অবশেষে আমার পাজরের বাঁকা হাঁড়টাকে পেয়ে গেলাম।
লিখেছেন লিখেছেন দিল মোহাম্মদ মামুন ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১২:৩৩:১৫ দুপুর
আব্বুর অনেক আশা ছিল পুত্রবধূকে একনজর দেখে যাওয়ার কিন্তু মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে সকল আশা চুরমার করে আব্বুকে ১১.০৯.২০১১ইং তারিখে চিরবিদায় নিতে হলো। দূর্ভাগ্য আমার, আব্বুকে শেষ বারের মত একটু দেখতেও পারলাম না, এটাই যেন প্রবাসীদের ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! আব্বুর বিদায়ের পর থেকে আম্মুর শারিরীক অবস্থা ও দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। ডাক্তার আর ঔষুধ যেন উনার নিত্যদিনের সঙ্গী, আমার ঘর যেন একটা ফার্মেসী! তবুও মহান আল্লাহর দরবারে লক্ষ-কোটি শুকরিয়া যে 'মা' নামের এই নিয়ামতটাকে এখনো আমাদের মাঝে রেখেছেন। সবসময় দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন আমার আম্মুকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ দান করেন। গত তিনবছর আগ থেকেই আম্মু আমার জন্য মেয়ে দেখতেছিলেন, কিন্তু আমি ততটা গুরুত্ব দিইনাই, কারন আমি চেয়েছিলাম প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিয়ে করতে।
২০১৪ এর মাঝামাঝি সময়ে একবার আম্মু খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন, ফোনে কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছে তবুও কান্নাজড়িত কন্ঠে বললেন, তোর বাবার মতো আমিও কি বৌমাকে দেখে যেতে পারবো না? ইতোপূর্বে আমার ছোটভাই ও ছোটবোন তাদের কলেজে মেয়ে পছন্দ করা শুরু করে দিয়েছে, বাড়িতে ফোন করলে একেকদিন একেকটা মেয়ের বর্ননা দিবেই দিবে! কখনো কলেজের সবচেয়ে সুন্দরী, কখনো বড় লোকের সুন্দরী মেয়ে আবার কখনো বা সাধারণ পরিবারের অসাধারণ মেয়ের বর্ননা শুনতে শুনতে আমার বিরক্তি এসে গেছে। সবগুলো মেয়ের বর্ননা শুনার সাথে সাথেই নিষেধ করে দিয়েছি, আবার এদিকে আমার বড় আপু ও দুলাভাই তাদের এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির বড় লোকের এক মেয়েকে পছন্দ করে ইতোমধ্যে তাদের ভাইয়ের স্ত্রী হিসেবে ঘোষনা দিয়ে দিয়েছেন! সরাসরি নিষেধ করতে গেলে হয়তোবা আপু-দুলাভাইয়ের মনে কষ্ট যাবে, তাই নিরবতা অবলম্বন করলাম কারন উল্লেখিত সবগুলো মেয়ে ছিল অত্যাধুনিক! আবার কেউ কেউ ছিল গভীর প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া অবস্থায় যদিও তারা ভাল বংশের মেয়ে ছিল!
এবার আর চুপ থাকাটা ভাল মনে করলাম না কারন আম্মুও অসুস্থ। আম্মুকে বললাম, ইসলামিক মাইন্ডেড শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পরিবারের পর্দানশীলা, নামাযী ও শিক্ষিত মেয়ে দেখবেন, ফর্সা হলে ভাল, তবে শ্যামলা হলেও চলবে। একেবারে উচ্ছ বংশ হতেই হবে অথবা আমাদের সমমানের হতেই হবে এমন কোন কথা নাই, এখানে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করবেন। আমার ঐ রকম মেয়ের দরকার, যে মেয়ে ফজরের আযান দেওয়ার সাথে সাথে আমাকে নামায পড়তে জোরাজুরি করবে, আমানত রক্ষা করবে, নিজ থেকেই ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলবে সর্বোপরি আপনার সেবা করবে।
যেহেতু আমি পরিবারের বড় সন্তান এবং প্রবাসি তাই আমার অবর্তমানে পরিবারের দেখাশুনা, টাকা-পয়সার লেনদেন থেকে শুরু করে একজন সচেতন অভিভাবক হিসেবে সব কাজই আমার স্ত্রীকেই করতে হবে, কারন আম্মু এখন ঠিকমতো টাকার হিসেবটাও রাখতে পারেন না। আর যে মেয়ে ইসলামিক জীবন যাপনের চেয়ে আধুনিক জাহেলী জিবন যাপনে অভ্যস্ত ঐ মেয়েকে আমি মোটেও পছন্দ করিনা, কারন যে তার সৃষ্টিকর্তাকে ভয় করেনা ইসলামকে মেনে চলেনা সে কতটুকু বিশ্বস্ত হবে?
