গণতন্ত্র হত্যাকারীরাই স্বাধীনতা বিরোধী

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মুক্তিযোদ্ধা ২৯ নভেম্বর, ২০১৪, ০৭:৩৭:৪৫ সন্ধ্যা

“বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে। মানুষের মৌলিক অধিকার হনন করে পশ্চিমাদের একচেটিয়া শাসনের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল দেশের আপামর জনগণ। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।”- এ কথাগুলো খুব স্বাভাবিক ও অতি পরিচিত। কিন্তু আমরা হয়তো একটি জিনিস ভুলে গিয়েছি। স্বাধীনতার মূল দাবী ছিল গণতন্ত্র অর্থাৎ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা। আর সে বিষয়টি হত্যা করতে চেয়েছিল বলেই পাকিস্তানিদের স্বাধীনতা বিরোধী, গণতন্ত্র হত্যাকারী ও স্বৈরাচারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাদের উৎখাতের জন্য সর্বস্তরের মানুষ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। তাহলে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, যদি কেউ মানুষের অধিকার হনন করে, ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে, জনগণের উপর জুলুম নির্যাতন চালায়, হত্যা, গুম ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নামই মুক্তিযুদ্ধ।

বর্তমানে বাংলাদেশে যা হচ্ছে তা ১৯৭১ এর পূর্ববর্তী প্রেক্ষাপটের চেয়ে ভয়াবহ নয় কি? আওয়ামীলীগ নামের একটি দল ক্ষমতায় থাকার জন্য একচেটিয়া ভোট করে গোটা জাতিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার মধ্য দিয়ে সংবিধানের সবচেয়ে শক্তিশালী স্তম্ভ গণতন্ত্রকে কবর দিয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে নিরপরাধ মানুষগুলোকে একের পর এক হত্যা করছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিবর্তে নির্বিচারে গুম, খুন চালিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির জন্য পাক হানাদার বাহিনীকে যদি যুদ্ধাপরাধী, স্বাধীনতা বিরোধী বলা যায় এবং তাদের হাত থেকে রক্ষার জন্য যুদ্ধ করে স্বাধীন হতে হয় তাহলে আজ কেন আমরা আরেকটি মুক্তিযুদ্ধ করব না? আজ সময়ের দাবী হচ্ছে গণতন্ত্র হত্যাকারী আওয়ামীলীগকে স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক মুক্তিযুদ্ধ ঘোষণা করা। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসুন সবাই সে যুদ্ধে অংশ নিয়ে নতুন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত হই। বিজয় আমাদের অনিবার্য।

বিষয়: রাজনীতি

৭৮৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File