রামাদানে সংযম-৩
লিখেছেন লিখেছেন মিশু ৩১ মে, ২০১৬, ০৮:৩০:২৫ সকাল
আসসালামু’আলাইকুম।
আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়। সূরা আল আহযাব: ৩৬
মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই - যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলে: আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর শাস্তি থেকে বেঁচে থাকে তারাই কৃতকার্য। সূরা আন নূর: ৫১-৫২
এই দুইটি আয়াতের বাস্তবায়ন আমরা কি নিজ জীবনে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি? চলুন না এই রামাদানের পূর্বে অংগিকারাবদ্ধ হয়ে সাজাই এই আয়াতের আলোকে।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
আল্লাহ তা’লা বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি নিজেকে আমার ইবাদাতের জন্য মুক্ত করে দাও, আমি তোমার বক্ষকে ঐশ্বর্য ও অভাবহীনতা দিয়ে পূর্ণ করে দিব। তোমার দারিদ্র ও অভাব দূর করে দিব। আর যদি তা না করো, তবে আমি তোমার অন্তরকে ব্যস্ততা দিয়ে পূর্ণ করবো এবং তোমার দারিদ্র দূর করব না। আল জামে আত তিরমিযী ও ইবনে মাজা
গোটা মানব জাতির মধ্যে নবী সা. সবচেয়ে দানশীল ছিলেন। রামাদান মাসে জিবরাঈল আ. যে সময় তাঁর সাথে সাক্ষাত করতেন সে সময় তিনি সবচেয়ে বেশী দানশীল হয়ে উঠতেন। জিবরাঈল রামাদানে প্রতি রাতেই তাঁর সাথে সাক্ষাত করতেন। এভাবেই রামাদান মাস অতিবাহিত হত। নবী স. (এ সময়) তার সামনে কোরআন পড়ে শুনাতেন। যখন জিবরাঈল তাঁর সাথে সাক্ষাত করতেন তখন তিনি গতিবান বায়ুর চাইতেও বেশী দানশীল হয়ে উঠতেন। সহীহ আল বুখারী: ১৭৬৭
তাহলে এই হাদিস থেকে জানা যায় নবী সা. রামাদানে কি করতেন:
• বেশী বেশী দান করা
• কোরআন পাঠ করা
রামাদান পরিকল্পনাটা নেই এই দুইটি হাদীসকে সামনে রেখে
বিষয়: বিবিধ
১১৪৯ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রমজান নিয়ে ব্লগীয় আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অংশ নিতে পারেন আপনিও। বিস্তারিত জানতে-
Click this link
মন্তব্য করতে লগইন করুন