এবার আমার পরিবারের সবাই আমার পছন্দের কথা শুনে হতাশ হলো, কারন এই রকম মেয়ে নাকি পাওয়াই দুষ্কর! আমি নামায শেষে আল্লাহর দরবারে দোয়া করলাম। মে মাসের শেষের দিকে আমার জেঠাতো ভাইয়ের মেয়ের মাধ্যমে সিতাকুন্ডে একটা মেয়ের খোঁজ পেলাম। মেয়ে এবং তার পরিবারের বিস্তারিত শুনে খুব খুব ভাল লাগলো, নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করলাম "হে আল্লাহ এই প্রস্তাবটা যদি আমার জন্য কল্যানকর মনে করো তাহলে তুমি আমার জন্য কবুল করো আর যদি অকল্যাণকর মনে করো তাহলে যে কোন উছিলায় বাতিল করে দাও" ।
আমার আম্মু ও ছোট ভাই-বোনকে তাদের বাড়িতে পাঠালাম, সর্বদিক থেকেই তাদের খুব পছন্দ হলো কিন্তু আমার জন্য তার কোন ছবি আনতে পারলোনা কারন এটা পর্দার বরখেলাপ। আম্মু আর ছোট বোন তার বর্ননা শুনাতেই থাকলে আর আমি মনের মাঝে তার নানান রকম ছবি আঁকতে লাগলাম। ইতোমধ্যে তার অভিভাবকেরাও আমাদের বাড়িতে এসে আমার বাড়িঘর দেখে গেলো, উভয় পক্ষ রাজি। আমার ভাতিজি বললো যেহেতু উভয় পক্ষ একে অপরকে পছন্দ করেছে তাই দেরি না করে এঙ্গেজমেন্টের কাজটা শেষ করে ফেলতে। আমি একটা ছবি পাঠাতে বললাম, কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে বলা হলো, ছবিটা অন্যের হাতেও যেতে পারে এতে পর্দার লঙ্গন হবে। তাদের চেয়েও আমার ভাতিজি পর্দার ব্যাপারে একটু বেশি কড়াকড়ি আরোপ করলো, আমার মতে এটা পর্দার নামে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি। এবার আমি একটু বেঁকে বসলাম, আমি ভাতিজিকে বললাম হাদিসে রাসূল(সঃ) বিয়ের আগে মেয়ে দেখতে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন তাই যতক্ষন পর্যন্ত আমি মেয়ে দেখবো না ততক্ষন পর্যন্ত এঙ্গেজমেন্ট করা হবেনা।
এবার তারা স্কাইপিতে দেখানোর ব্যবস্থা করলেন, প্রথম দেখাতেই খুব ভাল লাগলো। তার স্বল্পভাষী কথা গুলো যেন এখনো আমার কানে বাজতেছে, অনেক কিছু জিজ্ঞেস করলাম, সে শুধু সংক্ষেপে উত্তর দিয়ে গেলো, অতিরিক্ত একটা কথাও বললো না। মনে মনে খুশিই হলাম কারন আমি যে পরিমান বকবক করি তারউপর সেও যদি আমার মত হয় তাহলেই সারছে!! স্কাইপিতে কথা বলার সময় স্ক্রিনশটে কিছু ছবি তুলে নিলাম।
উভয়পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে ১৬.০৮.২০১৫ ইং তারিখে সিতাকুন্ড আলীয়া মাদ্রাসার অফিসকক্ষে আমাদের এঙ্গেজমেন্টের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করলাম।
এঙ্গেজমেন্টের পর থেকে মাঝে মাঝে তার সাথে ফোনে কথা হতো, কিন্তু বিয়ের আগে কথা বলাটা শরিয়ত সন্মত না। আমার শশুর চেয়েছেন যেন আমাদের সম্পর্কের মধ্যে পবিত্রতা বজায় থাকে তাই প্রথম দিকে কিছু না বললেও একজন আলেম হিসেবে আমার শশুর আমাকে কিছু উত্তম পরামর্শ দিলেন। আমার নানা শশুরের মাধ্যমে তিনি আমাকে বললেন, যেহেতু ফোনে তার সাথে আমার কথা হয় তাই অনলাইনে আমাদের আকদ অনুষ্ঠানটা হয়ে গেলে আর কোন শরিয়তি বাঁধা থাকবেনা। আমি কোন দ্বিমত করলাম না, কারন এটা আমাদের জন্য কল্যানকর হবে এবং সীমালঙ্ঘনের সম্ভাবনাও থাকবেনা। আমি উনাদেরকে সানন্দে আকদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বললাম।
