন্য আ্ল্লাহ ছাড়া কেউ নেই ।
আজকের রায় নিযে জনপ্রিয় লেখক ফরহাদ মাজহারের উদ্ধৃতি দিয়ে শেষ করি
তিনি বলেন…
“কোন অভিযোগ নাই, কিন্তু দুদক নোটিশ দিল। মাহমুদুর রহমান জবাব দেন নি। নোটিশের জবাব দেন নি বলে বিচারক আবু আহমেদ জমাদার মাহমুদুর রহমানকে অর্থদণ্ডসহ তিনবছর কারাগার ভোগের শাস্তি দিয়েছে।
ওদিকে মাহমুদুর রহমানকে আদালত অবমাননার জন্য ছয় মাস আর দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে লঘু দণ্ড দেওয়া হোল। কিন্তু এই বৈষম্য কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে এটর্নি জেনারেল বলেছেন, এটা আদালতের এখতিয়ার।
সরি। এটর্নি জেনারেল, আপনি ভুল বলেছেন। কারণ বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নাগরিকদের প্রতি বৈষম্যের কোন ক্ষমতা আদালতকে দেওয়া হয় নি। মাহবুবে আলম আরও বলেছেন, এক দিনের শাস্তি আর ছয়মাসের কারাদণ্ড নাকি একই কথা!
একজন প্রতিবাদী নাগরিককে শাস্তি দেবার জন্য নীতি, লজ্জা ও আইনের সীমা কিভাবে লংঘিত হতে পারে মাহমুদুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক নজির হয়ে রইলেন।
ভয় নাই, ইতিহাস কাপুরুষ ও বেহায়াদের জন্য নয়। সংগ্রাম চলবে” ।
বিষয়: বিবিধ
৩৭৫৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য






































পাঠকের মন্তব্য:
"হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে ন্যায় সাক্ষ্যদানের ব্যাপারে অবিচল থাকবে এবং কোন সম্প্রদায়ের শত্রুতার কারণে কখনও ন্যায়বিচার পরিত্যাগ করো না। সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। আল্লাহকে ভয় কর। তোমরা যা কর, নিশ্চয় আল্লাহ সে বিষয়ে খুব জ্ঞাত" (৫:৮)।
মন্তব্য করতে লগইন করুন