আমার পক্ষ থেকে তাদের বাড়িতে আমার দাদা মেজর মাকছুদ আহমেদ(অবঃ), দাদু, ফুপাতো ভাই, আমার আপু-দুলাভাই, আমার বন্ধু নাজিম, আম্মু, আপু, ছোট ভাই-বোন ও ভাগিনা-ভাগ্নী সবার উপস্থিতিতে ১৮.১২.২০১৫ ইং তারিখে আমার শুভ বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলাম। আমার সাথে আমার ফ্লাটের সদস্যবৃন্দ এবং আবুধাবির প্রবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিগন উপস্থিত ছিলেন। দেশে এবং প্রবাসে উভয় পক্ষের সাক্ষি ও অভিভাবকবৃন্দের উপস্থিতিতে আমার শশুর মাওলানা মাহমুদুল হক স্কাইপিতে আমাকে আমাদের শুভ বিবাহের আকদ পড়ালেন। এভাবেই আমি লুকিয়ে থাকা আমার বাম পাজরের বাঁকা হাঁড়টাকে খুজে নিয়ে চিরজীবনের জন্য ইসলামি শরিয়তের ভিত্তিতে তিন কবুলের মাধ্যমে নিজের সাথে সংযুক্ত করে নিলাম। সবাই দোয়া করবেন মহান আল্লাহ যেন আমাদের দাম্পত্য জীবনকে সুখি,সমৃদ্ধি ও কল্যানময় করেন।
আমার শশুরের নাম মাওলানা মাহমুদুল হক, তিনি হাইস্কুলের শিক্ষক এবং জামে মসজিদের খতিব, বড়ভাই হামিদ হোসাইন মাহমুদ (আজাদ) ইসলামিয়া ইউনির্ভাসিটিতে এল.এল.বি অনার্স চতুর্থ সেমিস্টারে অধ্যায়নরত, ছোট বোন সুমাইয়া মাহমুদ আফরিন ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। আমার প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশা মাহমুদ আইরিন এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী, তার আসন্ন পরীক্ষার জন্যই তার অনুরোধে দেশে যাওয়া হয়নি। ইনশাআল্লাহ তার পরীক্ষার পর পরই দেশে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবেই তাকে আমার ঘরে তুলে আনবো, উল্লেখ্য সে এস.এস.সি তে জি.পি.এ-৫ পেয়েছিল। মজার বিষয় হলো আমি যেমন অনেকদিন যাবত পুরোপুরি ইসলামি মাইন্ডেড মেয়ে খুজতেছিলাম, তেমনি তার জন্যও অনেক অত্যাধুনিক পরিবারের আধুনিক ছেলেরা প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল। কিন্তু তারা আধুনিকতার চেয়েও দ্বীন-দারিতাকেই প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
বি:দ্র: ইনশাআল্লাহ যখন দেশে আসবো তখন দেশে অবস্থানরত সকল ব্লগার ভাইদেরকে আমার বিবাহের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানাবো।
বিষয়: বিবিধ
২৩৫৩ বার পঠিত, ৪২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
) ) ) ) ) )
^o^
||3
আল্লাহতায়ালা আপনাদের সংসারে তাঁর অফুরন্ত রহমত ও বরকত ঢেলে দিন এবং সকল অকল্যান থেকে হেফাজত করুন, আমীন
ওটা খুশীতে নাচানাচির ইমো হবে
বাঁকা হাড়টা সোজা করতে যাবেন না কিন্তু!
ধন্যবাদ।
তখন দেশে অবস্থানরত সকল ব্লগার
ভাইদেরকে আমার বিবাহের
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন জানাবো। @ কথাটা যাতে মনে থাকে।
আর অবশ্যই দোয়া করি সুখী হবেন
প্রিয় ভাই ভোলার পোলা, সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাড়িতে কবে যাচ্ছেন, জানিয়ে যাবেন। আমিও কিন্তু জুনের শেষের দিকে যাচ্ছি ইন শা আল্লাহ। দাওয়াত এখন দিয়ে দিতে পারেন। গাড়ি ভাড়া দিতে হবে না। শুধু আমার মোটর বাইকের খালি পেটে পেট্রোল পুরে দিলেই চলবে।
এঙ্গেজমেন্ট এটি কি?
বিয়ের আগে ফ্রিতে আলাপ! এখন তো এটা বর্তমান যামানার ফ্যাশন হয়ে গেছে। আবার স্কাইপিতে আলাপ করেন নি তো!
আপনার শশুর ঠিকই করেছেন, আপনাদের গুনাহ থেকে বাচালেন। উনাকে এ কাজের জন্য সালাম জানাই। অনেক সময় দেখা যায়, আলাপ টালাপ সেরে বিবাহ না করে কেটে পড়ে। কারণ কথার মাঝে স্বামী স্ত্রীর মান অভিমান স্বাভাবিক ব্যপার। কিন্তু বিয়ে না হলে এক সময় ছেলে/মেয়ে ভাবে, বিয়ের আগেই এত রাগারাগি, বিয়ের পরে না জানি কি হবে।
যাগগে অনেক কথাই লিখলাম। এখন থেকে দাত ব্লাশ শুরু করেছি। বিয়ে খেতে হবে তো! বিয়ে বলে কথা।
বিয়ের আগে ফ্রিতে আলাপ করার সুযোগ তো আমার শশুর দিলেন না..মহান আল্লাহর শোকর সব কিছু খুব সুন্দরভাবেই হয়েছে।
ইনশাআল্লাহ আপনার সাথে দেশে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা খুব খুব বেশি। আপনি স্ব-পরিবারে আমন্ত্রীত, আপনারা যদি না আসেন তাহলে কি অনুষ্ঠান জমবে??
ইনশাআল্লাহ আগামি সপ্তাহে আপনি এবং রহিম ভাইয়ের সাথে দেখা করের প্লান আছে। তখন বিস্তারিত কথা হবে, অনেক দিন ব্যস্ততার কারনে আপনাদের সাথে দেখা হয়নি।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এখানে বাড়াবাড়ির কি দেখলেন????? অন্যের হাতে যে যাবে না তার নিশ্চয়তা আপনি দূর থেকে কতটা দিতে পারবেন! আর ছবিই বা কেন দিতে হবে? বিয়ে যখন করছেন সরাসরি আপনার দেখে আসাইতো উত্তম নাকি? কোন কিছুতে বাড়াবাড়ি শব্দটার যাচ্ছেতাই ব্যবহারই যেন বাড়াবাড়িতে পরিণত হয়েছে।
দেশে আসার আগে যখন ঘরে তুলতে পারবেন না তাহলে এখন বিয়ে করে লাভ হল কি?
আর হ্যাঁ, ব্লগে ছবি না দিলে হয়না? আর শেষের দিকে এতো বর্ণনা না দিলেই ভালো হত।
আপনার দুজনার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। সবসময় ইসলামের অনুশীলন করবেন এবং করাবেন এই কামনা করছি।
আপনার ১ম জবাব হচ্ছে, আমার স্ত্রীর বড় ভাই ও ফেইসবুক ব্যবহার করেন, উনারা ইচ্ছা করলে ফেইসবুকে ও একটা ছবি দিতে পারতেন। যেখানে প্রিয় রাসূল সঃ বিয়ের আগে মেয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে আমি তাদের কথায় কিভাবে না দেখেই এঙ্গেজমেন্ট করবো? আমি কি না দেখে কলা গাছ বিয়ে করবো???
২য় উত্তর হচ্ছে, প্রবাস জিবনে মানুষের নানান সুবিদা অসুবিধা থাকতেই পারে, তার উপর আমার স্ত্রী নিজেই অনুরোধ করেছেন আমি যেন তার পরীক্ষার পর দেশে আসি। তবুও আমি চেয়েছিলাম দেশে এসে বিয়ের আকদের কাজটা শেষ করতে, কিন্তু আমি আমার শশুরের উপদেশ অগ্রাহ্য করতে পারিনি, তার উপর আমিও ভাবছি কখন কি হয় তাতো বলা যায় না, আর শুভ কাজে নাকি দেরি করতে নাই।
আশা করি উত্তর পেয়েছেন। আবারো আপনাকে ধন্যবাদ,আমাদের জন্য দোয়া করবেন, আপনার অগ্রিম দাওয়াত রইলো।
যাক অামাদের একবেলা খানা পাইলেই হবে। তাই অভিনন্দন! তবে এই বিষয়ে আগে থেকেই নিশ্চিত হয়ে নেবেন যে ব্লগ এর উপর কোন অবরোধ আরোপ করবে না!
আপনারা যদি আমার বিয়েতে উপস্থিত না থাকেন তাহলে কি অনুষ্ঠান জমবে??
শরিয়তের বাধ্যবাধকতার জন্যই ছেলেরা বিয়ে করে । না হলে বিয়ে করা ও সংসার মেইটেইন করা ছেলেদের জন্য সম্পূর্ণ একটা লস খাত ।
আল্লাহ আপনার উপর রহম করুন ।
মার্চে ইনশা আল্লাহ আমিও দেশে আসছি! আল্লাহ চাহে তো দাওয়াত খাওয়া হবে!
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ইসলাম পন্তি লেখকদের লেখা যেন ইসলামবিদ্ধেষীদের টাট্টার কারন না হয় সে দিকে খিয়াল রাখা উচিত।
বিনিত।
জাজাকাল্লাহ খায়ের
সাদি মোবারক
হযরত আবূ হুরায়রা (রা) হইতে বর্ণিত হইয়াছে, তিনি বর্ণনা করিয়াছেন, নবী করীম (স) হইতে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে লোক আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমানদার, সে যেন তাহার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয় আর তোমরা স্ত্রীলোকদের ব্যাপারে কল্যাণকামী হও। কেননা তাহারা পাঁজড়ের হাড় হইতে সৃষ্ট। আর পাঁজড়ের হাড়ের উচ্চ দিকটাই বেশী বাঁকা। তুমি যদি উহাকে সোজা করিতে যাও, তাহা হইলে উহাকে চূর্ণ করিয়অ ফেলিবে। আর উহাকে যদি এমনিই ছাড়িয়া দাও, তাহা হইলে উহা চিরকাল বাঁকা-ই থাকিবে। অতএব তোমরা মেয়েদের প্রতি কল্যাণকামী হও।(বুখারী, মুসলিম, নাসায়ী)
ভাইয়া হাদীসটা ঠিক ভাবে পালন করিয়েন তবে মনে হয় হচ্ছে আপনি পারবেন না । আপনি যেহেতু ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অলরেডী দিয়ে ফেলেছেন !!
আমি কারো পাসওয়ার্ড বা মোবাইল চাইব ও না আমার গুলো ও দিব না ।
অনেক অনেক অভিনন্দন। আল্লাহ নেক দম্পতিকে কবুল করুন। সুখী দাম্পত্য জীবন কামনা করছি।
মহান আল্লাহ যেন আপনার দোয়াকে কবুল করেন ছুম্মা আমিন।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা ওয়া জামা'আ বাইনাকুমা ফি খাইর।" -
মন্তব্য করতে লগইন করুন